Banner Advertiser

Thursday, July 11, 2013

[mukto-mona] নিজামীর নির্দেশে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয় : নিজে কাঁদলেন আদালতকে কাঁদালেন শ্যামলী নাসরিন



 

নিজামীর নির্দেশে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়নিজে কাঁদলেন আদালতকে কাঁদালেন শ্যামলী নাসরিন নিজস্ব প্রতিবেদ

একাত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর স্ত্রী শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর মতিউর রহমান নিজামীর নির্দেশে আলবদর বাহিনীর সদস্যরা তাঁর স্বামীকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। এরপর ১৮ ডিসেম্বর তাঁর স্বামীর লাশ রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে পাওয়া যায়।
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন ওই ট্রাইব্যুনালে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের ১৩তম সাক্ষী হিসেবে গতকাল বুধবার শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, 'আমি ৪২ বছর এ বিচারের জন্য অপেক্ষা করে আছি। আমার স্বামীসহ বুদ্ধিজীবীদের আলবদর বাহিনীর হাইকমান্ডসহ যারা হত্যা করেছে, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি।' তিনি সাক্ষ্য দেওয়ার এক পর্যায়ে কেঁদে ফেলেন। ওই সময় ট্রাইব্যুনালে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। ট্রাইব্যুনালের একজন বিচারককেও তখন চোখ মুছতে দেখা যায়। সাক্ষী তাঁর জবানবন্দিকালে কয়েকবারই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী তাঁর দীর্ঘ জবানবন্দিতে বলেন, 'একাত্তর সালের জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে আমাদের তৎকালীন পল্টনের বাড়িতে মাওলানা আবদুল মান্নান নামের একজন অপরিচিত লোক এসে তাঁর বাড়ি পুড়ে গেছে বলে আশ্রয় চান। আমাদের প্রতিবেশী মতিন সাহেবের অনুরোধে আমরা তাঁকে আশ্রয় দিই এবং বিভিন্নভাবে সেবা-সহযোগিতা করি। এর কয়েক দিন পর মান্নান সাহেব ওই বাড়ির নিচতলা ভাড়া নেন। তাঁর বাসায় পাকিস্তানি আর্মিদের যাওয়া-আসা করতে দেখতাম।' তিনি বলেন, 'একাত্তর সালের আগস্ট মাসের ২-৩ তারিখ থেকে ছাই রঙের প্যান্ট এবং নীল রঙের শার্ট পরা অস্ত্র হাতে কিছু লোককে ওই বাড়িটি ঘিরে রাখতে দেখি। এদের দেখে মান্নান সাহেবের কাছে আমার স্বামী জানতে চান, ওরা কারা। জবাবে মান্নান সাহেব বলেছিলেন, ওরা আলবদর বাহিনীর সদস্য। এ সময় মান্নান সাহেব নিজে আলবদর বাহিনীর একজন সংগঠক হিসেবে পরিচয় দেন। এ সময় আমার স্বামী ও আমরা খুব ভয় পাই। আমার স্বামী তাঁকে বলেছিলেন, ওরা আপনার গেটে পাহার দিক। আমার গেটে কেন? জবাবে মান্নান সাহেব বলেছিলেন, মুক্তিযোদ্ধারা তাঁকে মেরে ফেলবে, এ জন্য এই পাহারা। আর আমাদের গেটে পাহারা সম্পর্কে মান্নান সাহেব বলেছিলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আপনার গেট দিয়েই ঢুকবে, এ জন্য পাহারা বসানো হয়েছে।'
এরপর সাক্ষী বলেন, 'একাত্তর সালের ১৫ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টায় বাড়ির বারান্দায় বসে আমি, আমার স্বামী ও আমার মা ঢাকা শহরে ভারতীয় বাহিনীর একতরফা বম্বিং করার দৃশ্য দেখছিলাম। তাদের প্রতিরোধ করার কেউ ছিল না। এ সময় কারফিউ চলছিল। এরই মধ্যে একটি কাদামাখা মাইক্রোবাস মান্নান সাহেবের গেটে এসে দাঁড়াতে দেখলাম। এরপর আমরা রুমের মধ্যে চলে যাই। এর আধাঘণ্টা পর আমার বাড়ির উত্তর দিকের দরজায় প্রচণ্ড ধাক্কার শব্দ শুনতে পেলাম। তারা আমাদের দরজা খুলতে বলছে। জানালা দিয়ে দেখি, অস্ত্র হাতে তিনজন লোক আমাদের দরজায় লাথি মারছে।' তিনি বলেন, "দরজা খুলে দিলে তারা জোর করে ঘরে ঢুকে পড়ে। এ সময় আমার স্বামী দৌড়ে মান্নান সাহেবের কাছে ছুটে যান। তিনি মান্নান সাহেবকে বলেন, 'কারা যেন আমাকে নিতে এসেছে।' এ সময় মান্নান সাহেব তাঁকে বলেন, 'আপনি যান। আমি আছি।' এরপর আমার স্বামী সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে গেলে অস্ত্রধারীরা তাঁকে ধরে ফেলে। এ সময় তাদের কাছে আমার স্বামী জানতে চান কেন ধরেছে। জবাবে তারা বলে, 'আলবদর বাহিনীর হাইকমান্ড মতিউর রহমান নিজামীর নির্দেশে এসেছি। আপনি গেলেই জানতে পারবেন।' এরপর তারা আমার স্বামীকে ধরে চোখ বেঁধে গাড়িতে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এরপর আর কোনো খোঁজ পাইনি।"
শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, "এ ঘটনার পর মান্নান সাহেবের কাছে ছুটে যাই। এ সময় মান্নান সাহেব বলেন, 'ঘাবড়াবেন না। আলবদর বাহিনীর হাইকমান্ডের নির্দেশে আপনার স্বামীকে নিয়ে যাচ্ছে। ডা. ফজলে রাব্বীকেও নিয়ে গেছে। দেখছেন না, চারদিকে বম্বিং হচ্ছে! ওনাকে দিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কাজ শেষ হলে দিয়ে যাবে।' আরো কয়েকবার মান্নান সাহেবের কাছে যাই। কিন্তু তাঁর কাছে সাহায্য চেয়েও পাইনি। সারা রাত স্বামীর জন্য অপেক্ষা করলাম- ফিরে আসলেন না।" এ সময় শ্যামলী নাসরিন আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। সাক্ষীর কাঠগড়ায় তাঁকে বারবার চোখ মুছতে দেখা যায়।
এ পর্যায়ে শ্যামলী নাসরিন বলেন, "পরদিন ১৬ ডিসেম্বর চারদিকে স্লোগান শুনতে পাই। সকালের দিকে মুক্তিযোদ্ধাসহ তিন-চারজন এসে বলল, 'সেই শয়তানটা কোথায়, যে আলীম ভাইকে আলবদর বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিল?' ভাবলাম আমার স্বামীকে আর কেউ আটকিয়ে রাখতে পারবে না। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। কিন্তু তিনি আর ফিরে আসেননি। বুঝতে পারলাম, আলবদর বাহিনী যাদের ধরে নিয়ে গেছে, তারা কেউ আর বেঁচে নেই। স্বাধীনতার পর ১৮ ডিসেম্বর সকালে রায়েরবাজার বধ্যভূমি থেকে গামছা দিয়ে চোখ ও পেছনে দড়ি দিয়ে হাত বাঁধা অবস্থায় আলীমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সাংবাদিক সেলিনা পারভীন, ডা. ফজলে রাব্বী, লাডু ভাইসহ অনেকের লাশ ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ইটের ভাটায় পড়ে ছিল। আলীমের সারা শরীরে ছিল ক্ষতচিহ্ন। অসংখ্য গুলিতে তাঁর বুক ছিল ঝাঁজরা। আলবদর বাহিনীর হাত থেকে বেঁচে যাওয়া দেলোয়ার নামের একজনের কাছ থেকে শুনেছি, মোহাম্মদপুর শরীরচর্চা কেন্দ্রে রাতভর নির্যাতনের পর কাকডাকা ভোরে তাদের লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করা হয়।" তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, 'আমার স্বামীসহ বুদ্ধিজীবীরা দেশপ্রেমিক ও স্বাধীনতার পক্ষে হওয়ার অপরাধে তাঁদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি ৪২ বছর ধরে এ বিচারের অপেক্ষায় আছি।'
সাকার আবেদন : এদিকে একই ট্রাইব্যুনালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলায় সাফাই সাক্ষী আনার জন্য চার সপ্তাহ সময় চেয়ে আবেদন করেছেন তাঁর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম।
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ১৩তম সাক্ষী শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেছেন, আমার স্বামীসহ সকল বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীর বিচার দেখতে ৪২ বছর ধরে অপেক্ষায় রয়েছি। তিনি বলেন, তিনি তার স্বামীসহ সকল বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী... বিস্তারিত


প্রকাশ : ১১ জুলাই, ২০১৩ ০৯:৫১:৪৯ অ-অ+
printer
রায় কতদূর
অনেকে বলছেন, রায় দেওয়া নিয়ে দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি হয়েছে। জনমনে বেশ উৎকণ্ঠা। সবার প্রশ্ন, রায় কতদূর।
ওয়াকিল আহমেদ হিরন

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মামলার রায় অপেক্ষমাণ রয়েছে।

রায় কতদূর

Details at:

http://www.samakal.net/2013/07/11/6743








__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___