Banner Advertiser

Wednesday, October 23, 2013

[mukto-mona] Fw: [Bangladesh-Zindabad] ‘কাদের ক্ষমা করলেন? ক্ষমা ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হবে’





On Wednesday, October 23, 2013 9:36 PM, projonmochottar <projonmochottar@gmail.com> wrote:
 
'কাদের ক্ষমা করলেন? ক্ষমা ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হবে'
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া 'নির্দলীয়' সরকারের নামে দুই দলের 'দলবাজির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের' প্রস্তাব দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তবে বিরোধী দলের প্রস্তাব অবাস্তব হলেও সংলাপের দরজা খোলা রয়েছে বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেছেন। পাশাপাশি বেগম জিয়া ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণকারীদের ক্ষমার যে ঘোষণা দিয়েছেন তার নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, তা হলে যারা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন তারা কী অপরাধী? যারা বিদেশে লুকিয়ে রাখা টাকা দেশে ফেরত এনেছে তারা কী অপরাধী, যে তাদের তিনি ক্ষমা করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন? এই ক্ষমা ঘোষণার নিন্দা জানিয়ে তিনি বেগম জিয়াকে এই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিরোধীদলীয় নেতা বেগম জিয়া, সে এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে যারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন, তাদের ক্ষমা করে দেয়ার যে ঘোষণা দিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনে তাঁর কঠোর সমালোচনা করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ উপস্থাপন করেছে, তারা কী অপরাধী? দুর্নীতির মাধ্যমে তাঁর ছেলেরা দেশ থেকে যে বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে লুকিয়ে রেখেছিল, তা দেশে ফিরিয়ে আনা কী অপরাধ? খালেদা জিয়ার বক্তব্যে মনে হচ্ছে, এ সকল কাজ যারা করেছেন তারা মস্তবড় অপরাধ করেছেন। তাই তিনি তাদের ক্ষমা করার ঘোষণা দিয়েছেন। অথচ তাঁর পুত্রদের অপরাধ, দেশে যারা জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করেছেন, যারা ২১ আগস্টের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের অপরাধ নিয়ে তিনি কখনই কোন উচ্চবাচ্য করেননি। 
তথ্যমন্ত্রী বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব তোলার ক্ষেত্রে খালেদা জিয়া 'যতœবান ও মনোযোগী' ছিলেন না। আর বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ প্রস্তাব 'বাস্তবায়নযোগ্যও' নয়। এটি অসাংবিধানিক ও বাস্তববর্জিত একটি প্রস্তাব। 
এর আগে সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার প্রস্তাব নাকচ করেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া। এর বদলে একজন 'সম্মানিত নাগরিকের' নেতৃত্বে সাবেক ১০ উপদেষ্টাকে নিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্র্বর্তী সরকারের পাল্টা প্রস্তাব দেন তিনি।
তাঁর প্রস্তাব অনুযায়ী, ১৯৯৬ ও ২০০১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২০ উপদেষ্টার মধ্যে থেকে ১০ জনকে নিয়ে এই সরকার হবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপি পাঁচটি করে নাম প্রস্তাব করবে। আর ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের 'ঐকমত্যের ভিত্তিতে' সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একজন 'সম্মানিত নাগরিককে' এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হবে।
তাঁর এই প্রস্তাবের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী ইনু মঙ্গলবার বলেন, খালেদার প্রস্তাব অনুযায়ী দুই দল থেকে ৫ জন করে উপদেষ্টা নিয়োগ দিলে তারাও 'দলীয় ব্যক্তি' হয়ে যাবেন, 'নিরপেক্ষ' ব্যক্তি হবেন না বা থাকবে না। তিনি বলেন, 'প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্দলীয় সরকার হবে কী ভাবে?'
তথ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, বিএনপি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের উপদেষ্টাদের নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কথা বললেও '৯৬ এর নির্বাচানের পর খালেদা জিয়া বলেছিলেন 'সূক্ষ্ম কারচুপি নয়, পুকুরচুরি' হয়েছে। আর ২০০১ এ পরাজয়ের পর শেখ হাসিনা ওই নির্বাচনকে বলেন 'সালসা নির্বাচন।' ওই দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার তখনই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। আর খালেদা জিয়া সেই বিতর্কিত সরকারের উপদেষ্টাদের নিরপেক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
এর আগে গত শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় মন্ত্রিসভার প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই মন্ত্রিসভার জন্য বিরোধী দলকে নামও দিতে বলেন তিনি। দুই দলের প্রস্তাব নিয়েই মঙ্গলবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন তথ্যমন্ত্রী।
বিরোধী দলের প্রস্তাব 'অবাস্তব' হলেও সংলাপের দরজা খোলা রয়েছে উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় নেতাকে সংলাপের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান জাসদ সভাপতি ইনু। তিনি আশাপ্রকাশ করেন, নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে সংলাপের 'সব ধরনের প্রস্তাব' নিয়ে খালেদা জিয়া এগিয়ে আসবেন।
তবে খালেদার প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নির্দলীয় সরকারের প্রধান হিসেবে একজন সম্মানিত ব্যক্তি নির্ধারণ করাও 'প্রায় অবাস্তব'। যে কয়জন উপদেষ্টা জীবিত আছেন তাদের মধ্যে দুইজন ইতোমধ্যে না করে দিয়েছেন। আর বাকিদের মধ্যে অনেকেই বয়সের ভারে নূব্জ্য, তারা এই দায়িত্ব পালনে সম্মত হবেন কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।'
তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতার প্রস্তাব নিয়ে 'মাথা ঘামালে' নির্বাচন ঝুলে যাবে, নির্বাচেনের পথে 'অন্তরায়' তৈরি হবে। খালেদা জিয়া তাঁর প্রস্তাবে কোন সময় কাঠামো নির্ধারণ করে দেননি। এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে হলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে এবং এটি কোন স্থায়ী সমাধান হবে না। এতে আগামী ৫ বছর সংঘাতের রাজনীতি হবে। অন্যদিকে সমঝোতার ভিত্তিতে বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকেই প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব 'বাস্তবায়নযোগ্য' বলে মনে করেন ইনু।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা, এখতিয়ার, ভূমিকা এবং নির্বাচনকালে সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যদের ক্ষমতা ও অধিকার নিয়েও ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ভাষণকে বিরোধী দল সমালোচনা করছে। তাঁর এই বক্তব্যে কোন প্রকার অস্পষ্টতা নেই। এই সরকারে কারা মন্ত্রী হবেন তাও স্পষ্ট বলা রয়েছে। কে কোন দায়িত্ব নেবেন বা কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানযোগ্য। 
তিনি বলেন, এ সময় নির্বাচনকালীন কার্যক্রমই পরিচালিত হবে। সে ক্ষেত্রে কোন আইন সংশোধনের প্রয়োজন হলে তাও করা যাবে। এই সরকারের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কী সম্পর্ক হবে তাও আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা যেতে পারে। এ সবগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধানযোগ্য।
তিনি বলেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর সবকিছু আরপিও'র অধীনে চলে যায়। তাই কোন প্রকার আচরণবিধি সংশোধনের প্রয়োজন থাকলেও আলোচনাসাপেক্ষে তা করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, ওই দুই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২০ উপদেষ্টার মধ্যে ২ জন দুইবার করে উপদেষ্টা নির্বাচিত হন। সে হিসেবে বাকি থাকে ১৮ জন। এই ১৮ জনের মধ্যে ইতোমধ্যে ৪ উপদেষ্টা মারা গেছেন। সে হিসেবে বাকি থাকল ১৪ জন। এই ১৪ জনের ২ জন ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন তারা এর মধ্যে থাকবেন না। তাতে বাকি থাকে আর মাত্র ১২ উপদেষ্টা। এই ১২ জনের মধ্যে কয়েকজন বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছেন। এঁদের সকলের সরকারের দায়িত্ব পালনের মতো যোগ্যতা রয়েছে কিনা তা না জেনে, হিসাব না করে বেগম জিয়া এই বক্তব্য দিয়েছেন। এটি নিছক প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি এই প্রস্তাব করেছেন। এ ছাড়া তাদের এই প্রস্তাবটি সাংবিধানিকভাবেও গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের এই প্রস্তাব মানতে গেলে শুধু একটি নির্বাচনের জন্য সংবিধান সংশোধন করতে হবে। আর এই সংবিধান সংশোধন করা হলে পরবর্তী ৫ বছরের রাজনীতি হবে সংঘাতময়। আমরা সংঘাত চাই না। আমরা চাই একটি স্থায়ী সমাধান।
তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা দুই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২০ উপদেষ্টাদের মধ্যে ১০ জনকে নিয়ে এবং একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে প্রধান উপদেষ্টা করার প্রস্তাব দিয়ে পুরানো ধাঁচের নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি করেছেন। এ ছাড়াও দুই দল মিলে একজন সম্মানিত ও নিরপেক্ষ ব্যক্তি খুঁজে বের করা প্রায় অসম্ভব। তাই এটি একটি অবাস্তব প্রস্তাব। এটি নির্বাচনকে ঝুলিয়ে দেয়ার প্রস্তাব।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বরং প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব বাস্তবধর্মী। সংবিধানের আলোকে এই প্রস্তাব অনুযায়ী সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা যেমন সম্ভব, তেমনি একটি স্থায়ী সমাধানও হতে পারে। এতে সংবিধান সংশোধনের কোন প্রয়োজন পড়বে না। প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছার।




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___