মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৩, ১৪ ফাল্গুন ১৪১৯
সিঙ্গাইরের সহিংসতার পেছনে জামায়াত বিএনপির ইন্ধন
মাইকে পুলিশের ওপর হামলার আহ্বান জানানো হয়
নিজস্ব সংবাদদাতা, মানিকগঞ্জ, ২৫ ফেব্রুয়ারি ॥ রবিবার মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামে সহিংস ঘটনায় এই গ্রামের কিছু জামায়াত-শিবির ও বিএনপি সদস্যদের ইন্ধন রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকার বিশিষ্টজনরা।
এ ঘটনায় দ্রুত বিচার আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশ দুটি ও এলাকার চারজন পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেছে। গ্রেফতারকৃত ১৫ জনকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে সোমবার আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গ্রেফতার আতঙ্কে গোবিন্দল গ্রাম পুরুষশূন্য। পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। হরতালের পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল হয়েছে মানিকগঞ্জ শহহে, সিংগাইর এলাকায় হরতালের পক্ষে মিছিল হয়েছে।
সিংগাইর উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান হান্নান জানান, স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ নেই সিগাইর ইউনিয়নের গোবিন্দল গ্রামে। নেই কোন হাইস্কুল, এই গ্রামের কিছু মুরব্বি মানুষ চায় না এই এলাকার ছেলে মেয়েরা উচ্চশিক্ষা, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হোক। এলাকায় একটি বড় মহিলা মাদ্রাসাসহ কয়েকটি বড় মাদ্রাসা রয়েছে। তিনি আরও জানান, রবিবারের ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের উস্কানি রয়েছে। ঘটনার সময় উস্কানিদাতারা ওই গ্রামের সকল মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা করা হয় পুলিশসহ একদল লোক মাদ্রাসা ভেঙ্গে ফেলার জন্য গ্রামের দিকে আসছে। ইসলাম রক্ষা, মাদ্রাসা রক্ষার জন্য আপনারা যার কাছে যা আছে তাই নিয়ে তাদের মোকাবেলা করার জন্য বেরিয়ে আসুন। এ কারণেই লোকজন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
সিংগাইর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল বাসার জানান, প্রায় ২৪ হাজার মানুষের বসবাস বিশাল এই গ্রামের প্রায় সবাই স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি। একজনও মুক্তিযোদ্ধা নেই এই গ্রামে। রবিবারের ঘটনায় এই গ্রামের কিছু জামায়াত-শিবির ও বিএনপি সদস্যদের ইন্ধন রয়েছে। যার কারণেই এই সহিংস ঘটনা ঘটে। চারজনের মৃত্যু হয়।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মাসুদ করিম জানান, ঘটনার আগের দিন সিংগাইর উপজেলার পাশের এলাকা দোহার, নবাবগঞ্জ সাভার এলাকা থেকে জামায়াত শিবিরের বেশ কিছু লোক এই এলাকায় এসে অবস্থান করে । রবিবার ভোরবেলা থেকেই তারা মাদ্রাসার ছাত্র ও এলাকার লোকজন নিয়ে গোবিন্দল নতুন বাজার ও কাশিমপুর বাজার এলাকার সিংগাইর-মানিকগঞ্জ সড়কে হরতালের সপক্ষে গাছের গুঁড়ি ও টায়ার ফেলে আগুন জালিয়ে দেয় এবং কিছু দোকানপাটে ভাংচুর চালায় । পুলিশ বাধা দিলেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ সুপার আরও জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে অতি দ্রুতই এর আসল নায়কদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার হরতালের শুরু থেকে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ইন্ধনে ইসলামপন্থী দলগুলোর সমর্থক ও মাদ্রাসাছাত্ররা সিংগাইরের কাশিমপুর বাজার গোবিন্দল নতুন বাজার এলাকায় মানিকগঞ্জ, সিংগাইর সড়কে গাছের গুঁড়ি ও টায়ার ফেলে আগুন জ্বেলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। এ সময় কাশিমপুর বাজার এলাকায় পিকেটারা জোর করে দোকানপাট বন্ধ ও কয়েকটি দোকান ভাংচুর করে। সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বলধরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মাজেদ খান এই কাজে বাধা দেন। এর কিছু পর পিকেটাররা সংঘবদ্ধ হয়ে আব্দুল মাজেদ খানের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার জের হিসেবে আওয়ামী লীগে
এ ঘটনায় দ্রুত বিচার আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশ দুটি ও এলাকার চারজন পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেছে। গ্রেফতারকৃত ১৫ জনকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে সোমবার আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গ্রেফতার আতঙ্কে গোবিন্দল গ্রাম পুরুষশূন্য। পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। হরতালের পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল হয়েছে মানিকগঞ্জ শহহে, সিংগাইর এলাকায় হরতালের পক্ষে মিছিল হয়েছে।
সিংগাইর উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান হান্নান জানান, স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ নেই সিগাইর ইউনিয়নের গোবিন্দল গ্রামে। নেই কোন হাইস্কুল, এই গ্রামের কিছু মুরব্বি মানুষ চায় না এই এলাকার ছেলে মেয়েরা উচ্চশিক্ষা, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হোক। এলাকায় একটি বড় মহিলা মাদ্রাসাসহ কয়েকটি বড় মাদ্রাসা রয়েছে। তিনি আরও জানান, রবিবারের ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের উস্কানি রয়েছে। ঘটনার সময় উস্কানিদাতারা ওই গ্রামের সকল মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা করা হয় পুলিশসহ একদল লোক মাদ্রাসা ভেঙ্গে ফেলার জন্য গ্রামের দিকে আসছে। ইসলাম রক্ষা, মাদ্রাসা রক্ষার জন্য আপনারা যার কাছে যা আছে তাই নিয়ে তাদের মোকাবেলা করার জন্য বেরিয়ে আসুন। এ কারণেই লোকজন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
সিংগাইর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল বাসার জানান, প্রায় ২৪ হাজার মানুষের বসবাস বিশাল এই গ্রামের প্রায় সবাই স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি। একজনও মুক্তিযোদ্ধা নেই এই গ্রামে। রবিবারের ঘটনায় এই গ্রামের কিছু জামায়াত-শিবির ও বিএনপি সদস্যদের ইন্ধন রয়েছে। যার কারণেই এই সহিংস ঘটনা ঘটে। চারজনের মৃত্যু হয়।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মাসুদ করিম জানান, ঘটনার আগের দিন সিংগাইর উপজেলার পাশের এলাকা দোহার, নবাবগঞ্জ সাভার এলাকা থেকে জামায়াত শিবিরের বেশ কিছু লোক এই এলাকায় এসে অবস্থান করে । রবিবার ভোরবেলা থেকেই তারা মাদ্রাসার ছাত্র ও এলাকার লোকজন নিয়ে গোবিন্দল নতুন বাজার ও কাশিমপুর বাজার এলাকার সিংগাইর-মানিকগঞ্জ সড়কে হরতালের সপক্ষে গাছের গুঁড়ি ও টায়ার ফেলে আগুন জালিয়ে দেয় এবং কিছু দোকানপাটে ভাংচুর চালায় । পুলিশ বাধা দিলেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ সুপার আরও জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে অতি দ্রুতই এর আসল নায়কদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার হরতালের শুরু থেকে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ইন্ধনে ইসলামপন্থী দলগুলোর সমর্থক ও মাদ্রাসাছাত্ররা সিংগাইরের কাশিমপুর বাজার গোবিন্দল নতুন বাজার এলাকায় মানিকগঞ্জ, সিংগাইর সড়কে গাছের গুঁড়ি ও টায়ার ফেলে আগুন জ্বেলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। এ সময় কাশিমপুর বাজার এলাকায় পিকেটারা জোর করে দোকানপাট বন্ধ ও কয়েকটি দোকান ভাংচুর করে। সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বলধরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মাজেদ খান এই কাজে বাধা দেন। এর কিছু পর পিকেটাররা সংঘবদ্ধ হয়ে আব্দুল মাজেদ খানের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার জের হিসেবে আওয়ামী লীগে
__._,_.___