Banner Advertiser

Monday, July 22, 2013

Re: [mukto-mona] Re: অনুপ চেটিয়ারা সন্ত্রাসী হলে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞা কী হবে?



My post was addressed to a dumb-ass called Rakhal Bandho on a slightly different subject. I would not piss on this BS otherwise.

Maybe the Abedin should tell us why CHT should not go for an outright independence when they are being cleansed by aggressive Bangladeshi zealots?

 
"I speak for the trees, for the trees have no tongues."
-Seuss



From: Shah Deeldar <shahdeeldar@gmail.com>
To: bangladesh-progressives googlegroups <bangladesh-progressives@googlegroups.com>
Cc: bangladeshi googlesgroups <bangladeshiamericans@googlegroups.com>; "khabor@yahoogroups.com" <khabor@yahoogroups.com>; alochona <alochona@yahoogroups.com>; Sayeda Haq <sayedahaq@yahoo.com>; chottala yahoogroups <chottala@yahoogroups.com>; mokto mona <mukto-mona@yahoogroups.com>; saokot hossain <saokot_nccbl@yahoo.com>; Rakhal Bandho <rakhalbandho@gmail.com>
Sent: Monday, July 22, 2013 9:20 PM
Subject: [mukto-mona] Re: অনুপ চেটিয়ারা সন্ত্রাসী হলে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞা কী হবে?

 
There was used to be 40% Hindus and other minorities living in East Pakistan/Bangladesh not so long ago. What happened to them? Why can't they reclaim their ancestral land? You are not the only victims, my friend. You wanted a pure Pak land, you got it! Why complain now? I bet that was a great pipe dream that you would love to forget. Are we doing any better now? Hell, no! Vote for Hepazot my friend! That might connect us directly with the true divinity!
Good Day!
-SD



2013/7/22 Shahadat Hussaini <shahadathussaini@hotmail.com>

অনুপ চেটিয়ারা সন্ত্রাসী হলে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞা কী হবে?

মো হা ম্মা দ জ য় না ল আ বে দী ন
বাংলাদেশের একান্ত প্রতিবেশী আসামের স্বাধীনতাকামী সংগঠন 'উলফা' (ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম)-এর সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়া (আসল নাম গোলাপ বড়ুয়া) এবং তার দুই সহযোগী লক্ষ্মী প্রসাদ গোস্বামী ও বাবুল শর্মাকে ভারতের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে। এর আগে আসামসহ অন্যান্য অঞ্চলের প্রায় সব স্বাধীনতাকামী সংগঠনের নেতৃস্থানীয়দের বাংলাদেশের ভেতরে আটক করে ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয়। এদের মধ্যে ছিলেন উলফার সভাপতি অরবিন্দ রাজখোয়া, সহ-সভাপতি প্রদীপ গগৈ, ডেপুটি কমান্ডার-ইন-চিফ রাজু বড়ুয়া, প্রচার সচিব মিথিঙ্গা দাইমার অর্থ সচিব চিত্রাবান হাজারিকা, সাংস্কৃতিক সচিব প্রণতি ডেকা, রাজনৈতিক তাত্ত্বিক ও চিন্তক ভীমকান্ত ব্রোগহন, পররাষ্ট্র সচিব সাসদার চৌধুরী।
অনুপ চেটিয়াসহ অন্যান্য স্বাধীনতাকামীকে ভারতের হাতে তুলে দেয়া ১৯৫১ সালে গৃহীত জাতিসংঘ উদ্বাস্তু কমিশন কনভেনশন এবং ১৯৬৭ সালের এতদসংক্রান্ত প্রটোকল বিধির লঙ্ঘন কি-না, তা কেবল সংশ্লিষ্ট আইন বিশারদরাই বলতে পারেন। তাদের ভারতের হাতে তুলে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ইদানীং ভারতের চাপে স্বাক্ষরিত বন্দি বিনিময় চুক্তিটি যথেষ্ট নয়।
ভারতীয় ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলেছে, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে শেখ হাসিনা সরকার ভারতীয় জঙ্গিদের ব্যাপারে 'জিরো টলারেন্স' নীতি গ্রহণ করেছে এবং বাংলাদেশে লুকিয়ে থাকা অনেক নেতৃস্থানীয় গেরিলা নেতাকে গ্রেফতার করতে সহায়তা করে।
শেখ হাসিনা সরকারের প্রথম মেয়াদে ১৯৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর অনুপ চেটিয়াকে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ, ১৬টি দেশের অবৈধ মুদ্রা এবং অবৈধ পাসপোর্ট বহন করার অভিযোগে তাকে সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। তার কারাবাস শেষ হওয়ার পরেও কোন আইনে কেন তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে, তার কোনো ব্যাখ্যা সরকার কখনও দিয়েছে বলে আমার নজরে পড়েনি। এ দীর্ঘ সময়ে অনুপ চেটিয়া তিন-তিনবার বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন বলে জানা যায়। তার সে আবেদনগুলোর ভাগ্যে কী ঘটেছে এবং সেগুলো কেন বাতিল বা গৃহীত হয়নি, তার কোনো ব্যাখ্যাও সরকার এ পর্যন্ত জানায়নি। অনুপ চেটিয়া তার জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ভারতে ফেরত যেতে অস্বীকার করেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাকে তার পছন্দসই তৃতীয় কোনো দেশে পাঠিয়ে দেয়াই ছিল মানবিক ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইন ও রীতি। সরকার কেন তাকে তৃতীয় কোনো দেশে পাঠিয়ে দেয়নি, সে কারণও সরকার কখনোই প্রকাশ করেনি। উল্লেখ্য, ভারত অনবরত চেয়ে আসছিল অনুপ চেটিয়াকে যেন ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয়। শেখ হাসিনা সরকার ভারতের সে ইচ্ছাই পূরণ করতে যাচ্ছে বলে শোনা যায়। ইতোমধ্যে যাদের ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে, তাদের কেউই স্বেচ্ছায় ভারতে যেতে চাননি এবং তাদের গ্রেফতার করে বন্দি অবস্থায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হয়, যা যে কোনো অর্থেই অমানবিক ও অনৈতিক। এবং তাদের সবাইকে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় মেয়াদেই ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
পত্রিকার মাধ্যমে জানা গেছে, অনুপ চেটিয়া নাকি ভারতে চলে যাওয়ার জন্য সরকারের কাছে দরখাস্ত করেছেন এবং সে আবেদনের ভিত্তিতেই তাকে ভারতের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে। পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারতে যাওয়ার জন্য অনুপ চেটিয়ার আবেদন যদি সত্যিও হয়, তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য যার তিনটি আবেদন দীর্ঘ নয় বছরেও বিবেচনা করা হয়নি, ভারতে চলে যাওয়ার জন্য তার কথিত একটি আবেদন কেন এত তাড়াহুড়ো করে গৃহীত হলো? সর্বোপরি, কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে তাকে আটক রাখার আইনগত কিংবা মানবিক কোনো অধিকারই বাংলাদেশ সরকারের নেই। আবার তাকে বন্দি অবস্থায় ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়া কতখানি মানবিক ও আইনসিদ্ধ? এসব দিক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তাকে ভারতের হাতে তুলে দেয়ার উদ্দেশ্যেই তার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনের ব্যাপারটি 'চূড়ান্ত হয়নি' এবং এ অজুহাতে তাকে দীর্ঘদিন আটক রাখা হয়।
পর্যবেক্ষক মহলের প্রশ্ন, এটা কি মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন নয়? ভারতকে খুশি করতে গিয়ে বাংলাদেশ কি অমানবিক ও অনৈতিক কাজে জড়িয়ে যাচ্ছে না? তাদের মতে, অনুপ চেটিয়াসহ আসাম ও এর সন্নিহিত অঞ্চলের স্বাধীনতাকামীদের ভারতের হাতে তুলে দেয়ার পদক্ষেপ শেখ হাসিনা সরকারের ভারত-তোষণ নীতির অংশবিশেষ। শেখ হাসিনা সরকার ভারতের প্রিয়ভাজন ও বিশ্বাসভাজনে পরিণত হওয়ার উদ্দেশ্যে এদের 'বলির পাঁঠা' হিসেবে ব্যবহার করছে। অনুপ চেটিয়া তাদেরই একজন। জীবন রক্ষার জন্য যে অনুপ চেটিয়া ভারত থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন, কারাভোগ শেষে যিনি ভারতে ফেরত যেতে অস্বীকৃতি জানান, ১৬ বছর পর আবার তার জীবন বিপন্ন হওয়ার কিংবা অবর্ণনীয় নির্যাতনের আশঙ্কা থাকার পরেও তাকে কোনো বিবেচনায় ভারতের হাতে তুলে দেয়ার ব্যাপারে সরকারের ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়। অনুপ চেটিয়া নিজেই ভারতে চলে যেতে আবেদন করেছেন—এমন দাবি কি সত্যি? এমন সিদ্ধান্ত কি তিনি স্বেচ্ছায় নিয়েছেন, নাকি এটা বাংলাদেশ সরকারের নেতিবাচক মনোভাবের প্রতিবাদ কিংবা ক্ষোভ ও হতাশার প্রতিফলন? এসব প্রশ্ন বিবেকবান মানুষকে উদ্বিগ্ন না করে পারে না।
সরকার হয়তো যুক্তি দেখাবে, কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদীকে ভারতের হাতে তুলে দেয়া কোনোভাবেই মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়। কিন্তু ১৯৭১ সালে আমাদেরকেও পাকিস্তান বিচ্ছিন্নতাবাদী নামে আখ্যায়িত করেছিল। সে সময় আমরা আসাম, ত্রিপুরা, পশ্চিম বাংলা ও মেঘালয়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম। পাকিস্তান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা যতখানি যুক্তিসঙ্গত, ভারত থেকে আসামসহ সাতটি রাজ্যের বিচ্ছিন্ন হওয়ার লড়াই আরও বেশি যুক্তিগ্রাহ্য। ১৯৪৭ সালে আমরা স্বেচ্ছায় ভোটের মাধ্যমে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলাম। অন্যদিকে আসামসহ সাতটি রাজ্য জনমতের আলোকে ভারতভুক্ত হয়নি। মুসলিমভীতি দেখিয়ে এবং আসামকে অলীক প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৯৪৭ সালে নেহরু-গান্ধীরা আসামকে (যা ১৮২৬ সালের আগে ব্রিটিশদের চক্রান্তমূলক দখলের আগে কখনোই ভারতের অংশ ছিল না) ভারতভুক্ত করে। ভারত স্বাধীন হওয়ার একদিন আগেই নাগাল্যান্ড স্বাধীনতা ঘোষণা করে। সামরিক অভিযান চালিয়ে নাগাল্যান্ডের স্বাধীন সরকারকে পরাভূত করা হলেও আজও সেখানে স্বাধীনতার জন্য গেরিলা যুদ্ধ চলছে। মণিপুর ও ত্রিপুরা রাজ্যকে চক্রান্তমূলকভাবে ভারতভুক্ত করা হলেও তাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ থেমে যায়নি। মণিপুরের বিদ্রোহীরা আজও প্রতি বছর ১৫ অক্টোবর মণিপুরের ভারতভুক্তির দিবসে হরতাল পালন করে থাকেন। আসাম ভেঙে মেঘালয় ও মিজোরাম রাজ্য গঠন করা হয়। অরুণাচল প্রদেশের অধিকাংশই তিব্বতের ভূখণ্ড এবং এ কারণে চীন অরুণাচলকে এখনও তার ভূখণ্ডই মনে করে। এ তিনটি প্রদেশেও স্বাধীনতাকামীদের তত্পরতা এখনও পত্রিকার শিরোনাম হচ্ছে। সুতরাং বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী আসামসহ শোষিত 'সাত বোনে'র ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাওয়া নৃতাত্ত্বিক, সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক ও ঐতিহাসিক—কোনো বিবেচনাতেই অন্যায় নয়। এ কারণেই উলফা স্বাধীন সার্বভৌম আসাম প্রতিষ্ঠার জন্য হাতে অস্ত্র নিয়েছে, যেমনটি আমরা নিয়েছিলাম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। বহিরাগত ভারতীয়রা ছাড়া এ অঞ্চলের ভূমিপুত্ররা ভারতকে তাদের স্বদেশ মনে করে না। সামরিক শক্তি প্রয়োগ, নির্মূল অভিযানসহ বিভিন্ন ধরনের চক্রান্তে ফেলে উলফাসহ সাতটি রাজ্যের স্বাধীনতাকামীদের কোমর যতই ভেঙে দেয়া হোক, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় তারা একদিন ভারত থেকে বের হয়ে আসবেই।
অনুপ চেটিয়াদের ভারতের হাতে তুলে দেয়ার বিনিময়ে শেখ হাসিনা সরকার কী পাচ্ছে, তার ইঙ্গিত দিয়েছে ভারতীয় ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। দৈনিকটি ১৫ জুলাই (২০১৩) সংখ্যায় 'ইন্ডিয়া মাস্ট স্ট্রেংথেন ডেমোক্র্যাসি ইন ঢাকা' (India must strengthen democracy in Dhaka) শিরোনামে প্রকাশিত এক সংবাদভাষ্যে জানিয়েছে, আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে এ বন্দি বিনিময়ের একটি রাজনৈতিক তাত্পর্য রয়েছে এবং শাসক আওয়ামী লীগ নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে একে অবশ্যই ব্যবহার করবে। পত্রিকা বলছে : অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করেই নতুন দিল্লি তিস্তার পানিবণ্টন, উভয় দেশের ছিটমহল বিনিময় এবং সীমান্ত উত্তেজনা হ্রাসের মতো বহু যুগ ধরে ঝুলে থাকা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদির সম্ভাব্য সমাধানের উদ্যোগ নিয়ে ভারত আসন্ন এ নির্বাচনে ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে পারে।
(http://newindianexpress.com/editorials/India-must-strengthen-democracy-in-Dhaka/ 2013/07/15/ article1683618.ece)
শেখ হাসিনাকে ভারতের স্বার্থে কেন পুনরায় ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে হবে, সে প্রয়োজনীয়তা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মাধ্যমে ভারতের বুদ্ধিজীবী ও থিংকট্যাংক পর্যায়ে, সর্বোপরি নীতিনির্ধারক মহলে আলোচিত ও বিশ্লেষিত হয়েছে এবং ভারত সে লক্ষ্যে কাজও করছে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় ধরে রাখার জন্য ভেতরে ভেতরে ভারত কতটা তত্পর, সে ব্যাপারে অন্যান্য সূত্রের মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ভারতের চক্রান্তমূলক পরিকল্পনার অংশবিশেষ বেরিয়ে এসেছে। তথ্যাভিজ্ঞমহলের মতে, শেখ হাসিনা সরকার ভারতের আরও জোরদার সমর্থন পাওয়ার উদ্দেশ্যেই উলফাসহ অন্যান্য গেরিলা নেতাকে ভারতের হাতে একের পর এক তুলে দিয়েছে। অনুপ চেটিয়া হলেন ভারতের জন্য শেখ হাসিনার সর্বশেষ উপহার।
এভাবে শেখ হাসিনা যে পুরোপুরি তার ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থে বাংলাদেশের কৌশলগত নীতি ও স্বার্থের বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন তা ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের আগের সরকারগুলোর অনুসৃত নীতি-কৌশল পরিত্যাগ করে সম্পূর্ণ ভারতের স্বার্থে ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি করেছেন, তার অধিকাংশই একান্ত গোপনীয় এবং জাতীয় সংসদেও সেগুলো স্বাক্ষরের আগে বা পরে উত্থাপিত হয়নি। এটাও মহাচক্রান্তের অংশবিশেষ।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি ছিল না। শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ভারতের সঙ্গে যত ধরনের চুক্তি করেছেন, তার সবগুলোই স্বাক্ষর করেছেন ভারতের প্রয়োজনে এবং বাংলাদেশের জন্য কোনো কিছু অর্জন না করেই। এর মধ্যে অন্যতম হলো বন্দি বিনিময় চুক্তি। সে চুক্তি এখন উলফাসহ আমাদের একান্ত প্রতিবেশী মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল প্রদেশের স্বাধীনতাকামীদের নির্মূলে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশী সমাজদ্রোহী অপরাধী সুব্রত বাইন, কালা জাহাঙ্গীর, মাসুদ, সাজ্জাদসহ এমন কোনো খুনি-অপরাধী নেই—যারা বাংলাদেশে অপরাধ করে ভারতে আশ্রয় পায়নি। কিন্তু এসব অপরাধী আর অরবিন্দ রাজখোয়া কিংবা অনুপ চেটিয়া এক নন। সুব্রত বাইনকে ফিরিয়ে আনা একটি বাহানা। তার বিনিময়ে অনুপ চেটিয়া কিংবা বোড়োল্যান্ড ডেমোক্রাটিক ফ্রন্টের প্রধান রাজন দাইমা কিংবা গারো জাতীয় মুক্তিবাহিনীর প্রধান সি আর সাংমা অথবা ত্রিপুরা পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (টিপিডিএফ) প্রেসিডেন্ট রনজিত্ দেববর্মাকে ভারতের হাতে তুলে দেয়া কিছুতেই নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এদের সবাই তাদের স্বদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছেন। তারা কোনোভাবেই সন্ত্রাসী নন, তারা মুক্তিযোদ্ধা। আমাদের মতো মুক্তিযোদ্ধা। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়ে গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। অনুপ চেটিয়ারা যদি তাদের স্বদেশের স্বাধীনতার উদ্দেশ্যে আমাদের দেশে কোনো প্রশিক্ষণ নয়, কেবল জীবন রক্ষার উদ্দেশ্যে আশ্রয়ের জন্য আসেন, তাহলে তারা কীভাবে সন্ত্রাসী হয়ে গেলেন। তারা যদি সন্ত্রাসী হন, তবে বাংলাদেশের লাখ লাখ মুক্তিযোদ্ধা কোন বিশেষণে পরিচিত হবেন? আমরাও কি সন্ত্রাসী?
কেউ কেউ বলবেন, বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আমরা আমাদের মাটিতে স্থান দিতে পারি না। কিন্তু এ ভারতই আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতভুক্ত করার উদ্দেশ্যে ১৯৭৩ সাল থেকে চাকমা সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে অঘোষিত যুদ্ধ চালিয়ে আসছে। ২৫টি গেরিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলেছে। দেশদ্রোহী ও নরঘাতক সন্তু লারমার সঙ্গে তথাকথিত শান্তিচুক্তির নামে বাংলাদেশবিরোধী চুক্তি করার পরেও ভারত কেবল সন্তু লারমার দলই নয়, নতুন উপদল ইউনাইটেড পিপলস ফ্রন্ট খুলেছে। এছাড়া সন্তু লারমার বড় ভাই মানবেন্দ্র লারমার বিধবা স্ত্রী এবং সন্তু লারমার বিরোধী আরও ক'টি অঘোষিত উপদলের সন্ত্রাসীদের এখনও ত্রিপুরা এবং মিজোরামে কেবল আশ্রয়ই নয়, প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ভারত এসব দল-উপদলকে অর্থ, অস্ত্র, আশ্রয় এবং প্রশিক্ষণ প্রদান অব্যাহত রেখেছে। ১৯৭৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ভারত এসব কোনো দেশদ্রোহীকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা তো দূরের কথা; বরং তাদের সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানও বন্ধ করেনি।
উল্লেখ করা জরুরি যে, উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং ভারতের সাহায্যে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চক্রান্ত এক কথা নয়। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের ভূখণ্ড। মৌর্য যুগেও পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রাচীন বাংলার 'হরিকেল' জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু মৌর্য আমলে এমনকি হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণকারী অশোকের সময়েও (খ্রিস্টপূর্ব ৩০৪ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ২৩২ অব্দ) আসাম কিংবা ওই অঞ্চলের অন্য কোনো রাজ্য ভারতভুক্ত ছিল না। মুঘল আমলে, এমনকি নবাবী আমলেও পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার একটি মহকুমা ছিল। ব্রিটিশ শাসক তাদের স্বার্থগত কারণে ওই মহকুমাকে জেলার মর্যাদা দিয়েছিল। পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের কোনো অধিকৃত এলাকা নয়। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী কোনো উপজাতিই এ অঞ্চলের আদিবাসী নয়, এদের সবাই বহিরাগত আশ্রিত। এসব কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করা এবং আসাম ও তার সন্নিহিত অঞ্চল স্বাধীন হওয়া কোনোভাবেই এক বিষয় নয়। তাছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম শোষিত বা বঞ্চিত কিংবা অবহেলিত অঞ্চল নয় অথবা আমরা কোনোভাবেই একে অধিকৃত বা দখলীয় অঞ্চল মনে করি না। তা সত্ত্বেও ভারত পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য পাকিস্তানিদের দোসর চাকমা সন্ত্রাসীদের মাঠে নামায় এবং তাদের হাতে অর্থ তুলে দেয়।
অন্যদিকে ঐতিহাসিকভাবে আসাম কিংবা আসাম-সংলগ্ন স্বাধীনতাকামী অন্যান্য রাজ্য ভারতের অন্তর্ভুক্ত ভূখণ্ড নয়। ভারত জনমত যাছাই না করেই অবৈধভাবে ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে এ অঞ্চল দখলে নিয়েছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার একদিন আগে ১৪ আগস্ট নাগাল্যান্ড স্বাধীনতা ঘোষণা করে। সে বিদ্রোহ কালক্রমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং তা আজও অব্যাহত রয়েছে। উলফার মতে, ভারত তার সৃষ্ট কিছু সুবিধাবাদী চর সৃষ্টি করে এবং প্রায় চার লাখ ভারতীয় নিয়মিত সৈন্য এবং অজানা সংখ্যক আধাসামরিক বাহিনী, পুলিশ এবং বিভিন্ন নামের সশস্ত্র বাহিনী এবং স্থানীয় চরদের সহযোগিতায় নির্মম দলন নীতি চালিয়ে ওই অঞ্চলকে দখলে রেখেছে। আর এ কাজে ইদানীং ভারতকে সহযোগিতা করছে ভারত-বান্ধব শেখ হাসিনা সরকার। এতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। অনুপ চেটিয়ার মতো স্বাধীনতাকামীরা যদি সুব্রত বাইনের মতো সন্ত্রাসীর সঙ্গে বিনিময় হন, তাহলে অনুপ চেটিয়ার মর্যাদা প্রকারান্তরে সন্ত্রাসীর পর্যায়ে পড়ে যায়। আর অনুপ চেটিয়া যদি সন্ত্রাসী হন, তবে আমরা যারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান থেকে মুক্ত করার জন্য গেরিলা প্রশিক্ষণ নেয়ার উদ্দেশ্যে আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, পশ্চিম বাংলায় গিয়েছি তাদের মর্যাদা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়?
শেখ মুজিবের আগরতলা গমন তথা যড়যন্ত্র যদি প্রশংসিত হয়, তবে অনুপ চেটিয়াদের বাংলাদেশে আগমন কোন নৈতিক বিচারে অন্যায় হবে? শেখ মুজিবকে তো ভারত পাকিস্তানের হাতে তুলে দেয়নি, বরং সাহায্য করেছে। তাহলে অনুপ চেটিয়ারা কী অন্যায় করেছেন? আমরা যেসব কারণে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি, একই কারণে আসাম ও তত্সন্নিহিত অঞ্চলের মানুষ ভারতের খোঁয়াড় থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। তাই তারা যুদ্ধ করছে। তারাও শোষিত, বঞ্চিত, অবহেলিত, নির্যাতিত। তারা ভারতকে তাদের স্বদেশ বলে মনে করে না। নির্মূল নীতি, চক্রান্ত আর শক্তি প্রয়োগ করেই ভারত সেখানে টিকে আছে মূলত সেনাবাহিনী ও স্থানীয় চরদের সহযোগিতায়, যাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোনো আত্মিক সম্পর্ক নেই। মূলত আমাদের দেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তবর্তী অঞ্চলের অধিবাসীরা ভারতীয়দের থেকে ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এমনকি নৃতাত্ত্বিক দিক থেকে এতই পৃথক যে, তারা দিল্লি-বোম্বেতে গেলে তাদের জিজ্ঞেস করা হয়, তারা কোন দেশের নাগরিক। ভারত তাদের উপনিবেশের চেয়ে অন্য কোনো মর্যাদা দেয় না। তাই তারা স্বাধীনতা চায়, ভারত থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। আমরা তাদের সাহায্য না দিতে পারি কিন্তু কোনোভাবেই তাদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারি না।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে শেখ হাসিনা সে কাজটিই করছেন— কেবল ভারতের স্বার্থে, ভারতকে খুশি করার স্বার্থে। এর বিনিময়ে ভারত আমাদের কী দিয়েছে, তার কোনো তথ্য শেখ হাসিনা সরকার দেশবাসীর কাছে হাজির করতে পারবে না। বন্ধুত্বের আবরণে আমরা যে ভারতের স্বার্থবাহী দাবার ঘুঁটিতে পরিণত হচ্ছি, একথা শেখ হাসিনা কিংবা তার চারপাশের দোসররা অনুধাবন করতে সক্ষম কি-না, তা বোধগম্যের বাইরে।

লেখক : বাংলাদেশী-আমেরিকান সাংবাদিক ও গবেষক
noa@agni.com
--
--
Disclaimer: All content provided on this discussion forum is for informational purposes only. The owner of this forum makes no representations as to the accuracy or completeness of any information on this site or found by following any link on this site. The owner will not be liable for any errors or omissions in this information nor for the availability of this information. The owner will not be liable for any losses, injuries, or damages from the display or use of this information.
This policy is subject to change at anytime.
 
---
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "Bangladesh Progressives" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to bangladesh-progressives+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/groups/opt_out.
 
 



--
"I speak for the trees, for the trees have no tongues." - Dr. Seuss




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___