Banner Advertiser

Sunday, May 26, 2013

[mukto-mona] তারেক রহমানকে গ্রেফতারের জন্য ॥ ইন্টারপোলে পরোয়ানা !!!!



তারেক রহমানকে গ্রেফতারের জন্য ॥ ইন্টারপোলে পরোয়ানা
০ মানিলন্ডারিং মামলার কোর্ট থেকে আদেশ
০ মামলার বাদী দুদক, এফবিআই, থানা কর্মকর্তা ও সোনালী ব্যাংক
স্টাফ রিপোর্টার ॥ খালেদা জিয়ার বড় ছেলে, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতার করে দেশে ফিরিয়ে আনতে পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা অর্থ পাচার মামলায় এ আবেদন জানানো হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোজাম্মেল হক রবিবার আবেদনটি মঞ্জুর করেন। 
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রাজনৈতিক বলে দাবি করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু। তারেক রহমান চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরবে বলে জানান তিনি। পলাতক তারেক রহমানকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে বিচার কাজে সহয়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। অন্যথায় আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ইন্টারপোলের সহায়তা নিয়ে বিচারকাজ করা হবে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেছেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ক্ষেত্রে দুদকের কোন পক্ষপাতিত্ব ছিল না। দুদকের কাছে সকল অপরাধী সমান বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এইটি একজন অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া মাত্র।
দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আদালতের কাছে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন দুদকের আইনজীবী। সংস্থাটির পক্ষে আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আবেদনটি করেন। আবেদনে বলা হয়, অর্থ পাচার মামলার দুই আসামির মধ্যে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন বর্তমানে কারাগারে আছেন। তারেক রহমান শুরু থেকে পলাতক।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন আদালতকে বলেন, 'তারেক রহমান বর্তমানে যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরে অবস্থান করছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে। দেশে থাকা তারেক রহমানের আত্মীয়স্বজন বিষয়টি অবগত আছেন। ২০১১ সালে তারেকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি ও মালামাল জব্দের পরোয়না জারি করা হয়। একই বছরের ৮ আগস্ট আদালতে হাজির হতে তার বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও দেয়া হয়। এরপরও আদালতে হাজির হননি তিনি। এ কারণে ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের পরিদর্শক মীর আলিমুজ্জামান তারেক রহমান ও তার বন্ধু ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে ঘুষের টাকার অভিযোগ পেশ করেন। এর ওপর ভিত্তি করে অভিযোগ অনুসন্ধানে সে সময়ের সহকারী পরিচালক বর্তমান উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেন। তিনি ২০০৯ সালের ২২ জুন অনুসন্ধান প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেন। কমিশনের অনুমতিক্রমে একই বছরের অক্টোবর মাসের ২৬ তারিখে রাজধানীর ক্যান্টেমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৮। মামলাটি তদন্তও করেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তিনি ২০১০ সালের ৩১ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেন। দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। সর্বশেষ ৯ মে মামলার দশম সাক্ষীর সোনালী ব্যাংকের ক্যান্টেমেন্ট কর্পোরেট শাখার নির্বাহী কর্মকর্তা বিভুতি ভূষণ সরকারের জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়। এর আগে আরও নয় সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয় আদালত। তারা হলেন, মামলার বাদী দুর্নীতি দুদকের সহকারী পরিচালক মোঃ ইব্রাহীম, মামলার রেকর্ড কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এজেন্ট ডেবরা লেপরোভেট, ধোবাউয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর আলীমুজ্জামান, গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন, নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানির চেয়ারপার্সন খাদিজা ইসলাম, পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদ করিম, সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার সৈয়দ এহসানুল হাফিজ ও সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ নজরুল ইসলাম।
তদন্তে ও সাক্ষ্য প্রমাণে দেখা যায়, সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকের ক্যাপিটাল স্কয়ার শাখায় মোঃ গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ২০০৩ সালে নিজ নামে একটি ব্যাংক হিসাব খোলেন। হিসাব নম্বর ১৫৮০৫২, ম্যাক্সি সেভ হিসাব নম্বর ০-১৫৮০৫২-০০৮ এবং সিটি একসেস হিসাব ০-১৫৮০৫২-০১৬। টঙ্গীর ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ লাভের আগ্রহী নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাদিজা ইসলামের নিকট চাঁদা দাবির প্রেক্ষিতে তিনি তার সিঙ্গাপুরের ওসিবিসি ব্যাংক হিসাব থেকে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের হিসাবে ৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার টিটির মাধ্যমে জমা দেন। হংকংয়ের কাউলনের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক থেকে হোসাফ গ্রুপের মোয়াজ্জেম হোসেন এক কোটি এক লাখ ৬৭ হাজার মার্কিন ডলার জমা করেন। একই ব্যাংক হিসাবে মেয়ার সাইরী ৪ লাখ ২০ হাজার ৫৬৬ মার্কিন ডলার মেরিনা জামান ৩ হাজার মার্কিন ডলার জমা করেন। ২০০৭ সাল পর্যন্ত গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের ওই ব্যাংক হিসেবে জমা পড়ে ২ কোটি ৭৭ লাখ ৮ হাজার ৯৭০ মার্কিন ডলার। ২০০৩ সালে থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত এ ব্যাংক হিসাব থেকে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের নামে ইস্যুকৃত গোল্ড ভিসা কার্ডের মাধ্যমে ৭৯ হাজার ৫৪২ দশমিক ৭৮ মার্কিন ডলার খরচ করা হয়। কার্ড নম্বর ৪৫৬৮-৮১৭০-০০০৬-৪১২৪। একই ব্যাংক হিসাব থেকে তারেক রহমানের নামে ইস্যুকৃত সাপ্লিমেন্টারি গোল্ড ভিসা কার্ডের মাধ্যমে ৫৪ হাজার ৯৮২ দশমিক ৪২ মার্কিন ডলার খরচ করা হয়। কার্ড নম্বর ৪৫৬৮-৮১৭০-১০০৬-৪১২২। গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের সিঙ্গাপুরের ব্যাংক হিসাব থেকে ২০০৭ সালের জুন মাসের ১১ তারিখে বাকি টাকা তার সোনালী ব্যাংক কর্পোরেট শাখার ৩৪৪৫০৫৪৬-এ হিসাব নম্বরে জমা করা হয়। বাংলাদেশী মুদ্রায় ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ দশমিক ২৮ টাকা। 
দুদক চেয়ারম্যানের বক্তব্য ॥ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান গোলাম রহমানকে গণমাধ্যম কর্মীরা প্রশ্ন করেন সরকারী দলের সাম্প্রতিক বক্তব্যের সঙ্গে দুদক আবেদনের মিল দেখা যাচ্ছে। এর জবাবে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ক্ষেত্রে দুদকের কোন পক্ষপাতিত্ব ছিল না। তিনি বলেন, অপরাধী যে ধর্মের যে মতাদর্শের হউক তাদের (দুদক)-এর কাছে সবাই সমান। আইনজীবীদেরও সকল আসামিকে একই দৃষ্টিতে দেখার নিদের্শনা দুদক দিয়েছে বলে জানান তিনি। গোলাম রহমান আরও বলেন, 'আইনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই রবিবার আদালত তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এই আদেশ দিয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, তারেক রহমানকে গ্রেফতারের জন্য আদালতে দুদক আইনজীবী আবেদন করেন। এ ক্ষেত্রে দুদকের কোন পক্ষপাতিত্ব নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'কোন মামলার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আইনজীবীকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি বলেন, তারেক ও গিয়াস উদ্দিন মামুনের মানি লন্ডারিং মামলা হয়েছে অনেক আগে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ মামলাটি তখন দায়ের করা হয়েছিল। সম্প্রতি আইন প্রতিমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য বা সরকারী দলের নেতাদের বক্তব্যের সঙ্গে দুদকের কোন সম্পর্ক নেই বলে জানান তিনি।
বিএনপির প্রতিক্রিয়া ॥ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে সরকার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এর সঙ্গে তারেক রহমানের কোন সম্পৃক্ততা নেই। শুধু অনুমানের ভিত্তিতে তাঁকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, মিথ্যা মামলায় তারেক রহমানকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। তিনি দেশের একজন জনপ্রিয় নেতা। তারেক রহমানের প্রতি যে অন্যায় হয়েছে তাঁকে দেশে সসম্মানে ফিরিয়ে আনতে দেশবাসী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, বিষয়টি রাজনৈতিককরণ করা হলে আমরা (বিএনপি) রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবে। আর আইনে চললে আইনীভাবে দেখা হবে।
তিনি বলেন, মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকার তারেক রহমানকে নির্যাতন করেন। আইনের আওতায় চিকিৎসা নিতে তিনি এখন লন্ডনে অবস্থান করছেন। সেখানে এক সেমিনারে তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, দেশের ৯০ ভাগ লোক তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা চায়। কিন্তু তারেক রহমানের সামান্য কথায় সরকারের মন্ত্রীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তিনি বলেন, দুদিন আগে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম যে কথা বলেছেন আদালতের মন্ত্রীর সে কথায় প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি তারেকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। 
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য ॥ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ইন্টারপোলের সহায়তা নিয়ে বা পলাতক হিসেবে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু। রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়ে তিনি বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেছেন তিনি। আইনের চোখে তিনি অপরাধী। কিন্তু অনুমতি ছাড়াই তিনি এখন বিদেশে রয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর উচিত আদালতে আত্মসমর্পণ করে বিচার কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করা। তা যদি না হয় তাহলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ইন্টারপোলের সহায়তা নিয়ে বিচারকাজ করা হবে। তবে আদালত যদি পলাতক হিসেবে বিচারকাজ চালাতে চায় তাও সম্ভব।



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___