Heartfelt Congratulations , Hon. Sheikh Hasina .
বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মডেল- ইকোনমিস্ট
জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিন দ্য ইকোনমিস্টের সর্বশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত এক সম্পাদকীয় নিবন্ধে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। পত্রিকাটিতে সচরাচর বাংলাদেশের বিভিন্ন নেতিবাচক দিক তুলে ধরলেও এর সর্বশেষ সংখ্যায় 'আউট অব বাস্কেট' শীরোনামে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বাংলাদেশের সাফল্যের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে। নিবন্ধে বলা হয়েছে, প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশের এই সাফল্য অনেকের জন্যই শিক্ষণীয়। এতে বলা হয়েছে, গত ২০ বছরে মানব কল্যাণের প্রায় প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি ব্যতিক্রমী। দেশটি অন্য দেশের জন্য মডেল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। স্বাধীনতার পাঁচ বছর পর ১৯৭৬ সালে 'বাংলাদেশ : দ্য টেস্ট কেস অব ডেভেলপমেন্ট' শীরোনামে একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল। বইটির রচয়িতা তাঁর বইতে লিখেছিলেন, এটা ছিল একটি পরীক্ষা কেননা দেশের সর্বত্র তখন এমনই বিধ্বস্ত দশা যে তখন উন্নয়নমূলক কাজের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়। ঐ সময় অনেকের আশঙ্কা ছিল, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে টিকে থাকতে পারবে কি না। একটি দুর্ভিক্ষ, তিন দফা সামরিক অভ্যুত্থান, চারবার ভয়াবহ বন্যা এবং বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের অবজ্ঞাসূচক মন্তব্যÑএ সবই ছিল পরীক্ষামূলক। বর্তমানে বাংলাদেশ সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং বাংলাদেশ এখন এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, দেশটি অন্যের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
আন্তর্জাতিক এই ম্যাগাজিনের নিবন্ধে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গড় আয়ু ভারতের গড় আয়ুর চেয়ে চার বছর বেশি। যদিও ধনীর সংখ্যার দিক থেকে ভারতের সংখ্যা বাংলাদেশের চেয়ে দ্বিগুণ। নারী শিক্ষার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক উপরে। এছাড়া নবজাতক, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার ব্যাপকহারে কমেছে। অর্থাৎ ক্রমবর্ধমান সামাজিক উন্নয়নের সামগ্রিক চিত্রেরই বাহির্প্রকাশ এটি। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হওয়ার পরও দেশটি এসব সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে। দেশের মানুষের আয় বাড়ছে তবে পরিমিতভাবে।
দারিদ্র্যের কারণে বাংলাদেশকে বিশেষ বিবেচনায় নেয়ার ফলে দেশটি আন্তর্জাতিভাবে ব্যাপক সাহায্য পাচ্ছে। তবে ১৫ কোটি জনঅধ্যুষিত এই দেশটি মাঝেমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ও মারাত্মক বন্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। দেশের ভূখ-ের মধ্যে কম অংশই রয়েছে যেখানে যাওয়া কঠিন। এছাড়া জতিগত বিরোধও কম এবং এর ফলে দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচী নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছানো যাচ্ছে সহজেই।
বাংলাদেশে মহিলাদের অগ্রগতি নিয়ে নিবন্ধে বলা হয়েছে, দেশের অগ্রগতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, অন্যের জন্য এটি একটি মডেল হতে পারে। বাংলাদেশ দেখিয়েছে, উন্নয়নের নিয়ামক শক্তি হিসেবে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশ জন্মনিয়ন্ত্রণ নীতি গ্রহণ করে। ঐ সময় চীন যেখানে এক সন্তান নীতি বাধ্যতামূলক করে, তখন বাংলাদেশ স্বেচ্ছায় জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি চালু করে ব্যাপক সাফল্য পায়। এর ফলে এক জেনারেশনের মধ্যে জন্মহার অর্ধেকে নেমে আসে এবং গৃহে মহিলাদের প্রভাবও বৃদ্ধি পায়। প্রথমবারের মতো মহিলারা পরিবারের আকার নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখার সুযোগ পায়।
পরে টেক্সটাইল শিল্পেও মহিলাদের ভূমিকা ব্যাপক আকার ধারণ করে। এই শিল্পে মোট কর্মশক্তির পাঁচ ভাগের চার ভাগই মহিলা। এছাড়া বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে মাইক্রোক্রেডিট চালু রয়েছে। এই ক্ষুদ্র ঋণের কারণে দরিদ্র জনগোষ্ঠী উপকৃত হচ্ছে। বিশেষ করে দরিদ্র মহিলারাই এর উপকারভোগী।
গত দুই দশকে গৃহে মহিলারা বিরাট ভূমিকা রাখার সুযোগ পাচ্ছে এবং এভাবে মহিলারা আরও বেশি করে অর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। ইকোনমিস্টের এই নিবন্ধে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে, সাধারণত মহিলারা তাদের উপার্জিত অর্থ ঘরের পুরুষ সদস্যদের পেছনে ব্যয় করা ছাড়াও তার সন্তানদের খাবার ক্রয়, তাদের স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষায় ব্যয় করে থাকে। গৃহে মহিলাদের ভূমিকার ক্ষেত্রে নীরব বিপ্লব সাধিত হওয়ায় শিশুর কল্যাণের ক্ষেত্রে একটি ভিত রচিত হয়ে গেছে।
তবে বাংলাদেশের সাফল্যে রাজনীতিতে অনধিকারচর্চার দুর্গতি রয়েই গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে তার বসকে সরিয়েছেন। ঐ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারহোল্ডারদের ওপর প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজের পছন্দের লোক চাপিয়ে দিয়েছেন। এ সব কাজ করা হয়েছে রাজনৈতি দল গড়ার চিন্তা করার দুঃসাহস দেখানোর শাস্তি হিসেবে ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শাস্তি দেয়া জন্য। শেখ হাসিনা সরকারের দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলক রাজনীতি সত্ত্বেও বাংলাদেশ একটি মডেল হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক এই ম্যাগাজিনের নিবন্ধে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গড় আয়ু ভারতের গড় আয়ুর চেয়ে চার বছর বেশি। যদিও ধনীর সংখ্যার দিক থেকে ভারতের সংখ্যা বাংলাদেশের চেয়ে দ্বিগুণ। নারী শিক্ষার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক উপরে। এছাড়া নবজাতক, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার ব্যাপকহারে কমেছে। অর্থাৎ ক্রমবর্ধমান সামাজিক উন্নয়নের সামগ্রিক চিত্রেরই বাহির্প্রকাশ এটি। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হওয়ার পরও দেশটি এসব সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে। দেশের মানুষের আয় বাড়ছে তবে পরিমিতভাবে।
দারিদ্র্যের কারণে বাংলাদেশকে বিশেষ বিবেচনায় নেয়ার ফলে দেশটি আন্তর্জাতিভাবে ব্যাপক সাহায্য পাচ্ছে। তবে ১৫ কোটি জনঅধ্যুষিত এই দেশটি মাঝেমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ও মারাত্মক বন্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। দেশের ভূখ-ের মধ্যে কম অংশই রয়েছে যেখানে যাওয়া কঠিন। এছাড়া জতিগত বিরোধও কম এবং এর ফলে দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচী নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছানো যাচ্ছে সহজেই।
বাংলাদেশে মহিলাদের অগ্রগতি নিয়ে নিবন্ধে বলা হয়েছে, দেশের অগ্রগতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, অন্যের জন্য এটি একটি মডেল হতে পারে। বাংলাদেশ দেখিয়েছে, উন্নয়নের নিয়ামক শক্তি হিসেবে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশ জন্মনিয়ন্ত্রণ নীতি গ্রহণ করে। ঐ সময় চীন যেখানে এক সন্তান নীতি বাধ্যতামূলক করে, তখন বাংলাদেশ স্বেচ্ছায় জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি চালু করে ব্যাপক সাফল্য পায়। এর ফলে এক জেনারেশনের মধ্যে জন্মহার অর্ধেকে নেমে আসে এবং গৃহে মহিলাদের প্রভাবও বৃদ্ধি পায়। প্রথমবারের মতো মহিলারা পরিবারের আকার নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখার সুযোগ পায়।
পরে টেক্সটাইল শিল্পেও মহিলাদের ভূমিকা ব্যাপক আকার ধারণ করে। এই শিল্পে মোট কর্মশক্তির পাঁচ ভাগের চার ভাগই মহিলা। এছাড়া বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে মাইক্রোক্রেডিট চালু রয়েছে। এই ক্ষুদ্র ঋণের কারণে দরিদ্র জনগোষ্ঠী উপকৃত হচ্ছে। বিশেষ করে দরিদ্র মহিলারাই এর উপকারভোগী।
গত দুই দশকে গৃহে মহিলারা বিরাট ভূমিকা রাখার সুযোগ পাচ্ছে এবং এভাবে মহিলারা আরও বেশি করে অর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। ইকোনমিস্টের এই নিবন্ধে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে, সাধারণত মহিলারা তাদের উপার্জিত অর্থ ঘরের পুরুষ সদস্যদের পেছনে ব্যয় করা ছাড়াও তার সন্তানদের খাবার ক্রয়, তাদের স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষায় ব্যয় করে থাকে। গৃহে মহিলাদের ভূমিকার ক্ষেত্রে নীরব বিপ্লব সাধিত হওয়ায় শিশুর কল্যাণের ক্ষেত্রে একটি ভিত রচিত হয়ে গেছে।
তবে বাংলাদেশের সাফল্যে রাজনীতিতে অনধিকারচর্চার দুর্গতি রয়েই গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে তার বসকে সরিয়েছেন। ঐ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারহোল্ডারদের ওপর প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজের পছন্দের লোক চাপিয়ে দিয়েছেন। এ সব কাজ করা হয়েছে রাজনৈতি দল গড়ার চিন্তা করার দুঃসাহস দেখানোর শাস্তি হিসেবে ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শাস্তি দেয়া জন্য। শেখ হাসিনা সরকারের দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলক রাজনীতি সত্ত্বেও বাংলাদেশ একটি মডেল হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
__._,_.___