Banner Advertiser

Monday, September 23, 2013

[mukto-mona] জামায়াত-শিবিরের নৃশংসতা : প্রাণ গেল তিন চালকের [জানস না জামায়াতের হরতাল !!!!]



জামায়াত-শিবিরের নৃশংসতা

প্রাণ গেল তিন চালকের

গোলাম মর্তুজা | আপডেট: ০২:৩৮, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

DSC_6629অনেক কষ্টে জমানো টাকা আর ধারদেনা করে একটি বাস কিনেছিলেন চালক নজরুল ইসলাম। বাসের চাকা না ঘুরলে কোনো আয় নেই। ঋণের চাপে তাই হরতালেও গাড়ি নিয়ে বের হতে হয়েছিল তাঁকে। সেই তাঁকেই পুড়িয়ে মেরেছে হরতালকারীরা।গত বুধ ও বৃহস্পতিবার জামায়াতের ডাকা হরতালে নোয়াখালীর নজরুলসহ গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া তিন গাড়িচালকই একে একে হেরে গেছেন বেঁচে থাকার যুদ্ধে। বাকি দুজন হলেন বগুড়ার শামসুল ও শরীয়তপুরের সিকান্দার বেপারি। নৃশংস রাজনীতির শিকারে পরিণত হয়েছেন এই তিনজন খেটে খাওয়া মানুষ। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর এ হরতাল ডাকা হয়।গত বুধবার হরতালের রাতে বগুড়ার শেরপুরে সারবোঝাই ট্রাকের চালক শামসুল ও সহকারী মো. শাহীনকে ভেতরে রেখেই আগুন ধরিয়ে দেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। চার দিন মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে গত রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান শামসুল। সহকারী শাহীন এখনো বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধুঁকছেন।একই রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পেট্রল ঢেলে ট্রাকসহ চালক সিকান্দার আলীর (৪২) গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। পাঁচ দিন পরে গতকাল সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বার্ন ইউনিটে মারা যান সিকান্দার। হরতালের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাজীপুর থেকে ছেড়ে আসা ভিআইপি পরিবহনের একটি বাস ভোগড়া বাইপাসে পৌঁছালে যাত্রীবেশে থাকা জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা আগুন ধরিয়ে দেন। ঝলসে যায় বাসচালক নজরুলের শরীর। চার দিন পর গতকাল সোমবার সকাল ছয়টার দিকে মারা যান নজরুল।

গতকাল বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে গিয়ে দেখা মেলে বাসচালক নজরুল আর ট্রাকচালক সিকান্দারের স্বজনদের। ময়নাতদন্ত শেষ করে মরদেহ গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করছিল স্বজনেরা।

নজরুলের পাঁচ বছরের মেয়ে হায়াতুন্নেসা নিগার বসে ছিল মায়ের কোলে। সামনের পাটির চারটি দাঁত নেই। সেই ফাঁকা মাড়িতে আঙুল দিয়ে কৌতূহলী চোখে চারদিকে তাকাচ্ছিল নিগার। আর মা সাবিনা বিলাপ করে কাঁদছেন। এর মধ্যেই নথি তৈরিতে ব্যস্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশ্নের জবাব দিতে হচ্ছে তাঁকে।

সাবিনা বলেন, 'পাঁচ বছর আগে ছয় লাখ ট্যাকা দিয়া একটা ইসুজু বাস কিনছিল। সেই বাসে আরও ছয় লাখ টাকার যন্ত্রপাতি লাগছে। অর্ধেক টাকাই দেনা করছে। সেই দেনা এখনো শোধ হয়নি। স্ট্যান্ডে আইসা যাত্রী নামানো শ্যাষ না হইতেই বাঘের মতো দেনাদাররা আইসা ধরে। লোকটা পাগল হইয়া গেছিল। দেনার চাপে আর হরতাল দেহার টাইম ছিল না, সকালে গাড়িডা নিয়া বাইরাইছিল। কিছুক্ষণ পরেই আমারে ফোন দিয়া কয়, গাড়িত আগুন দিছে।'

কান্নায় ভেঙে পড়ে সাবিনা বলেন, 'কসাই, একদম কসাইয়ের মতো মারছে তারা। হাতে-পায়ে ধরছে, মাইয়াগো দোহাই দিছে। হরতালে গাড়ি বাইর কইরা ভুল করছে হেই কথাও কইছে। তবু ছাড়ে নাই। ওরে যাইত্যা ধইরা আগুন ধরায়া দিছে গাড়ির মইদ্দে।'

বিলাপ করতে করতে সাবিনা বলেন, 'আমার বড় মাইয়াডাই এখনো বাপের শোক বুজে না। ছোডডা তো এখনো দুধ খায়। আমি ক্যামনে এগো বড় করুম?'

গাজীপুরের বড়বাড়ী এলাকায় ভাড়াবাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকতেন নজরুল। তাঁর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিলে। সেখানেই তাঁকে দাফন করার জন্য নিয়ে গেছে স্বজনেরা।

ট্রাক থেকে নামিয়ে গায়ে আগুন: রাজধানীর শ্যামপুরে থেকে ট্রাক চালাতেন সিকান্দার আলী। ১১ বছরের মেয়ে আয়েশা আর ছয় বছরের ছেলে বিজয় শরীয়তপুরের জাজিরায় গ্রামের বাড়িতে মা রুমা আক্তারের সঙ্গে থাকে। হরতালের আগেই চট্টগ্রামের উদ্দেশে ট্রাক নিয়ে রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু যানজটের কারণে কুমিল্লায় আটকে যান। বুধবার রাতে সেখান থেকে চট্টগ্রামের দিকে যেতেই আমজাদের বাজার মাদ্রাসার সামনে তাঁর গায়ে ও ট্রাকে আগুন দেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা।

নিহতের ভাই আবুল হোসেন বলেন, গাড়িটা চট্টগ্রামের দিকে যাওয়ার সময় তাঁরা সিগন্যাল দিলে তিনি গাড়ি থামান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দরজা খুলে তাঁর কলার ধরেন জামায়াতের কর্মীরা। ট্রাকে থাকা সহকারী সোহেল আরেক দরজা খুলে দৌড়ে প্রাণ বাঁচান। সোহেলই সেই নারকীয় ঘটনার কথা জানিয়েছেন সিকান্দারের স্বজনদের।

আবুল হোসেন বলেন, সোহেল তাঁদের বলেছেন, সিকান্দারকে নামিয়ে গাড়ির সঙ্গে ঠেসে ধরে তাঁর মাথায় ও গাড়িতে তেল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। তাঁরা চলে যাওয়ার পর সোহেল আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় আগুন নিভিয়ে সিকান্দারকে প্রথমে চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসেন।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি সিকান্দারকে। তাঁর মাথা-মুখসহ শরীরের ৮০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল।

দুই চালকের স্বজনেরাই প্রথম আলোকে জানান, পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের কেউই হাসপাতালে এই দুই চালককে দেখতে আসেননি। কেউ খবরও নেননি।


'আমাকে বাঁচতে দাও, মারা গেলে ছেলেমেয়েরা না খেয়ে থাকবে'

হরতালে অগ্নিদগ্ধ আরো দুই গাড়ি চালকের মৃত্যু

আবুল খায়ের

'ভাইরে আমাকে মেরো না, আমি না থাকলে ছেলেমেয়েরা না খেয়ে মারা যাবে'। গাড়ি চালকদের এমন আর্তনাদেও মন গলেনি পিকেটারদের। গান পাউডার দিয়ে পিকেটাররা আগুন ধরিয়ে দেয় গাড়িতে। জামায়াতের ৪৮ ঘন্টা হরতালে অগ্নিদগ্ধ সেই দুই চালক অবশেষে গতকাল সোমবার মারা গেলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে। এই নির্মমতার শিকার দুই চালক হলেন, সেকেন্দার বেপারী (৪২) ও নজরুল ইসলাম (৩৫)। এর আগে গত রবিবার ঢাকা মেডিক্যালে মারা যান ট্রাক চালক শামসুল হক সামসু (৫৫)। 
জামায়াত শিবিরের হরতালে পেটের দায়ে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামা এসব চালক হরতালকারীদের কাছে তাদের জীবন রক্ষা করার অনুরোধ করলে পিকেটাররা জবাব দেয়, জানস না জামায়াতের হরতাল। একথা বলেই গান পাউডার দিয়ে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। চালকরা যাতে গাড়ি থেকে বের হতে না পারে সেজন্য দরজার সামনেই লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে ছিল পিকেটাররা। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গাড়িতে। ................. 
Details at


হরতালের সময় চৌদ্দগ্রামে অগ্নিদগ্ধ ট্রাক চালকের মৃত্যু
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সংবাদদাতা : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টা হরতালে পিকেটারদের আগুনে ঝলসে যাওয়া ট্রাক চালক সেকান্দার আলী (৪২) মারা গেছেন।  ......
- See more at: http://www.dailyinqilab.com/2013/09/23/134881.php#sthash.zcuzhE1t.dpuf

গাজীপুরে জামায়াত-শিবিরকর্মীদের নাশকতা: মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বাসচালক নজরুল


নাশকতায় দগ্ধ ডা. রকিবুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক


মেডিকেল করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
নাশকতায় দগ্ধ ডা. রকিবুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক
ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: হরতালের আগের রাতে দুর্বৃত্তদের নাশকতার শিকার ডা. রকিবুল আলম ডিউকের শারীরিক অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। ইতিমধ্যেই তার চিকিৎসার জন্য নয় সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। 

http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=10dae2db89bc660a12ae0a03ec03a28d&nttl=18032013182396

জামায়াত-শিবিরের আগুনে পুড়ে কাতরাচ্ছে ওরা


সুজন ঘোষ,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জামায়াত-শিবিরের আগুনে পুড়ে কাতরাচ্ছে ওরা
ছবি: সোহেল সরওয়ার/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: ''ও মা, ও মা, মা'রে...।"

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে এভাবেই আর্তনাদ করছিলেন জামাল উদ্দিন। শিবিরের ছোঁড়া ককটেলে তার ডান পায়ে সৃষ্টি হয়েছে গভীর ক্ষত। ব্যান্ডেজ দিয়েও পায়ের রক্ত ঝরা বন্ধ করা যাচ্ছিল না। অবিরত রক্তক্ষরণে লাল হয়ে উঠেছিল পরনের সাদা প্যান্টও, এমনকী হাসপাতালের সাদা বিছানাও।

সকাল সোয়া ১১টা। ওই সময় নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকার কথা ছিল জামালের। কিন্তু এর বদলে তার ঠাঁই হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে। শিবিরের ককটেল নিক্ষেপে তার এ পরিণতি। .......

http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=e2a18f4099c516315baab17161648dfa&nttl=15072013210706







__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___