Banner Advertiser

Sunday, September 30, 2012

Re: [mukto-mona] ফেসবুকে পবিত্র কুরআন অবমাননার অভিযোগে রামু উপজেলার বৌদ্ধপল্লীতে আগুন দেয়া হয়। ইনসেটে কুরআন অবমাননার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার দায়ে অভিযুক্ত উত্তম কুমার বড়–য়া : বিডিনিউজ


Yes, I see something is burning, and somebody's picture is pasted at the corner of the fire. I guess it's the picture of Mr. Barua. My question is - how could someone tell what's burning? It could be anything burning and someone could pass it as Quran-burning to initiate this process. Is this an improbable thought? 

When I saw this picture, I thought it is the temple burning  picture. I am not still sure what's burning.

Jiten Roy
--- On Sun, 9/30/12, S A Hannan <sahannan@sonarbangladesh.com> wrote:


From: S A Hannan <sahannan@sonarbangladesh.com>
Subject: [mukto-mona] ফেসবুকে পবিত্র কুরআন অবমাননার অভিযোগে রামু উপজেলার বৌদ্ধপল্লীতে আগুন দেয়া হয়। ইনসেটে কুরআন অবমাননার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার দায়ে অভিযুক্ত উত্তম কুমার বড়–য়া : বিডিনিউজ
To: dahuk@yahoogroups.com, sahannan@yahoogroups.com, khabor@yahoogroups.com, mukto-mona@yahoogroups.com, inquisitive_sisters@yahoogroups.com, "'ARSHAD CHAUDHRY'" <arshad1chaudhry@consultant.com>, azislam46@yahoo.com, "'aftab biit'" <aftabbiit@gmail.com>, "'Mir Ahmad'" <mirahmad01@hotmail.com>, eliasfaridpur@yahoo.com
Date: Sunday, September 30, 2012, 10:09 PM

 
See below the protest of BNP and Jamaat

মজার অথবা গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ email করুন news@dailynayadiganta.com

ফেসবুকে কুরআন অবমাননা

রামুর বৌদ্ধপল্লীতে হামলা

মন্দির অর্ধশত বাড়িতে আগুন

নয়া দিগন্ত ডেস্ক

ফেসবুকে পবিত্র কুরআন অবমাননার অভিযোগে রামু উপজেলার বৌদ্ধপল্লীতে আগুন দেয়া হয়। ইনসেটে কুরআন অবমাননার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার দায়ে অভিযুক্ত উত্তম কুমার বড়য়া : বিডিনিউজ

কক্সবাজারের রামু উপজেলায় শনিবার গভীর রাতে সাতটি বৌদ্ধ বিহার প্রায় অর্ধশত বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কুরআন শরিফ অবমাননার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এসব বৌদ্ধ বিহার বসতঘরে আগুন দেয়া হয়। ঘটনার জের ধরে চট্টগ্রামের পটিয়ায় হামলা লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে পাঁচজন আহত হয়েছেন। কুরআন অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত যুবক উত্তম বড়য়া পলাতক রয়েছেন। পুলিশ তার মা বোনকে আটক করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রামু এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রামুর সহিংস ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যার পর উখিয়ার কোটবাজার টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় পুলিশ বিজিবির সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়।
দিকে রামুর বৌদ্ধ বসতিতে হামলা অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দীন খান আলমগীর শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়য়া।
কক্সবাজার সংবাদদাতা জানান, ফেসবুকে পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রামুতে শনিবার রাত পৌনে ১১টা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সাতটি বৌদ্ধ বিহার অর্ধশত বসতঘর আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রামুর বৌদ্ধ অধ্যুষিত এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ওই এলাকায় বিপুল পুলিশ, বিজিবি, র্যাব অবস্থান করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র মতে, উত্তম কুমার বড়য়া (২৮) নামে রামুর এক যুবক তার ফেসবুকে কুরআন শরিফ অবমাননার একটি ছবি সংযুক্ত করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং চারদিক থেকে বিক্ষোভ মিছিল এসে জড়ো হয় রামু চৌমুহনি স্টেশনে।
তাৎক্ষণিকভাবে প্রথম মিছিলটি বের হয় উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রামু প্রেস কাবের সভাপতি নূরুল ইসলাম সেলিম উপজেলা ৎস্যজীবী লীগ নেতা আনসারুল হক ভুট্টুর নেতৃত্বে। মিছিলটি রামুর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদণি করে চৌমুহনী চত্বরে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়। এতে ওই দুই আওয়ামী লীগ নেতা বক্তৃতা করেন।
দিকে বিক্ষোভ চলাকালে রামু-কক্সবাজার আসনের সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল, রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, রামু থানার ওসি কে নজিবুল ইসলামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা চালান। তাদের প্রচেষ্টায় উত্তেজনা কমে আসে। পুলিশ প্রশাসনও পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দিতে অঙ্গীকার করেন। কিন্তু গভীর রাতে একদল দুর্বৃত্ত রামুর চেরাংঘাটা, সাদাচিং, লালচিং, বড়য়াপাড়া সীমা বিহার এবং উত্তর মিঠাছড়ির প্রজ্ঞামিত্র বনবিহার, উখিয়ার ঘোনাজ্ঞাত বনবিহারসহ সাতটি বৌদ্ধ মন্দিরে ভাংচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।
হামলাকারীরা রাত সোয়া ১টায় তারা রামু চৌমুহনীর উত্তর পাশের বড়ুয়াপাড়ায় প্রায় ১৫টি বসতঘর পুড়িয়ে দেয়। ছাড়া প্রায় ৫০টিরও বেশি বসতঘর দোকান ভাঙচুর হয়। রাত দেড়টায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের ঘটনাস্থলে আসতে দেখা যায়। রাত দেড়টা পর্যন্তও ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনী পৌঁছেনি। ফলে মন্দির বাড়িঘর আগুনে পুড়ে যায়।
কয়েকজন প্রত্যক্ষ্যদর্শী ভাঙচুর অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রশাসনের অবহেলাকে দায়ী করেছেন। ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভুট্টো জানান, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিলে এসব ঘটনা এড়ানো যেত।
কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন জানান, এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত তা বহাল থাকবে। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর জানান, রামুর বিভিন্ন এলাকায় বিপুল পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।
দিকে পুলিশ অভিযুক্ত উত্তম বড়য়ার মা বোনকে আটক করেছে। তবে উত্তম বড়য়া পলাতক রয়েছে। উত্তম বড়য়া পেশায় একজন দলিল লেখক। রামু আদালতের সামনে একটি কম্পিউটার দোকানে তিনি কাজ করেন। ওই দোকান থেকেই 'ইনসাল্ট আল্লাহ' নামক ফেসবুক গ্রুপ থেকে 'কুরআনের ওপর পা রাখা' একটি ছবি তার বন্ধু ফেসবুক ইউজারদের শেয়ার করেন। রামু উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল সরওয়ার কাজল বলেন, একজন বড়য়ার ছেলে একটি ফেসবুকে ছবি দিয়ে কিভাবে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিলো, এর পেছনের উদ্দেশ্য কীÑ এসব বিষয় তদন্ত হওয়া দরকার।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দীন খান আলমগীর গতকাল ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধপল্লীতে যাওয়ার পথে রামু চৌমুহনী স্টেশনে সংক্ষিপ্ত পথসভায় বলেন, মৌলবাদী স্বাধীনতাবিরোধীরাই ঘটনা ঘটিয়েছে। পথসভায় শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়য়াও বক্তব্য রাখেন। পরে তারা তিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর জানান, ঘটনার সাথে জড়িতরা যত শক্তিশালীই হোক, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। রামুর চৌমুহনী চত্বরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মন্দির পোড়ানোর ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে দুঃখজনক। হামলার ঘটনাটি পরিকল্পিত দাবি করে তিনি বলেন, সঙ্ঘবদ্ধ দল পরিকল্পিতভাবে এটি করেছে। তবে তারা যত শক্তিশালীই হোক, তাদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্ত্রী বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় অনেকে অভিযোগ করেছেন, আগুন লাগানোর ঘটনায় পুলিশ দমকল বাহিনী নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য তিনি চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবেন বলে জানান। ওই কমিটি ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।
শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, 'একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম। কক্সবাজারের রামু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিল। বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার ঘটনায় রামু সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারেনি।' ঘটনায় তিনি মর্মাহত দুঃখিত বলে জানান। সরকার ওই অঞ্চলের বৌদ্ধদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করেন।
টেকনাফ (কক্সবাজার) সংবাদদাতা জানান, রামু উপজেলায় সহিংস ঘটনার জের ধরে গতকাল সন্ধ্যার পর উখিয়ার কোটবাজার টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় পুলিশ বিজিবির সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লাতুরিঘোনা এলাকায় কয়েকটি হিন্দু বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কোটবাজারে সন্ধ্যার পর বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল থেকে ভালুকিয়া এলাকার বৌদ্ধ মন্দির ভাঙচুর করার চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি বর্ষণ করে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গিয়াস উদ্দিন নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
অন্য দিকে সন্ধ্যার পর টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। ওই মিছিলটি এলাকার হিন্দুপাড়া এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বিজিবির সাথে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় দুইজন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা ইউনিয়নের লাতুরিঘোনা এলাকায় তিন-চারটি হিন্দু বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
উখিয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা জানান, রামুতে ফেসবুকে কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে উখিয়ায় স্থানীয় লোকজন বিােভ করে। উত্তেজিত জনতা বৌদ্ধ বিহারে হামলা চালিয়ে বৌদ্ধমূর্তি ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। ঘটনার পর র্যাব, পুলিশ, বিজিবির টহল জোরদারসহ ৩২টি বৌদ্ধ মন্দিরে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে উখিয়া থানার ওসি অপ্পেলা রাজু নাহা জানিয়েছেন।
ইউএনও মো: জহিরুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রদায়িক সহনশীলতায় বিশ্বাসী দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার জন্য পরিকল্পিতভাবে ফেসবুকের মাধ্যমে উত্তেজনা ছড়ানো হচ্ছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য সবরকমের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে অবহিত করা হয়েছে।
পটিয়া-চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, রামুতে পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনায় চট্টগ্রামের পটিয়ায় পাঁচটি বৌদ্ধ বিহার, দুইটি হিন্দু মন্দির একটি শ্মশান ভাঙচুর হয়েছে। সময় তিনজন বৌদ্ধ ভান্তে দুইজন প্রতিমা কারিগর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যদর্শীরা। আহতরা হলেন ভান্তে সংঘপ্রিয় শ্রমন, বৌদ্ধানন্দ শ্রমন, সুভানন্দ শ্রমনসহ অজ্ঞাত পরিচয় দুই প্রতিমা কারিগর। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পটিয়ার এই হামলার সাথে স্থানীয় কোনো জনগণ জড়িত ছিল না। র্যাব দাঙ্গা পুলিশের দল এবং পটিয়া থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার জেড মোরশেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) নজরুল ইসলাম।
বান্দরবান সংবাদদাতা জানিয়েছেন, কক্সবাজারের রামুতে পবিত্র কুরআন অবমাননার পর অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় বান্দরবানের নাই্যংছড়িতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নাই্যংছড়ির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বৌদ্ধ মন্দিরগুলোয় বিজিবি পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। নাই্যংছড়ি সদর থানার সামনে থেকে বিজিবি সন্দেহভাজন ৩৫ জনকে আটক করেছে। স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মকর্তারা বৈঠক করছেন। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ : বিডিনিউজ জানায়, কক্সবাজারের রামু উপজেলায় বৌদ্ধ বসতিতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ভাঙচুরের ঘটনায় ােভ প্রকাশ করে অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি কে মোমেন বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী রামুর পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত রয়েছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদপে গ্রহণের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন'
সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এমন কোনো কর্মকাণ্ড সরকার বরদাশত করবে না বলেও প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপকে জানিয়ে দিয়েছেন।
রামুতে বৌদ্ধদের ওপর হামলার খবর পেয়ে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি রতন বড়য়া নিউ ইয়র্কের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে যান প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাা করতে। সে সময় প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোটেলে না থাকায় পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েসের সাথে কথা বলেন তিনি। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রবাসী ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উদ্বেগের কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে সচিবকে অনুরোধ করেন তিনি।
রতন বড়য়া বলেন, কুরআন শরীফ অবমাননার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য নয়, কারণ বৌদ্ধরা কখনোই হিংসাবিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয় না।
জনগণের দৃষ্টি ফেরাতে সরকারই এটা ঘটিয়েছে : খালেদা জিয়া
দিকে কক্সবাজারের রামু সন্নিহিত এলাকায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
গতকাল এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, 'শনিবার রাত থেকে রামু সন্নিহিত এলাকায় বৌদ্ধ হিন্দু মন্দির এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ, হামলা ভাঙচুর, লুটতরাজ ত্রাস সৃষ্টির ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বিরোধীদলীয় নেতা আরো বলেন, 'বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে ধর্ম বিশ্বাস ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ আবহমানকাল ধরে শান্তি সম্প্রীতির মধ্যে পাশাপাশি বাস করে আসছে। এই ধর্মীয় সম্প্রীতি আমাদের উজ্জ্বল ঐতিহ্যের অংশ। উত্তেজনা, উসকানি নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে যারা এই ঐতিহ্যকে ধ্বংস করতে চায় তারা বাংলাদেশের শত্রু।
তারা ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী নয়। কোনো ধর্মপ্রাণ মানুষ কোনো অজুহাতেই ধরনের সন্ত্রাস হাঙ্গামার পথ বেছে নিতে পারে না।
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, 'এই গুরুতর ঘটনার সূত্রপাতের সাথে সাথেই আমাদের দলের স্থানীয় সংসদ সদস্য অন্য নেতাকর্মী ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছেন। ফলে পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটতে পারেনি। এর জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।
বিএনপি চেয়ারপারস বলেন, 'আমি মনে করি প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সময়মতো উপযুক্ত পদক্ষেপ নিলে ধরনের ঘটনা ঘটতে পারতো না। কাজেই তাদের এই শৈথিল্যের কারণ খতিয়ে দেখা খুবই জরুরি।
আমরা জানতে পেরেছি, ফেসবুকে আপলোড করা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার মতো একটি ছবিকে কেন্দ্র করে রাতের অন্ধকারে মিছিল সমাবেশ হামলার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
খালেদা জিয়া বলেন, 'আমরা আরো জানতে পেরেছি, স্থানীয় বিুব্ধ জনতার নামে পরিচালিত ওই সব অপতৎপরতায় সরকারি দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরাই নেতৃত্ব দিয়েছে। সে কারণেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সময়মতো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। বিষয়টি গভীর উদ্বেগজনক এবং এর পেছনে একটি অতি সুপরিকল্পিত দুরভিসন্ধি রয়েছে বলে আমরা মনে করি। সব দিক থেকে ব্যর্থ গণবিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্নপথে পরিচালিত ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অস উদ্দেশ্যেই ধরনের ঘৃণ্য ৎপরতায় মদত জুগিয়েছে বলে আমাদের বিশ্বাস। ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রী সরকারি দলের নেতারা বিরোধী দলের দিকে ইঙ্গিত করে যেসব ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যমূলক আপত্তিকর উক্তি করেছেন তা থেকেই সরকারের হীন মতলব পরিষ্কার হয়ে গেছে। ধরনের মন্তব্য সুষ্ঠু তদন্তকে বাধাগ্রস্ত বিপথগামী করবে বলে আমরা মনে করি।
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় ধর্মপ্রাণ মানুষকে আমি এই ঘৃণ্য চক্রান্ত রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।'
বিএনপি চেয়ারপারসন যেকোনো মূল্যে দেশের সব এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা, সব ধর্মের নাগরিক উপাসনালয় রক্ষার আহ্বান জানান। তিনি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের কঠোর হাতে দমনের নেপথ্যের উসকানিদাতাদের খুঁজে শাস্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
জামায়াতের উদ্বেগ : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান রামুর বৌদ্ধ পল্লীসহ বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্থানে হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গতকাল এক বিবৃতিতে জামায়াত নেতা বাংলাদেশের ঐতিহ্য অহঙ্কার হিসেবে বিবেচিত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের হীন ৎপরতায় লিপ্তদেরকে দেশের শত্রু আখ্যা দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সচেতন শান্তিপ্রিয় মানুষ তাদের চক্রান্ত নস্যা করে দেবে। ডা: শফিক এই ঘটনা নিয়ে নোংরা রাজনীতি না করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান