বাজেট পেশের আগেই ভাবনা এল কোত্থেকে' | ||||
|
বুধবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেছেন, "সংসদে না এসে বাজেট দেওয়ার আগেই তা নিয়ে সমালোচনা করলেন। বাজেট তো আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) দেওয়া হবে। সব তথ্য আগেই জেনে নিয়ে তিনি কী সমালোচনা করলেন?" আগামী অর্থবছরের বাজেট নিয়ে বিএনপির ভাবনা তুলে ধরে মঙ্গলবার সুধী সমাবেশ করেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের আগে দলীয় ভাবনা নিয়ে ঋণনির্ভর উচ্চাভিলাষী একটি বাজেট দিতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন মহাজোট। শেখ হাসিনা বলেন, "সখি ভাবনা কাহারে বলে, সখি যাতনা কাহারে বলে, উনি ওনার ভাবনার মধ্যে কী যাতনা প্রকাশ করেছেন? "উনি বললেন, উচ্চাভিলাষী বাজেট। আমরা চাই, দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়তে, মানুষকে পেট ভরে খাওয়াতে, গৃহহীন মানুষের ঘরবাড়ির ব্যবস্থা করতে, জনগণকে চিকিৎসাসেবা দিতে এবং লেখাপড়া শেখানোর মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে। তাহলে ওনার যাতনাটা কোথায়, সেটাই আমার প্রশ্ন।" প্রধানমন্ত্রী বলেন, "দেশের উন্নয়ন করতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছি আমরা। এতে দেশের উন্নয়ন হবে, এতেও উনার যাতনা? ওনার যাতনাটা কি তাহলে ক্ষমতায় থাকলে আরো কত টাকা কামাতে পারতেন তা নিয়ে?" খালেদার বাজেট ভাবনার প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, "তারা অনেক কিছুই বলে বেড়ায়, কিন্তু অতীত ইতিহাস ভুলে যায়।" বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতির প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, "ক্ষমতায় থাকতে এই ভাবনা কোথায় থাকে? ক্ষমতায় থাকতে তো তারা বিদ্যুত উৎপাদন কমিয়ে ফেলেছিলেন। আমরা ২১ লাখের মতো গ্রাহককে বিদ্যুত দিয়েছি। বিদ্যুতের ব্যবহারও বেড়েছে।" ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই আলোচনা সভায় বিরোধী দলের আন্দোলনের সমালোচনাও করেন শেখ হাসিনা। বিরোধী দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, "অস্থিরতার চেষ্টা পরিহার করুন। জনগণের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস থাকলে তাদের পুড়িয়ে মারা বন্ধ করুন। ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। এর ফল ভালো হবে না।" টিপাইমুখ বাঁধের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "টিপাইমুখে যা কিছু হবে, বাংলাদেশকে না জানিয়ে কোনো কিছু হবে না।" হরতালে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় একসঙ্গে বিরোধী দলের শীর্ষ পর্যায়ের ৩০ জনের বেশি নেতাকে কারাবন্দি করার সমালোচনার জবাবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, "বিএনপি নেতারা বলছেন, অতীতে নাকি এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। জিয়া ও এরশাদের আমলে আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতাই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। দেড় হাজার আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীকে জেলে পাঠানো হয়েছিল।" আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন মতিয়া চৌধুরী, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, মাহাবুব-উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর করির নানক, মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া, আফজাল হোসেন প্রমুখ। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসআই/এমএমআর/এমআই/২৩৩২ ঘ. | |
| |
|
__._,_.___