Banner Advertiser

Monday, March 18, 2013

[mukto-mona] 'পার্বত্য মূষিকের' এই সন্ত্রাস দ্বারা কি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো যাবে?



কালান্তরের কড়চা'পার্বত্য মূষিকের' এই সন্ত্রাস দ্বারা কি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো যাবে?আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী

আজ মঙ্গলবার ১৯ মার্চ। বিএনপি কর্তৃক আহূত দুই দিনব্যাপী হরতালের দ্বিতীয় দিন। এই হরতালকে এখন আর হরতাল বলা চলে না। বলা চলে এলোপাতাড়ি সন্ত্রাস। হরতাল ডেকে জনগণের সমর্থন পাওয়া যাবে না। তাই হরতালের আগের দিন থেকেই শুরু করা হয় সন্ত্রাস। এবার জাতির জনকের জন্মদিবসের (১৭ মার্চ) প্রতিও কোনো প্রকার সম্মান দেখানো হয়নি। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে মিছিল-সমাবেশ ছাড়াই কিছু ক্যাডার অথবা ভাড়া করা দুর্বৃত্ত দ্বারা এই ভাঙচুর, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়। সোমবারও তারা একই ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু রবিবার রাত থেকেই বিজিবি মোতায়েন করায় তেমন সন্ত্রাস সৃষ্টি সম্ভব হয়নি।
রবিবারের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে কয়েকটি বাস পোড়ানোর পর প্রচার করা হয়েছিল, এটা জামায়াত-শিবির বা বিএনপি করেনি, সাধারণ দুর্বৃত্তদের কাজ। কিন্তু ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে এই সন্ত্রাসের বিস্তার লাভ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কৌশল দেখে কারো বুঝতে বাকি থাকেনি এই সন্ত্রাস কাদের এবং কারা এই দুর্বৃত্তদের নিয়োগ করেছে।
আন্দোলন ও হরতালের কোনো রাজনৈতিক চরিত্র এই সন্ত্রাসে নেই। এই সন্ত্রাসের চরিত্র ডাকাতির ও দস্যুবৃত্তির। গণসমর্থিত আন্দোলনের বা হরতালের রাজনৈতিক চরিত্র হলো শান্তিপূর্ণ, তাতে জনসাধারণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেয় এবং সরকারের ওপর দাবি আদায়ের জন্য বিরাট চাপ সৃষ্টি করে। ব্রিটিশ আমল এবং পাকিস্তান আমলেও আমরা এ ধরনের বিশাল বিরাট আন্দোলন-হরতাল দেখেছি। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে একুশে ফেব্রুয়ারির গুলিবর্ষণের পরদিন (২২ ফেব্রুয়ারি) শহীদদের গায়েবানা জানাজা শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের গেট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত বিস্তৃত বিশাল শোভাযাত্রা দেখেছি। কোনো সহিংসতা দেখিনি।
কখনো কখনো গণ-আন্দোলনে সহিংসতা ঘটেনি তা নয়, কিন্তু তা ছিল আত্মরক্ষামূলক। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আন্দোলনের চেহারা ছিল শান্তিপূর্ণ। বাংলাদেশে আন্দোলনকে সন্ত্রাসে পরিণত করেছে জামায়াত এবং তাতে এখন শরিক হয়েছে বিএনপি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদারদের গণহত্যায় শামিল হয়ে জামায়াত হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ প্রভৃতি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে হাতেখড়ি নেয়। এই হত্যা-সন্ত্রাসের রাজনীতি থেকে তারা আজ পর্যন্ত মুক্ত হতে পারেনি। জামায়াতের সঙ্গে দীর্ঘকালের রাজনৈতিক সহবতে বিএনপিও ধীরে ধীরে গণতান্ত্রিক চরিত্র হারিয়ে হুমকি-ধমকি ও সন্ত্রাসের রাজনীতিতে জামায়াতের দোসরে পরিণত হয়েছে। এখন কে কার অলংকার বোঝা মুশকিল- বিএনপি জামায়াতের, না জামায়াত বিএনপির।
কোনটি গণসমর্থিত আন্দোলন এবং কোনটি গণসমর্থনহীন সন্ত্রাস, তা বোঝা যায় প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলন এবং তার বিপরীতে জামায়াত ও বিএনপির বর্তমান কর্মকাণ্ডের পার্থক্য দেখে। প্রজন্ম চত্বরের সমাবেশ বিশাল ও শান্তিপূর্ণ। অন্যদিকে জামায়াতিদের সভা-সমাবেশ বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত এবং তৎপরতা আকস্মিক সন্ত্রাসের। পুলিশ হত্যা, বাসে আগুন লাগিয়ে যাত্রী হত্যা, সাধারণ নাগরিকের গাড়ি ভাঙচুর করা, সন্ত্রাসের জন্য মসজিদ ব্যবহার, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে আগুন লাগানো ইত্যাদি কোনো গণ-আন্দোলনের চরিত্র হতে পারে না।
জামায়াতের এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য যেসব পশ্চিমা দেশ দলটিকে মডারেট ও ডেমোক্রেটিক মুসলিম দল মনে করত, তারাও এখন দলটি সম্পর্কে তাদের মত পাল্টেছে। একটি ফরাসি এবং একটি ব্রিটিশ দৈনিকে বাংলাদেশের জামায়াতকে স্পষ্ট ভাষায় একটি টেররিস্ট পার্টি এবং তাদের তৎপরতাকে 'টেররিস্ট অ্যাক্টিভিটিজ' বলে উল্লেখ করেছে। এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দ্বারা জামায়াত (সঙ্গে দোসর বিএনপি) দেশের মানুষের সমর্থন হারিয়েছে এবং বিদেশের মাটিতে দুর্নাম কুড়াতে শুরু করেছে।
পরিস্থিতির বাস্তবতা উপলব্ধি করে এবং তাদের সৃষ্ট সন্ত্রাসেই অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যুর পরও জনগণের একাংশেরও সমর্থন বা সহানুভূতি অর্জনে ব্যর্থ হয়ে জামায়াত সন্ত্রাস সৃষ্টিতে নতুন কৌশল গ্রহণ করেছে। গত রবিবার (১৭ মার্চ) ঢাকায় মতিঝিল এলাকায় বাস পোড়ানোর ঘটনায় তাদের এই কৌশলটি ধরা পড়েছে। এখন ছোটখাটো মিছিল-সমাবেশ ডেকে, নিজেদের পরিচয় বিজ্ঞাপিত করে এরা আর সন্ত্রাস চালাতে সাহস পাচ্ছে না। ডাকাতরা যাত্রী সেজে যেমন গয়নার নৌকায় ঢোকে, তারপর সুযোগ বুঝে ছদ্মবেশ খুলে যাত্রীদের ওপর হামলে পড়ে এবং তাদের যথাসর্বস্ব লুট করে, তেমনি গত রবিবার মতিঝিলে সাত-আটজন জামায়াত ক্যাডার অথবা বিএনপির ভাড়াটিয়া যুবক ক্রিকেট প্লেয়ারের বেশ ধরে একটি যাত্রীবাহী বাসে যাত্রী হিসেবে ওঠে এবং তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এটা কি কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন, না জঘন্য দস্যুবৃত্তি? এটাকে তো ব্রিটিশ আমলের রাজনৈতিক ডাকাতিও বলা চলবে না। এটা জননিন্দিত ঘৃণ্য সন্ত্রাস।
এই সন্ত্রাস মোকাবিলায় হাসিনা-সরকারের কৌশল ও নীতিকে আমি প্রশংসা করি। যদিও জানি, অনেকে হয়তো আমার সঙ্গে সহমত পোষণ করবেন না। সম্ভবত সরকারের এই কৌশলটি হচ্ছে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, সামরিক বাহিনীকে মাঠে নামানো এবং ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ক্যাডারদের সন্ত্রাস মোকাবিলায় ব্যবহার করা ছাড়াই পুলিশ, র‌্যাব এবং স্বাভাবিক প্রশাসনিক শক্তি দ্বারাই এই সন্ত্রাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা।
সরকার যদি ধৈর্য ও সহনশীলতা হারাত, তাহলে জামায়াত-শিবির এবং তাদের দোসর বিএনপি তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের একটা যৌক্তিকতা জনগণের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা চালাত। বলত, সরকারের বর্বর দমননীতির মুখে সহিংস পন্থায় আত্মরক্ষা ছাড়া আমাদের উপায় ছিল না। এখন এ কথা বলার উপায় তাদের নেই। এখন দেশের মানুষ দেখছে, জামায়াতিদের দমনের জন্য সরকার প্রয়োজনের অতিরিক্ত একটুও শক্তি প্রয়োগ করছে না। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সমর্থকরা কারণে-অকারণে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। তাদের ডাকা হরতালের দিনের বাইরেও (যেমন গত রবিবার) তারা আকস্মিকভাবে সন্ত্রাসে নেমেছে এবং সাধারণ মানুষের ধনসম্পত্তি ধ্বংস করেছে। জানা যায়, এক দিনে (রবিবার) তারা ২৪টি বাস পুড়িয়েছে।
এই সন্ত্রাস এতটাই জঘন্য ও নিন্দনীয় অপরাধ যে দেশের যেসব বুদ্ধিজীবী সাধারণত নিরপেক্ষ বলে পরিচিত, তাঁরা জোট বেঁধে ঢাকায় বৈঠক করে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে দাবি জানাতে বাধ্য হয়েছেন। এই দাবি এখন সারা দেশের মানুষের। এই দাবির মুখে এবং দেশ-বিদেশে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর জামায়াত এখন তাদের সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর নতুন কৌশল গ্রহণ করেছে।
তাদের ক্যাডাররা এখন জামায়াত-শিবির, হিযবুত প্রভৃতি নামের বদলে হেফাজতে ইসলাম এই ছদ্ম নামের আড়ালে তাদের তস্করবৃত্তি চালাচ্ছে। সম্ভবত ভাবছে, খোলস পাল্টানোর ফলে সন্ত্রাসের সব দায় হেফাজতে ইসলাম নামে একটি কাল্পনিক সংগঠনের ঘাড়ে গিয়ে পড়বে। ফলে জামায়াত-শিবিরকে সন্ত্রাসের জন্য কেউ সরাসরি দায়ী করতে পারবে না। সরকারও জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার কারণ দেখাতে পারবে না। কিন্তু বাংলার মানুষকে জামায়াতিরা যত বোকা মনে করে তারা তা নয়। ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই তথাকথিত হেফাজতে ইসলামের নাম হয়ে গেছে হেফাজতে জামায়াত।
সন্দেহ নেই, বাংলাদেশের জামায়াত একটি ধর্মীয় ফ্যাসিবাদী দল। ফ্যাসিবাদীদের চরিত্র কী? এ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলেন, ফ্যাসিস্টরা নৃশংস সন্ত্রাসী হয় এবং মিথ্যা প্রচারে তাদের জুড়ি মেলা ভার। জার্মানিতে হিটলারের ফ্যাসিস্ট দল ধর্মীয় ফ্যাসিস্ট দল ছিল না; ছিল রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদী দল। কিন্তু খুন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন নৃশংসতায় তাদের কোনো জুড়ি ছিল না। মিথ্যা প্রচারে তারা ছিল অদ্বিতীয়। বাংলাদেশের জামায়াতিদের চরিত্রে এই দুটি গুণই জার্মানির নাৎসি দলের মতোই প্রকট। ১৯৭১ সালের গণহত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যায় শরিক হওয়ার পর ৪০ বছর ধরে বাংলাদেশের জামায়াত হত্যা, খুন ও মিথ্যাচারে একেবারে শীর্ষস্থানের দল। তার প্রমাণ তারা এখনো দিচ্ছে। সে জন্য পবিত্র ইসলামের অবমাননা করতেও তাদের বিবেকে বাধছে না।
সম্প্রতি মক্কার কাবা শরিফের গিলাফ (চাদরের আচ্ছাদন) বদলানো হয়েছে। কাবা শরিফের ইমাম সাহেব তাঁর সহকারীদের নিয়ে এ কাজ সারতে গিলাফ নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। বাংলাদেশের জামায়াতি ব্লগাররা সারা দেশে ছড়িয়েছে, তাদের দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এত বড় 'ওলামায়ে দ্বীন' যে তাঁর মৃত্যুদণ্ড রদের দাবিতে কাবা শরিফের ইমাম সাহেব মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছেন। এত বড় মিথ্যাচার কোনো মুসলমানের পক্ষে করা সম্ভব নয়। প্রথমত, এতে পবিত্র কাবা শরিফের অবমাননা করার চেষ্টা হয়েছে, পবিত্র ঘরের ইমামের নামে মিথ্যাচার করা হয়েছে এবং ইসলাম ধর্মেরও অবমাননা করা হয়েছে। একই মিথ্যা প্রচার করা হয়েছে তুরস্কসহ আরো একটি দেশে সাঈদীর দণ্ড মওকুফের দাবিতে 'বিশাল সমাবেশ' হয়েছে এই বানোয়াট খবর ছড়ানো দ্বারা। ঢাকার 'ডেইলি স্টার' কাগজকে ধন্যবাদ। তারা জামায়াতিদের এই জঘন্য মিথ্যা প্রচারটি যথাসময়ে পাঠকদের কাছে তুলে ধরেছে।
জামায়াত-বিএনপি শিবির থেকে অনবরত ঢোল পেটানো হচ্ছে, প্রজন্ম চত্বরের সমর্থক ব্লগাররা নাস্তিক। তারা ধর্ম ও মহানবী (সা.)-এর বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়াচ্ছে। এই ব্লগাররা তা দৃঢ়তার সঙ্গে অস্বীকার করেছে। এখন প্রশ্ন, জামায়াতি ব্লগাররা যা করছে, ১৯৭১ সালের এক ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধী এবং মানবতার শত্রুকে আদালতের দেওয়া শাস্তি থেকে রক্ষার জন্য যেভাবে ইসলাম, মহানবী (সা.), এমনকি কাবা শরিফ এবং তার খতিবের নাম ব্যবহার করছে, তা কি এই পবিত্র ধর্মের সবচেয়ে বড় অবমাননা নয়? এ সম্পর্কে বাংলাদেশের প্রকৃত আলেমরা কী বলেন? তাঁদের তো মুখ খোলার সময় হয়ে গেছে।
রবিবার ও সোমবার চলেছে বাস পোড়ানোর সন্ত্রাস। মঙ্গলবারও তাই চলবে মনে হয়। একমাত্র রাজশাহীতে জামায়াতিরা পুলিশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষে লিপ্ত হতে সাহসী হয়েছিল। তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে বেশি বেগ পেতে হয়নি। বিএনপিও জামায়াতের এই তস্করবৃত্তি জনগণকে ভীত করার পরিবর্তে এখন ধীরে ধীরে সাহসী করে তুলছে। বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়ার রণংদেহি মূর্তিতে দুই দিন হরতাল ডাকা (আরো একটি হরতাল দলের ঢাকা জেলা শাখা ডেকেছে) মুন্সীগঞ্জ ও মানিকগঞ্জে জামায়াতিদের সমর্থনে জঙ্গি বক্তৃতাদান কোনো কাজে আসেনি। রবিবার ও সোমবার ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র গাড়ি, বাস আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে কিছু কম চললেও কোথাও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা তেমন ব্যাহত হয়নি।
জামায়াতি সন্ত্রাসের সঙ্গে এখন বিএনপির সন্ত্রাস যুক্ত হয়েছে। কিন্তু এই সন্ত্রাস দ্বারা যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তি ঠেকানো বা সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব হবে না এটা বুঝতে পেরেই বিএনপির অনেক আদি ও বুদ্ধিমান নেতা বেগম জিয়া যে 'ম্যাডাম ডনকুইকজোটের' ভূমিকা হালে গ্রহণ করেছেন তা থেকে নিজেদের দূরে রেখেছেন। বেগম জিয়া একাই দেশময় তলোয়ার ঘুরিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিশাল এবং ঐতিহাসিক অভ্যুদয় এবং তার শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধের মুখে তার এই বাক্য-সন্ত্রাসের তলোয়ার অল্প দিনেই যে ভেঙে দুই টুকরো হবে, তা হয়তো এখনো তাঁর উপলব্ধির বাইরে।
জামায়াতের সন্ত্রাস, বিএনপির হরতাল দ্বারা যে ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো যাবে না এটা এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। জনগণ জাগ্রত। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সোমবারের জনসমাবেশই তার প্রমাণ। তবে এই সন্ত্রাস জনজীবনে কিছুদিন হয়তো দুর্ভোগ সৃষ্টি করবে। কিন্তু জনসাধারণ সে জন্য প্রস্তুত। যুদ্ধাপরাধীদের চূড়ান্ত শাস্তি দেখার জন্য তারা ঐক্যবদ্ধ এই শান্তিপূর্ণ অথচ সংকল্পবদ্ধ জনপ্রতিরোধের মুখে পরাস্ত হবেই। সেদিনটি দূরে নয়, যেদিনটিতে বাংলাদেশ জামায়াতি রাজনীতির অভিশাপ থেকে স্থায়ীভাবে মুক্ত হবে।
লন্ডন ১৮ মার্চ, সোমবার, ২০১৩
http://www.kalerkantho.com/index.php?view=details&type=gold&data=news&pub_no=1186&cat_id=2&menu_id=20&news_type_id=1&index=0



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___