http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=105752
জনকণ্ঠের ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা
রিপোর্টে যা লেখা হয়েছে তা ডাহা মিথ্যা -অধ্যাপক মুজিব
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহেরকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রদত্ত বলে কথিত তার জবানবন্দির উদ্ধৃতি দিয়ে দৈনিক জনকণ্ঠে ''জিহাদের রিজার্ভ ফোর্স মাঠে নামানোর কথা রিমান্ডে স্বীকার করেছেন তাহের'' শিরোনামে গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত ভিত্তিহীন মিথ্যা রিপোর্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, এ রিপোর্টে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহেরের কথিত জবানবন্দির উদ্ধৃতি দিয়ে যেসব কথা লেখা হয়েছে তা একেবারে ডাহা মিথ্যা। তাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর উদ্দেশেই তার উদ্ধৃতি দিয়ে দৈনিক জনকণ্ঠের রিপোর্টে তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কোন লোক পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় প্রদত্ত কোন জবানবন্দি বাইরে প্রকাশ করা সম্পূর্ণ অন্যায়, অনৈতিক ও বেআইনী কাজ। কোন পুলিশ কর্মকর্তা এ ধরনের অনৈতিক ও বেআইনী কাজ করতে পারে না। দৈনিক জনকণ্ঠের সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার পুলিশ ও ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহেরের জবানবন্দির উদ্ধৃতি দিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে অন্যায়, অনৈতিক ও বেআইনী কাজ করেছে।
অধ্যাপক মুজিব বলেন, দৈনিক জনকণ্ঠের রিপোর্টে 'জিহাদের জন্য রিজার্ভ ফোর্স মাঠে নামিয়েছে জামায়াত-শিবির। দেশব্যাপী নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে অচল করে দেবে দেশ। রিজার্ভ ফোর্স গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও স্পর্শকাতর স্থানে হামলা চালাবে। এজন্য তৈরি করা হয়েছে হিট লিস্ট। ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহেরকে জিজ্ঞাসাবাদে এ ধরনের তথ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেন, তদন্তের সাথে সংশ্লিষ্ট পুলিশের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে 'ডা. তাহেরের উস্কানি ও নির্দেশ পেয়ে জামায়াত-শিবিরের রিজার্ভ ফোর্সের সদস্যরা এখন নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালানোর কৌশল হিসেবে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বেছে নিয়েছে। আইনশৃক্মখলা বাহিনী বিশেষ করে পুলিশের ওপর হামলা ও আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, জনকণ্ঠের রিপোর্টে 'তাহের বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা আলকরা ইউনিয়নের কুলসার গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা জসীম, লক্ষ্মীপুর গ্রামের যুবলীগ নেতা আনোয়ার, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর, সোনাইছড়া গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী আবুল, আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হাজী আব্দুল মালেক, চিওড়া ইউনিয়নের শাকতলা গ্রামের যুবলীগ নেতা হেদায়েত উল্লাহসহ আরো অনেককে হত্যা করেছে ও পঙ্গু করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে
__._,_.___