Banner Advertiser

Tuesday, February 19, 2013

[mukto-mona] অপপ্রচারের বিরুদ্ধে অদম্য তারুণ্য !!!!!!



গতকাল পঞ্চদশ দিনেও শিক্ষক-শিক্ষার্থী-তরুণদের অংশগ্রহণে উত্তাল ছিল শাহবাগ। ছবি : কালের কণ্ঠ
1
¦
অপপ্রচারের বিরুদ্ধে অদম্য তারুণ্য আজিজুল পারভেজ ও নূরে আলম দুর্জয়
স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল শাহবাগ। গণজাগরণ মঞ্চে চলছে বিরামহীন গণ-অবস্থান কর্মসূচি। পঞ্চদশ দিনে এসেও একটুও গতি হারায়নি তারুণ্যের দ্রোহ; বরং গতকাল মঙ্গলবার তা আরো গতিময় ছিল। জামায়াত-শিবিরের ভয়ংকর মিথ্যাচার ও নোংরা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রজন্ম চত্বর গতকাল ছিল আরো লোকারণ্য। অদম্য প্রেরণায় চলছে মুহুর্মুহু স্লোগান, কবিতা আবৃত্তি আর প্রেরণার গান। এরই মধ্যে রাতে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে দেশবাসীর প্রতি ধর্মের নামে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। বলা হয়, 'জামায়াত-শিবিরের অর্থপুষ্ট কয়েকটি পত্রিকা গণজাগরণকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের জন্য অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।' রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ আহ্বান জানান গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার। তিনি বলেন, 'গণজাগরণ মঞ্চে ধর্মবিরোধী কর্মকাণ্ড হয়নি। ভবিষ্যতেও হবে না।'
গণজাগরণ মঞ্চে আসা মানুষের চোখ এখন আগামীকালের মহাসমাবেশের দিকে। সবারই জিজ্ঞাসা, কী আসতে পারে নতুন কর্মসূচি, এভাবে অবস্থান কর্মসূচি চলবেই বা আর কত দিন। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আন্দোলনের উদ্যোক্তা ও ছাত্রসংগঠনের নেতারা একের পর এক বৈঠক করে চলেছেন। নানা কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জানা গেছে, আন্দোলনকারীদের মধ্যে দুটি ভাবনা কাজ করছে। একটি হলো বিরামহীন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া। দ্বিতীয়টি হলো, বিরতি দিয়ে নতুন নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন জাগিয়ে রাখা। এ ক্ষেত্রে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করাসহ ঘোষিত দাবিনামা বাস্তবায়নে সরকারকে সময় বেঁধে দেওয়া হতে পারে। মহাসমাবেশের দিন সকালেই ঠিক হবে, কোন পথে যাচ্ছে আন্দোলনকারীরা। পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে বলেন, 'আন্দোলন চলছে, চলবে। দাবি পূরণ করেই আমরা ঘরে ফিরে যাব।'
গতকাল কর্মদিবসেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শাহবাগে বাড়তে থাকে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। ঝাঁজালো হতে থাকে রাজাকারবিরোধী স্লোগান। ঘোষণা আসতে থাকে, সারা দেশে সংগঠিত হচ্ছে মানুষ। গতকাল সকাল থেকে একটি গান বারবার বাজতে থাকে, 'এই পথ ছাড়বার নয়, এই পথ ছাড়বার নয়।'
মাঘের শেষে শীত কিছুটা জেঁকে বসেছে; কিন্তু স্লোগানের উত্তাপে তা যেন হাওয়া। খোলা আকাশের নিচে কুয়াশা আর শীতকে পাত্তাই দিচ্ছে না আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ জেগে আছে দিনরাত সমান তালে।
প্রজন্ম চত্বরের বিরামহীন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বিকেল ৪টা ১৩ মিনিটে সারা দেশে একযোগে শহীদদের প্রতি লেখা চিঠি বেলুনে উড়িয়ে দেওয়া হবে। পাকিস্তানি বাহিনী একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর ঠিক এই সময়ে আত্মসমর্পণ করেছিল। লাখো শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এই সময়টাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। আগামীকালের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকালে শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিকেল ৩টায় প্রজন্ম চত্বরে মহাসমাবেশ।
গতকাল বেশ কয়েকজন বরেণ্য মানুষের সংহতি প্রকাশে উজ্জীবিত হয় গণজাগরণ মঞ্চ। সন্ধ্যায় প্রজন্ম চত্বরে এসে সংহতি জানান বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, চলচ্চিত্রকার তানভীর মোকাম্মেল, ফুটবল তারকা আরিফ খান জয়, বিএমএ মহাসচিব ডা. ইকবাল আর্সলান, স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী মলয় গাঙ্গুলী প্রমুখ।
সংহতি জানিয়ে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, 'এ এক অভূতপূর্ব আন্দোলন। এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। আজকের তরুণ প্রজন্ম আরেকবার প্রমাণ করল, জাতির ক্রান্তিকালে তারাই দিকনির্দেশনা দিতে পারে। বায়ান্ন থেকে মুক্তিযুদ্ধ- তরুণরাই আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছে। একাত্তরে যারা মানবতার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে তাদের বিচার সম্পন্ন হয়নি। জাহানারা ইমাম বিচার চাইতে গিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহের অপবাদ নিয়ে মারা গেছেন। আজ তরুণরা জেগেছে। রাজাকারদের বিচার হবেই।'
চলচ্চিত্রকার তানভীর মোকাম্মেল বলেন, একাত্তরে যারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করে তরুণরা বসে থাকতে পারে না। যে অন্ধকার গহ্বর থেকে মনসার বাচ্চারা বের হচ্ছে সেসব নির্মূল করতে হবে। এ দেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের ঠাঁই নেই। যত দিন বিজয় অর্জিত না হবে তত দিন সংগ্রাম চালিয়ে যাব।
ফুটবলার আরিফ খান জয় বলেন, শুভেচ্ছা দেওয়ার মঞ্চ এটি নয়; এখন মরতে হবে, নইলে বিজয় অর্জন করতে হবে। এখান থেকে পেছনে ফেরার পথ নেই। মানুষ হয়ে জন্মেছি, পরাজিত হতে পারি না। যত দিন পর্যন্ত জাতি সন্তুষ্ট হবে না, তত দিন পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না।
অপপ্রচারের প্রতিবাদ গণজাগরণ মঞ্চে, উসকানিমূলক লেখা বন্ধ না করলে ব্যবস্থা
স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র শাহবাগের স্বতঃস্ফূর্ত জনতার গণজাগরণ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে প্রজন্ম চত্বর থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে ডা. ইমরান এইচ সরকার এ বিষয়ে একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাইকে। এতে বলা হয়, 'আজ ১৫ দিন ধরে প্রজন্ম চত্বরে গণজাগরণ মঞ্চে লাখ লাখ মানুষ একাত্তরের মানবতাবিরোধী দল ও অপরাধীদের বিচারের সুনির্দিষ্ট দাবিতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা স্লোগান দিচ্ছে। গলা ফাটিয়ে সুতীব্র চিৎকারে প্রকাশ করছে ৪২ বছরের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ। এখানে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্ম, মত ও আদর্শের মানুষ আসে। কেবল গণহত্যাকারী, খুনি, ধর্ষক, যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দোসররা ছাড়া দেশের সর্বস্তরের মানুষ আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ। এই গণজাগরণ মঞ্চ কোনো গোপন সমাবেশ নয়। চার দেয়ালে বন্দি কোনো কর্মযজ্ঞ নয়। এখানে কী হয় তা দেশের সব মানুষ দেখছে। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা আমাদের কার্যক্রম সম্প্রচার করছে দেশের সব টেলিভিশন চ্যানেল। সংবাদ প্রচার করছে দেশের সব জাতীয় সংবাদপত্র। মানবতাবিরোধী অপরাধী, যুদ্ধাপরাধী, গণহত্যকারীদের অর্থপুষ্ট কিছু সংবাদমাধ্যম শুরু থেকে জনগণের এই জাগরণ নিয়ে আপত্তিকর, মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্ভট কল্পকাহিনী প্রচার ও প্রকাশ করছে। রাজাকার-শয়তানের দোসর, মস্তিষ্কবিকৃত এসব অপসংবাদমাধ্যমকে বিক্ষুব্ধ জনতা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। ওরা ওদের গ্রহণযোগ্যতার শেষ বিন্দুটিও হারিয়ে ফেলেছে। ঘাতক ও গণহত্যাকারীদের দোসররা এ দেশে তাদের সর্বশেষ মরণকামড়টি দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসের অপব্যবহার করে 'শাহবাগে ইসলামবিদ্বেষের প্রতিবাদে গর্জে উঠুন' শিরোনামে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। অতীতেও আমরা দেখেছি, যখনই ধর্মব্যবসায়ীরা অস্তিত্বের সংকটে পড়ে তখনই মানুষের ধর্মানুভূতি ব্যবহার করে প্রিয় বাংলাদেশকে দোজখে পরিণত করার হিংস্র অপচেষ্টায় মেতে ওঠে। এ কাজটি ওরা একাত্তরেও করেছে। ধর্মের নামে ধর্মকে ব্যবহার করে এসব শয়তানেরা গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট জায়েজ করতে চেয়েছিল। কিন্তু জেগে উঠেছে জনতা। হায়েনার কুচক্র, ঘাতকের শয়তানি, দেশবিরোধীদের সব অপপ্রচার ভেসে যাবে দেশপ্রেমের জোয়ারে। দেশবাসীর প্রতি আমাদের অনুরোধ, আপনারা চোখ-কান খোলা রাখুন। সজাগ থাকুন। ধর্মের নামে কোনো ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। দেশের আলেমসমাজকে বলছি, শয়তানের প্রচারণায় প্ররোচিত হবেন না। গণজাগরণ মঞ্চে কেবল ইসলাম ধর্মই নয়, অন্য কোনো ধর্ম কিংবা মতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ কিংবা ঘৃণা উচ্চারিত হয়নি, হচ্ছে না, হওয়ার কোনো কারণ নেই। এই মঞ্চে যাবতীয় ঘৃণার উচ্চারণ যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে। মিডিয়ার প্রতি আমাদের অনুরোধ, এই গণজাগরণ মঞ্চের ছয় দফা দাবির বাইরে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন না। আমরা স্পষ্ট করে বলছি, ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। বাংলাদেশের মাটিতে, বাংলা মায়ের পবিত্র দেহে ধর্মান্ধ, মৌলবাদী, দেশবিরোধীদের একটি আঘাতও পড়তে দেব না। এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলছে, সংগ্রাম চলবে। জয় বাংলা।'
এর আগে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, 'জামায়াত সমর্থিত পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছে আন্দোলনরতরা নাকি কোরআন ও ইসলামকে কটূক্তি করে আন্দোলন করছে। এটা আন্দোলনরতদের বিরুদ্ধে চরম মিথ্যা অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়। এখানে আমরা সবাই সমান। এখানে উপস্থিত সবাই সব ধর্মের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।' তিনি বলেন, 'আমরা কোনো ধর্মকে খাটো করে দেখতে চাই না। আমরা জানি বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলমান। কিন্তু অন্য ধর্মের প্রতিও আমাদের কোনো বিদ্বেষ নেই। আমরা সমতা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।' তিনি বলেন, 'জামায়াত-শিবিরচক্র অপপ্রচার চালিয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই আন্দোলন যে ধর্মীয় বিদ্বেষপ্রসূত নয় তার প্রমাণ এই আন্দোলনের প্রতি দেশের বিশিষ্ট আলেমদের সমর্থন। একটি চক্র নবী ও ইসলাম সম্পর্কে কটূক্তি করে আন্দোলনকারীদের নামে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা ইসলামের শত্রু। তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকবেন।' এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়।
আরো সংহতি
গণজাগরণ মঞ্চের প্রতি সংহতি প্রকাশ অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও বিশিষ্টজন দলে দলে এসে সংহতি জানাচ্ছেন। তবে রাজনৈতিক পরিচয়ের ব্যক্তিদের বক্তব্যের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। গতকাল মঙ্গলবার সংহতি জানানোদের মধ্যে আরো রয়েছেন- আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, ব্যারিস্টার রফিক আহমেদ, জনতা ব্যাংকের পরিচালক অধ্যাপক মো. মঈনউদ্দিন, বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, ধানমণ্ডি গভর্নমেন্ট বয়েজ হাই স্কুল, বিএএফ শাহীন কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ কলেজ, আইডিয়াল ল্যাবরেটরি কলেজ, উত্তরা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বৈতালি বাস সমিতি, ভাঙ্গা থিয়েটার, ইউনিভার্সেল থিয়েটার, জাপান প্রবাসী মোহাম্মদ আবদুল হালিম মৃধা, চীন প্রবাসী রাজু প্রমুখ।


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___