Banner Advertiser

Wednesday, November 14, 2012

[mukto-mona] জামায়াত-শিবিরের তান্ডব সারাদেশে আতঙ্ক - ইনকিলাব



জামায়াত-শিবিরের তান্ডব সারাদেশে আতঙ্ক - ইনকিলাব

উমর ফারুক আলহাদী : জামায়াত-শিবিরের তা-বে দেশব্যাপী আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ছেন দেশের সাধারণ মানুষ। গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীসহ সারা দেশে যেভাবে তারা হামলা, অগ্নিসংযোগ করছে এবং পুলিশকে মারধর করে আহত করছে এতে করে জনমনে ভয়াবহ আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশ প্রহরারত অবস্থায় মন্ত্রীর গাড়ীতে আক্রমণ এবং যখন-তখন চোরাগোপ্তা হামলার কারণে অনেকে গাড়ী নিয়ে বের হতেও ভয় পাচ্ছেন। পরিস্থিতি ক্রমাগত ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে। কখন কোথায় মানুষজন হামলার শিকার হবে এর কোন নিশ্চয়তা নেই। বিশেষ করে রাজধানীসহ দেশের মহানগরীগুলোতে মানুষ নিরাপত্তাহীন। জামায়াত শিবিরের কাছে পুলিশ পর্যন্ত অসহায় হয়ে পড়ছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়াতো দূরের কথা, যখন জামায়াতের ক্যাডার বাহিনী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাস্তায় নামে তখন পুলিশই নিরাপদ আশ্রয়স্থল খুঁজতে থাকে। এ বক্তব্য সাধারণ মানুষের। জামায়াত শিবিরের হামলায় পুলিশ রক্তাক্ত হয়ে যেভাবে রাস্তায় পড়েছিল এ ধরনের বিভীষিকাময় ও নৃশংস দৃশ্য দেখে মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত। রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে গিয়ে মানুষজন সদায় ভয়-ভীতির মধ্যে থাকেন। স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-অভিভাবক, চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ী, যানবাহনের মালিক সবাই আতঙ্কে আছেন। গত কয়েকদিনে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা শুধু যানবাহনই ভাংচুর করেনি, পুরো পুলিশ প্রশাসনের মূল চালিকা শক্তির উপর আঘাত করেছে।
পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার গতকাল ইনকিলাবকে বলেছেন, উদ্বেগ উৎকণ্ঠার কারণ নেই। পুলিশ কঠোর হস্তে জামায়াত-শিবিরকে দমন করছে। তারা অতর্কিতে রাস্তায় নেমে যেভাবে ভাংচুর করছে পুলিশের উপর হামলা করে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছে, এসব অপতৎপরতা বন্ধে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, এটা তাদের একটা কৌশল। পুলিশের উপর হামলা করে মনোবল দুর্বল/ভেঙ্গে দেয়ার অপচেষ্টা করছে। কিন্তু এটা সম্ভব হবে না। আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছি। এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, নিয়মতান্ত্রিক কোন আন্দোলনে পুলিশ কাউকে বাধা দিচ্ছে না। জামায়াত-শিবির যা করছে এটা কোন গণতান্ত্রিক রীতিনীতির মধ্যে পড়ে না। রাস্তায় সাধারণ মানুষের যানবাহন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তিনি বলেন, রাজনীতি হলো মানুষের জন্য, দেশের জন্য। কিন্তু এটা কোন ধরনের কর্মসূচী বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ অস্ত্রশস্ত্রসহ রাস্তায় নেমে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। মানুষকে জিম্মি করে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা কোন গণতান্ত্রিক আন্দোলন হতে পারে না। জামায়াত শিবির দেশে অরাজকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে। এ ধরনের খবর পুলিশের কাছে আছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে- তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করবে। জামায়াত-শিবির তাদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে এবার মরণ কামর দেবে। দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে জীবন যাপনের সাধারণ ও স্বাভাবিক গতিধারাকে বাধাগ্রস্ত করাই তাদের লক্ষ্য। পরিস্থিতি যেভাবে অবনতি হচ্ছে তা এখনই কঠোর হস্তে দমন করতে ব্যর্থ হলে দেশে আইনশৃংখলা বলতে আর কিছু থাকবে না। তাদের তা-ব দেখে মানুষ এখন আতঙ্কিত। কেউ নিরাপদ নেই। অনেকটা জিম্মি হয়ে পড়ছেন।
এদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, সংবাদপত্র ও কতিপয় ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর মিথ্যা খবর প্রচার করছে। পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ ও তাদের অংগ সংগঠনের সন্ত্রাসীরা জামায়াত শিবিরের মিছিলে হামলা চালিয়ে সংঘর্ষ বাধায়। উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপের 
ঘটনায় আইনমন্ত্রীর গাড়ির বহর ও পুলিশ শিকার হয়েছে। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গত মঙ্গলবার জামায়াতে ইসলামী ও শিবির মিছিল করে। এ মিছিলে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের সন্ত্রাসীরা লাঠিসোঁটাসহ সংঘবদ্ধভাবে দফায় দফায় হামলা চালায় এবং পুলিশ ২৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। জামায়াত-শিবির কখনোই একতরফাভাবে পুলিশের উপর হামলা করেনি।
মানুষকে জিম্মি করে রাস্তায় ভাঙ্গচুর ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে জামায়াতে ইসলামী ও শিবির দেশে কেন অরাজকতা সৃষ্টি করছে জানতে চাইলে তাদের কাছ থেকে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখায় পরিচালক ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ সোহায়েল গতকাল ইনকিলাবকে বলেছেন, জামায়ত শিবির যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ বাধাগ্রস্ত করতে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তারা সারাদেশে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, তাদের মিশন সফল হবে না। এ ব্যাপারে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। নির্দেশ পেলেই অভিযান আরো জোরদার করা হবে। ক্যাপ্টেন সোহায়েল বলেন, আমাদের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছে খবর রয়েছে অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করাই তাদের লক্ষ্য। এ জন্যই তারা ক্রমাগত বেপরোয়া হয়ে উঠছে। সাধারণ মানুষ বলছেন, জামায়াত শিবিরের নৃশংস হামলার ঘটনা দেখে এখন চারিদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। রাস্তা ঘাটে কেউ নিরাপদ নয়। পুলিশের অসহায় অবস্থা দেখেও মানুষের মধ্যে আরো আতঙ্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধানম-ির বাসিন্দা গৃহবধূ আফসানা আলম গতকাল তার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে কারওরান বাজার মোড়ে রাস্তায় আটকা পড়ি। এ সময় গাড়িতে বসে দেখি লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে একদল উচ্ছৃংখল যুবক যানবাহন ভাঙ্গচুর করছে। আমার সঙ্গে ১৪ বছর বয়সের আমার শিশু কন্যা নওরীনও ছিল। ভাঙ্গচুর অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের উপর হামলার দৃশ্য দেখে আমরা ভয়ে আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকি। নিরুপায়, যাওয়ার কোন পথ নেই। রাস্তায় শত শত যানবাহন আটকা পড়ছে। অসহায় অবস্থায় ভয়ভীতির মধ্যে প্রায় ২৭ মিনিট রাস্তায় আটকা থাকতে হয়। আফসানা আলম বলেন, মঙ্গলবারের দৃশ্য দেখার পর থেকে বাসার বাইরে যাওয়ার সাহস পাচ্ছি না। পুলিশ মানুষের কি নিরাপত্তা দিবে। তারা নিজেরাই তো অসহায়। 
শুধু রাজধানীতেই নয়, সারাদেশের মানুষই আতঙ্কিত। সিলেট, রংপুর, দিনাজপুর, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জসহ সারাদেশে জামায়াত শিবির যে ভাবে তা-ব চালিয়েছে সেই দৃশ্য দেখে দেশব্যাপী আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। দিনাজপুর ও রংপুরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে। পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে রয়েছে। শুধু তাই নয় জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাস, ক্যাডার বাহিনীর আক্রমণের সময় পুলিশকে দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে দেখা গেছে।
এদিকে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন কর্মকর্তারা বলছেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে আরো কঠোর হতে হবে। সাধারণ মানুষের চেয়ে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাই তাদের টার্গেট। সংঘবদ্ধ হয়ে আরো বড় ধরনের হামলা ও নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে এমন তথ্য রয়েছে গোয়েন্দাদের হাতে।
বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১২, ১ অগ্রহায়ণ ১৪১৯, ২৯ যিলহজ ১৪৩৩


Related:

মারমুখী জামায়াত

পুলিশ কেন মার খাচ্ছে?

কামরুল হাসান | তারিখ: ১৫-১১-২০১২

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-11-15/news/305537


ইসলামী ছাত্রশিবিরের টার্গেট পুলিশ।পুলিশের ওপর চালানো হচ্ছে চোরাগোপ্তা হামলা।......
Few pictures are more than thousand words.....:



Even the Inqalib report tells the story that clearly exposes Shibir attrocities ......
"........শিবির পুলিশের ওপর হামলা করে। তাছাড়া জয়পুরহাটে হরতাল চলাকালে গত সোমবার পুলিশের একজন কনস্টেবলকে কুপিয়ে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। ...."

2012/11/13 SAHANNAN <sahannan@sonarbangladesh.com>

In ninety-nine percent cases Jamaat and Shibir are  getting beaten by police,ChatreLeague and JuboLeague About two thousand have been arrested .No Chatra League or Jubo League has been arrested though they are attacking, burning Jamaat and Shibir offices. One Shibir leader has been killed .

 

Shah Abdul Hannan

 


শিবিরের হামলার মুখে আইনমন্ত্রীর গাড়িবহর

 

 

Tue, Nov 13th, 2012 8:19 pm BdST

 

 

 


http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=3&id=210548&hb=2

আইনমন্ত্রীর গাড়ী বহরে হামলা - ইনকিলাব 

বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীসহ সারাদেশেই জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা এখন বেপরোয়া। কৌশল পাল্টে পুলিশের উপর একের পর এক ঝটিকা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। জামায়াত-শিবিরের কাছে পুলিশ এখন অসহায়। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের চেয়ে নিজেদের রক্ষা করতেই বেশি ব্যস্ত পুলিশ। বিএনপির মতো বড় রাজনৈতিক দলকে পূর্ব ঘোষিত নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচীতে মাঠে নামতে দেয়নি পুলিশ। সেখানে জামায়াত-শিবির গত কয়েকদিন ধরে সারাদেশে সহিংসতা চালালেও পুলিশ তাদের কেন নিবৃত্ত করতে পারছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার দিনে দুপুরে খোদ রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কে আইনমন্ত্রীর গাড়ীতেও হামলা চালায় শিবির। একই সময় তাদের হামলা ও নাশকতার মুখে পড়ে একজন ট্রাফিক সার্জেন্টসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশের মটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু যানবাহনে ভাংচুর করে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা। শিবিরের ক্যাডারদের চোরাগোপ্তা আক্রমণে পুলিশের মাঠ পর্যায়ের সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আইনমন্ত্রীর গাড়ীতে হামলার পর গতরাতে পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ তার বাসায় যান। তিনি তার খোঁজ খবর নেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, শিবির ক্যাডাররা সারাদিন গোপনে বিচ্ছিন্নভাবে চলাফেরা করলেও আকস্মিক সংঘবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে সংহিস তা-ব চালাচ্ছে। পুলিশকে টার্গেট করে বোমা নিক্ষেপ, তাদের যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, এমনকি তাদের কুপিয়ে জখম করে গায়ে আগুন ঢেলে দেয়ার চেষ্টা করছে। সশস্ত্র ক্যাডারদের এ মরণ কামড়ে পুলিশ প্রশাসন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাদের ঠেকাতে দ্রুত কী ব্যবস্থা নেয়া যায় তা নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ফুট ও কার পেট্রোল বাড়ানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও সড়কে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। এ ছাড়াও তল্লাশি অভিযান জোরদার করতে ব্যস্ততম সড়কগুলোতে ভ্রাম্যমাণ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ গতকাল জামায়াতকে বিষধর সাপের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এরা গর্তে লুকিয়ে থাকে। সুযোগ পেলে বের হয়ে এসে ছোবল দিয়ে আবার গর্তে ঢুকে পড়ে। বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে তাদের দেখা যায়। মানবতাবিরোধী অপরাধের চলমান বিচার বানচাল করতে জামায়াত-শিবির দেশব্যাপী নৈরাজ্যকর অবস্থা সৃষ্টি করতে চাইছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকু গত রাতে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, জামায়াত-শিবির সারাদেশেই পুলিশের উপর চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে। পুলিশ সাময়িকভাবে চোরাগোপ্তা হামলায় শিকার হলেও এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তখন আর এরা পালাবার পথ খুঁজে পাবে না। জামায়াত-শিবিরের নাশকতামূলক কর্মকা- কঠোর হস্তে দমন করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে টুকু উল্লেখ করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত ৫ নভেম্বর সোমবার ও ৬ নভেম্বর মঙ্গলবার রাজধানীসহ সারাদেশে একযোগে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করার নাম করে পুলিশের উপর হামলা ও গাড়ী ভাংচুর করে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা। বিশেষ করে রাজধানীতে পুলিশের ওপর বেপরোয়া চড়াও হয় তারা। রাস্তাঘাটে গাড়ী ভাংচুরসহ অগ্নিসংযোগ করে। একইদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এদিকে মঙ্গলবার রংপুরে বিক্ষোভ সমাবেশে আরো ভয়ানক রূপ ধারণ করে শিবির। প্রকাশ্যে পুলিশের ওপর হাতবোমা নিক্ষেপ করে। রাজশাহীতে পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে সেটি দিয়েই পুলিশকে পিটিয়ে আহত করে। এছাড়া বগুড়া, খুলনা, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ফেনী, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পরিকল্পিতভাবে শিবির পুলিশের ওপর হামলা করে। তাছাড়া জয়পুরহাটে হরতাল চলাকালে গত সোমবার পুলিশের একজন কনস্টেবলকে কুপিয়ে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। জনগণের বাধার মুখে তারা আগুন ধরাতে পারেননি। বেলা দুইটার দিকে সদর উপজেলার হিচমী বাজারে জয়পুরহাট-বগুড়া সড়কে এ ঘটনা ঘটে। আহত কনস্টেবল গোলাম মোস্তফাকে (৪৮) প্রথমে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আতাউর রহমান বলেন, গোলাম মোস্তফার হাত ও চোখের নিচের অংশ জখম হয়েছে। এর মধ্যে চোখের নিচের আঘাতটি গুরুতর। এ কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় মাদ্রাসার ছাত্র বদিউজ্জামান নিহত হন। এর প্রতিবাদে ও নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জয়পুরহাটে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে শিবির।
জয়পুরহাটে পুলিশের ওপর শিবিরের হামলা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা এ কাজ করেছে, তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেব না। দেশের প্রচলিত আইনে বিচার করে সর্বাত্মক শাস্তির নিশ্চয়তা প্রদান করা হবে। 
সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে সার্কফোয়ারা মোড়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। অগ্নিসংযোগ করেছে পুলিশ সার্জেন্টের মটরসাইকেলে। ভাংচুর করে এটিএন বাংলার একটি গাড়ীসহ কয়েকটি যানবাহন। শিবির ক্যাডারদের হামলায় ট্রাফিক সার্জেন্ট আজিজুল, নায়েক শহিদুল ইসলাম ও কনস্টেবল শাহিন আহত হন। এদের মধ্যে সার্জেন্ট আজিজুলের মাথা ফেটে গেছে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ গুরুতর জখম হয়েছে। শিবিরের ক্যাডাররা দিনদুপুরে ব্যস্ততম সড়কে তা-ব চালালেও তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে তারা দলবলে চলে যাওয়ার পর সন্দেহভাজন ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 
তেজগাঁও থানা পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বিকাল পৌনে ৫টার দিকে ৫০/৬০ জনের ছাত্রশিবির নেতাকর্মী তেজগাঁও রেলষ্টেশনের পাশ দিয়ে মিছিল নিয়ে তেজতুরী বাজারের দিকে অগ্রসর হয়। তারা তেজগাঁও মহিলা কলেজের গলি হয়ে মিছিল নিয়ে ফার্মগেট এলাকায় বের হয়। তারা গলি দিয়ে প্রধান সড়কে বের হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। পিক আওয়ারে রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় মুহূর্তের মধ্যেই গোটা সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এ সুযোগে তারা বেপরোয়া তা-ব চালায়। ছাত্রশিবিরের মিছিল দেখে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে শিবির কর্মীদের ধাওয়া করে। তখন মিছিলকারীরা সোনারগাঁও হোটেলের মোড়ে সার্ক ফোয়ারার দিকে ছুটে যায়। তারা সার্ক ফোয়ারার সামনে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট আজিজুলকে বেধড়ক মারধর করে এবং মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর তারা পুলিশের নায়েক শহিদুল ও কনস্টেবল শাহিনকে বেধড়ক পিটিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। 
পুলিশের তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, কারওয়ান বাজার এলাকা থেকে মিছিলটি বের হয়। মিছিলকারীরা রাস্তা অবরোধ করে যানবাহন চলাচলে বাধা দিলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। পরে তারা পুলিশ সার্জেন্টকে মারধর ও মটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ এবং কয়েকটি পাবলিক যানবাহনে ভাংচুর চালায়। শিবিরকর্মীরা পান্থপথ এলাকার বিভিন্ন গলির ভেতরে ঢুকে পড়ে। পুলিশ তাদের খুঁজে ওইসব গলিতে তল্লাশী শুরু করেছে। পরে আশপাশের এলাকা থেকে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। পরে তারা তা-ব চালিয়ে পালিয়ে গেলে পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শী সিএনজি অটোরিকশা চালক জাফর জানান, বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ফার্মগেট থেকে কারওয়ান বাজার হয়ে সোনারগাঁও ক্রসিংয়ের দিকে ধেয়ে আসে কয়েকশ
' শিবিরকর্মী। এ সময় তাদের কিছুটা পেছনে ছিল জনা ত্রিশেক পুলিশ। তাদের সামনেই শিবিরকর্মীরা একের পর এক গাড়ী ভাঙছে। কিন্তু এ সময় পুলিশ সদস্যরা নিরাপদ দূরত্বে দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
ঘটনার অপর প্রত্যক্ষদর্শী ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল হাদিসও একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, শত শত শিবিরকর্মী ইট-পাটকেল নিয়ে এগিয়ে আসছিলো। স্যার (আজিজুল ইসলাম) সোনারগাঁ মোড়ের ট্রাফিক কার্যালয়ের সামনে ছিলেন। তিনি মিছিল থেকে মোটরসাইকেলটি সরানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু শিবিরকর্মীরা তার মাথা ফাটিয়ে দেয়। এরপর তাঁর মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। মিছিলের পেছনে থাকা পুলিশ সদস্যরা এ সময় তাদের বাধা দেয়নি বলে হাদিস মন্তব্য করেন। একই সময় আইনমন্ত্রীর গাড়ীতে হামলা চালাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে তার এপিএস আকসির এম চৌধুরীর মাইক্রোবাসটি (ঢাকা মেট্রো চ-৫১-৪৪০৮) ভাঙচুর করা হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ সময় আইনমন্ত্রীর প্রটোকলের এক সদস্যও আহত হন। বিকাল ৫টার পর রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেল থেকে ফেরার পথে সার্ক ফোয়ারার কাছে লাঠিসোঁটা নিয়ে ১০/১৫ জনের একটি দল পূর্ব দিক থেকে আইনমন্ত্রীর গাড়ীতে হামলা চালায়। আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, হামলার ধরন দেখে মনে হয়েছে এটা জামায়াত-শিবিরের কাজ। এ হামলায় আমার কিছু না হলেও আমার এপিএসের গাড়ী ভাঙচুরের শিকার হয়েছে। আহত হয়েছে প্রটোকলের এক সদস্য। আহত তিন পুলিশকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, কারওয়ান বাজারে তেজগাঁও মহিলা কলেজের গলি থেকে শিবিরের একটি মিছিল বের হয়, মিছিলকারীরা গাড়ী চলাচলে বাধা দিলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। পুলিশের ধাওয়ার মুখে মিছিলকারীরা সার্ক ফোয়ারার সামনে এক সার্জেন্টের গাড়ীতে আগুন এবং কয়েকটি গাড়ী ভাংচুর করে। পুলিশের একটি গাড়ীতেও ওই সময় ঢিল ছোড়ে মিছিলকারীরা। ওই গাড়ীটি আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত গাড়ী বলে পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব জানান, হামলায় পাঁচ থেকে ছয়জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনার পর পুলিশ সদস্যরা তৎপর হয়, পান্থপথ সংলগ্ন বিভিন্ন গলিতে অভিযানও শুরু করে। তাৎক্ষণিকভাবে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অতিরিক্ত উপকমিশনার বিপ্লব জানান। 
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ট্রাইব্যুনালকে লক্ষ্য করে চূড়ান্তভাবে মাঠে নামতে বড়সড় প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররা। তবে তারা বলছে, সরকারের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকার-সমর্থকেরা তাদের কর্মসূচিতে প্রকাশ্যে অথবা চোরাগোপ্তা হামলা চালাতে পারে এটা মাথায় রেখে পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিয়েই কর্মীদের রাজপথে নামানো হয়েছে। দলের স্বার্থে শহীদ হতেও তাদের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে।
সূত্র জানায়, কথিত আন্দোলনের নামে একের পর এক পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে তাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে কয়েক মাস আগে থেকেই কাজ করছে শিবির। এ লক্ষ্যে দলের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কর্মী বাছাই করে সাংগঠনিক নিয়মে তাঁদের দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। গত মে মাস থেকে শুরু করা এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে কর্মীদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে মানসিকভাবে উদ্বুদ্ধ করা হয়। রাস্তায় নামলে পুলিশের নির্যাতনসহ সম্ভাব্য পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁদের ধারণা দেয়া হয়। কর্মীদের দীর্ঘ মেয়াদে কারাগারে থাকার মানসিক প্রস্তুতিও নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে।
'অর্থ ও জীবন উৎসর্গ' করার মানসিকতা নিয়ে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়ে নেতা-কর্মীদের কাছে একাধিক পুস্তিকাও বিতরণ করা হয়। এরই মধ্যে বেশ কিছু পুস্তিকাও উদ্ধার করে পুলিশ

http://www.dailyinqilab.com/

বুধবার, ১৪ নভেম্বর ২০১২, ৩০ কার্তিক ১৪১৯, ২৮ যিলহজ ১৪৩৩

শেষ বিকেলে শিবিরের তাণ্ডব, দর্শক পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ১৩-১১-২০১২

»

·                            রাজধানীর ফার্মগেট থেকে কারওয়ান বাজার হয়ে সোনারগাঁও মোড়ের দিকে মিছিল নিয়ে যাচ্ছেন কয়েক শ শিবিরকর্মী।

ছবি: সাজিদ হোসেন

·                            মিছিলকারী অনেকের হাতে লাঠিসোঁটা।

মিছিলকারী অনেকের হাতে লাঠিসোঁটা।

ছবি: সাজিদ হোসেন

·                            মিছিলটি সোনারগাঁও মোড়ে আসার পরই লাঠি হাতে পুলিশের এক সদস্যের ওপর শিবিরকর্মীদের হামলা।

মিছিলটি সোনারগাঁও মোড়ে আসার পরই লাঠি হাতে পুলিশের এক সদস্যের ওপর শিবিরকর্মীদের হামলা।

ছবি: সাজিদ হোসেন

·                            সোনারগাঁও মোড়ে একপর্যায়ে পুলিশের ওপর শিবিরকর্মীদের অতর্কিত হামলা।

সোনারগাঁও মোড়ে একপর্যায়ে পুলিশের ওপর শিবিরকর্মীদের অতর্কিত হামলা।

ছবি: সাজিদ হোসেন

·                            সোনারগাঁও মোড়ে পুলিশ সার্জেন্টেদের ওপর শিবিরকর্মীদের হামলায় মোটরসাইকেলসহ মাটিতে পড়ে গেলে��

সোনারগাঁও মোড়ে পুলিশ সার্জেন্টেদের ওপর শিবিরকর্মীদের হামলায় মোটরসাইকেলসহ মাটিতে পড়ে গেলেন তিনি।

ছবি: সাজিদ হোসেন

·                            এর পরই মিছিলে অংশ নেওয়া কয়েকজন মোটরসাইকেলটিতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন।

এর পরই মিছিলে অংশ নেওয়া কয়েকজন মোটরসাইকেলটিতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন।

ছবি: সাজিদ হোসেন

·                            শিবিরকর্মীদের হামলায় আহত সার্জেন্ট আজিজুল ইসলামকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সহকর�

শিবিরকর্মীদের হামলায় আহত সার্জেন্ট আজিজুল ইসলামকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সহকর্মীরা। পাশেই শিবিরের লাগিয়ে দেওয়া আগুনে জ্বলছে তাঁরই মোটরসাইকেলটি। পরে আজিজুল ইসলামকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ছবি: সাজিদ হোসেন

·                            কারওয়ান বাজার এলাকায় পুলিশের ভ্যানটি ফেলা দেওয়া হচ্ছে।

কারওয়ান বাজার এলাকায় পুলিশের ভ্যানটি ফেলা দেওয়া হচ্ছে।

ছবি: সাজিদ হোসেন

·                            এর পরই পুলিশের ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে কয়েকজন দুর্বৃত্ত।

এর পরই পুলিশের ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে কয়েকজন দুর্বৃত্ত।

ছবি: সাজিদ হোসেন

<spa





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___