Banner Advertiser

Sunday, June 3, 2012

[mukto-mona] Fw: [notun_bangladesh] যুদ্ধাপরাধী বিচার : প্ররোচনামূলক বক্তব্য দিয়ে আলীম মানবতাবিরোধী কর্মকা- উস্কে দেন


----- Forwarded Message -----
From: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>
To: Khobor <khabor@yahoogroups.com>; notun Bangladesh <notun_bangladesh@yahoogroups.com>
Sent: Saturday, June 2, 2012 3:37 PM
Subject: [notun_bangladesh] যুদ্ধাপরাধী বিচার : প্ররোচনামূলক বক্তব্য দিয়ে আলীম মানবতাবিরোধী কর্মকা- উস্কে দেন

 

রবিবার, ৩ জুন ২০১২, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯
প্ররোচনামূলক বক্তব্য দিয়ে আলীম মানবতাবিরোধী কর্মকা- উস্কে দেন
যুদ্ধাপরাধী বিচার ॥ অভিযোগপত্র শেষ
বিকাশ দত্ত ॥ একাত্তরের মুত্তিযুদ্ধের সময় আব্দুল আলীম প্ররোচনামূলক বক্তব্য দিয়ে মানবতাবিরোধী কর্মকা-কে উস্কে দেন। তখন সমাবেশে তিনি অন্যদের সঙ্গে একই সুরে বলেন যে, মুসলমানদের জন্য পৃথক আবাসভূমি হিসেবে পাকিস্তানের সৃষ্টি হয়েছে। এহেন পাকিস্তানের ধ্বংস করার চক্রান্তের জন্য তিনি ভারতীয় শাসকদের তীব্র সমালোচনা করেন এবং ভারতীয় আগ্রাসন থেকে দেশকে রক্ষা করার নিমিত্তে সেনাবাহিনীর পেছনে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য উপস্থিত শ্রোতাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে সময়মতো পদক্ষেপ নিয়ে ধ্বংসের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানান। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ প্রসিকিউটরদের দেয়া অভিযোগপত্র থেকে এ সমস্ত তথ্য পাওয়া গেছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, প্ররোচনামূলক বক্তব্য দেয়ার পাশাপাশি আসামি আব্দুল আলীম জয়পুরহাটে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, দেশ থেকে বিতাড়নসহ নানা ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। তার অংশ হিসেবে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের পূর্ব পর্যন্ত যে কোন একদিন সকাল বেলা আসামি আব্দুল আলীমের নির্দেশে তার নেতৃত্বাধীন ও পরিচালনাধীন শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা ক্ষেতলাল থানা আওয়ামী লীগের নেতা আলতাফ হোসেন সরদারের পুত্র আজিজার রহমান সরদারকে তার বাড়ি থেকে আটক করে ক্ষেতলাল থানায় নিয়ে যায় এবং সেখানে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। 
প্ররোচনামূলক বক্তব্য ॥ ১৯৭১ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্থানীয় আলতাফুন্নেছা ময়দানে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তৎকালীন বগুড়া জেলা প্রশাসক, মুসলিম লীগ নেতা মওলানা সেকেন্দার আলী, জামায়াতের ইসলামী নেতা এএলএম আবদুর রহমান ফকির প্রমুখের সঙ্গে বগুড়া জেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আসামি আব্দুল আলীম উপস্থিত ছিলেন। 
ঐ সমাবেশে তিনি অন্যদের সঙ্গে একই সুরে বলেন যে, মুসলমানদের জন্য পৃথক আবাসভূমি হিসেবে পাকিস্তানের সৃষ্টি হয়েছে। এহেন পাকিস্তানের ধ্বংস করার চক্রান্তের জন্য তিনি ভারতীয় শাসকদের তীব্র সমালোচনা করেন এবং ভারতীয় আগ্রাসন থেকে দেশকে রক্ষা করার নিমিত্তে সেনাবাহিনীর পেছনে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য উপস্থিত শ্রোতাদের প্রতি আহ্বান জানান। আসামি আবদুল আলীম অন্যদের মতো দুষ্কৃতকারীদের কার্যকলাপের তীব্র সমালোচনা করেন। তাদের রাষ্ট্রবিরোধী হীন কার্যকলাপ সম্পর্কে জনগণকে সচেতন থাকতে অনুরোধ করেন। তিনি দুষ্কুতকারীদের বিরুদ্ধে সময়মতো পদক্ষেপ নিয়ে ধ্বংসের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানান।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামি আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রসহ সংযুক্ত দলিলপত্রে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধসমূহের পর্যাপ্ত প্রমাণ দাখিল করা হয়েছে। যা থেকে সংঘটিত অপরাধসমূহের সন্দেহাতীত প্রমাণ পাওয়া যায়। এসব অপরাধ আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩-এর ৩ (২) ধারায় বিধৃত। জয়পুরহাটসহ দেশব্যাপী ব্যাপক মাত্রায় সংঘটিত এসব অপরাধ বাংলাদেশের জনগণের কাছে সর্বজনবিদিত, যা দেশের প্রতিটি নাগরিক অবগত। 
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, আসামি মোঃ আব্দুল আলীম ও তার সহযোগীরা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সময়ে তৎকালীন পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীকে সংখ্যালঘিষ্ঠে পরিণত করার অভিপ্রায়ে পূর্ব পাকিস্তান (অবরুদ্ধ বাংলাদেশ) জয়পুরহাট মহকুমার সর্বত্র হত্যা ; গণহত্যা, নির্যাতন, লাশ গুমসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন ১৯৭৩-এর ৩ (২), ৪ (১) ও ৪ (২) তে বর্ণিত ধারার অপরাধসমূহ সংঘটিত করেছে। সে কারণে অত্র মামলার বিষয়বস্তু ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারাধীন বিধায় বিচার নিষ্পত্তির ক্ষমতা ট্রাইব্যুনালের রয়েছে। 
খলিলুর রহমান আটক ও নির্যাতন ॥ ১৯৭১ নালের আগস্ট মাসের প্রথম দিকে জয়পুরহাট মহকুমার শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ও রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার আসামি আব্দুল আলীম রাজনৈতিক বিদ্বেষপ্রসূত হয়ে হুরমত আলী ম-লের (মৃত) ভাই আব্দুল ম-লকে তার ভাইপো খলিলুর রহমানকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য বলে। নতুবা পুরো গ্রাম আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়। উক্তরূপ হুমকির প্রেক্ষিতে খলিলুর রহমান তার খালার বড়িতে পালিয়ে যায়। শান্তি কমিটি ও রাজাকাররা আসামি আব্দুল আলীমের নির্দেশে তাকে খুঁজতে থাকে। খোঁজাখুঁজির মধ্যে আগস্ট মাসের প্রথম দিকে যে কোন একদিন অত্যন্ত সতকর্তার সঙ্গে বাড়িতে এসে তথায় অবস্থান করাকালে ফজরের নামাজের সময় শান্তি কমিটি ও রাজাকাররা পাকিস্তানী সৈন্যদের নিয়ে উক্ত বাড়ি ঘেরাও করে খলিলুর রহমানকে আটক করে। 
সেখান থেকে তারা খলিলুর রহমানকে উড়িরপুর পাকিস্তানী সেনাক্যাম্পে নিয়ে আসে। আসামি আলীমের নির্দেশে তার বাম হাতে ও ডান পায়ে নির্যাতন চালায়। খলিলুর রহমান নির্যাতনে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। অজ্ঞান হওয়ার পর দীর্ঘসময় পর্যন্ত জ্ঞান না ফিরে আসলে খলিলুর রহমান মারা গেছে মনে করে আসামি আলীমের দুষ্কর্মের লোকজন তাকে ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। অতঃপর গ্রামের লোকজন তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। 
পশ্চিম আমট্রাতে গণহত্যা ॥ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বগুড়ার কনভেনশন মুসলিম লীগের নেতা বগুড়া জেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আসামি আব্দুল আলীম অন্য স্বাধীনতাবিরোধী লোকদের নিয়ে জয়পুরহাট শান্তি কমিটি গঠন করে। এর চেয়ারম্যান হিসেবে পরবর্তী সময়ে রাজাকার বাহিনী গঠনপূর্বক নেতৃত্ব দেয়। তারই নির্দেশে ও পরিচালনায় আক্কেলপুরসহ জয়পুরহাটের নানান থানা ও এলাকায় শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনী গঠন করে। এরই এক পর্যায়ে একাত্তরের ১৪ জুন বগুড়ার খোকন পাইকারসহ ১৫ জন যুবক জয়পুরহাটের আক্কেলপুর হয়ে বুড়ায় যাওয়ার পথে আসামি আব্দুল আলীমের নেতৃত্বাধীন ও পরিচালনাধীন স্থানীয় শান্তি কমিটির লোকজন 'মুক্তি বাহিনী' হিসেবে সন্দেহ করে ধরে মোহনলালের গদিঘরে অবস্থিত শান্তি কমিটির অফিসে নিয়ে আটকে রাখে। 
আটককৃতদের ব্যাপারে জয়পুরহাট মহকুমা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ও রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার আসামি আব্দুল আলীমকে স্থানীয় শান্তি কমিটির লোকজন খবর দিলে সে সেখানে এসে নিকটবর্তী আক্কেলপুর সিনিয়র মাদ্রাসায় অবস্থিত পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে যায় এবং সেখানে অবস্থানরত আফজাল বেগের সঙ্গে শলাপরামর্শ করে। উক্তরূপ শলাপরামর্শ করে সে আটককৃতদের নির্যাতনপূর্বক হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। ঐ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আক্কেলপুরের পশ্চিম আমট্র গ্রামে নিয়ে আটককৃতদের হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে। নির্যাতন চলাকালে পশ্চিম আমট্র গ্রামের মৃত ময়েন তালুকদারের পুত্রকে তাদের বাড়ি থেকে সেখানে ধরে এনে তাদের দিয়ে গর্ত খোঁড়ায়। এরপর আটককৃতদের হাত-পা বেঁধে ১৫ জনকে হত্যা করে। এরপর তাদের লাশ মোঃ দুলু তালুকদার ও রমজানকে দিয়ে গর্তে ফেলে গণকবর দেয়া হয়। 
আসামির সম্পৃক্ততা ॥ আসামি আব্দুল আলীম পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পূর্ব পািকস্তান কনভেনশন মুসলিম লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কনভেনশন মুসলিম লীগ নেতা হিসেবে কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক পাকিস্তানের অখ-তা রক্ষার নামে পাকিস্তানী দখলদার সেনাবাহিনী সহযোগিতা করার জন্য প্রথমে জয়পুরহাট মহকুমার প্রত্যেক থানা, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে শান্তি কমিটি গঠন করে নিজ এলাকা জয়পুরহাট মহকুমার শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হন। বাংলাদেশের অন্য অঞ্চলের ন্যায় বগুড়া জেলার জয়পুরহাট মহকুমায় নিরস্ত্র মানুষকে নির্মূল করার জন্য দখলদার সেনাবাহিনী কর্নেল এসএন ইকবাল, মেজর আফজাল, মেজার মোস্তাকসহ অন্য ফোর্সরা জয়পুরহাটে একাত্তরের ২১ এপ্রিল আসে। আলীমের নেতৃত্বে জয়পুরহাট মহকুমার সকল থানাতে মুক্তিযুদ্ধের সকল শক্তি, মুক্তিযোদ্ধা, তাদের পরিবারবর্গ, আওয়ামী লীগসহ প্রগতিশীল সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী সমর্থক, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনসহ নিরীহ মানুষদের হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, দেশত্যাগে বাধ্য করা, মানবতাবিরোধী অপরাধসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনের ৩ (২) ধারার অপরাধ করতে থাকে।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2012-06-03&ni=98450

রবিবার, ৩ জুন ২০১২, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯





যুদ্ধাপরাধী বিচার ॥ অভিযোগপত্র ৪ মুক্তি হ্যায়- আলীমের এই ঘোষণার পরই পাকি সেনারা গুলিতে হত্যা করে ১১ জনকে    শনিবার, ২ জুন ২০১২, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯

শনিবার, ২ জুন ২০১২, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯
  যুদ্ধাপরাধী বিচার   :অভিযোগপত্র ৩    আলীমের নির্দেশে ৩২৮ জনকে অপহরণ শুক্রবার, ১ জুন ২০১২, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯                                                                    



যুদ্ধাপরাধী বিচার:  অভিযোগপত্র ২         আলীমের নির্দেশে যুবতীদের ধরে নিয়ে ধর্ষণ  বৃহস্পতিবার, ৩১ মে ২০১২, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯ 
যুদ্ধাপরাধী বিচারঅভিযোগপত্র ১  জয়পুরহাটে আলীমের নেতৃত্বে গুলি করে হত্যা ৩৭০ জনকে বুধবার, ৩০ মে ২০১২, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯