Banner Advertiser

Sunday, July 22, 2012

[mukto-mona] Fw: [notun_bangladesh] যুদ্ধাপরাধী বিচার: বাচ্চু রাজাকার নিজ হাতে অনেককে গুলি করে হত্যা করে


----- Forwarded Message -----
From: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>
To: notun Bangladesh <notun_bangladesh@yahoogroups.com>
Sent: Saturday, July 21, 2012 7:35 PM
Subject: [notun_bangladesh] যুদ্ধাপরাধী বিচার: বাচ্চু রাজাকার নিজ হাতে অনেককে গুলি করে হত্যা করে

 

রবিবার, ২২ জুলাই ২০১২, ৭ শ্রাবণ ১৪১৯
বাচ্চু রাজাকার নিজ হাতে অনেককে গুলি করে হত্যা করে
যুদ্ধাপরাধী বিচার
স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলতি সপ্তাহেই একাত্তরে 'বাচ্চু রাজাকার' নামে পরিচিত ফরিদপুরের আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে। ১৬ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির আদেশ দেয়। এর পর থেকেই বাচ্চু রাজাকার পলাতক রয়েছেন। আদেশ পাওয়ার পরে যত দ্রুত সম্ভব এ আদেশ কার্যকর করার জন্য ডিএমপি কমিশনারকে নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার জন্যও বলা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ হানা দেয়ার আগেই তিনি পালিয়ে যান। এদিকে তদন্ত সংস্থা বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ নুর হোসেন। 
এদিকে বাচ্চু রাজাকার ছাড়াও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আরও ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে ৮ জনের বিচার চলছে। এঁরা হলেন জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম, বর্তমান আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান এবং আব্দুল কাদের মোল্লা, শূরা সদস্য মীর কাশেম আলী, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আব্দুল আলীম।
তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ নুর হোসেন বলেন, চলতি সপ্তাহেই আমরা বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেব। সে সময় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমেই তা প্রকাশ করা হবে। এর আগে তদন্ত কর্মকর্তা নুর হোসেন আসামি বাচ্চু রাজাকার ওরফে মাওলানা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে অগ্রগতি প্রতিবেদন দেন। প্রসিকিউটর তা ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন। ওই অগ্রগতি প্রতিবেদেনে বাচ্চু রাজাকারের একাত্তরের অপকৃতি দেখা গেছে বাচ্চু রাজাকার মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে ভর্তি হয়ে পড়াশোনাকালীন ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানী হানাদার বহিনী কর্তৃক ঢাকা শহরসহ অন্য বড় বড় শহরে নিরীহ মানুষের ওপর গুলি করে হাজার হাজার মানুষ হত্যাসহ অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ধর্ষণ, ইত্যাদি মানবতাবিরোধী অপরাধ শুরু হয়। তখন হতে আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার পাকিস্তানীদের পক্ষে এবং স্বাধীনতার যুদ্ধের বিপক্ষে কাজ করার লক্ষ্যে তার শ্বশুর চান কাজীসহ আশপাশের কতিপয় স্বাধীনতাবিরোধী লোকজন নিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন। 
১৯৭১ সালের ২১ এপ্রিল পাকিস্তানী সেনাবাহিনী গুলিবর্ষণ করতে করতে ফরিদপুর শহরে প্রবেশ করে। ওই দিনই ফরিদপুর শহরে দোকানপাট ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে জনমনে ত্রাস সৃষ্টি করে। পাকিস্তানী সেনা অফিসার মেজর আক্রাম কোরাইশীর নেতৃত্বে পাকিস্তানী সেনাবিাহনী সেখানে ফরিদপুর স্টেডিয়াম, পুরনো সার্কিট হাউস, রাজেন্দ্র কলেজ, পুলিশ লাইন দখল করে সেখানে ক্যাম্প স্থাপন করে। 
তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আবুল কালাম আজাদ মাদ্রাসায় লেখাপড়ার কারণে ভাল উর্দু বলতে পারতেন। এটাকে পুঁজি করে অন্যায়ভাবে লাভবান ও অসৎ কামনা চরিতার্থ করার লক্ষ্যে তিনি ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রারম্ভকাল হতে পাকিস্তানী সেনা অফিসারদের মন জয় করার জন্য সচেষ্ট হন। পাক সৈন্যরা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও আবুল কালাম আজাদসহ কতিপয় স্বাধীনতাবিরোধী স্বেচ্ছাসেবী পাকিস্তানপন্থী লোকের সার্বিক সহায়তায় ফরিদপুরবাসীদের মধ্য হতে পর্যায়ক্রমে পিস কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস বহিনী গঠন করে। আবুল কালাম আজাদ ফরিদপুর জেলার আলবদরের দায়িত্ব পেলেও ফরিদপুরবাসী তাকে খাড়দিয়ার 'বাচ্চু রাজাকার' হিসেবে চেনে। 
১৯৭০-৭১ সালের পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামী এবং পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের ফরিদপুর জেলা পর্যায়ের কমিটির সদস্য আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও আবুল কালাম আজাদ, ফরিদপুর স্টেডিয়ামে অবস্থানরত পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করত। অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদ তাঁর দলবল সহ স্টেডিয়ামে অবস্থানরত পাকিস্তানী সেনাবাহিনী নিয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালী, নগরকান্দা, বোয়ালমারীসহ অন্যান্য থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্বাধীনতাকামী আওয়ামী লীগ সমর্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর, হিন্দুদের বাড়িঘরসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘরে আক্রমণ করে মালামাল লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে নিরীহ লোকদের ধরে 
নির্যাতন ও আটক রেখে নিপীড়ন, নির্যাতন, নারী ধর্ষণ ও হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার মানবতবিরোধী অপরাধ করেছে। 
বাচ্চু রাজাকার পাক বাহিনীর নিকট ফরিদপুর পুলিশলাইনে অস্ত্র ট্রেনিং গ্রহণ করে পাকিস্তানী হানাদারদের নিকট থেকে অস্ত্রপ্রাপ্ত হন। ফরিদপুর শহরস্থ জসিমউদ্দিন রোডের হীরালাল মুক্তারের একটি দোতলা বাড়ি দখল করে রাজাকার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করেন। তাঁর ইঙ্গিতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী স্টেডিয়ামের ভেতরে হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়েছে। বহু লাশ নদীতে ও ফরিদপুর শহরে ময়লার গাড়ি নামক স্থানে ফেলে দেয়। 
বাচ্চু রাজাকার স্বরূপদিয়া, বড়দিয়া গ্রামের বিশ্বাসবড়িতে আক্রমণ করে গোপাল বিশ্বাসসহ ৬ জনকে হত্যা করে। একই দিন অর্থাৎ একাত্তরের ১০ মে হাসামদিয়া গ্রামে প্রবেশ করে হিন্দুপাড়ার মালামাল লুটপাট করে ও ৪০/৫০টি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেখানে যোগেশ্বর সাহাসহ ৯ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। একজনকে হাত-পা বেঁধে জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষেপ করা হয়। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় সে মারা যায়। বাচ্চু রাজাকার ওই দিন বেলা সাড়ে ৮টার দিকে সহযোগী রাজাকার বাহিনী ও পাক সৈন্যদের নিয়ে ময়েনদিয়া বাজারে প্রবেশ করেন। সেখানে ৭০/৮০টি দোকানে লুটপাট করে। পরে ময়েনদিয়া বাজারটি পুড়িয়ে দেয়। বাজারের ঘাটে হরিপদ সাহা ও পুটিয়া নামক দুইজনকে রাজাকাররা ইট দিয়া মাথায় আঘাত করে। পরে আবুল কালাম আজাদ নিজে গুলি করে উভয়কে হত্যা করেন। উক্ত বাজারে পশ্চিম পাকিস্তানী সেনারা সুবল কয়াল ও মল্লিক ঠাকুর নামে দুইজনকে গুলি করে হত্যা করে। 
একাত্তরের ১৬ মে বাচ্চু রাজাকার তার শ্যালক মোহাম্মদ কাজীসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জন রাজাকার দুপুর ১২টার দিকে মধ্য সালিথা (সাবেক নগরকান্দা) থানাধীন পূর্ব সালথা গ্রামের মন্টু বকশী ও অশ্বিনা মন্ডলের বাড়ির টাকা পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট করে নেন। পুরুরা গ্রামের বিশ্বাসবাড়িতে আক্রমণ চালিয়ে মাধব বিশ্বাসকে অপহরণ করে। উক্ত স্থানে একই সময়ে রাজেন্দ্রের ছেলে জ্ঞানেন্দ্রকে ধরে এনে ব্চ্চাু রাজাকার নিজে গুলি করে হত্যা করেন। একাত্তরের ২৭ মে বেলা তিনটার দিকে বাচ্চু রাজাকার তার শ্বশুর চান কাজীসহ ১০-১২ জন রাজাকার বোয়ালমারী থানার কলারন গ্রামের সুধাংশু মোহন রায় ও তার পুত্র মনিময় রায়কে ধরে আনেন। বাচ্চু রাজাকার নিজে গুলি করে সুধাংশু মোহনকে হত্যা করেন। গুলিতে মনিময় রায় কেষ্ট আহত হয়। 
একাত্তরের মে মাসের শেষ সপ্তাহে বাচ্চু রাজাকার তার সঙ্গীসহ বোয়ালমারী থানার ডহরনগর গ্রামের জীবন চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে অপহরণ করে পার্শ¦বর্তী রুপাপাত বাজারে বটগাছের নিচে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে। ৩ জুন ১১টায় বাচ্চু রাজাকার, মোহাম্মদ কাজী, চান কাজীসহ ২০-২৫ জন রাজাকার দুটি বড় নৌকাযোগে সশস্ত্র অবস্থায় নগরকান্দা থানার ফুলবাড়ীয়া গ্রামে হামলা করে ৫০/৬০টি বাড়ির মালামাল লুটপাট করে। সেখানে চিত্তরঞ্জন দাসকে গাছের সঙ্গে বেঁধে গুলি করে হত্যা করা হয়। কিছুক্ষণ পর অন্য রাজাকাররা বাদল দেবনাথ নামে এক ব্যক্তিকে ধরে গুলি করে হত্যা করে। একাত্তরের ৮ জুন বেলা ১২টা থেকে ২টার মধ্যে বাচ্চু রাজাকার বিভাগদী গ্রামের কাশেম মুন্সি রাজাকারসহ ১৪-১৫ জন অস্ত্রধারী রাজাকার বোয়ালমারী নতিবদিয়া গ্রামের সুধীর বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা করে স্বর্ণালঙ্কার লুটপাটসহ ২ যুবতীকে ধরে নিয়ে যায়। পরে বাচ্চু রাজাকার ও তার সঙ্গীরা পালাক্রমের ধর্ষণ করে। এর পর হিন্দুপাড়ায় হামলা চালিয়ে লুটপাট চালায়। 
৮ আগস্ট বিকেল ৫টায় ফরিদপুর চকবাজার মসজিদের সামনে থেকে বাচ্চু রাজাকার কবির আহম্মেদ মঞ্জুরকে ধরে নিয়ে পাকিস্তান আর্মির কাছে সোপর্দ করে। ২১ আগস্ট ফরিদপুর টু বরিশাল সড়কের হারুকান্দি (কৈজুরী) নামক স্থানে গুলি করে হত্যা করা হয়। একাত্তরের বাংলা বৈশাখের শেষদিকে বাচ্চু রাজাকার তার সঙ্গীয় ১০-১২ জন রাজাকারসহ সশস্ত্র অবস্থায় ফরিদপুর জেলার বোয়ালমালী থানার আমগ্রাম ও কামার গ্রামে প্রবেশ করে উভয় গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এর পর বাচ্চু রাজাকার গোপেন্দ্র সাহার পুত্র সঞ্জয় সাহাকে নিজ হাতে গুলি করে হত্যা করে। 
ফরিদপুর শহরে ১২টি বধ্যভূমিতে যে হাজার হাজার মানুষ শায়িত আছেন, তাঁদের হত্যার নির্দেশদাতা এবং নিজেও সরাসরি হত্যাকারী আবুল কালাম আজাদ। তিনি নিজে গুলি করে অসংখ্য মানুষ হত্যা করেছেন। হত্যা করে ফরিদপুর স্টেডিয়ামে মাটিচাপা দিয়েছেন, নদীতে ফেলে দিয়েছেন, শহরের বিভিন্ন স্থানে মাটিচাপা দিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন স্থান থেকে নিজে লোকজনকে ধরে আনতেন আবার অন্যদের দিয়েও ধরিয়ে আনতেন।

রবিবার, ২২ জুলাই ২০১২, ৭ শ্রাবণ ১৪১৯
রবিবার, ২২ জুলাই ২০১২, ৭ শ্রাবণ ১৪১
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2012-07-22&ni=103800


বাচ্চু রাজাকার- মৌলানা নামের আড়ালে কুৎসিত হায়েনা












;