Banner Advertiser

Tuesday, February 12, 2013

[mukto-mona] Fw: তিন মিনিটের স্তদ্ধতায় জেগে উঠলো দেশ গনজোয়ারে ভাসছে দেশ


----- Forwarded Message -----
From: SyedAslam <syed.aslam3@gmail.com>
To: Khobor <khabor@yahoogroups.com>; notun Bangladesh <notun_bangladesh@yahoogroups.com>; chottala@yahoogroups.com
Sent: Tuesday, February 12, 2013 10:18 AM
Subject: তিন মিনিটের স্তদ্ধতায় জেগে উঠলো দেশ গনজোয়ারে ভাসছে দেশ

তিন মিনিটের স্তদ্ধতায় জেগে উঠলো দেশ

এ এক প্রতিবাদী নিরবতা। নিরবতা যে কত বড় শক্তি তা দেখলো বাংলাদেশ দেখলো বিশ্ব। আজ বিকেল ৪টা থেকে তিন মিনিটের জন্য স্তদ্ধ হয়ে গেল শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকা। গোটা দেশেই নেমে এসেছিলো এই নিস্তব্ধতা।

শাহবাগের মঞ্চে নিরবতায় ছিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম, সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার প্রমুখ।

এদিকে ১৪ দল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কর্মুসচি পালন করে। মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা সচিবালয়ে, সংসদ সদস্যরা সংসদ চত্বরে, গার্মেন্টস শ্রমিক ও পরিবহন শ্রমিকরা, শিক্ষার্থীরা ক্লাস থেকে বেরিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যায়।

কর্সূচি অনুযায়ী বিকেল চারটায় একযোগে সারাদেশের মানুষ তিন মিনিটের জন্য জেগে ওঠে। 'যে যেখানে যে অবস্থায় ছিল না কেন বিকেল চারটায় তিন মিনিটের জন্য সব কাজ ফেলে দাঁড়িয়ে যান। আন্দোলনকারীরা সোমবার বিকেলে এভাবে সারাদেশের মানুষের প্রতি এই কমর্সূচি পালনের আহবান জানান।
http://www.bd-pratidin.com/?view=details&type=single&pub_no=1000&cat_id=1&menu_id=0&news_type_id=3&index=3

গনজোয়ারে ভাসছে দেশ
আজ তিন মিনিট দাঁড়িয়ে থাকবে বাংলাদেশ
বিশেষ প্রতিনিধি
শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গণঅবস্থানের সপ্তম দিন গতকালও ছিল মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ার। গণজোয়ারে যেন ভাসছে গোটা দেশ। শাহবাগের প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। জেলায় জেলায় এমনকি থানা পর্যায়েরও প্রতিবাদ সমাবেশ করছে বিক্ষুব্ধ জনতা। অনড় অবস্থানে দিনের পর দিন কাটাচ্ছেন রাজাকারমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে। প্রতিবাদে উত্তাল দেশবাসীর পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শহরগুলোতে জড়ো হয়ে মানবতাবিরোধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন।


শাহবাগে গতকাল সকাল থেকেই স্কুল-কলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থী স্লোগানে-মিছিলে উত্তাল করে রাখে প্রজন্ম চত্বর। গতকাল যেন ছিল শিক্ষার্থী প্রতিবাদ দিবস। আগের ছয় দিনে এত শিক্ষার্থী একযোগে শাহবাগে আসেননি। টানা ছয় দিন রাজপথে কাটালেও ক্লান্তিহীন কণ্ঠে আন্দোলনকারীরা স্লোগান, কবিতা, বক্তৃতায় সরব রাখেন গণজাগরণ মঞ্চ। সকালে স্কুল শিক্ষার্থীদের পর বিকালের অন্য দিনের মতো অফিসফেরত মানুষের ঢল নামে শাহবাগে।

এদিকে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪টা থেকে ৪টা ৩ মিনিট পর্যন্ত সারা দেশের মানুষ দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাবে। গতকাল সন্ধ্যায় উত্তাল আন্দোলনের প্রতিবাদী জনতার সামনে আহ্বায়ক ড. ইমরান এইচ সরকার এ ঘোষণা দেন। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মিছিলে-স্লোগানে উদ্দীপ্ত জনসমুদ্র স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন জানায়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোট তরুণদের ডাকা এ কর্মসূচি পালন করবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। 

গতকাল সকালে রূপসী বাংলা হোটেল থেকে শাহবাগ হয়ে মৎস্যভবন যাওয়ার পথটি পুলিশ খুলে দিলেও মানুষের চাপে পুলিশের উদ্যোগ ছাড়াই দুপুরের আগে রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যায়। অন্য দিনের মতোই বেলা যত বাড়ে, সময় যত গড়ায়, জনসমাগমও তত বাড়তে থাকে শাহবাগে। সকাল থেকে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে গিয়ে আন্দোলনকারীদের দাবির সঙ্গে একাত্দতা প্রকাশ করেন। বিশেষ করে সকাল ১০টার পর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী যোগ দেন আন্দোলনে।

দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন হুইল চেয়ারে করে এসে আন্দোলনে একাত্দতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সংগ্রাম শুরু হয়েছে অনেক আগে। আমিও আছি আপনাদের সঙ্গে। যে সংগ্রাম চলছে, তা অব্যাহত থাকুক।

আন্দোলনের শুরু থেকেই ক্লান্তিহীন স্লোগানে মুখরিত তারুণ্য দাবি জানিয়ে চলেছে রাজাকারদের ফাঁসি নিশ্চিত করার। তাদের কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে : 'তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা'; 'সাম্প্রদায়িকতার আস্তানা, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও'; 'পাকিস্তানের প্রেতাত্দা, পাকিস্তানেই ফিরে যা'; 'বাংলাদেশের মাটিতে জামায়াত-শিবিরের ঠাঁই নাই'; 'আর কোনো দাবি নাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই'; 'জামায়াতে ইসলাম, মেড ইন পাকিস্তান'। সর্বোপরি 'জয় বাংলা, জয় বাংলা' এসব স্লোগানে দিনভর মুখর থাকছে শাহবাগ। সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে বর্ণমালার স্লোগান। 'ক-তে কাদের মোল্লা_ তুই রাজাকার তুই রাজাকার'; 'ক-তে কামারুজ্জামান_ তুই রাজাকার তুই রাজাকার'; 'গ-তে গোলাম আযম_ তুই রাজাকার তুই রাজাকার'। এভাবে বর্ণমালার নতুন পাঠ শিখছে অভিভাবকের সঙ্গে শাহবাগে আসা শিশুরাও।

কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার রায় প্রত্যাখ্যান করে গত মঙ্গলবার বিকালে শাহবাগ মোড়ে এই বিক্ষোভের সূচনা করে ব্লগার ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ফোরাম। এরপর বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী এ আন্দোলনে যোগ দেন। বিভাগীয় শহর ছাড়াও জেলায় জেলায় গড়ে উঠেছে প্রতিবাদী জনতার জাগরণ মঞ্চ। তার পরও সারা দেশ থেকে মানুষ এসে সংহতি জানাচ্ছেন শাহবাগের গণজারণ মঞ্চে। গতকাল দুপুরে দেশের বৃহত্তম ঈদগাহ ময়দান কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার ইমাম আল্লামা ফরিদউদ্দিন মাসউদের নেতৃত্বে শতাধিক আলেমের একটি দল শাহবাগের আন্দোলন চত্বরে এসে সংহতি জানায়। এ সময় উপস্থিত আন্দোলনকারীদের নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি চেয়ে আল্লাহর দরবারে তিনি মুনাজাত করেন। এর আগে চিত্রনায়ক ফারুক, শিল্পী অপি করিম, দীপা খন্দকারসহ অনেকেই শাহবাগে এসে সংহতি প্রকাশ করেন।

সন্ধ্যা ৭টার দিকে গণজাগরণ মঞ্চে গিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দীন আহমেদ এমপি, সাবেক সভাপতি এ কে আজাদসহ ব্যবসায়ী নেতারা সংহতি প্রকাশ করেন। এ সময় জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ব্যবসায়ী নেতাদের অভিনন্দন জানান আন্দোলনকারীরা। সংহতি জানিয়ে কাজী আকরাম উদ্দীন আহমেদ বলেন, তোমরা এই যুদ্ধে জয়ী হবে এটাই প্রত্যাশা। এ জয় মানেই রাজাকারমুক্ত দেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণ।

শিক্ষার্থীদের জাগরণ : স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা গতকাল সকাল থেকেই মাতিয়ে রাখেন শাহবাগের গণজাগরণ চত্বর। রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গন থেকে দল বেঁধে আসেন তারা। মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি যে প্রজন্ম তারাই গতকাল কণ্ঠনালি ফুলিয়ে স্লোগান ধরেছে_ 'ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই'। ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই ছিলেন স্লোগানে এগিয়ে। স্কুলব্যাগ এক জায়গায় জড়ো করে গোল হয়ে নেচে নেচে, ঘুরে ঘুরে স্লোগান দেয় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তাদের চোখে-মুখে জ্বলছে প্রতিবাদের আগুন। শিক্ষকদের রাজি করিয়ে দল বেঁধে এসেছেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী। আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাই নোটিস দিয়ে সব শিক্ষার্থীকে শাহবাগে নিয়ে এসেছেন।

নানা রঙের স্কুল ড্রেস পরে গণজাগরণ চত্বরে এসেছেন তেজগাঁও কলেজ, গুলশান কলেজ, নবকুমার ইনস্টিটিউট, সেন্ট যোসেফ সেকেন্ডারি স্কুল, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রব পাবলিক কলেজ, নূর মোহাম্মদ রাইফেলস কলেজ, মুন্সী আবদুর রব রাইফেলস কলেজ, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বি এম শাহীন কলেজ, ইস্কাটন গার্ডেন গার্লস হাইস্কুল, প্রভাতি বিদ্যানিকেতন, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, ইস্কাটন গার্লস স্কুল, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ, নটর ডেম কলেজ, হলিক্রস কলেজ, বুয়েট, ঢাকা কলেজ, ধানমন্ডি হাইস্কুল, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ, রাইফেলস স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর ও টেঙ্টাইল বিশ্ববিদ্যালয়সহ অর্ধ শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বুয়েট ও মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা দলে দলে আন্দোলনে অংশ নেন। তাদের সবার একটিই দাবি_ 'চিহ্নিত সব যুদ্ধাপরাধীকে ফাঁসি দিতে হবে'। দুপুরে কলেজের ২০ জন শিক্ষকের নেতৃত্বে ১০টি ভাড়া বাসে আন্দোলনে যোগ দিতে আসেন ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ শিক্ষার্থীরা 'কাদের মোল্লার ফাঁসি চাই' স্লোগানে পুরো চত্বর প্রদক্ষিণ করেন। কলেজের এক শিক্ষার্র্থী রনি বলেন, 'কলেজের নোটিস বোর্ডে আগেই এ সমাবেশে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের জানানো হয়েছিল। বাঙালি হিসেবে আমরা সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করতে পেরে গর্ববোধ করছি।' শিক্ষার্থীদের অনেকেই জানান, আন্দোলন যত দিন চলবে প্রতিদিনই তারা অংশ নেবেন।

শোলাকিয়ার ইমামের মুনাজাত : দেশের বৃহত্তম ঈদগাহ ময়দান কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার ইমাম আল্লামা ফরিদউদ্দিন মাসউদের এক মুনাজাতে পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন_ 'হে আল্লাহ! তুমি জালিমদের সঙ্গে থেক না। যারা দেশের সঙ্গে বেইমানি করেছে, দেশের মানুষকে হত্যা করেছে, মা-বোনদের ইজ্জত নিয়েছে, তাদের সঙ্গে তুমি থেক না খোদা।' মুনাজাতে তিনি বলেন, 'যারা দেশের সঙ্গে, দেশের মানুষের সঙ্গে বেইমানি করেছে, আল্লাহ তুমি তাদের শায়েস্তা কর।' এর আগে সংহতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'হিটলারের নাৎসিবাদের মতোই ভয়ঙ্কর জামায়াত।' শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের ইমাম বলেন, 'সাত দিন ধরে এখানে যারা আন্দোলন করছে তাদের সঙ্গে দেশবাসীর দোয়া রয়েছে।'

১৯৭১ বর্গফুট ব্যানার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ শাহবাগ মোড়ের পশ্চিম প্রান্ত থেকে আজিজ সুপার মার্কেট পর্যন্ত বিশাল আকারের ব্যানার বিছিয়েছে। ১৯৭১ বর্গফুটের এ ব্যানারটি ঘিরে শিক্ষার্থীদের হাজারও রকমের মন্তব্য শোভা পাচ্ছে। ব্যানারটিতে লেখা হয়েছে_ '১৯৭১-এ পেরেছি, ২০১৩-তে পারব। সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হবেই। কারণ ১৯৭১-এর রেসকোর্স ময়দানই ২০১৩-তে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর।' বিশাল আকারের এ ব্যানারটি গণস্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

গণস্বাক্ষর : যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবিতে বারডেমের সামনে কয়েক দিন থেকেই মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের গণস্বাক্ষর সংগ্রহ চলছে। এতে ঢাকার আশপাশসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষও স্বাক্ষর দিচ্ছেন।

আজ তিন মিনিট সংহতির আহ্বান : শাহবাগে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলনে সংহতি জানাতে আজ সারা দেশে তিন মিনিট দাঁড়িয়ে সংহতি জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। গতকাল আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে সারা দেশের মানুষকে আহ্বান জানানো হয়েছে। বিকাল ৪টায় তিন মিনিটের জন্য যে যেখানে আছেন সেখানে দাঁড়িয়ে এ কর্মসূচি পালন করবেন। আহ্বান জানান ড. ইমরান এইচ সরকার। তিনি বলেন, যে যেখানে আছেন, কলে-কারখানায়, গাড়িতে, রাস্তায়, মঙ্গলবার বিকাল ৪টা থেকে ৪টা তিন মিনিট পর্যন্ত দাঁড়িয়ে যাবেন এবং যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে পুরো বাংলাদেশকে স্তব্ধ করে দেবেন। তার এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে শাহবাগে উপস্থিত হাজারও জনতা হাত উঁচু করে সাড়া দেন।

তিনি বলেন, রবিবার বিকালে জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে আমরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। এর ভিত্তিতে মহান সংসদ এবং প্রধানমন্ত্রী আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্দতা প্রকাশ করেছেন। পরে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক ডাকা হয় এবং সোমবার সকালে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে আইন সংশোধনের মাধ্যমে আইনের ফাঁকফোকর বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে যুদ্ধাপরাধীদের পার পাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। এতে আমাদের প্রাথমিক জয় হয়েছে। কিছু মিডিয়ার অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে আহ্বান জানান ইমরান। তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন যেভাবে আছে তেমনি চলবে।

দেশজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত : কাদের মোল্লাসহ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। তীব্র হয়ে উঠছে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে ঘৃণার আগুন। প্রতিবাদের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ বিভিন্নভাবে তাদের দাবি জানাচ্ছে। সাত দিন ধরে চলা এ আন্দোলন গতকালও কোথাও ভাটা পড়েনি, বরং যোগ হচ্ছে নতুন মাত্রা। এ গণজাগরণে আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সবাই অংশগ্রহণ করছে।

বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

চট্টগ্রাম : বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢোল বাদ্য নিয়ে জামালখান সড়ক ও প্রেসক্লাব চত্বরে সমবেত হয়। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে নতুন নতুন স্লোগানের মুখরিত হয়ে ওঠে পরিবেশ। বরিশাল : বিকাল থেকে নগরীর সদর রোডে একাত্তরের মঞ্চে শুরু হয় জাগরণের গান, কবিতা ও নাটকসহ বিভিন্ন আয়োজন। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সদর রোডে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবি জানায়। বিভিন্ন উপজেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি। সিলেট : শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নিয়ে ছাত্র-জনতা ও সংস্কৃতিকর্মীরা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে যোগ দেন। তাদের হাতে ছিল যুদ্ধাপরাধীদের ব্যঙ্গচিত্র অাঁকা ব্যানার-ফেস্টুন। রংপুর : বিকাল থেকে পাবলিক লাইব্রেরি মাঠের সামনে প্রজন্ম চত্বরে সমবেত হতে থাকে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। জাগরণী মঞ্চের সামনেই নির্মাণ করা হয় ফাঁসির মঞ্চ। এ মঞ্চে কাদের মোল্লাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে আটক রাজাকারদের ফাঁসি দেওয়া হয়। বগুড়া : সব যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শহরের সাতমাথায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। অবস্থান সমাবেশে জোট বেঁধে এসেছে তরুণ প্রজন্ম। সমাবেশে বক্তারা কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। কিশোরগঞ্জ : শহরের রংমহল চত্বরে ছাত্র-জনতা তৈরি করেছে বাঙালি চেতনা মঞ্চ। এ মঞ্চে প্রতিদিনই বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের ভিড় বাড়ছে। উপজেলায়ও মানববন্ধন, সমাবেশ, মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। দিনাজপুর : যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন, গণসংগীত, কবিতা পাঠের আসরসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। শিল্পকলা একাডেমীর সামনে নতুন প্রজন্মের ব্যানারে সমাবেশে শত শত ছাত্রছাত্রী ও বিভিন্ন পর্যায়ের তরুণ-তরুণী অংশগ্রহণ করে। গোপালগঞ্জ : সব যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গোপালগঞ্জও উত্তাল হয়ে উঠেছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে রাস্তায় নেমে এসেছে। প্রতিদিনই প্রজন্ম মঞ্চে মানুষের ভিড় বাড়ছে ও সংহতি প্রকাশ করতে ছুটে আসছে বিভিন্ন সংগঠন। ফেনী : যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে ফেনী কলেজ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করেছে। শিক্ষার্থীরা শপথপাঠ করে বিচার চলা পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। নীলফামারী : সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবিতে রাজপথ প্রকম্পিত করে রেখেছে নীলফামারীর উজ্জীবিত তরুণরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ : বঙ্গবন্ধু গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্দতা প্রকাশ করেছেন অধ্যক্ষ প্রফেসর সুলতানা রাজিয়া, দৈনিক চাঁপাই দৃষ্টির সম্পাদক এমরান ফারুক মাসুম, সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান ডলার, চাঁপাই প্রতিদিনের সম্পাদক মো. রফিকুল আলম, চাঁপাই গম্ভীরার নানা মাহবুবুল আলম প্রমুখ। জামালপুর : যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও গণসমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। পটুয়াখালী : সব যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে স্বাধীনতা নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার থেকে শহীদ আলাউদ্দিন শিশুপার্কে প্রতিদিন বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে প্রতিবাদ কর্মসূচি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া : যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে পৌর আধুনিক সুপার মার্কেটের পাশে জনতার মঞ্চে কর্মসূচি পালন করা হয়। মৌলভীবাজার : ঢাকার শাহবাগের মহাসমাবেশ থেকে জনতার আহ্বানে একাত্দতা ঘোষণা করে মৌলভীবাজার জেলার ৩ উপজেলায় দিগন্ত টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে ক্যাবল নেটওয়ার্কের পরিচালকরা। সিদ্ধিরগঞ্জ : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় সড়ক অবরোধ করে কাদের মোল্লার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। কেরানীগঞ্জ : কেরানীগঞ্জ উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধনে শতাধিক নারী-পুরুষ ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লাকার্ড নিয়ে অংশগ্রহণ করে। রূপগঞ্জ : ডেমরা তরুণ প্রজন্ম ও যুব সমাজের উদ্যোগে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। রূপগঞ্জ : রূপগঞ্জেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন আপামর জনতা। মুন্সীগঞ্জ : ফাঁসির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। ঝালকাঠি : যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। নেত্রকোনা : জেলা শহরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মাদারীপুর : যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সাধুর ব্রিজ নামক স্থানে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনগণ বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় তারা যুদ্ধাপরাধীদের কুশপুত্তলিকা দাহ করে।

নিউইয়র্কে প্রবাসীরা উদ্বেলিত, সমাবেশের শপথ : শাহবাগে রাতদিন অবস্থানকারীদের সমর্থনে রবিবার স্থানীয় সময় বিকালে (বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোর) নিউইয়র্কে ষষ্ঠদিনের মত নারী-শিশু-কিশোরসহ সব বয়েসী প্রবাসীর অভূতপূর্ব সমাগম ঘটে। নিউইয়র্কের ব্লগারদের এ সমাবেশেও 'প্রজন্ম একাত্তর'র প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন পেশার মানুষ। বাঙালি জড়ো হন জ্যাকসন হাইটসে ডাইভার্সিটি প্লাজায়। বাংলাদেশের বিরাট একটি জাতীয় পতাকার সামনে তারা দৃপ্ত প্রত্যয়ে শপথ নেন রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়ে। নিউইয়র্ক থেকে এনা

সুমনের নতুন গান 'শাহবাগে রাতভোর' : শাহবাগের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ওপার বাংলা থেকে ফের নতুন গানে সুর দিলেন কবির সুমন। শাহবাগের রাতভোর শিরোনামে আন্দোলনকারীদের উজ্জীবিত করতে, তরুণ প্রাণে আরও উদ্যম ও উৎসাহ ছড়াতে কবির সুমন নতুন এ গান নিয়ে এসেছেন। গত রবিবার রেকর্ড করা ওই গানটি শাহবাগের তরুণ প্রজন্মের জন্য গতকাল ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে পোস্ট করেছেন কবির সুমন। এর আগে 'গণদাবি' শিরোনামে একটি গান গেয়ে সুমন শাহবাগের তরুণদের সঙ্গে একাত্দতা প্রকাশ করেছিলেন।
http://www.bd-pratidin.com/?view=details&type=single&pub_no=1000&cat_id=1&menu_id=1&news_type_id=1&index=0