শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১২, ১ পৌষ ১৪১৯
খুনী আশরাফুজ্জামান ও চৌধুরী মাঈনুদ্দিনকে ফিরিয়ে আনা হবে
মার্কিন বিচার বিভাগ তথ্য চেয়েছে, প্রয়োজনে ইন্টারপোলের সাহায্য
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বুদ্ধিজীবী হত্যার দুই মূল খুনী আশরাফুজ্জামান খান এবং চৌধুরী মাঈনুদ্দীনকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো হবে। প্রয়োজনে তাদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সাহায্য নেয়া হবে। এজন্য আমেরিকান জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট আমাদের কাছে তথ্য চেয়েছে। বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবসের প্রাক্কালে একটি সংবাদ সংস্থার কাছে এসব কথা বলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক সানাউল হক। তিনি বলেন, চৌধুরী মাঈনুদ্দীন এবং আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে ১৯৭৩ সালের 'আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্ট'-এর ৩ (২) ধারা মোতাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষক, ৬ সাংবাদিক এবং ৩ চিকিৎসকসহ মোট ১৮ বুদ্ধিজীবীকে অপহরণ, হত্যা এবং গণহত্যার ১৮টি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
সানাউল হক বলেন, এ বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে জামায়াতের শীর্ষ নেতা গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামীর নামেও অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আর আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ তো সরাসরি জড়িত। মুজাহিদ তখন ছিলেন ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি এবং আলবদর বাহিনীর প্রধান।
তিনি আরও বলেন, শুধু ১৯৭১ সালেই নয়, এর আগেও '৫২'র ভাষা আন্দোলনে একটা কথা প্রচলিত ছিল 'বুদ্ধিজীবীরাই এসব সংগ্রামের ইন্ধন যোগান।' একাত্তরের ১৪-১৬ ডিসেম্বরের আগেও বিভিন্ন জেলায় বিচ্ছিন্নভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যা করা হয়। কিন্তু ১৪-১৬ ডিসেম্বর তারা যা করেছিলেন, সেটা একেবারে পরিকল্পিত। তারা বুঝতে পেরেছিলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যাচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশ যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে তাই এ বুদ্বিজীবী হত্যা। বুদ্ধিজীবী হত্যা কার্যকর করে আলবদর বাহিনী। আর আলবদর বাহিনী গঠিত হয়েছিল জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতাদের দিয়ে। তাই আলবদর বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করতেন ইসলামী ছাত্রসংঘ এবং পরে জামায়াতের নেতারা।
তিনি জানান, ৬০ ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থার কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং তাদের মধ্য থেকে ৪৫ জনকে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য বাছাই করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চৌধুরী মাঈনুদ্দীন এবং আশরাফুজ্জামানের অপরাধের ধরন এক, সাক্ষ্য-প্রমাণও এক। প্রতিটি সাক্ষ্যের প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে।
আশারাফুজ্জামান আছেন নিউইয়র্কে। তবে তার নির্দিষ্ট ঠিকানা আমরা জানতে পারছি না। এ বিষয়ে আমরা আমেরিকার সাহায্য চেয়েছি। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে। চৌধুরী মাঈনুদ্দীনের বর্তমান ঠিকানা সম্পর্কে সানাউল হক বলেন, চৌধুরী মাঈনুদ্দীন লন্ডনের টোটেনহাম শহরের জনসন রোডের একটি বাড়িতে থাকেন। তিনি লন্ডনের আয়েশা মসজিদের চেয়ারম্যান এবং মুসলিম এইড ইউকে'র প্রধান। তবে তারা দু'জনই অতি ধূর্ত প্রকৃতির এবং খুব বেশি দিন কোন একটি ঠিকানায় অবস্থান করেন না। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে তাদের যে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট ছিল সেগুলো জব্দ করা হয়েছে।'
তাদের বিচার কিভাবে হবে জানতে চাইলে সানাউল হক বলেন, ট্রাইব্যুনাল তাদের ঠিকানায় নোটিস পাঠাবেন। এর পরেও তাদের যদি আটক না করা যায়, তাহলে দুটি দৈনিক পত্রিকায় নিয়ম অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে এবং তারপরেও যদি তাদের ফিরিয়ে আনা না যায়, তাহলে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার কাজ চলবে।
সানাউল হক আরও বলেন, তদন্ত করতে গিয়ে আমরা একটি ডায়েরি পেয়েছি। এতে কিছু প্রামাণ্য দলিল এবং অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য রয়েছে। সূত্র অনুযায়ী ডায়েরিটির মালিক আলবদর বাহিনীর কমান্ডার আশরাফুজ্জামান খান।
১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নিজ হাতে গুলি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষককে হত্যা করেন আশরাফুজ্জামান খান। যে গাড়িতে এ শিক্ষকদের লাশ নিয়ে যাওয়া হয়, সে গাড়ির ড্রাইভার মফিজুদ্দিন পুলিশের কাছে দেয়া স্বীকারোক্তিতে আশরাফুজ্জামান খানকে এক্সিকিউটর (জল্লাদ) বলে অভিহিত করেন।
উল্লেখ্য, যে বুদ্ধিজীবীদের সে সময় অপহরণ করে হত্যা করা হয়, তাদের প্রথম শিকার হন দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সিরাজুদ্দীন হোসেন। তাঁকে ১০ ডিসেম্বর রাতে বাসা থেকে অপহরণ করা হয়। একই রাতে পিপিআই'র চীফ রিপোর্টার সৈয়দ নাজমুল হককে অপহরণ করা হয় বাসা থেকে। ১১ ডিসেম্বর ভোরে দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার সাংবাদিক আ ন ম গোলাম মোস্তফা, ১২ ডিসেম্বর বিবিসি সংবাদদাতা নিজাম উদ্দিন আহমদ, ১৩ ডিসেম্বর দৈনিক শিলালিপি পত্রিকার সম্পাদক সেলিনা পারভীনকে অপহরণ করা হয়।
১৪ ডিসেম্বর অপহরণ করা হয় দৈনিক সংবাদের যুগ্ম সম্পাদক ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক শহীদুল্লা কায়সারকে। একই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, ড. আবুল খায়ের, ড. সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. সিরাজুল হক খান, অধ্যাপক ফয়েজুল মহি, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ মর্তুজাকে অপহরণ করা হয়। ১৫ ডিসেম্বর চক্ষু চিকিৎসক ডা. আলিম চৌধুরী এবং ডা. ফজলে রাব্বিকে অপহরণ করে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়। অপহৃত সাংবাদিকদের মধ্যে একমাত্র সেলিনা পারভীনের অর্ধগলিত মরদেহ রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে ১৮ ডিসেম্বর পাওয়া যায়। অন্যদের মরদেহের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গিয়াসউদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, ড. আবুল খায়ের, ড. সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. সিরাজুল হক খান, অধ্যাপক ফয়েজুল মহি, ডা. মোহাম্মদ মর্তুজার লাশ মিরপুরের বধ্যভূমি এবং ডা. আলিম চৌধুরী ও ডা. ফজলে রাব্বির মরদেহ অর্ধগলিত অবস্থায় রায়েরবাজার বধ্যভূমি থেকে উদ্ধার করা হয়। চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. আলিম চৌধুরীর চোখ উপড়ানো এবং হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. ফজলে রাব্বির বুক থেকে হৃৎপি- উপড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী এবং মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীর মরদেহের হদিস পাওয়া যায়নি। সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সারকে খুঁজতে গিয়ে ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি মিরপুর বিহারি ক্যাম্পে নিখোঁজ হন তাঁর ভাই প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান। তিনি সেখানে শহীদ হয়েছেন বলে পরবর্তীতে সাক্ষ্য-প্রমাণ মিললেও তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়নি। সারাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন ৯৬৮ শিক্ষাবিদ, ২১ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং ৪১ আইনজীবীসহ মোট ১০২০ বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়।
সানাউল হক বলেন, এ বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে জামায়াতের শীর্ষ নেতা গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামীর নামেও অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আর আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ তো সরাসরি জড়িত। মুজাহিদ তখন ছিলেন ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি এবং আলবদর বাহিনীর প্রধান।
তিনি আরও বলেন, শুধু ১৯৭১ সালেই নয়, এর আগেও '৫২'র ভাষা আন্দোলনে একটা কথা প্রচলিত ছিল 'বুদ্ধিজীবীরাই এসব সংগ্রামের ইন্ধন যোগান।' একাত্তরের ১৪-১৬ ডিসেম্বরের আগেও বিভিন্ন জেলায় বিচ্ছিন্নভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যা করা হয়। কিন্তু ১৪-১৬ ডিসেম্বর তারা যা করেছিলেন, সেটা একেবারে পরিকল্পিত। তারা বুঝতে পেরেছিলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যাচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশ যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে তাই এ বুদ্বিজীবী হত্যা। বুদ্ধিজীবী হত্যা কার্যকর করে আলবদর বাহিনী। আর আলবদর বাহিনী গঠিত হয়েছিল জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতাদের দিয়ে। তাই আলবদর বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করতেন ইসলামী ছাত্রসংঘ এবং পরে জামায়াতের নেতারা।
তিনি জানান, ৬০ ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থার কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং তাদের মধ্য থেকে ৪৫ জনকে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য বাছাই করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চৌধুরী মাঈনুদ্দীন এবং আশরাফুজ্জামানের অপরাধের ধরন এক, সাক্ষ্য-প্রমাণও এক। প্রতিটি সাক্ষ্যের প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে।
আশারাফুজ্জামান আছেন নিউইয়র্কে। তবে তার নির্দিষ্ট ঠিকানা আমরা জানতে পারছি না। এ বিষয়ে আমরা আমেরিকার সাহায্য চেয়েছি। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে। চৌধুরী মাঈনুদ্দীনের বর্তমান ঠিকানা সম্পর্কে সানাউল হক বলেন, চৌধুরী মাঈনুদ্দীন লন্ডনের টোটেনহাম শহরের জনসন রোডের একটি বাড়িতে থাকেন। তিনি লন্ডনের আয়েশা মসজিদের চেয়ারম্যান এবং মুসলিম এইড ইউকে'র প্রধান। তবে তারা দু'জনই অতি ধূর্ত প্রকৃতির এবং খুব বেশি দিন কোন একটি ঠিকানায় অবস্থান করেন না। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে তাদের যে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট ছিল সেগুলো জব্দ করা হয়েছে।'
তাদের বিচার কিভাবে হবে জানতে চাইলে সানাউল হক বলেন, ট্রাইব্যুনাল তাদের ঠিকানায় নোটিস পাঠাবেন। এর পরেও তাদের যদি আটক না করা যায়, তাহলে দুটি দৈনিক পত্রিকায় নিয়ম অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে এবং তারপরেও যদি তাদের ফিরিয়ে আনা না যায়, তাহলে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার কাজ চলবে।
সানাউল হক আরও বলেন, তদন্ত করতে গিয়ে আমরা একটি ডায়েরি পেয়েছি। এতে কিছু প্রামাণ্য দলিল এবং অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য রয়েছে। সূত্র অনুযায়ী ডায়েরিটির মালিক আলবদর বাহিনীর কমান্ডার আশরাফুজ্জামান খান।
১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নিজ হাতে গুলি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষককে হত্যা করেন আশরাফুজ্জামান খান। যে গাড়িতে এ শিক্ষকদের লাশ নিয়ে যাওয়া হয়, সে গাড়ির ড্রাইভার মফিজুদ্দিন পুলিশের কাছে দেয়া স্বীকারোক্তিতে আশরাফুজ্জামান খানকে এক্সিকিউটর (জল্লাদ) বলে অভিহিত করেন।
উল্লেখ্য, যে বুদ্ধিজীবীদের সে সময় অপহরণ করে হত্যা করা হয়, তাদের প্রথম শিকার হন দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সিরাজুদ্দীন হোসেন। তাঁকে ১০ ডিসেম্বর রাতে বাসা থেকে অপহরণ করা হয়। একই রাতে পিপিআই'র চীফ রিপোর্টার সৈয়দ নাজমুল হককে অপহরণ করা হয় বাসা থেকে। ১১ ডিসেম্বর ভোরে দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার সাংবাদিক আ ন ম গোলাম মোস্তফা, ১২ ডিসেম্বর বিবিসি সংবাদদাতা নিজাম উদ্দিন আহমদ, ১৩ ডিসেম্বর দৈনিক শিলালিপি পত্রিকার সম্পাদক সেলিনা পারভীনকে অপহরণ করা হয়।
১৪ ডিসেম্বর অপহরণ করা হয় দৈনিক সংবাদের যুগ্ম সম্পাদক ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক শহীদুল্লা কায়সারকে। একই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, ড. আবুল খায়ের, ড. সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. সিরাজুল হক খান, অধ্যাপক ফয়েজুল মহি, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ মর্তুজাকে অপহরণ করা হয়। ১৫ ডিসেম্বর চক্ষু চিকিৎসক ডা. আলিম চৌধুরী এবং ডা. ফজলে রাব্বিকে অপহরণ করে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়। অপহৃত সাংবাদিকদের মধ্যে একমাত্র সেলিনা পারভীনের অর্ধগলিত মরদেহ রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে ১৮ ডিসেম্বর পাওয়া যায়। অন্যদের মরদেহের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গিয়াসউদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, ড. আবুল খায়ের, ড. সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. সিরাজুল হক খান, অধ্যাপক ফয়েজুল মহি, ডা. মোহাম্মদ মর্তুজার লাশ মিরপুরের বধ্যভূমি এবং ডা. আলিম চৌধুরী ও ডা. ফজলে রাব্বির মরদেহ অর্ধগলিত অবস্থায় রায়েরবাজার বধ্যভূমি থেকে উদ্ধার করা হয়। চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. আলিম চৌধুরীর চোখ উপড়ানো এবং হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. ফজলে রাব্বির বুক থেকে হৃৎপি- উপড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী এবং মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীর মরদেহের হদিস পাওয়া যায়নি। সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সারকে খুঁজতে গিয়ে ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি মিরপুর বিহারি ক্যাম্পে নিখোঁজ হন তাঁর ভাই প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান। তিনি সেখানে শহীদ হয়েছেন বলে পরবর্তীতে সাক্ষ্য-প্রমাণ মিললেও তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়নি। সারাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন ৯৬৮ শিক্ষাবিদ, ২১ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং ৪১ আইনজীবীসহ মোট ১০২০ বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়।
শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১২, ১ পৌষ ১৪১৯
Related:
আলবদর বাহিনী প্রধানত জামায়াতের কর্মী দ্বারাই গঠিত হয়েছিল
ইসলামী ছাত্র সংঘ' নাম পাল্টিয়ে 'বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির' নামে যাত্রা শুরু করেশহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে 'জামায়াতি দুর্বৃত্তরাই'
মিজানুর রহমান খান, ওয়াশিংটন ডিসি থেকে | তারিখ: ১৪-১২-২০১২
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-12-14/news/313223
Also Read:
http://globalcitynyc.com/2012/12/13/bangladesh-tribunal-accuses-new-york-imam-of-war-crimes/
Bangladesh Tribunal Accuses New York Imam of War Crimes
by Srila Nayak
Posted on 13 December 2012.
A politically-charged legal proceeding on the other side of the globe has stirred 40-year-old memories and modern-day animosities in New York's Bangladesh community.
Avje`i Avkivdz¾vgvb Lvb, †PŠayix gBbywÏb
Ges GKwU ARvbv Aa¨vq
http://www.amadershomoy2.com/content/2012/10/12/news0008.htm
Related:
| ||||||||||
রাজাকারদের মুজাহিদের স্বাক্ষর করা পরিচয়পত্র দেয়া হতো
যুদ্ধাপরাধী বিচার
মাহবুব কামালের সাক্ষ্য
মাহবুব কামালের সাক্ষ্য
বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর ২০১২, ১৯ আশ্বিন ১৪১৯
রাজাকাররা কামারুজ্জামানের কথায় ওঠাবসা করত
নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ০১-১০-২০১২
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-10-01/news/294275
যুদ্ধাপরাধী বিচার: সুবহানের বিরুদ্ধে অগ্রগতি প্রতিবেদন ৪ নভেম্বর ...
শান্তি কমিটি আলবদর রাজাকারের সিংহভাগই ছিল জামায়াতী ....
বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১২, ১১ আশ্বিন ১৪১৯
2012/9/24 SyedAslam <syed.aslam3@gmail.com>
eyw×Rxex nZ¨vi g~j bvqK gvBbywÏb I Avkiv‡di wePvi Abycw¯'wZ‡ZB
ag©všÍwiZ Kiv, jyUcvU, †`kZ¨v‡M eva¨ Kivmn bvbv ai‡bi Awf‡hvM Avbv n‡q‡Q|
আলবদর বাহিনীর প্রধান ছিলেন মুজাহিদ: শাহরিয়ার কবির
http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=c9817c634fbcce10748f531feed40332&nttl=20120913050520138606
শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২, ৩১ ভাদ্র ১৪১৯যুদ্ধাপরাধী বিচার ॥ বুদ্ধিজীবী হত্যার পলাতক তদন্ত রিপোর্ট শীঘ্রইচৌধুরী মাইনুদ্দিন ব্রিটেনে ও আশরাফুজ্জামান যুক্তরাষ্ট্রে, পলাতক অবস্থায়ই বিচার শুরুশনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২, ৩১ ভাদ্র ১৪১৯
http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6_%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A7%80_%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
মাঈনুদ্দিন-আশরাফুজ্জামান ১৬ বুদ্ধিজীবীর ঘাতক
চৌধুরী মঈনূদ্দীন সহ তিন পলাতক যুদ্ধাপরাধী নিয়ে চ্যানেল ফোরের সেই বিখ্যাত ডকুমেন্টারিটি!
মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১; মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ৩০০টির অধিক পোস্ট লিঙ্ক নিয়ে তৈরী হল সামহোয়্যার ইন ব্লগ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আর্কাইভ:
আলবদর প্রধান ছিলেন নিজামী, উপপ্রধান মুজাহিদ ॥ জেরায় শাহরিয়ার কবিরশুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১২, ৩০ ভাদ্র ১৪১৯httphttp://www.nybangla.com/Muktijoddho/Muzahid/Ali%20Ahsan%20Mohammed%20Mujahid_JB.pdf://www.nybangla.com/Muktijoddho/Muzahid/Muzahid.htmদার্শনিক ও কৌশলগত পরিকল্পনার নেতৃত্বে ছিলেন গোলাম আযম যুদ্ধাপরাধী বিচার ॥ সুলতানা কামালের জবানবন্দী...বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৮ ভাদ্র ১৪১৯
মাস্টারমাইন্ড ছিলেন গোলাম আযম
নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ১১-০৯-২০১২
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-09-11/news/288426
মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পক্ষের প্রতীক ছিলেন গোলাম আযমযুদ্ধাপরাধী বিচার
সুলতানা কামালের জবানবন্দীhttp://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2012-09-11&ni=108832
Related:
আলবদর ১৯৭১ - ১৬ (শেষাংশ)মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৭ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - ১৫সোমবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৬ ভাদ্র ১৪১৯আলবদর ১৯৭১ -১৪রবিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৫ ভাদ্র ১৪১৯আলবদর ১৯৭১ -১৩ : আলবদর ১৯৭১ ॥ বুদ্ধিজীবী হত্যা ... ..
শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৪ ভাদ্র ১৪১৯বুদ্ধিজীবী হত্যা; ২৫ মার্চ থেকে ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
http://www.somewhereinblog.net/blog/onujibblog/28882040আলবদর ১৯৭১ -১২
শুক্রবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৩ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - ১১বুধবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২১ ভাদ্র ১৪১৯আলবদর ১৯৭১ - ১০মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২০ ভাদ্র ১৪১৯আলবদর ১৯৭১ - ৯সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১২, ১৯ ভাদ্র ১৪১৯আলবদর ১৯৭১ - ৮http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2012-09-02&ni=107855রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১২, ১৮ ভাদ্র ১৪১৯আলবদর ১৯৭১ - ৭শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১২, ১৭ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - ৬
শুক্রবার, ৩১ আগষ্ট ২০১২, ১৬ ভাদ্র ১৪১৯আলবদর ১৯৭১ - ৫বৃহস্পতিবার, ৩০ আগষ্ট ২০১২, ১৫ ভাদ্র ১৪১৯আলবদর ১৯৭১ - ৪বুধবার, ২৯ আগষ্ট ২০১২, ১৪ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - ৩মঙ্গলবার, ২৮ আগষ্ট ২০১২, ১৩ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - ২সোমবার, ২৭ আগষ্ট ২০১২, ১২ ভাদ্র ১৪১৯আলবদর ১৯৭১ - ১রবিবার, ২৬ আগষ্ট ২০১২, ১১ ভাদ্র ১৪১৯৭১-এর যুদ্ধাপরাধ ও জামায়াতে ইসলামী
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৪৬
থেমে থাকেনি গোলাম আযম:
http://www.news-bangla.com/index.php?option=com_content&task=view&id=8983&Itemid=53
দেশ স্বাধীনের পরও পূর্ব-পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি গঠন করে স্বাধীনতা বিপন্নের ষড়যন্ত্র করেছিল ঘাতক গুরু গো'আযম :
http://www.al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=4&textid=2812
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা ও গণহত্যার প্রতীক':
| যুদ্ধাপরাধীদের বিচারএকাত্তরে তাঁরা কে কোন দলে ছিলেন, কী করেছেন |
| http://dailykalerkantho.com/?view=details&type=single&pub_no=124&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=4 |
একাত্তরে গোলাম আযমের বিবৃতি
http://www.prothom-alo.com/detail/news/215745
|
__._,_.___
