Bad news for Dr. Yunus and BNP !!!
নয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরীর সাথে রাষ্ট্রদূত ড. মোমেনের ৩ দশকের সম্পর্ক! যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ভূমিকা রাখবে
এনা, নিউইয়র্ক, ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ (বিডিএনএন২৪) :- যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ.কে আব্দুল মোমেনের দীর্ঘ তিন দশকের ব্যক্তিগত সম্পর্ক বাংলাদেশের সাথে ওবামা প্রশাসনের সম্পর্ক উন্নয়নে জোরদার ভূমিকা পালন করবে। ম্যাসেচুসেট্স অঙ্গরাজ্যে বস্টনস্থ ফ্যামিংহাম স্টেট কলেজের অর্থনীতি এবং ব্যবসা সম্পর্কিত ডিপার্টমেন্টের চেয়ারপার্সন ড. এ কে মোমেন ডেমক্র্যাটিক পার্টির সাথেও ছিলেন ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত। জন কেরী ১৯৮৫ সাল থেকে ম্যাসেচুসেট্স অঙ্গরাজ্যের ইউএস সিনেটর। সিনেটে পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটিরও চেয়ারম্যান তিনি। ২০০৪ সালে ডেমক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন পেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট পদে। কিন্তু রিপাবলিকান জর্জ ডব্লিউ বুশের কাছে পরাজিত হন। সেই নির্বাচনে জন কেরীর মাঠের কর্মী ও বলিষ্ঠ সংগঠক ছিলেন ড. মোমেন।
ব্যক্তিগতভাবে পরিচয়ের সে সূত্রে ১/১১ পরবর্তী কেয়ারটেকার সরকারের সময়েও জন কেরীর সাথে বেশ ক'দফা যোগাযোগ করেছেন ড. মোমেন। শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে সোচ্চার করতে জন কেরীর মাধ্যমে নানাভাবে তৎপর ছিলেন ড. মোমেন। ড. মোমেনকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিয়োগের সংবাদে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন সিনেটর জন কেরী। জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ড. মোমেন পুনরায় ফিরে যাবেন বস্টনের সেই কলেজে এবং সম্পৃক্ত হবেন ডেমক্র্যাটিক পার্টির সাথেও।
ওবামার দ্বিতীয় টার্মের নতুন প্রশাসনে জন কেরীকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারীর স্থলাভিষিক্ত করার মনোনয়নের পরই ড. মোমেন শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তার জবাব দিয়েছেন ২৬ ডিসেম্বর। সে জবাবে জন কেরী তাদের দু'জনের মধ্যে তিন দশকের বেশি সময় ধরে চলমান সম্পর্কের কথা পরম মমতায় স্মরণ করেন। একই সঙ্গে এই বার্তায় ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতিতে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগের প্রাক্কালে ২৬ ডিসেম্বর রাতে জেএফকে এয়ারপোর্ট থেকে বার্তা সংস্থা এনাকে এসব তথ্য জানান ড. মোমেন। মোমেন উল্লেখ করেন, শুভেচ্ছা বার্তায় আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথাও উল্লেখ করেছিলাম।
মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সিনেটে জন কেরীর দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে এটি নিশ্চিত করে বলা যায় যে, তার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের অনেক প্রত্যাশার বাস্তবায়ন ঘটবে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পোষাকের অবাধ প্রবেশিকার বিষয়টি সবিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে আশা করছেন ড. মোমেন। ড. মোমেন উল্লেখ করেন, হিলারী ক্লিন্টনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যে অগ্রগতিসাধিত হয়েছে, জন কেরীর সময়ে তা আরো সুদৃঢ় হবে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে কেরির পূর্বাপর ভূমিকা, অভিজ্ঞতা এবং মানসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করে ড. মোমেন এনার কাছে আরো বলেন, জন কেরি যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক ও দ্বি-পাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরো গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকর ভূমিকা রাখতে স্বক্ষম হবেন।
__._,_.___