Banner Advertiser

Thursday, September 26, 2013

Re: [mukto-mona] কালের পুরাণ: মমতার খোয়াব এবং তৃণমূলে গৃহদাহ - সোহরাব হাসান |

She is a drama queen and showing a level of intolerance towards
opposition that was not part of political culture of west Bengal. She
had a lot of potential but turned out she is high of drama and low on
substance.


Shalom!




-----Original Message-----
From: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>
To: mukto-mona <mukto-mona@yahoogroups.com>
Sent: Wed, Sep 25, 2013 7:08 pm
Subject: [mukto-mona] কালের পুরাণ: মমতার খোয়াব এবং তৃণমূলে গৃহদাহ -
সোহরাব হাসান |
















কালের পুরাণ
মমতার খোয়াব এবং তৃণমূলে গৃহদাহ




সোহরাব হাসান | আপডেট: ০০:০৩, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৩ | প্রিন্ট সংস্করণ








      




ভারতের নির্বাচন হতে মাস ছয়েক বাকি। এখনই প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে জাতীয়
ও আঞ্চলিক দলগুলোর দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে। দিল্লি ও বেঙ্গালুরুতে আমরা
যাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁরা বলেছেন, এবার নরেন্দ্র মোদিকে ঠেকিয়ে রাখা
যাবে না। তিনিই ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু কলকাতায় তৃণমূল
কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা আমাদের হিসাব কষে দেখিয়ে দিলেন, আগামী নির্বাচনে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আসন অলংকৃত করতে যাচ্ছেন।
জিজ্ঞেস করলাম, কীভাবে? তৃণমূল নেতা-কর্মীদের জবাব, কংগ্রেসের জনপ্রিয়তা
মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। নির্বাচনের আগেই ইউপিএর (ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ
অ্যালায়েন্স) অনেক শরিক কংগ্রেসকে ত্যাগ করবে। তা ছাড়া রাহুল গান্ধী
নিজেকে সর্বভারতীয় নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। বিপরীত দিকে
হিন্দুত্ববাদী চরিত্রের কারণে তারা বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ (ন্যাশনাল
ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স) জোটেও যাবে না। নরেন্দ্র মোদির গায়ে যেহেতু
২০০২ সালের গোধরা নৃশংসতার কালিমা লেগে আছে, সেহেতু ভারতের জনগণ তাঁকে
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনেও নেবে না। সে ক্ষেত্রে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ
গণতান্ত্রিক দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদের একমাত্র হকদার মমতা।
বিষয়টি ভাবতে মন্দ নয়। ভারতবর্ষ বহু বছর পর বাঙালি রাষ্ট্রপতি হিসেবে
প্রণব মুখার্জিকে পেয়েছে। দুর্ভাগ্য যে, সে সময় বাঙালি হয়ে এই মমতাই
সেদিন তাঁর বিরোধিতায় পি এ সাংমাকে প্রার্থী করেছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের
মানুষ মমতাকে ঠাট্টা করে বলেন 'বিরোধিতা দিদি'। অর্থাৎ, তিনি সবকিছুরই
বিরোধিতা করতে পছন্দ করেন। একসময় বামফ্রন্টের বিরোধিতা করেছেন, এখন
কংগ্রেসের বিরোধিতা করছেন। মমতা বিরোধী দলে থাকতে বলতেন, 'বাংলাদেশের
ক্ষতি হোক এমন কিছু তিনি করতে পারেন না।' এখন দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের যা
কিছু ভালো, তার বিরুদ্ধে মমতার অবস্থান। তাই মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার
বিষয়টি ভারতের মানুষ কীভাবে নেবে জানি না, তবে বাংলাদেশের মানুষ ভীষণভাবে
শঙ্কিত। মুখ্যমন্ত্রী হয়ে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন
চুক্তি ঠেকিয়ে দিয়েছেন। সীমান্ত চুক্তি সংসদেই উঠতে দিতে নারাজ। আর
বামপন্থী জ্যোতি বসু বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি ও তিন
বিঘা সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও
পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। অনেকের মতে, তাঁর কারণেই ৩০
বছর মেয়াদি গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি হতে পেরেছিল।
অন্যান্য ভারতীয় যেমন ভারতে যাই হোক না কেন, বাংলাদেশে একটি খাঁটি
সেক্যুলার সরকার চায়; কিন্তু জ্যোতি বসু ভারতেও সত্যিকার সেক্যুলার ও
গণতান্ত্রিক সরকার চেয়েছেন। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই
করেছেন। এখানেই দুই বাঙালি মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণের বিরাট
পার্থক্য।
১৯৯৬ সালে সিপিএম জ্যোতি বসুকে প্রধানমন্ত্রী না করে ঐতিহাসিক ভুল করেছিল।
সে সময় জ্যোতি বসু ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে হয়তো বাংলাদেশ ও ভারতের
সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ হতো। সীমান্ত চুক্তিসহ অধিকাংশ বকেয়া সমস্যার
সমাধান তখনই হয়ে যেত। তাহলে মমতা এখন এসব নিয়ে সস্তা রাজনীতি করতে
পারতেন না।
২.
বলার অপেক্ষা রাখে না তৃণমূলে মমতাই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।
'গণতন্ত্রবিরোধী' কমিউনিস্ট পার্টিতেও যেটুকু গণতন্ত্র আছে, গণতন্ত্রের
সাচ্চা দল তৃণমূলে তার ছিটেফোঁটাও নেই। সেখানে সবকিছু চলে দিদির দুর্দৈব
নির্দেশে। তিনি যাকে খুশি নেতা বানান, যাকে খুশি নেতৃত্ব থেকে তাড়ান। আর
এ কারণে দলে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। অনেকেই মমতার একগুঁয়েমিতে অতিষ্ঠ।
তিনি আইন মানেন না, শিষ্টাচারের তোয়াক্কা করেন না। আদালত তাঁকে বারবার
হুঁশিয়ার করে দিচ্ছেন, ভর্ৎসনা করছেন কিন্তু মমতা বেপরোয়া। গত দুই বছরে
মমতার অর্জন সামান্যই। যে সিঙ্গরা-নন্দিগ্রামের আন্দোলন তাঁকে নির্বাচনে
বিজয়ী করেছিল, সেই সিঙ্গরা-নন্দিগ্রামের মানুষ আজও জমি ফেরত পায়নি। উচ্চ
আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে। কলকাতায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা যখন মমতাকে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন করার খোয়াবে বিভোর, তখন সেই তৃণমূলেই
গৃহদাহ শুরু হয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গের যেসব লেখক বুদ্ধিজীবী ২০১১ সালে
মমতাকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছিলেন, তাঁরা অনেক আগেই মুখ ফিরিয়ে
নিয়েছেন। মমতার স্বৈরাচারী আচরণের প্রতিবাদ করেছেন। তাঁর বাংলাদেশ বৈরী
নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন। আর এবার প্রতিবাদটি এসেছে খোদ দল থেকেই। দলের
চার সাংসদ কুনাল ঘোষ, তাপস পাল, শতাব্দী রায় ও সোমেন মিত্র প্রকাশ্যে
বলেছেন, যেভাবে মমতা দল চালাচ্ছেন, সেভাবে চলতে পারে না। দলে
নেতা-সাংসদদের কোনো সম্মান নেই। নেত্রী একটার পর একটা স্বৈরতান্ত্রিক নীতি
ও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছেন (বাংলাদেশেও বড় দুটি দল একই কায়দায় চলছে)।
এর আগে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি নিয়ে কবির সুমন মমতার
সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছেন। তাঁর মতো দলের আরও
অনেকে চান, বাংলাদেশ ন্যায্য হিস্যা পাক। কিন্তু দিদির চোখরাঙানির ভয়ে
কেউ মুখ খুলছেন না। তাঁদের মনে আরও প্রশ্ন, তাহলে মুখ্যমন্ত্রী হয়েই মমতা
যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন, তা কি নিছকই লোক দেখানো ছিল?
আবার কেউ কেউ বলছেন, মমতা কংগ্রেসকে শিক্ষা দেওয়ার জন্যই বাংলাদেশ কার্ড
খেলছেন। দুই ক্ষেত্রেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ। এত দিন দলে
কেউ মমতার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাননি; এখন বলছেন। পশ্চিমবঙ্গের
রাজনীতিতে নেতৃত্বহীন কংগ্রেস কিংবা দিকহারা বামফ্রন্টের কাছ থেকে মমতার
এখনই বিপদের আশঙ্কা না থাকলেও নিজের দলের ভেতর থেকেই চ্যালেঞ্জের মুখে
পড়েছেন। এ যাত্রা এ চ্যালেঞ্জে সফল না হলেও আগামী নির্বাচনতক অনেক কিছু
ঘটে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়া দূরের কথা,
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পদ রাখাই কঠিন হবে। সারা ভারতের কথা বাদই
দিলাম, পশ্চিমবঙ্গের মানুষও মনে করেন না মমতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে
উপযুক্ত প্রার্থী। তৃণমূল নেত্রী যদিও ইতিমধ্যে কংগ্রেস ও বিজেপি জোটের
বাইরে তৃতীয় জোট করার কথা বলছেন, কিন্তু সেই জোট হবে কি না, হলেও তিনি
থাকবেন কি না ইত্যাদি হাজারো প্রশ্ন আছে।
আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী পদে কে আসীন হবেন, সে বিষয়টি রাজনৈতিক ও
আঞ্চলিক মেরুকরণের ওপর নির্ভর করছে। এখানে অনেকগুলো যদি ও কিন্তু জড়িত।
ভারতে গুটি কয়েক সাংসদ নিয়েও প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন চন্দ্রশেখর, দেব
গৌড়া, আই কে গুজরাল। আবার সংসদে বৃহত্তম দলের নেতা হয়েও অটল বিহারি
বাজপেয়িকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। মমতা যে তৃতীয় জোট গঠনের উদ্যোগ
নিয়েছেন, সেই জোটে তিনি জয়ললিতা, নিতিশ কুমার, মুলায়ম সিং যাদব
প্রমুখকে পেতে চাইছেন। পয়লা প্রশ্ন হলো, তাঁরা তৃতীয় জোটে আসবেন কি না।
দ্বিতীয় প্রশ্ন, জোটে এলেও তাঁরা মমতাকে নেতা মানবেন কি না। মমতা এখন
উচ্চকণ্ঠে তৃতীয় জোট গঠনের কথা বললেও নব্বইয়ের দশকে কিন্তু তিনি তৃতীয়
জোটে না গিয়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। আবারও যে মেলাবেন না, তার
নিশ্চয়তা কী?
কলকাতা থেকে
সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrab03@dhaka.net
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/50123/মমতার_খোয়াব_এবং_তৃণমূলে_গৃহদাহ






























------------------------------------

****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190Yahoo! Groups Links

<*> To visit your group on the web, go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/

<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional

<*> To change settings online go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/join
(Yahoo! ID required)

<*> To change settings via email:
mukto-mona-digest@yahoogroups.com
mukto-mona-fullfeatured@yahoogroups.com

<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
mukto-mona-unsubscribe@yahoogroups.com

<*> Your use of Yahoo! Groups is subject to:
http://info.yahoo.com/legal/us/yahoo/utos/terms/