টাঙ্গাইল সদর উপজেলার এক স্কুলছাত্রীকে কৌশলে মধুপুর নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ২৫ দিন আগে এ ঘটনা ঘটে। সামাজিক নিরাপত্তার ভয়ে ধর্ষিতার পরিবার প্রথমে ঘটনাটি গোপন করে। একই কারণে তারা তাকে (ধর্ষিতাকে) হাসপাতালে ভর্তিও করেননি। বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করছিলেন। পরে পরিস্থিতি নাজুক হলে তারা সত্যতা স্বীকার করে এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। গণধর্ষণের অভিযোগে গত রবিবার গভীর রাতে মধুপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীকে আজ সোমবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। মধুপুর থানায় ধর্ষিতার বড় ভাই বাদি হয়ে পাঁচজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।
ডিবির ওসি হুমায়ুন কবির জানান, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আগবেথৈর তারাবাড়ি গ্রামের এক স্কুল ছাত্রীকে তার এক বান্ধবী কৌশলে মধুপুর নিয়ে যায়। সেখানে কয়েকজন যুবক তাকে গণধর্ষণ করে এবং সে দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই ছাত্রীকে কালিহাতী উপজেলার পৌলী রেললাইনের পাশে রেখে তার বান্ধবী পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে তার আত্মীয়-স্বজন সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে। কয়েক দফায় তার চিকিৎসা করা হয়। কিছুদিন আগে টাঙ্গাইল থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করা হলে থানা থেকে বিষয়টি ডিবিকে জানায়। ডিবি পুলিশ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানতে পারে যে, মধুপুরের আউশনারা গ্রামের নুরুজ্জামান ওরফে গেদার বাড়িতে ওই স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে ধর্ষণ করে সেটি ভিডিও চিত্রে ধারণ করা হয়। পরে ডিবির টিম রবিবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে নুরুজ্জামান ওরফে গেদা, শাহজাহান, হারুন অর রশিদ, কথিত মডেল বিথি আক্তার ইভা ও বোয়ালী গ্রামের ভিডিও দোকানদার মনিরুজ্জামান ওরফে মনিরকে গ্রেপ্তার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এরসঙ্গে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মনিরুজ্জামানের ভিডিও দোকান থেকে কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, গাইনী বিভাগের ৩নং ওয়ার্ডের ৪ নং বেডে শুয়ে আছে ওই স্কুল ছাত্রী। কারো সঙ্গে কোন কথা বলছে না। সবার দিকে শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। মাঝেমধ্যে যন্ত্রণায় কেঁদে উঠে। ৩নং ওয়ার্ডের কর্তব্যরত নার্সরা জানান, রোগীর আত্মীয়স্বজনরা প্রথমে ধর্ষণের কথা গোপন রেখেছিল। মারপিটের কথা বলেছে। মেয়ের যন্ত্রণায় পরে আসল কথা স্বীকার করে। ধর্ষিতার মা কালের কণ্ঠকে জানান, গত ৬ ডিসেম্বর বিথি আক্তার ইভা নামে তার এক বান্ধবী বিয়ের দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে মধুপুর নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে বিথি তাকে নিয়ে পৌলী রেললাইনের পাশে রেখে পালিয়ে যায়। সেখানকার এক লোক মেয়েকে চিনতে পেরে বাড়ি খবর দেয়। তারা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে। ভয়ে সে প্রথমে কাউকে কিছু বলে নাই। পরে তার মাকে সব খুলে বলে। কিন্তু তারা বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করে। দুদিন পর ব্যথায় থাকতে না পেরে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের বর্হিবিভাগে নিয়ে আসে। ডাক্তার দেখানোর পর ওষুধ নিয়ে বাড়ি চলে যায়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আবার ২২ ডিসেম্বর হাসপাতালের ৭ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হলে তাকে ঢাকায় রেফার করা হলে তারা ঢাকায় না গিয়ে বাড়ি চলে আসে। রবিবার বিকেল চারটা ৫০ মিনিটে আবার জেনারেল হাসপতালে ভর্তি করা হয়।
ধর্ষিতার বড় ভাই জানান, তার বোন গ্রামের একটি স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। গ্রামেই এক বাড়িতে দর্জির কাজ শেখার সময় বিথির সঙ্গে তার বোনের পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের কারণেই তাকে মধুপুর যেতে দেওয়া হয়েছিল। আজ সোমবার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. রাজিয়া সুলতানাকে প্রধান করে ছয় সদস্যের একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়। তারা ওই ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। ডা. রাজিয়া সুলতানা জানান, মেয়েটার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। কিন্তু মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাই তাকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজনকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অভিযান অব্যাহত আছে বলে ডিবির ওসি জানান।http://www.kalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=news&pub_no=1108&cat_id=1&menu_id=0&news_type_id=3&news_id=312202
Related:
এ দেশে ধর্ষিতার পাশে দাঁড়াবে কে?
'ভারতের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে হবে'
নাহিদ তন্ময়/শামীমা মিতু
.............................
পুলিশ সদর দফতরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১২ সালে ৩ সহস্রাধিক নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বছরের প্রথম ৬ মাসে সারাদেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক হাজার ৮৬৯ জন। এদের মধ্যে ১৩ জনকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিহ্ন করতে পুড়িয়ে মারার মতো পৈশাচিক ঘটনাও রয়েছে। ২০১২ সালে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে রাজধানীতে। মানবাধিকার সংগঠন অধিকার-এর তথ্যানুযায়ী, ২০১২ সালে ৯ শতাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ২০১১ সালে এ সংখ্যা ছিল ৭১১। ধর্ষণ ছাড়াও নারী নির্যাতনের ভয়াবহ তথ্য পাওয়া যায় পুলিশ সদর দফতরের পরিসংখ্যানে। তাদের তথ্যানুযায়ী, ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১০ হাজার ২৯ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০১১ সালে এর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৩৪৪। ...........
.............................
পুলিশ সদর দফতরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১২ সালে ৩ সহস্রাধিক নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বছরের প্রথম ৬ মাসে সারাদেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক হাজার ৮৬৯ জন। এদের মধ্যে ১৩ জনকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিহ্ন করতে পুড়িয়ে মারার মতো পৈশাচিক ঘটনাও রয়েছে। ২০১২ সালে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে রাজধানীতে। মানবাধিকার সংগঠন অধিকার-এর তথ্যানুযায়ী, ২০১২ সালে ৯ শতাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ২০১১ সালে এ সংখ্যা ছিল ৭১১। ধর্ষণ ছাড়াও নারী নির্যাতনের ভয়াবহ তথ্য পাওয়া যায় পুলিশ সদর দফতরের পরিসংখ্যানে। তাদের তথ্যানুযায়ী, ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১০ হাজার ২৯ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০১১ সালে এর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৩৪৪। ...........
বাঁচানো গেল না 'ভারতকন্যা'কে
'ধর্ষকদের ফাঁসি চাই'
পাহাড়ে আদিবাসী নারীদের নিরাপত্তা কে দেবে?
ধর্ষিত ও উপেক্ষিত
আদিবাসী নারীর নিরাপত্তাহীনতা - প্রথম আলো
2 দিন আগে – আগের সংবাদ পরের সংবাদ». তুমা চিং মারমার মা মাজেই প্রু মারমা (মাঝে) নারী অধিকার কর্মী ও শিক্ষার্থীদের কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন. তুমা চিং মারমা (১৫) রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের বড়ডলুপাড়ার দরিদ্র পরিবারের কিশোরী। সে কাউখালী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
তুমা চিং মারমার হত্যাকারীদের বিচারের দাবি - প্রথম আলো
5 দিন আগে – রাঙামাটির কাউখালী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী তুমা চিং মারমার ধর্ষণ ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে গতকাল সোমবার কাউখালী উপজেলা সদরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কউন্সিলের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচিতে নিহত তুমা চিং মারমার সহপাঠী ও চট্টগ্রাম ...
Justifying Rape – Blaming the Victim:
'.............However we agree that indecent dress for women is a cause and this should be avoided. ....."
How these can happen ???
Woman in Saudi Arabia raped en route to pray
www.bikyamasr.com/.../woman-in-saudi-arabia-raped-en-route-to-pr...
Oct 2, 2012 – CAIRO: An Arab woman in Saudi Arabia was reportedly raped in the holy city of Mecca last week as she was heading to the Grand Mosque for ...-
Reports on Egyptian woman raped in Saudi Arabia false, claims ...
www.egyptindependent.com/.../reports-egyptian-woman-raped-saudi...Oct 18, 2012 – Assistant Foreign Minister for Consular Affairs Ali al-Eshairy has denied reports that an Egyptian woman was brutally gang raped in Saudi ...
__._,_.___