'মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাইরে আর কিছু নয়'
বাংলানিউজ টিম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: মোশারফ /বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম |
মিরপুর গণজাগরণ চত্বর থেকে: এদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাইরে আর কোনো চেতনা থাকবে না বলে মিরপুর সমাবশে ঘোষণা দিয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ডা. ইমরান এইচ সরকার।
সোমবার বিকেলে মিরপুর গোল চত্বরে গণজাগরণ সমাবেশে বক্তব্যকালে ডা. ইমরান একথা বলেন।
তিনি বলেন, "দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা আন্তর্জাতিক জঙ্গি নেটওয়ার্কের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মাহমুদুর রহমান টাকার জোরে সম্পাদক হয়ে মিথ্যাচার করে নাস্তিকতার বুলি সারা দেশে ছড়িয়েছেন। তিনি পাকিস্তানের নীল নকশায় আরো একটি পাকিস্তান- আফগানিস্তান বানাতে চান। কিন্তু তরুণ প্রজন্মের গায়ে এক ফোটা রক্ত থাকতে এ স্বপ্ন পূরণ হবে না। এদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাইরে আর কোনো চেতনা থাকবে না।"
সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় স্মারকলিপি নিয়ে তরুণ প্রজন্মের মিছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্যে যাবে বলে জানিয়েণে তিনি। আল্টিমেটামের সময় শেষ হওয়াতেও তাকে গ্রেফতার না করায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
জামায়াত-শিবির রোববারের হরতালে পাকিস্তান থেকে লোক ভাড়া করে এনেছে। তারা গ্রেফতার হয়েছে। পাকিস্তান থেকে উগ্রপন্থিদের ভাড়া করে এনে বাঙালিদের রক্তাক্ত করে তারা পাকিস্তানের তাবেদারী করে। দেশের চাল খেয়ে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করছে। জামায়াত-শিবিরকে সন্ত্রাসী সংগঠন উল্লেখ করে তিনি অবিলম্বে তাদের নিষেদ্ধের দাবি তোলেন।
জামায়াতের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক বর্জনের জন্য সকলকে আহ্বান জানিয়ে ডা. ইমরান বলেন, "ইসলামী ব্যাংক সন্ত্রাসীদের টাকা দেয়। আপনারা নয়া দিগন্ত, আমার দেশ, দিগন্ত টেলিভিশন বর্জন করুন। এসময় উপস্থিত সকলে হ্যা-সূচক জবাব দেয়।"
ইমরান বলেন, "আজকের সমাবেশ মহাসমাবশে রুপান্তরিত করেছেন। যারা শহীদ মিনারে হামলা, জাতীয় পতাকায় আগুন দিয়েছে, তারাই আমাদের চেতনা একুশের বই মেলায় আগুন দিয়েছে।"
জহির রায়হান ও কবি মেহেরুন্নেসাসহ অসংখ্য মুক্তিকামী মানুষকে খুন করেছে মিরপুরে কসাই কাদের মোল্লা। জহির রায়হান যেভাবে 'স্টপ জেনোসাইড' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তেমনি গণজাগরণ মঞ্চকে পৌঁছে দেবে দেশের আনাচে-কানাচে।
মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরের পাশে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং কমপ্লেক্সের কাছে অস্থায়ী মঞ্চে বিকেল সাড়ে তিনটায় জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়।
বিভিন্ন স্কুল-কলেজ থেকে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সাধারণ মানুষ জাতীয় পতাকা নিয়ে যোগ দেন সমাবেশে। এতে ছাত্রনেতারা বক্তব্য রাখেন। মঞ্চে ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুসহ স্থানীয়রা।
শাহবাগের অগ্নিকন্যা লাকী আকতারের স্লোগানে উজ্জীবিত হচ্ছে উপস্থিত গণজমায়েত।
সমাবেশ শুরুর আগেই আগারগাঁও থেকে মিরপুর-১০, মিরপুর-১০ নম্বর থেকে মিরপুর-১ নম্বর পর্যন্ত সড়কের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা।
একাত্তরে মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ৫ ফেব্রুয়ারি যাবজ্জীবন সাজার আদেশ দেয়। সেদিন বিকাল থেকেই শাহবাগের একদল তরুণ তার ফাঁসির দাবি করে আন্দোলন করে আসছে।
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ছাড়াও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনের ২১তম দিনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিরপুরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৩
আইএইচ/ইএস/এমআইএইচ/এমআইএস/সম্পাদনা: বেনু সূত্রধর, নিউজরুম এডিটর
সোমবার বিকেলে মিরপুর গোল চত্বরে গণজাগরণ সমাবেশে বক্তব্যকালে ডা. ইমরান একথা বলেন।
তিনি বলেন, "দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা আন্তর্জাতিক জঙ্গি নেটওয়ার্কের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মাহমুদুর রহমান টাকার জোরে সম্পাদক হয়ে মিথ্যাচার করে নাস্তিকতার বুলি সারা দেশে ছড়িয়েছেন। তিনি পাকিস্তানের নীল নকশায় আরো একটি পাকিস্তান- আফগানিস্তান বানাতে চান। কিন্তু তরুণ প্রজন্মের গায়ে এক ফোটা রক্ত থাকতে এ স্বপ্ন পূরণ হবে না। এদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাইরে আর কোনো চেতনা থাকবে না।"
সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় স্মারকলিপি নিয়ে তরুণ প্রজন্মের মিছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্যে যাবে বলে জানিয়েণে তিনি। আল্টিমেটামের সময় শেষ হওয়াতেও তাকে গ্রেফতার না করায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
জামায়াত-শিবির রোববারের হরতালে পাকিস্তান থেকে লোক ভাড়া করে এনেছে। তারা গ্রেফতার হয়েছে। পাকিস্তান থেকে উগ্রপন্থিদের ভাড়া করে এনে বাঙালিদের রক্তাক্ত করে তারা পাকিস্তানের তাবেদারী করে। দেশের চাল খেয়ে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করছে। জামায়াত-শিবিরকে সন্ত্রাসী সংগঠন উল্লেখ করে তিনি অবিলম্বে তাদের নিষেদ্ধের দাবি তোলেন।
জামায়াতের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক বর্জনের জন্য সকলকে আহ্বান জানিয়ে ডা. ইমরান বলেন, "ইসলামী ব্যাংক সন্ত্রাসীদের টাকা দেয়। আপনারা নয়া দিগন্ত, আমার দেশ, দিগন্ত টেলিভিশন বর্জন করুন। এসময় উপস্থিত সকলে হ্যা-সূচক জবাব দেয়।"
ইমরান বলেন, "আজকের সমাবেশ মহাসমাবশে রুপান্তরিত করেছেন। যারা শহীদ মিনারে হামলা, জাতীয় পতাকায় আগুন দিয়েছে, তারাই আমাদের চেতনা একুশের বই মেলায় আগুন দিয়েছে।"
জহির রায়হান ও কবি মেহেরুন্নেসাসহ অসংখ্য মুক্তিকামী মানুষকে খুন করেছে মিরপুরে কসাই কাদের মোল্লা। জহির রায়হান যেভাবে 'স্টপ জেনোসাইড' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তেমনি গণজাগরণ মঞ্চকে পৌঁছে দেবে দেশের আনাচে-কানাচে।
মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরের পাশে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং কমপ্লেক্সের কাছে অস্থায়ী মঞ্চে বিকেল সাড়ে তিনটায় জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়।
বিভিন্ন স্কুল-কলেজ থেকে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সাধারণ মানুষ জাতীয় পতাকা নিয়ে যোগ দেন সমাবেশে। এতে ছাত্রনেতারা বক্তব্য রাখেন। মঞ্চে ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুসহ স্থানীয়রা।
শাহবাগের অগ্নিকন্যা লাকী আকতারের স্লোগানে উজ্জীবিত হচ্ছে উপস্থিত গণজমায়েত।
সমাবেশ শুরুর আগেই আগারগাঁও থেকে মিরপুর-১০, মিরপুর-১০ নম্বর থেকে মিরপুর-১ নম্বর পর্যন্ত সড়কের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা।
একাত্তরে মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ৫ ফেব্রুয়ারি যাবজ্জীবন সাজার আদেশ দেয়। সেদিন বিকাল থেকেই শাহবাগের একদল তরুণ তার ফাঁসির দাবি করে আন্দোলন করে আসছে।
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ছাড়াও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনের ২১তম দিনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিরপুরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৩
আইএইচ/ইএস/এমআইএইচ/এমআইএস/সম্পাদনা: বেনু সূত্রধর, নিউজরুম এডিটর
__._,_.___