Banner Advertiser

Thursday, July 26, 2012

[mukto-mona] Fw: [Bangladesh-Zindabad] Fw: হুমায়ূন রাজাকারদের ঘৃণা করতে শিখিয়েছেন : তুই রাজাকার’


----- Forwarded Message -----
From: Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com>
To:
Sent: Thursday, July 26, 2012 4:50 PM
Subject: [Bangladesh-Zindabad] Fw: হুমায়ূন রাজাকারদের ঘৃণা করতে শিখিয়েছেন : তুই রাজাকার'


----- Forwarded Message -----
From: SyedAslam <syed.aslam3@gmail.com>
To: Khobor <khabor@yahoogroups.com>
Sent: Thursday, July 26, 2012 4:32 PM
Subject: হুমায়ূন রাজাকারদের ঘৃণা করতে শিখিয়েছেন : তুই রাজাকার'


শুক্রবার, ২৭ জুলাই ২০১২, ১২ শ্রাবণ ১৪১৯

হুমায়ূন রাজাকারদের ঘৃণা করতে শিখিয়েছেন
'তুই রাজাকার'
স্টাফ রিপোর্টার ॥ নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ তাঁর রচিত নাটকে 'তুই রাজাকার' সংলাপের মাধ্যমে রাজাকারদের ঘৃণা করতে শিখিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ও দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এবং আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। হুমায়ূন আহমেদ বাঙালী জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অবিচ্ছেদ্য অংশ বলেও মন্তব্য করেছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে পৃথক শোকসভায় তাঁরা এ কথা বলেন। 
কাহবাগে পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ঢাকা বিভাগীয় শাখা আয়োজিত সভায় পদ্মা সেতুর বিষয়ে নতুন আলোক বিচ্ছুরিত হচ্ছে এবং নতুন আশার উন্মেষ হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। সভায় মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে আসামিদের পক্ষে ১৫ হাজার সাক্ষীর তালিকা উপস্থাপনের বিষয়টিকে বিচার বিলম্বিত করার অপচেষ্টা বলে দাবি করেন সুরঞ্জিত। তিনি বলেন, এটা বিচার ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা। আর বিচার বিলম্বিত করার প্রক্রিয়া বিচারকে অস্বীকার করার সমান (জাস্টিস ডিলেইড, জাস্টিস ডিনাইড)। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারে 'সংক্ষিপ্ত বিচার' (সামারি ট্রায়াল) হয়Ñ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আশা করব ট্রাইব্যুনাল তার অবস্থান নেবে।
সুরঞ্জিত বলেন, হুমায়ূন আহমেদ বাঙালী জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অবিচ্ছেদ্য অংশ। হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে আমাদের রাজনীতির সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। বাঙালী, বাংলা সাহিত্য যতদিন থাকবে, হুমায়ূন আহমেদও ততদিন থাকবেন। বিরোধী দলের চীফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুকের 'হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে একটি সংগঠন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করছে'- এমন অভিযোগের সমালোচনা করে সুরঞ্জিত বলেন, 'হুমায়ূন রাজনীতি বিবর্জিত'- বলে তারা আত্মপ্রসাদ লাভ করতে চায়। এটা বিএনপির অজ্ঞতাপ্রসূত রাজনীতি। হুমায়ূন আহমেদ রচিত বিখ্যাত নাটক 'বহুব্রীহী'র একটি সংলাপ 'তুই রাজাকার'-এর কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর এই সদস্য বলেন, তিনিই প্রথম রাজাকারদের ঘৃণা করতে শিখিয়েছেন।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা শেখ মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সাবেক ছাত্রনেতা ও জনতা ব্যাংকের পরিচালক বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করতে আদালত এবং আদালতের বাইরে বিএনপি-জামায়াত নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এরা শুধু সরকার নয়, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে লবিষ্ট নিয়োগ করেছে। তাই আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবেলা করি।
কামরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার নন্দিত কথা সাহিত্যিক মরহুম হুমায়ূন আহমেদের স্মরণসভায় এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু একাডেমী ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবনের তৃতীয় তলায় বীরোত্তম খাজা নিজামুদ্দিন মিলনায়তনে এ স্মরণসভার আয়োজন করে।
সংগঠনের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন বীরবিক্রমের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য সতীশ চন্দ্র রায়, ওয়ার্ল্ড ইউনির্ভাসিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজউদ্দিন মিয়া বক্তব্য রাখেন। 
কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিলম্বিত করার কৌশল নিয়েছে। ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের আইনজীবীরা একজন সাক্ষীকে জেরা করতে তিন/চার মাস সময় নিচ্ছে। অহেতুক তাঁরা ধীরগতির কৌশল নিয়েছে। 
নতুন প্রজন্মকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে সমস্ত ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্য একাত্তরের ঘাতকদের বিচার বন্ধ করা। তাই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে যাতে ষড়যন্ত্রকারীরা কোনভাবেই সফল হতে না পারে। 
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করতে না পারলে ভবিষ্যত প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না উল্লেখ করে আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশকে কলঙ্কমুক্ত ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে এ বিচার করতেই হবে। 
জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করতে গিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, আজ থেকে কয়েক বছর আগে একটি নাটকে তোতা পাখির মুখে 'তুই রাজাকার' শব্দ উচ্চারণের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধী ঘাতকদের বিচার শুরু করতে হুমায়ূন আহমেদ আমাদের প্রেরণা যুগিয়েছিলেন। আসুন, আজ আবারও হুমায়ূন আহমেদের নাটকের 'তুই রাজাকার' শব্দ উচ্চারণ করে ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবেলা করি। 
সতীশ চন্দ্র রায় বলেন, দেশের মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ। সবাই যুদ্ধাপারাধীদের বিচার চায়। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাতিল করার জন্য নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হলে আমাদের সবাইকে আবার ৭১-এর মতো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2012-07-27&ni=104354

শুক্রবার, ২৭ জুলাই ২০১২, ১২ শ্রাবণ ১৪১৯

Related:
Watch:

তুই রাজাকার- বহুব্রীহি

http://www.youtube.com/watch?v=TDbjuyCM-Qw&feature=related

 তুই রাজাকার':


যুদ্ধাপরাধীদের ঘৃণা করার বিষয়টি হুমায়ূন আহমেদই প্রথম জাতিকে শিখিয়েছেন : সেলিনা হোসেন 


পাখির কণ্ঠে 'তুই রাজাকার' আর যুদ্ধাপরাধীদের ঘৃণা বুকে নিয়ে শেষ যাত্রা

সদ্য প্রয়াত নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদই প্রথম তার নাটকের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধী যুদ্ধাপরাধীদের ঘৃণা করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিকে। যখন স্বাধীনতা বিরোধীদের নাম দেশে উচ্চারণ করা যেত না, তখন তিনি তার বহুব্রীহি নাটকে পাখির কণ্ঠে 'তুই রাজাকার' বাক্যটি উচ্চারণ করালেন।

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন আমাদের মনে করিয়ে দেন, যুদ্ধাপরাধীদের ঘৃণা করার বিষয়টি হুমায়ূন আহমেদই প্রথম জাতিকে শিখিয়েছেন। তার এই সাহসী পদক্ষেপের কারণেই 'তুই রাজাকার' শব্দটি তখন দেশব্যাপী বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিও (ঘাদানিক) তখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি দিতে থাকে। 

গণমাধ্যমে হুমায়ূন আহমেদের এই রাজাকার বিরোধী প্রচারণা এবং ঘাদানিকের আন্দোলন তখন দেশের মানুষকেযুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে সাহায্য করে। যুদ্ধাপরাধীদের বর্বরতাকে স্মরণ করে তাদের ঘৃণা করতে উদ্বুদ্ধ করে।

আজকের যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য চলছে এবং তরুণ প্রজন্ম যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কামনা করছে, তার পিছনে হুমায়ূন আহমেদের অবদান কম নয়। হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টিকর্ম প্রসঙ্গে সেলিনা হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ও চলচ্চিত্রগুলোতে তিনি আজীবন বেঁচে থাকবেন। 

উপন্যাস ও নাটকে তার সৃষ্ট কয়েকটি চরিত্র, যেমন- মিসির আলী, হিমু, বাকের ভাই এতটাই জীবন ঘনিষ্ট ছিল যে, তার কোন কোন চরিত্রের জন্য রাস্তায় মিছিল ও দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার লাগানো হয়েছিল। 

আর কে পারে এমন করে? পারে তারাই যারা দেশকে ভালবাসে আর দেশের শত্রুকে ঘৃণা করে। 


আসুন আমরাও রাজাকারদের ঘৃণা করি অন্তরে আর তা প্রকাশ করি ফেবুতে