Banner Advertiser

Tuesday, August 14, 2012

[mukto-mona] Fw: [Pro-Muslim] কাঁদো বাংলার মানুষ কাঁদো... এইখানে দাঁড়াও শ্রদ্ধায় !!!!!




----- Forwarded Message -----
From: Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com>
To:
Sent: Tuesday, August 14, 2012 3:33 PM
Subject: [Pro-Muslim] কাঁদো বাংলার মানুষ কাঁদো... এইখানে দাঁড়াও শ্রদ্ধায় !!!!!

 
Enter your message here.
কাঁদো বাংলার মানুষ কাঁদো... এইখানে দাঁড়াও শ্রদ্ধায়
আজ ভয়াল ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস
উত্তম চক্রবর্তী ॥ "কাঁদো বাংলার মানুষ কাঁদো/ যদি বাঙালি হও নিঃশব্দে কাছে এসো, আরো কাছে/... এখানেই শুয়ে আছেন অনন্ত আলোয় নক্ষত্রলোকে/ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান/ মৌমাছির গুঞ্জনের পাখির কাকলিতে করুণ সুর বাজে/ গভীর অরণ্যে পুষ্পের সুগন্ধে/...অনেক রক্তের মূল্যে পাওয়া এ স্বাধীনতা/ এখানে ঘুমিয়ে আছে, এইখানে দাঁড়াও শ্রদ্ধায়...।" কবি রবীন্দ্র গোপ তাঁর 'কাঁদো বাংলার মানুষ কাঁদো' কবিতায় এভাবেই শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
"কী বীভৎসতা! রক্ত, মগজ ও হাড়ের গুঁড়ো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল প্রতি তলার দেয়াল, জানালার কাচ, মেঝে ও ছাদে। রীতিমত রক্তগঙ্গা বইছে যেন ওই বাড়িতে। গুলির আঘাতে দেয়ালগুলোও ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। চারপাশে রক্তের সাগরের মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল ঘরের জিনিসপত্র। প্রথম তলার সিঁড়ির মাঝখানে নিথর পড়ে আছেন ঘাতকের বুলেটে ঝাঁঝরা হওয়া চেক লুঙ্গি ও সাদা পাঞ্জাবি পরা স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর লাশ। তলপেট ও বুক ছিল বুলেটে ঝাঁঝরা। নিথর দেহের পাশেই তাঁর ভাঙ্গা চশমা ও অতিপ্রিয় তামাকের পাইপটি। অভ্যর্থনা কক্ষে শেখ কামাল, টেলিফোন অপারেটর, মূল বেডরুমের সামনে বেগম মুজিব, বেডরুমে সুলতানা কামাল, শেখ জামাল, রোজী জামাল, নিচতলার সিঁড়িসংলগ্ন বাথরুমে শেখ নাসের এবং মূল বেডরুমে দুই ভাবির ঠিক মাঝখানে বুলেটে ক্ষত-বিক্ষত রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল ছোট্টশিশু শেখ রাসেলের লাশ।"
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানম-ির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর বাসভবনসহ তিনটি বাড়িতে খুনীদের এমন নারকীয় পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের এমন ভয়াল বীভৎসতার হৃদয়স্পর্শী বর্ণনা দিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর তৎকালীন মেজর আলাউদ্দিন আহমেদ পিএসসি।
আজ সেই ভয়াল ১৫ আগস্ট। সত্যিই আজ যে কাঁদারই দিন। কাঁদো, বাঙালী কাঁদো। সেদিন বাতাস কেঁদেছিল। শ্রাবণের বৃষ্টি নয়, আকাশের চোখে ছিল জল। গাছের পাতারা শোকে সেদিন ঝরেছে অবিরল। এসেছিল সেই ভয়াবহ দিন! চারদিকে ঘাতকের উদ্ধত সঙ্গিন। মুছে দিতে চেয়েছিল রক্তের চিহ্নসহ জনকের লাশ। ভয়ার্ত বাংলায় ছিল ঘরে ঘরে চাপা দীর্ঘশ্বাস...সেই শোক জেগে আছে রক্তরাঙ্গা ওই পতাকায়, সেই শোক অনির্বাণ এখনও বাংলায়। নদীর স্রোতের মতো চির বহমান কাল থেকে কালান্তরে জ্বলবে এ শোকের আগুন।
আজ সেই অন্তিম শোকার্দ্র বাণী পাঠের দিন। আজ রক্তঝরা ১৫ আগস্ট। বেদনাবিধূর ও কলঙ্কের কালিমায় কলুষিত বিভীষিকাময় ইতিহাসের এক ভয়ঙ্কর দিন। বিভিন্ন কবির অসংখ্য কবিতার পঙক্তিতে উঠে আসা সেই ধন্য পুরুষ স্বাধীন বাংলার স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৭তম শাহাদাৎবার্ষিকী। বাংলাদেশ ও বাঙালীর জন্য গভীর মর্মস্পর্শী শোকের দিন, জাতীয় শোক দিবস। কলঙ্কমুক্ত বাঙালী জাতি আজ গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় তাঁর শ্রেষ্ঠ সন্তানকে স্মরণ করবে।
বাঙালীর হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম সেই পুরুষ তিনি, একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র হিসেবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। বাংলার মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র ৫৫ বছরের জীবনে (১৯২০-১৯৭৫) স্বদেশের মাটি আর মানুষকে এমন গভীর ভালবাসার বন্ধনে বেঁধেছিলেন, যে বন্ধন কোনোদিন ছিন্ন হবার নয়। আজীবন ঔপনিবেশিক শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে, দরিদ্র নিপীড়িত বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে এমন এক অনন্য ভূমিকা রেখেছিলেন যার তুলনা বিরল। একজন প্রকৃত নেতার যেসব গুণাবলী থাকা প্রয়োজন তার সব গুণ নিয়েই জন্মেছিলেন ক্ষণজন্মা এই মহাপুরুষ। যাঁর রাজনৈতিক জীবন ছিল বহুবর্ণিল, যাঁর কণ্ঠে ছিল জাদু। যিনি রচনা করেছিলেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিজয় ইতিহাস।
এতকিছুর পরও শেষ পর্যন্ত তাঁকে জীবন দিতে হয়েছে ঘাতকের হাতে। ৩৭ বছর আগে ১৯৭৫ সালের এই কালিমাময় দিনে জাতি হারিয়েছে তার গর্ব, ইতিহাসের মহানায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠতম বাঙালী শেখ মুজিবুর রহমানকে। একাত্তরের পরাজিত শক্তির ঘৃণ্য সর্বনাশা চক্রান্তে একদল ঘাতকের পৈশাচিকতার বলি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার-পরিজন। রচিত হয় ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়। কিন্তু তাতে তো এমন একজন রাষ্ট্রনায়ককে একটি জাতির হৃদয় থেকে চিরতরে মুছে ফেলা সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধু ফিরে আসেন প্রতিটি উৎসবে, আনন্দ-বেদনায়। তিনি যে মৃত্যুঞ্জয়ী।
রাজনীতির সঙ্গে সামান্যতম সম্পৃক্ততা না থাকা সত্ত্বেও নারী-শিশুরাও সেদিন রেহাই পায়নি ঘৃণ্য কাপুরুষ এই ঘাতকচক্রের হাত থেকে। বিদেশে থাকার জন্য প্রাণে বেঁচে যান কেবল বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। দিনটি তাই বাঙালীর ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত। আজ সেই শোকের দিন, কান্নার দিন। জাতীয় শোক দিবসে আজ বাঙালী গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে বাংলাদেশ নামক ভূখ-ের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে। সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ পালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ৩৭তম শাহাদাৎবার্ষিকী।
বাংলাদেশের স্থপতির নির্মম-নৃশংস হত্যাযজ্ঞের বিচার পেতে বাঙালী জাতিকে ৩৫টি বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। প্রতি পদে পদে খুনীদের দোসর ও মদদদানকারী সরকারের ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বেড়াজালে আটকে থেকেছে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এই হত্যাযজ্ঞের বিচার। সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বেড়াজাল ছিন্ন করে ২০১০ সালের শুরুতেই ২৮ জানুয়ারি মধ্যরাতে মানবতার শত্রু নরপিশাচ বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত পাঁচ খুনীর মৃত্যুদ- কার্যকর হয়েছে।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর হলেও বাঙালী জাতি পিতৃহত্যার কলঙ্ক থেকে মুক্ত হয়। যারা এক সময় নিজেদের বিচারের উর্ধে ভেবেছিল এবং তাদের কেউ কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারবে না বলে দম্ভ করেছিল এই বিচার ও দ-াদেশ কার্যকর করার ভেতর দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে বাংলার মাটিতে কেউই আইনের উর্ধে নয়। আর বিচারের দীর্ঘতম প্রক্রিয়া শেষে রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে শেষ হয় বাংলাদেশের ইতিহাসের অত্যন্ত মর্মস্পর্শী করুণ এক অধ্যায়ের। কিন্তু এখনও বঙ্গবন্ধুর ছয় খুনী বিদেশে পলাতক। ওই পলাতক খুনীদের ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর এবং যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার নিয়ে কলঙ্কমুক্ত বাঙালী জাতি আজ শোক দিবস পালন করবে।
এ বছর অন্যরকম পরিবেশে শোক দিবস পালনে এবারের প্রস্তুতিও ব্যাপক। হাজার হাজার শোকের তোরণ, কালো ব্যানার, পতাকা, ফেস্টুন, পোস্টারে ছেয়ে গেছে দেশের পথ-প্রান্তর। পঁচাত্তরপরবর্তী রাজধানী থেকে শুরু করে সারাদেশেই প্রতিটি মোড়ে মোড়ে, গ্রাম-মহল্লায়, হাটে-বাজারে কৃতজ্ঞ বাঙালীর শোক পালনের এত ব্যাপক আয়োজন এবারই প্রথম। শুধু আওয়ামী লীগই নয়, সারাদেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসহ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষ, সংগঠন এবার বিস্তারিত কর্মসূচীর মাধ্যমে স্মরণ করছেন স্বাধীনতার এই মহান স্থপতিকে।
কি ঘটেছিল সেই সর্বনাশা কালদিনে
হাজার বছরের নিপীড়িত, নিগৃহীত, বঞ্চিত বাঙালী জাতির জন্য জীবনজয়ী সংগ্রামে লিপ্ত হয়ে কৈশোর, যৌবন ও পৌঢ়ত্বকালকে উৎসর্গ করেছিলেন ইতিহাসের মহিমান্বিত মহাপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। তাঁর ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে এই ভূখ-ের মানুষ হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিঁড়ে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। আমরা পেয়েছিলাম নিজস্ব জাতি রাষ্ট্র, গর্বিত আত্মপরিচয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন ৯ মাস কারাগারে বন্দী রেখেও পাকিস্তানী জল্লাদরা বঙ্গবন্ধুর কেশাগ্র পর্যন্ত স্পর্শ করার সাহস দেখাতে পারেনি।
বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল স্বাধীন দেশে কোন বাঙালী তাঁর নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে না। সেজন্যই বঙ্গবন্ধু বঙ্গভবনের পরিবর্তে থাকতেন তাঁর প্রিয় ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর ধানম-ির অপরিসর নিজ বাসভবনেই। বাঙালীর স্বাধিকার-স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগার এই বাড়িটি অসম্ভব প্রিয় ছিল বঙ্গবন্ধুর। এখানে থেকেই বঙ্গবন্ধু সর্বশক্তি নিয়ে ব্রতী ছিলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজে।
কিন্তু একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা বাঙালীর প্রতি বঙ্গবন্ধুর অসীম ও গভীর ভালবাসা ও বিশ্বাসকেই সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে। রাতের অন্ধকারে হামলা চালায় স্বাধীনতার স্থপতির বাসভবনে। কাপুরুষোচিত আক্রমণ চালিয়ে পৈশাচিক পন্থায় ঘাতক দল বঙ্গবন্ধুকে নিষ্ঠুর ও নির্মমভাবে হত্যা করে বাঙালীকে পিছিয়ে দেয় প্রগতি-সমৃদ্ধির অগ্রমিছিল থেকে।
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে নরপিশাচ ঘাতকের দল শুধু বঙ্গবন্ধুকেই নির্মমভাবে হত্যা করেনি, মেতে উঠেছিল অদম্য রক্তপিপাসায়। কিছু বিশ্বাসঘাতক রাজনীতিকের চক্রান্ত, পরাজিত পাকিস্তানী দোসরদের পরিকল্পনা এবং সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী উচ্চাভিলাষী সদস্য পৈশাচিক কায়দায় গুলি করে সেদিন বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, একসঙ্গে তিন বাড়িতে হামলা করে মেতে উঠেছিল ইতিহাসের এক নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞে।
নিষ্ঠুর কায়দায় একে একে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, তিন ছেলে মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল, বঙ্গবন্ধুর অনুজ পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা শেখ নাসের, ভগ্নিপতি পানি সম্পদমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তাঁর ছেলে আরিফ ও শিশুপৌত্র সুকান্ত বাবু, ভাগ্নে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনি, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, সেরনিয়াবাতের কন্যা বেবি সেরনিয়াবাত, আবদুর নঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিলসহ কয়েক নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও কর্মচারী। লুঙ্গিতে জড়ানো শিশু রাসেলের রক্তভেজা লাশ দেখে খুনীদের প্রতি চরম ঘৃণা-ধিক্কার জানানোর ভাষা পায় না মানবতাবাদী বিশ্বের কোন মানুষ।
রাজনৈতিক হত্যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সংঘটিত হয়েছে বিভিন্ন কাল পরিসরে। কিন্তু প্রতিটি হত্যার বিচার হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে? এখানে ইতিহাস যেন উল্টো পথযাত্রী! এখানে বিচার বিঘিœত। বিশ্বের ইতিহাসে একসঙ্গে এত নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকা-ের নজির নেই বললেই চলে। তবুও কি আশ্চর্য, এই ভয়ঙ্কর হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত আত্মস্বীকৃত খুনীদের চূড়ান্ত শাস্তি পেতে কেটে যায় একে একে ৩৪ বছর। বিচারের পথে সৃষ্ট দীর্ঘ বাধার প্রাচীর বিতর্কিত করে দেশের সুপ্রীমকোর্ট এবং বিচারপতিদেরও। জাতি দেখেছে এই দীর্ঘ সময়ে নিষ্ঠুর এই ঘাতকদের প্রকাশ্য পুরস্কৃত করার ঘৃণ্য চিত্র।
সেই বাধার প্রাচীর ডিঙিয়ে অবশেষে বিচারের বাণীর নিভৃত কান্নার অবসান ঘটল ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি মধ্যরাতের পর। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির রায় কার্যকর হয় পাঁচ আত্মস্বীকৃত খুনীর। কলঙ্কমুক্তির আনন্দে উদ্বেল হয় গোটাদেশ। তবুও জাতির খুনীদের প্রতি ঘৃণা এতটুকুও কমেনি। অনেকেরই জিজ্ঞাসা- ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- কার্যকর হলেও এসব ঘৃণ্য নরপশুর প্রতি বাঙালীর ঘৃণা-ধিক্কার এতটুকুও কমবে না। বরং দেশ যতদিন থাকবে, ততদিন এসব ঘাতকের কবরে প্রজন্মের পর প্রজন্মের সন্তানরা তাদের হৃদয়ের ঘৃণা জানাতে এতটুকুও ভুলবে না।
শোকের দিবসে আজ সারাদেশের পথে-প্রান্তরে লাখো-কোটি কৃতজ্ঞ বাঙালীর কণ্ঠে ধ্বনিত হবে অন্নদাশঙ্কর রায়ের বিখ্যাত সেই পঙ্তিমালা- "যতকাল রবে পদ্মা যমুনা/ গৌরী মেঘনা বহমান,/ ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।"
পলাতক খুনীরা কে কোথায়
বঙ্গবন্ধুর পাঁচ আত্মস্বীকৃত ঘৃণ্য খুনীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ-াদেশ কার্যকর করা হলেও এখনও বিদেশের মাটিতে পলাতক রয়েছে আরও ছয় খুনী। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে এই ছয় খুনী প্রায় এক যুগ ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পিতৃ হন্তারক এসব খুনী হলো- লে. কর্নেল (বরখাস্ত) খন্দকার আবদুর রশিদ, মেজর (বরখাস্ত) শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল (অব) এএম রাশেদ চৌধুরী, মেজর (অব) এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, ক্যাপ্টেন (অব) আবদুল মাজেদ ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন খান। পলাতক অবস্থায় মারা গেছে আরেক আসামি আজিজ পাশা।
পলাতক এসব আত্মস্বীকৃত খুনীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছে। এ ব্যাপারে সরকার থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের সহায়তাও চাওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও লিবিয়ার কাছে চিঠিও দেয়া হয়েছে। খুনীদের ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। জানা গেছে, এসব খুনী যুক্তরাষ্ট্র, লিবিয়া ও কানাডায় পলাতক রয়েছে। তবে মন্ত্রণালয়ের কাছে দু'জনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে। তাঁদের মধ্যে লে. কর্নেল এএম রাশেদ চৌধুরী এখন যুক্তরাষ্ট্রের লস এ্যাঞ্জেলেসে অবস্থান করলেও কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ার চেষ্টার করছেন। বেশ কিছুদিন জার্মানিতে লুকিয়ে থাকার পর লে. কর্নেল এইচএমবি নূর চৌধুরী এখন কানাডায়।
সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য না থাকলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, লে. কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ মূলত অবস্থান করেন লিবিয়ার বেনগাজী শহর ও পাকিস্তানে। লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিমের ব্যবসাসহ বিভিন্ন কর্মকা- কেনিয়াকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হলেও তিনি মাঝে মধ্যে লিবিয়া ও পাকিস্তানে আসা-যাওয়া করেন। আবদুল মাজেদ ও মোসলেম উদ্দিনও বর্তমানে পাকিস্তান ও লিবিয়ায় লুকিয়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
এসব পলাতক খুনীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে, কার্যকর করা হবে মৃত্যুদ-াদেশ এই প্রত্যয় আর অঙ্গীকারের মধ্য দিয়েই এবার এলো শোকাবহ ১৫ আগস্ট। আজ যখন জাতীয় শোক দিবসে মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করছে জাতি, তখন সঙ্গত কারণেই নবীন প্রজন্মকেও স্মরণ করিয়ে দিতে হবে- নিজের জীবনের চেয়েও দেশ আর দেশের মানুষকে যিনি ভালবেসেছিলেন ফাঁসি নিশ্চিত জেনেও যিনি পাকিস্তানী কারাগারে বসে আপোস করেননি স্বাধীনতার প্রশ্নে, যিনি বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চেয়েছিলেন এ দেশের স্বাধীনতা আর জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক মুক্তি, এ জাতি তাঁরই উত্তরসূরি। যিনি ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকদের মেশিনগানের মুখেও ছিলেন অকুতোভয়, প্রশ্ন করেছিলেন, 'তোরা কী চাস? কোথায় নিয়ে যাবি আমাকে?'- সেই অনির্বাণ সূর্যের প্রখর ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধুর দৈহিক বিনাশ ঘটলেও তাঁর আদর্শের মৃত্যু হতে পারে না। মানুষ মরে যায়, আদর্শ মরে না। বঙ্গবন্ধু নিজেও একাধিক বক্তৃতায় এ কথা বলেছিলেন। তাই বঙ্গবন্ধু কোন ব্যক্তিমাত্র নন, অবিনশ্বর এক আদর্শ ও প্রেরণার নাম। সেই প্রেরণাতেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী
রাষ্ট্রীয়ভাবে আজ পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস। এ উপলক্ষে ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর ধানম-ি ও টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার প্রাঙ্গণ ও এর আশপাশের এলাকায় নিñিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, আমাদের জাতীয় ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর অবদান অপরিসীম। তাঁরই নেতৃত্বে বাঙালী জাতি অর্জন করে বহু কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। এদেশ ও জনগণ যতদিন থাকবে, ততদিন জাতির পিতার নাম এ দেশের লাখো-কোটি বাঙালীর অন্তরে চির অক্ষয় হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, ৩৫ বছর পরে হলেও জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারী ঘাতকদের বিচার বাংলার মাটিতে সম্পন্ন হয়েছে। জাতি আজ অনেকটা কলঙ্কমুক্ত। যেসব মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ঘাতক আজও বিদেশে পালিয়ে আছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে সর্বোচ্চ তৎপরতা চালাতে হবে। জাতি জানবে হত্যাকারীদের ঠাঁই পৃথিবীর কোথাও নেই।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী, সাহসী এবং ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে এ ভূখ-ের মানুষ হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। বাঙালী পেয়েছে নিজস্ব জাতিরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছি। কিন্তু একটি প্রতিক্রিয়াশীল চক্র সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম এবং এসব বিচার প্রক্রিয়া স্তব্ধ করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে ব্যাহত করতে চাচ্ছে। এদের সম্পর্কে সচেতন থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও জনগণের কাছ থেকে তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। পনেরো কোটি বাঙালীর অন্তরে প্রোথিত রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও তিতিক্ষার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ। আসুন, জাতির জনককে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে তাঁর স্বপ্ন সোনার বাংলা বাস্তবায়নের সংগ্রামে এগিয়ে যাই। ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ একটি গণতান্ত্রিক শান্তিকামী ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার এ সংগ্রামে আমাদের অবশ্যই জয়ী হতে হবে। ইনশাল্লাহ জয় আমাদের হবেই।
কর্মসূচী
যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে দেশব্যাপী আজ পালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ৩৭তম শাহাদাৎবার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস। আজ সরকারী ছুটির দিন। আজ সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারী ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। দিনের শুরুতে ধানম-ির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে দেশ ও জাতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে গিয়ে ১৫ আগস্টে শহীদ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য ও অন্য শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন। পরে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে বঙ্গবন্ধুর মাজারে ফাতেহা পাঠ এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। দু'টি স্থানেই তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল বঙ্গবন্ধুর প্রতি গার্ড অব অনার প্রদান করবে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা, জাতীয় শোক দিবসের সঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, হামদ ও নাত প্রতিযোগিতা ও দোয়ার আয়োজন করবে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে- ভোরে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সংগঠনের সারাদেশের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ছয়টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, সাড়ে ৭টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল, দেশের সকল ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলায় মিলাদ মাহফিল ও ইফতার, মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা এবং সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনাসভা। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশব্যাপী অজস্র রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচীর মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতাকে শ্রদ্ধা জানাবে। বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে বিশেষ সংখ্যা। রেডিও-টেলিভিশনসহ নানা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় জাতির জনককে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রচারিত হচ্ছে নানা অনুষ্ঠান। সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে আজ সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজন করা হয়েছে সর্বধর্ম প্রার্থণনা সভা।

চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের কর্মসূচী
চট্টগ্রাম অফিস থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামে আজ বুধবার ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন পর একমঞ্চে আসছেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের বিবদমান নেতারা। নগরীর মুসলিম হলে বিকেলে আয়োজিত আলোচনাসভায় যোগ দেবেন সকলেই। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন সরকারী, আধা সরকারী প্রতিষ্ঠানেও দিনটি পালিত হবে যথাযোগ্য মর্যাদায়।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সূত্রে জানানো হয়, দিবসের কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন, জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, কালো ব্যাজ ধারণ, খতমে কোরান ও দোয়া মাহফিল। বিকেল ৩টায় মুসলিম হলে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনাসভা।
এদিকে, জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচীতে সকল নেতার একমঞ্চে আসাকে ঐক্যের সুর হিসেবে দেখছেন দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগেও জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচী নেয়া হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে, খতমে কোরান, দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত। সিটি কর্পোরেশন মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মেয়র এম মঞ্জুর আলম।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনাসভা। এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ।
সাবধানবাণী: বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এই সাইটের কোন উপাদান ব্যবহার করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ এবং কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।

 




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___