Good work, Mr. Hassan! You are a brave man! You show how hollow and discriminatory these Sharia laws are. These laws are totally obsolete and no good for anybody. Thanks. Please keep up the good work!
-SD
"All great truths begin as blasphemies." GBS
From: Hasan Mahmud <hasan@hasanmahmud.com>
To: "alapon@yahoogroups.com" <alapon@yahoogroups.com>; "baaidc@googlegroups.com" <baaidc@googlegroups.com>; "baainews@yahoogroups.com" <baainews@yahoogroups.com>; "contact@aabeadc.org" <contact@aabeadc.org>
Sent: Friday, August 17, 2012 3:08 AM
Subject: [Alapon] হাসান মাহমুদের শারিয়া-তথ্যচিত্র "ডিভাইন ষ্টোন"
http://thebengalitimes.com/details.php?pub_no=144&menu_id=1&val=5220
হাসান মাহমুদের বাংলা শারিয়া-তথ্যচিত্র "ডিভাইন ষ্টোন"
(এই প্রথম ইসলামী রেফারেন্স সহ রোমান্টিক প্রেমের গল্পের ভিতরে ধর্মীয় গোঁড়ামির সূত্রগুলো প্রকাশ করা হোলো বেশ সহজ করে। )
খুরশীদ শাম্মী
অনেক কাজের ভিড়েও ভালোলাগে নিজের সংস্কৃতিকে ঘিরে কিছু সময় কাটাতে, তাই সুযোগ পেলেই দেখি বাংলা নাটক, শুনি গান, কবিতা কিংবা কথোপকথন। আরো বেশী ভালো লাগে সে গুলোতে যদি থাকে প্রিয় মানুষদের ছোঁয়া। সেরকমই এক আবেগে একদিন দেখতে বসেছিলাম লেখক, বুদ্ধিজীবিএবং বাংলা সাংস্কৃতিক অঙ্গনের একজন বিশেষ আলোচিত ব্যক্তিত্ব হাসান মাহমুদের শরিয়া আইন নিয়ে লেখা সম্প্রতি প্রচারিত স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচিত্র "ডিভাইন ষ্টোন"-যা কিনা উৎসর্গ করা হয়েছে আফ্রিকাতে ১৩ বছর বয়সের এক গণধর্ষিতা "আয়েশা দুহুলিয়া"কে, একদিন শরিয়া আইনের মারপ্যাচে ফেলে নিস্পাপ এই কিশোরীকে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলা হয়েছিলো অন্যায় ভাবে। ছবিটা দেখার পরে প্রায় অনেক দিন আমার মনের কানে শোনা এই নিঃস্পাপ কিশোরীর আর্তনাদ আমাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছিল। ছবিটা নিয়ে লিখবো বলে ঠিক করলেও আবার না লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বেশ কয়েকবার, কিন্তু বারবার ছবিটার মুল চরিত্র পিনু (অভিনেত্রী শামিমা টুসি) কে আমি তুলনা করছিলাম আয়েশা দুহুলিয়ার সাথে, আর মনে হচ্ছিল, "ইস! আয়েশা কিংবা আয়েশার মতো অন্যান্য সকল নিস্পাপ শিশু, কিশোরী, যুবতী কিংবা পূর্ণবয়স্ক নারী যারা এভাবে অন্যায় ভাবে জীবন দিয়েছেন, তারা যদি পিনুর মতোই প্রতিবাদী হতে পারতো, অমানবিক শরিয়া আইনকে উপেক্ষা করে যদি নিজের হাতে নিতে পারতো সঠিক বিচার?" এসব ভাবতে ভাবতে একদিন কলম নিজেই আমার হাতে এসে হাজির হোল। আর সে থেকেই এই লেখা-
আমি একজন আস্তিক মানুষ। মনে প্রাণে বিশ্বাস করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ ক্ষমতা এবং দয়ার কথা। আগে কখনো মনের ভুলেও ভেবে দেখিনি শরিয়া আইন নিয়ে। তবে ছবিটা দেখার পরে প্রথমে আমার মনে একটাই প্রশ্ন ছিলো, "যদি একজন সৃষ্টিকর্তাই সৃষ্টি করেন নর এবং নারী দু'টি লিঙ্গের মানুষকে, তবে কেনো তাঁর নামে ব্যবহৃত আইনে নারীদেরকে এত তুচ্ছ করে দেখা হয়? অথচ, নারী মানে কখনো "মা" যার নাড়ির বন্ধনে আবৃত্ত প্রতিটা মানুষ, কখনো "বোন" যার ভালোবাসায় বেষ্টিত প্রতিটি ভাই, কখনো "স্ত্রী" যার ভালোবাসায় বেঁচে থাকে একটি পরিবার, আর সর্বদা নারী মানে "সমগ্র নারী-জাতি" যাদের ধৈর্য আর ভালোবাসার কাছে হার মানে অন্যায়, অবিচার। একজন নারীকে বিধাতা দিয়েছেন সন্তান গর্ভে ধারণ করার অধিকার অথচ শরিয়া আইনে নারীর সাক্ষীর কোন মূল্যই নেই?" আবার আমার পরক্ষণেই মনে হোলো এটা হতেই পারেনা।
ধর্মের নামে কিছু সংখ্যক সুবিধাবাদী মানুষ দ্বারা সমাজের সাধারণ ধর্মান্ধ মানুষদের উপর অত্যাচার প্রায় সব ধর্মেই আছে। এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে ডকুমেন্টরী হয়েছে অনেক, যা কিনা সাধারণত সাধারণ মানুষ দেখে না এবং এই বিষয়ে যুগ যুগ ধরে অনেক গল্প, সাহিত্যও হয়েছে কিন্তু রেফারেন্স না থাকার কারণে এর সত্যতার মূল্যায়ন করে নাই সাধারণ মানুষ। এই প্রথম রেফারেন্স সহ রোমান্টিক প্রেমের গল্পের ভিতরে ধর্মীয় গোঁড়ামির সূত্রগুলো প্রকাশ করা হোলো বেশ সহজ করে। লেখকের ইচ্ছে রোমান্টিক চলচিত্র উপভোগ করতে করতে মনের অজান্তেই দর্শকরা ধর্মীয় গোঁড়ামির শেকড় এবং দুষ্টলোকদের দ্বারা এর অপব্যবহার সম্পর্কে জানবেন এবং সচেতন হয়ে উঠবেন এবং প্রয়োজনে সঠিক পদক্ষেপ নিবেন।
ধর্মের নামে কিছু সংখ্যক সুবিধাবাদী মানুষ দ্বারা সমাজের সাধারণ ধর্মান্ধ মানুষদের উপর অত্যাচার প্রায় সব ধর্মেই আছে। এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে ডকুমেন্টরী হয়েছে অনেক, যা কিনা সাধারণত সাধারণ মানুষ দেখে না এবং এই বিষয়ে যুগ যুগ ধরে অনেক গল্প, সাহিত্যও হয়েছে কিন্তু রেফারেন্স না থাকার কারণে এর সত্যতার মূল্যায়ন করে নাই সাধারণ মানুষ। এই প্রথম রেফারেন্স সহ রোমান্টিক প্রেমের গল্পের ভিতরে ধর্মীয় গোঁড়ামির সূত্রগুলো প্রকাশ করা হোলো বেশ সহজ করে। লেখকের ইচ্ছে রোমান্টিক চলচিত্র উপভোগ করতে করতে মনের অজান্তেই দর্শকরা ধর্মীয় গোঁড়ামির শেকড় এবং দুষ্টলোকদের দ্বারা এর অপব্যবহার সম্পর্কে জানবেন এবং সচেতন হয়ে উঠবেন এবং প্রয়োজনে সঠিক পদক্ষেপ নিবেন।
ছবিটির লেখক হাসান মাহমুদ এর কথা অভিনেত্রী ইলোরা গহর এর একটি সংলাপ হিসেবে "শরিয়া হইলো অজানা জগৎ, অজানা সমস্যা- অজানা সমাধান, ভাইজান খুব সাবধান" এই কথাটির সাথে আমিও একমত প্রকাশ করছি এবং বলতে চাই, যেখানে প্রতিটি উন্নত রাষ্ট্রের নাগরিকরা তাদের নিজ নিজ রাষ্ট্রীয় নিয়ম-নীতিতে ভালোই কাটাচ্ছে দৈনন্দিন জীবন, সেখানে আর অজানা শরিয়া আইন নিয়ে টানা হেঁচড়া করার প্রয়োজন আছে বলে মনে হচ্ছে না। আধুনিক জীবনের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় আইন মেনে চলাই শ্রেয়। ধর্ম নিয়ে মত পার্থক্য শুরু থেকে আজও চলছে প্রায় সমান গতিতে, কখনো এর শেষ হবে বলে মনে হচ্ছেনা। তবে লেখকের পরিস্কার বক্তব্য এবং পারিপার্শ্বিকতার পরিপ্রেক্ষিতে এই ছবিটির জনপ্রিয়তা এত বেশী যে ইতিমধ্যে ইংরেজী, মালয় এবং আরবী ভাষায় সাবটাইটেল করা হয়েছে, আরো বেশ কয়েকটি ভাষায় অনুবাদ করার ইচ্ছে আছে। এই ছবিটি দেখার জন্য আপনারা http://www.hasanmahmud.com/2012/index.php/movie এই ওয়েব পেইজে ক্লিক করুন।
নর্থ-ইয়র্ক সেন্ট্রাল লাইব্রেরীতে আগামি ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকেল ৪.৩০ মিঃ MFT (Muslims Facing Tomorrow) নামে একটি নতুন সংস্থা তাদের যাত্রা শুরু করবে এবং সেখানে এই চলচ্চিত্রটির প্রর্দশনী হবে।
__._,_.___