Banner Advertiser

Saturday, September 21, 2013

[mukto-mona] Re: Three types of lie: মিথ্যা, ডাহা মিথ্যা এবং আমার দেশ

thanks asoke da for a very essential collection

On 22/09/2013, Asoke Bose <anjbose@hotmail.com> wrote:
> Please read it.Asoke
> কাদের মোল্লাকে নিয়ে আমার দেশ পত্রিকার আষাঢ়ে কাহিনীকাদের মোল্লা হলেন আমাদের
> রাজেন্দ্র কলেজের ১৯৬৪-১৯৬৬ এইচএসসি ব্যাচের সবচেয়ে পরিচিত মুখ এবং তিনি জাতীয়
> এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমধিক পরিচিত ব্যক্তি, তা সে যে কারণেই হোক না কেন। এমন
> কি তিনি আমাদের সে সময়ের আর এক সহপাঠী বেগম জিয়ার বিগত শাসনামালের মন্ত্রী আলী
> আহসান মুজাহিদকেও পরিচিতির দিক দিয়ে ছাড়িয়ে গেছেন, যদিও মুজাহিদও একইভাবে
> ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলার অপেক্ষায় রয়েছেন, যদি না সুপ্রীমকোর্ট তার দ-কে উল্টে না
> দেয়। কাদের মোল্লা শুধু আমার সহপাঠীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন আমার হোমমেট। আমরা
> দু'ডজনের মতো ছাত্র একটি স্টুডেন্টস হোমে দু'বছর একসঙ্গে বাস করেছি, খেয়েছি এবং
> নামাজ আদায় করেছি (এটা ছিল সুপারের আদেশে বাধ্যতামূলক)। ১৯৬৬ সালে আমি ঢাকায়
> চলে আসি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য। কাদেরের এইচএসসি ফলাফল ভাল না হওয়ায়
> সে ওই কলেজেই পাস কোর্সে বিএসসি পড়া শুরু করে। বিগত ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখে
> আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রায়ে দেশবাসীর বহু আকাক্সিক্ষত মৃত্যুদ-ের পরিবর্তে
> তার যখন যাবজ্জীবন কারাদ- হয় সে পরিপ্রেক্ষিতে আমি আমার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে
> ডেইলি স্টার পত্রিকায় একটি নিবন্ধ লিখি, যেটা ওই পত্রিকার ৯ ফেব্রুয়ারি সংখ্যায়
> প্রকাশিত হয়।
> আমি দ্বিতীয়বার তার সম্পর্কে লিখতাম না যদি না অলিউল্লাহ নোমান নামে আমার দেশ
> পত্রিকার এক বিশেষ প্রতিনিধির লেখা, যিনি বর্তমানে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত
> হিসেবে উল্লেখ করেছেন, ওই পত্রিকার ২০ সেপ্টেম্বরের সংস্করণের কাদের মোল্লাকে
> নিয়ে লেখা একটি নিবন্ধ আমার চোখে না পড়ত। পাঠক অচিরেই বুঝতে পারবেন এটাকে
> নিবন্ধ না বলে আষাঢ়ে কাহিনী বলাই ঠিক হবে। একটা কত বড় মিথ্যা যে কোন এক দৈনিক
> সংবাদপত্র গর্বের সঙ্গে প্রকাশ করতে পারে সেটা আমার এ নিবন্ধ না পড়লে কেউ
> সম্ভবত বিশ্বাস করতে পারবে না। প্রকৃতপক্ষে মিথ্যা প্রচারই ওই পত্রিকার সবচেয়ে
> বড় শক্তি। কোন সভ্য এবং গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের পত্রিকার অবস্থিতির কথা
> চিন্তাই করা যায় না। নাইন ইলেভেনের পরে যদি এ ধরনের কোন সংবাদপত্র উত্তর
> আমেরিকায় থাকত তাহলে বিশেষ করে মুসলমানদের পশ্চিমা দুনিয়ায় বাস করা দুষ্কর ও
> দুঃসহ হয়ে যেত। আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে মিথ্যা কত প্রকার এবং কি কি? আমার
> উত্তর হবে মিথ্যা তিন প্রকার : মিথ্যা, ডাহা মিথ্যা এবং আমার দেশ।
> আমি ভেবে আশ্চর্যান্বিত হই এ ধরনের একটি সংবাদপত্র প্রকাশের নিষেধাজ্ঞা তুলে
> নেয়ার এবং এর গোয়েবলসীয় সম্পাদকের মুক্তির জন্য আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা
> রাস্তায় নেমে আসেন। কাদের মোল্লা সম্পর্কে ওই নিবন্ধটি পড়ার পর আমি আমার বিবেক
> এবং বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে সত্য তুলে ধরার মানসে
> এ নিবন্ধটি লেখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি। এ প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি করে অনুভব
> করেছি এ কারণে যে, কাদের মোল্লাকে বহু আকাক্সিক্ষত মৃত্যুদ-ের পরিবর্তে
> যাবজ্জীবন কারাদ-ের পরিপ্রেক্ষিতেই বিশ্বব্যাপী তরুণ প্রজন্মের বাঙালী
> সন্তানদের মাঝে দেশপ্রেমের নবজাগরণ ঘটে এবং বিপুলভাবে জননন্দিত গণজাগরণ মঞ্চের
> অভ্যুদয় ঘটে।
> এবারে দেখা যাক আমার দেশ প্রতিনিধি কাদের মোল্লার অতীত সম্পর্কে কি লিখেছে।
> 'আদালতের বাইরে চাউড় রয়েছে আবদুল কাদের মোল্লা রাজাকার নন, ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা।
> স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে আবদুল কাদের মোল্লা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন
> সমাপ্ত করেছেন। তাঁর ডিপার্টমেন্টে তিনি প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন
> করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় এত বড় কসাই রাজাকার হয়ে থাকলে ১৯৭২ সালে ঢাকা
> বিশ্ববিদ্যালয়ে দাপটের সঙ্গে অধ্যয়ন সমাপ্ত করার কথা নয়।
> ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শেষে তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থিত উদয়ন
> স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন। কসাই রাজাকার হয়ে থাকলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের
> পর পর তখনই উদয়ন স্কুলে চাকরি পাওয়ারও কথা নয়। তখন শেখ মুজিবুর রহমানের দাপুটে
> শাসন চলছিল। এত বড় কসাই রাজাকার শেখ মুজিবের আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম
> শ্রেণীতে প্রথম তারপর উদয়ন স্কুলে চাকরি প্রাপ্তি! বিষয়টা যেন কেমন লাগে।
> আবদুল কাদের মোল্লার স্ত্রীর একটি স্টেটমেন্ট অনুযায়ী শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে
> ইসলামিক ফাউন্ডেশনে চাকরিও দিয়েছিলেন। সেটা সত্য হয়ে থাকলে আর আবদুল কাদের
> মোল্লা কসাই রাজাকার হলে শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে চাকরি দিলেন কেমন করে!
> রাজাকার হলে তো অন্তত তাঁকে চাকরি দেয়ার কথা নয়। এছাড়া ১৯৭৭ সালে আবদুল কাদের
> মোল্লা রাইফেলস্ স্কুল এ্যান্ড কলেজে চাকরি করেন এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের
> দায়িত্ব পালন করেন। তখন পর্যন্ত কিন্তু আবদুল কাদের মোল্লা এত বড় কসাই রাজাকার
> ছিলেন বলে কেউ শোনেননি।'
> ১৯ সেপ্টেম্বর তারিখে কাদের মোল্লার পরিবার দেশবাসীর উদ্দেশে এক আবেদন করেছে।
> দেখা যাক, ওই আবেদনে তার শিক্ষা এবং অতীত সম্পর্কে কি বলা হয়েছে।
> 'তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
> উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হন ১৯৬৯ সালে। স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুতে শেখ মুজিবর
> রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের পরে আবদুল কাদের মোল্লা গ্রামের বাড়িতে চলে যান এবং
> যুদ্ধের পুরো সময় তিনি গ্রামেই অবস্থান করেন। ১৯৭২ সালে তিনি পুনরায় ঢাকা
> বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে এসে শহীদুল্লাহ হলে অবস্থান করে অধ্যয়ন অব্যাহত রাখেন ও
> ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ১৯৭৯ সালে জনাব আবদুল কাদের মোল্লা বাংলাদেশ
> জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।'
> পাঠক লক্ষ্য করুন, কাদেরের পরিবারের বিবরণে তিনি ১৯৭২ সালে যে ঢাকা
> বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে 'তাঁর ডিপার্টমেন্টে তিনি প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান
> অর্জন করেছিলেন' এ ধরনের কোন দাবি নেই; বরঞ্চ তিনি যে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ওই
> বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন সে কথাই বলা হয়েছে। এমন কি তিনি যে কোন ডিগ্রী
> পেয়েছেন সেটার কোন উল্লেখ নেই। তেমনিভাবে 'যুদ্ধের পুরো সময় তিনি গ্রামেই
> অবস্থান করেন' সে কথা বলা হয়েছে, কিন্তু তিনি যে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন সেটার কোন
> উল্লেখ নেই। তেমনিভাবে 'শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে চাকরিও
> দিয়েছিলেন' সেটাও কাদেরের পরিবার উল্লেখ করেনি।
> কাদেরের পরিবার কিছু তথ্য গোপন করেছে টাইম লাইন মেলানোর জন্য।
> এইচএসসি ফলাফলে কাদের গড়পড়তা ছাত্রের থেকে নিচে ছিল যার ফলে সরাসরি সে ঢাকা
> বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পড়ার যোগ্যতা অর্জন করেনি। যার ফলে সে রাজেন্দ্র কলেজেই
> বিএসসি পড়ে (১৯৬৬-১৯৬৮) এবং ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাস কোর্সে এমএসসিতে
> ভর্তি হয় যেটা তার পরিবারের দেয়া সময়ের সঙ্গে সম্পূর্ণ মিলে যাচ্ছে, যদিও তার
> পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী সে এসএসসি পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে। অথচ
> কাদের আমাদের সঙ্গে এসএসসি পাস করেছে ১৯৬৬ সালে। তাহলে এর মাঝে দুই বছরের বেশি
> সময় তিনি কি করেছেন? তার পরিবার বলেছে সে স্বাধীনতার পর পরই ১৯৭২ সালে ঢাকা
> বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসে এবং ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত সেখানে অধ্যয়ন করে। এ বক্তব্যের
> প্রথম অংশটুকু সত্য নয় এবং যে কোন পাঠকই বুঝতে পারবেন দুই বছরের এমএসসি ডিগ্রীর
> জন্য ৮ বছর (১৯৬৯-১৯৭১, ১৯৭২-১৯৭৭) বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করার হিসাব মেলানো
> যায় না।
> আমাদের ব্যাচের সবাই ১৯৭২ সালের মধ্যেই এমএ বা এমএসসি ডিগ্রী শেষ করে। প্রকৃত
> ঘটনা হলোÑ ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের পর কাদের আত্মগোপন করে এবং ১৯৭৬ সালে
> জিয়াউর রহমান যখন প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হন তখন সে আত্মগোপনতা থেকে বেরিয়ে
> এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনরায় ভর্তি হয় এবং ১৯৭৭ অবধি সে ছাত্র ছিল।
> কাদেরের রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে আমার দেশ প্রতিনিধির কল্পনাটা এ রকম: 'আবদুল
> কাদের মোল্লা ছাত্রজীবনে দীর্ঘ সময় প্রগতির দাবিদার ছাত্র ইউনিয়ন করেছেন।
> ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর নেতা ছিলেন তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়ন নেতা রাশেদ খান মেনন
> ও মতিয়া চৌধুরী। স্বাধীনতার পর পর কিন্তু আবদুল কাদের মোল্লার নেতা মতিয়া
> চৌধুরী মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বানিয়েছেন। কিন্তু হালে
> তিনি বড় আওয়ামী লীগার। আর তাঁরই এক সময়ের রাজনৈতিক অনুজ আবদুল কাদের মোল্লা
> হলেন কসাই রাজাকার! রাশেদ খান মেনন এবং মতিয়া চৌধুরী তাদের রাজনৈতিক অনুজ
> সম্পর্কে কী বলবেন! তারা কী বুকে হাত রেখে বলতে পারবেন আবদুল কাদের মোল্লা
> তাদের ছাত্র রাজনীতির অনুজ ছিলেন না!'
> ভাবছি গাঁজায় কতটুকু টান দিলে এ ধরনের কল্পনা করা যায়। আসল তথ্য হলো আমাদের
> সময়ে (১৯৬৪-১৯৬৬) রাজেন্দ্র কলেজে সরকার সমর্থিত এনএসএফ ছাড়া আরও দুটি ছাত্র
> সংগঠন ছিল। সবচেয়ে শক্তিশালীটি ছিল প্রগ্রেসিভ স্টুডেন্ট ফ্রন্ট, পিএসএফ
> (ছদ্মাবরণে ছাত্র ইউনিয়ন) এবং ছাত্রলীগ। আমাদের ধারণা ছিল পিএসএফ
> কমিউনিস্টপন্থী এবং ছাত্রলীগ কমিউনিস্টবিরোধী। প্রচ- কমিউনিস্টবিরোধী হিসেবে
> কাদের (এবং মুজাহিদ) ছাত্রলীগের সমর্থক ছিল। আমিও একই ছাত্র সংগঠনের সমর্থক
> হওয়াতে আমাদের মাঝে আরও একটু বেশি সখ্য ছিল। ১৯৬৭ সালে (আমি তখন প্রকৌশল
> বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র) মুজাহিদের (ওর বাবা মাওলানা আবদুল আলী ছিলেন ফরিদপুর
> জেলা জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি) নেতৃত্বে রাজন্দ্র কলেজে ইসলামী ছাত্রসংঘের
> পত্তন হয় এবং কাদের এবং আমাদের দু'জনেরই আর এক হোমমেট বন্ধু হাফিজ (রাজবাড়ী
> কলেজের অধ্যাপক) তখন ইসলামী ছাত্রসংঘে যোগদান করে এবং দু'জনই ঢাকা
> বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ছাত্র রাজনীতি বজায় রাখে। আমাদের তখনকার সহপাঠীদের মধ্যে
> দু'জন জাতীয়ভাবে পরিচিত। তাদের একজন হলেন বাংলা একাডেমী পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং
> জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী এবং অন্যজন হলেন বিগত
> তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. সিএস করিম। তাদের কাছে আমার দেয়া তথ্য যাচাই
> করা যেতে পারে।
> মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তাদের দলের ধারাবাহিকতায় কাদের এবং মুজাহিদ আমাদের
> মুক্তিযুদ্ধের বিপরীত দিকে অবস্থান নেয় এবং পরবর্তীতে আলবদর বাহিনী প্রতিষ্ঠিত
> হলে দু'জনেই সেটার নেতৃত্ব দেয়। ১৬ ডিসেম্বরের পর দু'জনেই আত্মগোপনে যায় এবং
> ১৯৭৬ সালে জিয়াউর রহমান যখন প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হন তখন আত্মগোপন থেকে
> বেরিয়ে আসে।
> ১৯৭৩ সালের প্রথমার্ধে আমি যখন উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে আসি তখন জানতাম না
> কাদের কোথায় আছে। ১৯৭৯ সালে আমি দেশে বেড়াতে গেলে একদিন যখন ঢাকার মগবাজারের
> রাস্তা দিয়ে হাঁটছি তখন পেছন থেকে একজন আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল, 'তুই কি
> মোজাম্মেল? আমি কাদের।' আমার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল, 'কাদের, তুই বেঁচে
> আছিস?' কাদেরের উত্তর ছিল, 'হ্যাঁ, আমি ভালভাবে বেঁচে আছি এবং এখন আমি দৈনিক
> সংগ্রামের নির্বাহী সম্পাদক। তোর জয় বাংলা এখন এদেশ থেকে নির্বাসিত; ফিরে এসেছে
> আমাদের জিন্দাবাদ এবং এটা এখন প্রচ-ভাবে জাগ্রত।' যেহেতু কাদের সত্য কথাই
> বলেছিল, সেহেতু আমি ওর কথার কোন জবাব দিতে পারিনি। কয়েক সপ্তাহ পরে আমি যখন
> যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাই তখন সংবাদপত্রে পড়লাম প্রেসক্লাবে একটি বিজয় দিবসের
> অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিল কাদের মোল্লা; একেই বলে ভাগ্যের নির্মম
> পরিহাস!
> অবশ্য স্বাধীন বাংলাদেশে কাদের এবং মুজাহিদ যত সম্মানে সম্মানিত হোন না কেন,
> ১৯৬৪-১৯৬৬ সালে রাজেন্দ্র কলেজে তার সতীর্থরা দেশ তথা মানবতার বিরুদ্ধে তাদের
> অপকর্মের কথা ভোলেনি বা ক্ষমা করেনি। কয়েক বছর আগে মুজাহিদ যখন ত্রিশ লাখ
> শহীদের পবিত্র রক্তে কেনা আমার প্রিয় দেশের লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে চলছিলেন, তখন
> আমাদের ওই ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে কাদের এবং মুজাহিদের উপস্থিতিক নিষিদ্ধ
> করা হয়েছিল। দীর্ঘজীবী হোক আমার সতীর্থরা, দীর্ঘজীবী হোক আমার প্রিয় দেশ এবং
> মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
> লেখক : কানাডা প্রবাসী অধ্যাপক


--
---------- --- Please ignore or spam if feel unwanted -------------

-----------------ভালো না লাগলে আমার ঠিকানাটি spam করে দিন -------

*আমার তথ্যসহ ফাইল দেখতে এখানে মাউস ক্লিক করুন CLICK HERE TO SEE MY PUBLIC
FILES* <http://sites.google.com/site/akhtarudduza>


thanks and best regards
Engr Akhtarudduza


------------------------------------

****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190Yahoo! Groups Links

<*> To visit your group on the web, go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/

<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional

<*> To change settings online go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/join
(Yahoo! ID required)

<*> To change settings via email:
mukto-mona-digest@yahoogroups.com
mukto-mona-fullfeatured@yahoogroups.com

<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
mukto-mona-unsubscribe@yahoogroups.com

<*> Your use of Yahoo! Groups is subject to:
http://info.yahoo.com/legal/us/yahoo/utos/terms/