----- Forwarded Message -----
From: SyedAslam <syed.aslam3@gmail.com>
To: Khobor <khabor@yahoogroups.com>; notun Bangladesh <notun_bangladesh@yahoogroups.com>
Sent: Wednesday, April 10, 2013 7:31 AM
Subject: অচিরেই প্রধান বিরোধী দল নিস্তেজ হয়ে পড়বে - মে. জে. আমীন আহম্মদ চৌধুরী
From: SyedAslam <syed.aslam3@gmail.com>
To: Khobor <khabor@yahoogroups.com>; notun Bangladesh <notun_bangladesh@yahoogroups.com>
Sent: Wednesday, April 10, 2013 7:31 AM
Subject: অচিরেই প্রধান বিরোধী দল নিস্তেজ হয়ে পড়বে - মে. জে. আমীন আহম্মদ চৌধুরী
অচিরেই প্রধান বিরোধী দল নিস্তেজ হয়ে পড়বে
মে. জে. আমীন আহম্মদ চৌধুরী
আহমদ সেলিম রেজা
সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) আমীন আহম্মদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধান বিরোধী দলের বোঝা উচিত, বিগত কয়েক সপ্তাহের মারদাঙ্গা মিছিলসহ সব সন্ত্রাসী কার্যকলাপ জামায়াত-শিবির ভাড়া করা লোক দিয়ে করিয়েছে। বর্তমান প্রজন্মের জামায়াতরা পর্যন্ত পূর্বসূরিদের ঘৃণ্য অপরাধের বোঝা কাঁধে নিয়ে তাদের বর্তমানকে নষ্ট করতে চাইছে না। তাদের জন্য সে সুযোগ সৃষ্টি না করে জামায়াতের পাকিস্তান আমলের বস্তাপচা রাজনীতি করার জন্য প্রধান বিরোধী দল নেতা-কর্মীদের মাঠে নামিয়েছে। নিজেদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির রাস্তা খুলে দিয়েছে। এতে করে অচিরেই প্রধান বিরোধী দল গতি হারিয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়বে। তাদের অনতিবিলম্বে কোরামিন ইনজেকশন পুশ প্রয়োজন হবে। বর্তমান রাজনৈতিক সংকট, সহিংসতা ও যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে আমীন আহম্মদ চৌধুরী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সংসদে না গিয়ে রাজনীতিকে রাস্তাঘাটে, মন্দির, প্যাগোডা, মাদ্রাসা ও মসজিদে নিয়ে যাওয়া জাতির জন্য কখনোই মঙ্গল বয়ে আনবে না। সচেতন মানুষ চাইবে দেশে গণতন্ত্রমনা শক্ত বিরোধী দল থাকুক। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল হিসেবে রাজনৈতিক দর্শনহীন একটি মারদাঙ্গা টাইপের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি জড়িত দলের উত্থান ঘটুক, তা জনগণের একেবারেই কাম্য নয়। হরতালের নামে রাজনৈতিক দলের ভাড়াটে লোকজন যেভাবে সম্পদ হরণ ও বিনষ্ট করছে, আইন হাতে নিয়ে মানুষ হত্যা, এমনকি পুলিশ হত্যা ও পাশবিক নির্যাতন করছে, তা অচিরেই জাতির জন্য মহা দুর্যোগ বয়ে আনবে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব সচেতন নাগরিক এ ধরনের ন্যক্কারজনক নাশকতামূলক কার্যক্রম ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে। হয়ে উঠবে প্রতিবাদী। যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রসঙ্গে সাবেক এই জেনারেল বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অপরাধীরা আজ বিচারের সম্মুখীন। তাদের সমুচিত শাস্তি দিতে না পারলে এ দেশে কোনো দিন সুশাসন বা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না। এদের শাস্তি দেওয়ার মাধ্যমে এই বার্তাটা সর্বস্তরে পেঁৗছে যাবে, অপরাধ করে পার পাওয়া যাবে না। তা না হলে বাংলাদেশের দুই প্রধান দল রাজনীতিতে গত ২০ বছরের অধিককাল দুর্বৃত্তায়নকে যেভাবে প্রশ্রয় দিয়ে আসছে, এ থেকে বের হয়ে আসতে পারবে না। মে. জে. (অব.) আমীন একাত্তরের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৬ জুন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমার ৮৪ বছরের পিতামহসহ অপর পাঁচ নিকটাত্দীয়কে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে। শুধু মুক্তিযোদ্ধা আমীনের আত্দীয় ছিলেন বলেই তাদের হত্যার শিকার হতে হয়েছিল। সরকার পাকিস্তানি দোসরদের এত দিন পর হলেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। সে জন্য অনেক ভুল-ভ্রান্তি থাকা সত্ত্বেও বর্তমান সরকার অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। জেনারেল আমীন আহম্মদ চৌধুরী বলেন, জামায়াত-শিবিরের ঘৃণ্য অপরাধীদের শাস্তি সত্বর বাস্তবায়ন হলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে বর্তমান প্রজন্মের জামায়াত-শিবির কর্মীরা, যারা বাংলাদেশের সংবিধান মেনে রাজনীতি করতে চাইবে। বরং সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই আগামী নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দাবার ঘুঁটি তাদের সাজাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন সম্পর্কে সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, এ চত্বরই প্রথম শক্ত আওয়াজ তুলেছিল। জানতে চেয়েছিল, কাদের মোল্লার ফাঁসি হলো না কেন? আইনের এতগুলো ফাঁক কেমন করে রয়ে গেল? অথচ প্রধান বিরোধী দল এসব বিষয় নিয়ে তেমন মাথা ঘামাল না। যদিও তাদের দলে নামকরা ব্যারিস্টারের সংখ্যা একেবারে কম নয়। তবে প্রাথমিকভাবে শাহবাগ চত্বরে যে নিম্নচাপ ঘনীভূত হতে চাইছিল, তা নানা মুনির নানা মতের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সংকট থেকে বেরিয়ে আসার উপায় নিয়ে আমীন আহম্মদ চৌধুরী বলেন, চলমান রাজনৈতিক বিপর্যয় থেকে উদ্ধার পেতে হলে সরকারি দলের উচিত কোনো ইস্যুকে কচলিয়ে একেবারে তেতো না বানানো। তিনি একটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাব করে বলেন, নিরপেক্ষ, অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তাই নির্বাচন কমিশন, বিশেষ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে হতে হবে ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, আইনজ্ঞ, দক্ষ প্রশাসক ও সাহসী। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মন্ত্রীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এ ছাড়া সামরিক আইন মোতাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধান দিয়ে কমান্ড করা। প্রয়োজনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে ৫০ শতাংশ সার্ভিং কর্মকর্তা ও কর্মচারী তিন বাহিনী থেকে অন ডেপুটেশনে নিয়োগ দেওয়া। তবে সেক্রেটারি সিভিল সার্ভিস থেকে হতে হবে।
__._,_.___