'আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, কোরআন তেলওয়াত করি। আমরা হয়ে যাই নাস্তিকঃ প্রধানমন্ত্রী (ভিডিও)
20 Jun, 2013
আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলে তারা কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, 'আমি জানি না, বিএনপি এখন কোন আশায় এই তত্ত্বাবধায়ক চায়। আবার যদি তত্ত্বাবধায়ক আসে- তারা তো আর ইলেকশন দেবে না।'
বৃহস্পতিবার গণভবনে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসা বিরোধী দলকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, 'এবার তত্ত্বাবধায়ক এলে আর যাবে না। তখন তারা (বিএনপি) কী করবে? তখন তো কপাল চাপড়াইয়া কাঁদবে।'
তিনি বলেন, 'গতবার যা পারে নাই এবার সেটাই করবে। তারা (তত্ত্বাবধায়ক) রোজ কেয়ামত পর্যন্ত থাকার চেষ্টা করবে।'
আওয়ামী লীগকে নাস্তিকের দল বলায় বিরোধী দলের কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। ফজরের নামাজ পড়ে, কোরআন তেলওয়াত করে দিন শুরু করি। আমরা হয়ে যাই নাস্তিক।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'আর যিনি ঘুমের থেকে ওঠেন দুপুর ১২টার পর, তারা হলো আস্তিক। ওই বাড়ি বদলের সময় আপনারা তো বোতল দেখেছেন। বোতল খায়, ঘুমায় ১২টা পর্যন্ত, তারা হলো আস্তিক, আমরা হলাম নাস্তিক! এটাই হলো আমাদের দুর্ভাগ্য। এর বেশি কিছু আর বলতে চাই না।'
১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির পক্ষে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'আমরা কেয়ারটেকার চেয়েছিলোম- এটা ঠিক। কেন চেয়েছিলাম? তখন বিএনপি কারচুপি, সন্ত্রাস, ভোট ডাকাতি আর ভোট চুরির নির্বাচন করেছিল।'
আর সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশনের সাম্প্রতিক শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, 'এই নির্বাচেই প্রমাণ করল, আওয়ামী লীগ সরকার, কেবল আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেই দেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়।'
'তারপরও জনগণ যদি ভোট দিয়ে 'স্বার্থপর, লুটেরা, খুনি, দুর্নীতিবাজ এবং জঙ্গি, সন্ত্রাসীদের' ক্ষমতায় আনতে চায়- তাহলে আওয়ামী লীগের কিছু বলার নেই বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, 'এটা সম্পূর্ণ বাংলার মানুষের ব্যাপার।'
মত বিনিময়ের শুরুতে 'এক এগারো পরবর্তী' তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদেরও সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা। বলেন, 'উপদেষ্টারা তত্ত্ব কথা শোনান। তারা তো ইলেকশন করতে পারেন নাই।… আসলো আর্মি ব্যাকড। আর্মি হেডেড হবার চেষ্টা করলে। আর ইলেকশন দেয় না।'
গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'তারা (তত্ত্বাবধায়ক) যে ইলেকশন না দিয়েও থাকতে পারে সে বক্তব্য দিল আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন আইনজীবী; যিনি এক সময় আমাদের সঙ্গে ছিলেন। ঘর ভেঙে চলে গেছেন।… তিনি আবার এলান করলেন, রোজ কেয়ামত পর্যন্ত এই সরকার থাকতে পারবে।'
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্ষে সরকারের দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, 'কেয়ারটেকার আন্দোলন কিছুই না। মুখে তো বলতে পারে না। আসলে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো।'
আওয়ামী লীগকে সরকার থেকে সরিয়ে বিরোধী দল যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর আশা করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। বলেন, 'আমাদের সরাতে পারলেই তারা তাদের বাঁচাতে পারবে। আবার তাদের ঘরে তুলে নিবে, তাদের হাতে পতাকা তুলে দেবে।'
সভায় পিরোজপুর জেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা জনগণকে জানাতে এবং তৃণমূল পর্যায়ে দলকে সংগঠিত করতে আহবান জানান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার গণভবনে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসা বিরোধী দলকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, 'এবার তত্ত্বাবধায়ক এলে আর যাবে না। তখন তারা (বিএনপি) কী করবে? তখন তো কপাল চাপড়াইয়া কাঁদবে।'
তিনি বলেন, 'গতবার যা পারে নাই এবার সেটাই করবে। তারা (তত্ত্বাবধায়ক) রোজ কেয়ামত পর্যন্ত থাকার চেষ্টা করবে।'
আওয়ামী লীগকে নাস্তিকের দল বলায় বিরোধী দলের কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। ফজরের নামাজ পড়ে, কোরআন তেলওয়াত করে দিন শুরু করি। আমরা হয়ে যাই নাস্তিক।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'আর যিনি ঘুমের থেকে ওঠেন দুপুর ১২টার পর, তারা হলো আস্তিক। ওই বাড়ি বদলের সময় আপনারা তো বোতল দেখেছেন। বোতল খায়, ঘুমায় ১২টা পর্যন্ত, তারা হলো আস্তিক, আমরা হলাম নাস্তিক! এটাই হলো আমাদের দুর্ভাগ্য। এর বেশি কিছু আর বলতে চাই না।'
১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির পক্ষে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'আমরা কেয়ারটেকার চেয়েছিলোম- এটা ঠিক। কেন চেয়েছিলাম? তখন বিএনপি কারচুপি, সন্ত্রাস, ভোট ডাকাতি আর ভোট চুরির নির্বাচন করেছিল।'
আর সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশনের সাম্প্রতিক শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, 'এই নির্বাচেই প্রমাণ করল, আওয়ামী লীগ সরকার, কেবল আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেই দেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়।'
'তারপরও জনগণ যদি ভোট দিয়ে 'স্বার্থপর, লুটেরা, খুনি, দুর্নীতিবাজ এবং জঙ্গি, সন্ত্রাসীদের' ক্ষমতায় আনতে চায়- তাহলে আওয়ামী লীগের কিছু বলার নেই বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, 'এটা সম্পূর্ণ বাংলার মানুষের ব্যাপার।'
মত বিনিময়ের শুরুতে 'এক এগারো পরবর্তী' তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদেরও সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা। বলেন, 'উপদেষ্টারা তত্ত্ব কথা শোনান। তারা তো ইলেকশন করতে পারেন নাই।… আসলো আর্মি ব্যাকড। আর্মি হেডেড হবার চেষ্টা করলে। আর ইলেকশন দেয় না।'
গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'তারা (তত্ত্বাবধায়ক) যে ইলেকশন না দিয়েও থাকতে পারে সে বক্তব্য দিল আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন আইনজীবী; যিনি এক সময় আমাদের সঙ্গে ছিলেন। ঘর ভেঙে চলে গেছেন।… তিনি আবার এলান করলেন, রোজ কেয়ামত পর্যন্ত এই সরকার থাকতে পারবে।'
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্ষে সরকারের দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, 'কেয়ারটেকার আন্দোলন কিছুই না। মুখে তো বলতে পারে না। আসলে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো।'
আওয়ামী লীগকে সরকার থেকে সরিয়ে বিরোধী দল যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর আশা করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। বলেন, 'আমাদের সরাতে পারলেই তারা তাদের বাঁচাতে পারবে। আবার তাদের ঘরে তুলে নিবে, তাদের হাতে পতাকা তুলে দেবে।'
সভায় পিরোজপুর জেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা জনগণকে জানাতে এবং তৃণমূল পর্যায়ে দলকে সংগঠিত করতে আহবান জানান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
উৎসঃ আরটিএনএন
__._,_.___