বিচার বানচাল করতে ওরা ১৫ হাজার সাক্ষী আনতে চায়
জেরার সময় যেমন বেঁধে দেয়া হয়েছে, তেমনি ট্রাইব্যুনালকে সাক্ষীর সংখ্যাও বেঁধে দিতে হবে ॥ নির্মূল কমিটির দাবি
স্টাফ রিপোর্টার ॥ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে আসামিদের পক্ষে ১৫ হাজার সাক্ষীর তালিকা উপস্থাপনের বিষয়কে 'বিচার বিলম্বিত করার প্রক্রিয়া' হিসেবে দেখছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ। তাদের মতে, ১৫ হাজার সাক্ষীর তালিকা উপস্থাপন করে আসামিপক্ষ বিচার নিয়ে তামাশা করছে, প্রহসন করছে। আসামিরা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। বিশিষ্টজনদের প্রত্যাশা, ট্রাইব্যুনাল যেভাবে সাক্ষীর জেরার সময় বেঁধে দিয়েছে, তেমনি সাক্ষীর সংখ্যাও বেঁধে দেবে।
এ বিষয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির জনকণ্ঠকে বলেন, ১৫ হাজার সাক্ষী উপস্থাপনের উদ্দেশ্য হলো বিচার বিলম্বিত করে ২০১৪ সালের নির্বাচন পার করা। আসামিদের ধারণা, ২০১৪ সালে নির্বাচনে তারা ক্ষমতায় আসবে এবং বিচার আর হবে না। আসামিদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। বিচার নিয়ে তারা প্রহসন করছে। তামাশা করছে। এটা তাদের শয়তানি। তারা বিদেশেও চক্রান্ত করছে, দেশেও চক্রান্ত করছে। শাহরিয়ার কবির বলেন, ১৫ হাজার সাক্ষী হলে চারজনের বিচার করতেই দুই শ' বছরের বেশি সময় লাগবে। তিনি বলেন, আমি মনে করি, ট্রাইব্যুনাল যেভাবে সাক্ষীকে জেরার সময় বেঁধে দিয়েছে, তেমনি সাক্ষীর সংখ্যাও বেঁধে দেবে। তিনি আরও বলেন, বিচার বিলম্বিত করার উদ্দেশ্যেই আসামিপক্ষ সাক্ষীকে জেরা করা নিয়েও সময়ক্ষেপণ করছে। আসলে তারা বিচারকে হেয় করতে চায়।
গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাজধানীতে একাধিক আলোচনাসভায় মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে আসামিদের পক্ষে ১৫ হাজার সাক্ষীর তালিকা উপস্থাপনের বিষয়টিকে বিচার বিলম্বিত করার অপচেষ্টা বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, এটা বিচার ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা। আর বিচার বিলম্বিত করার প্রক্রিয়া বিচারকে অস্বীকার করার সমান (জাস্টিস ডিলেইড, জাস্টিস ডিনাইড)। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারে 'সংক্ষিপ্ত বিচার' (সামারি ট্রায়াল) হয়Ñ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আশা করব ট্রাইব্যুনাল তার অবস্থান নেবে।
আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিলম্বিত করার কৌশল নিয়েছে। ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের আইনজীবীরা এক সাক্ষীকে জেরা করতে তিন/চার মাস সময় নিচ্ছে। অহেতুক তারা ধীরগতির কৌশল নিয়েছে। নতুন প্রজন্মকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে সমস্ত ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্য একাত্তরের ঘাতকদের বিচার বন্ধ করা। তাই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে যাতে ষড়যন্ত্রকারীরা কোনভাবেই সফ
এ বিষয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির জনকণ্ঠকে বলেন, ১৫ হাজার সাক্ষী উপস্থাপনের উদ্দেশ্য হলো বিচার বিলম্বিত করে ২০১৪ সালের নির্বাচন পার করা। আসামিদের ধারণা, ২০১৪ সালে নির্বাচনে তারা ক্ষমতায় আসবে এবং বিচার আর হবে না। আসামিদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। বিচার নিয়ে তারা প্রহসন করছে। তামাশা করছে। এটা তাদের শয়তানি। তারা বিদেশেও চক্রান্ত করছে, দেশেও চক্রান্ত করছে। শাহরিয়ার কবির বলেন, ১৫ হাজার সাক্ষী হলে চারজনের বিচার করতেই দুই শ' বছরের বেশি সময় লাগবে। তিনি বলেন, আমি মনে করি, ট্রাইব্যুনাল যেভাবে সাক্ষীকে জেরার সময় বেঁধে দিয়েছে, তেমনি সাক্ষীর সংখ্যাও বেঁধে দেবে। তিনি আরও বলেন, বিচার বিলম্বিত করার উদ্দেশ্যেই আসামিপক্ষ সাক্ষীকে জেরা করা নিয়েও সময়ক্ষেপণ করছে। আসলে তারা বিচারকে হেয় করতে চায়।
গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাজধানীতে একাধিক আলোচনাসভায় মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে আসামিদের পক্ষে ১৫ হাজার সাক্ষীর তালিকা উপস্থাপনের বিষয়টিকে বিচার বিলম্বিত করার অপচেষ্টা বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, এটা বিচার ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা। আর বিচার বিলম্বিত করার প্রক্রিয়া বিচারকে অস্বীকার করার সমান (জাস্টিস ডিলেইড, জাস্টিস ডিনাইড)। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারে 'সংক্ষিপ্ত বিচার' (সামারি ট্রায়াল) হয়Ñ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আশা করব ট্রাইব্যুনাল তার অবস্থান নেবে।
আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিলম্বিত করার কৌশল নিয়েছে। ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের আইনজীবীরা এক সাক্ষীকে জেরা করতে তিন/চার মাস সময় নিচ্ছে। অহেতুক তারা ধীরগতির কৌশল নিয়েছে। নতুন প্রজন্মকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে সমস্ত ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্য একাত্তরের ঘাতকদের বিচার বন্ধ করা। তাই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে যাতে ষড়যন্ত্রকারীরা কোনভাবেই সফ
__._,_.___