Banner Advertiser

Monday, November 25, 2013

[mukto-mona] আন্দোলনের ঝড়ে সব চুল উড়বে নাকি এক চুলও নড়বে না



আন্দোলনের ঝড়ে সব চুল উড়বে নাকি এক চুলও নড়বে না

অলিউল্লাহ নোমান
বাতাসে নানা গুজব। নানা খবর ভাসছে ইথারে। অনলাইনগুলোতে ক্লিক করলেই বাতাসের খবর চলে আসে কম্পিউটার/ল্যাপটপ স্ক্রিনে। সর্বশেষ বাতাসি সংবাদ হলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে গোপন বৈঠক। যদিও বিএনপি মহাসচিব সেটাকে মিডিয়ার গুজব হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছেন সেদিনই। মুরব্বি ও বন্ধুরাষ্ট্রের পরামর্শে আওয়ামী লীগ নীল নকশা অনুযায়ী এগিয়ে চলেছে। বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ এরই মধ্যে প্রকাশ্যেই ঘোষণা করেছেন, তারা বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলছেন। তার চেয়েও ভয়াবহ হলো ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শিন্দের যশোরের বর্ডারে এক অনুষ্ঠানে একটি বক্তব্য। তিনি প্রকাশ্যে অনুষ্ঠানে বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করে ৫ বছরের অবদানের প্রতিদান দিতে চায় ভারত। এসবই হচ্ছে আমাদের সার্বভৌমত্বের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ শঙ্কার বিষয়।
একের পর এক রাজনৈতিক চাল দিয়ে বিরোধীদলীয় জোটকে ধরাশায়ী করার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক চালে মাঝেমধ্যেই বিরোধী জোট ধরাশায়ী হওয়ার উপক্রম হয়। আন্দোলনের গতি থামিয়ে 'কী হয় দেখি' নীতি অবলম্বন করা হয়। এতে হঠাত্ করেই রাজপথের উত্তেজনা অন্তত ১৮০ ডিগ্রি থেকে শূন্যতে নেমে আসে। তখনই গুজবের ডালপালা বিস্তৃত হতে থাকে। এই সুযোগে বাতাসে ভাসে গুজবের পর গুজব। ক্ষমতাসীনরা তাদের লক্ষ্য হাসিলে খেলবে, এটাই স্বাভাবিক। মাঠে দুই দল খেলতে নামলেও উভয়েরই চেষ্টা থাকে গোল করার। কোনো দল প্রতিপক্ষের পায়ে বল দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে না। আওয়ামী লীগও তেমনি বল ফ্রি দেবে না। তাদের জালে যাতে বল না ঢুকে সেই চেষ্টায় থাকবে এবং প্রতিপক্ষের জালে বরং বল ঢোকানোর মরণকামড় দেবে। নতুবা তাদের ভিশন ২০২১ হাসিল করা সম্ভব হবে না। এই ভিশন সামনে রেখেই তারা খেলছে, যেমনটা ভারতীয় পত্রিকার সাক্ষাত্কারে বলেছেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয়। ক্ষমতায় যেতে হলে তাদের লাশের ওপর দিয়ে যাবে, সেটা তিনি স্পষ্ট করেছেন।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভিশন ২০২১ হাসিলের লক্ষ্যে অনেক সাংবিধানিক পথ খোলা রাখা হয়েছে। বুঝেশুনেই আওয়ামী লীগ সেটা করেছেন। কোনো কারণে নির্বাচন না হলেও শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। যতদিন পর্যন্ত নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী না আসবেন ততদিন শেখ হাসিনা দেশ চালাতে পারবেন। দূরদর্শী চিন্তায় সূক্ষ্ম কূটকৌশলে সংবিধানে সন্নিবেশিত এই অনুচ্ছেদের দোহাই দিয়েই ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে পারবেন শেখ হাসিনা। নির্বাচন হলে তো কোনো কথাই নেই। নির্বাচন না হলেও ক্ষমতায় টিকে থাকার পথ প্রশস্ত রাখা হয়েছে অন্তত শেখ হাসিনার জন্য। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে গেলেও নীল নকশার কাছে বিরোধী জোটের ধরাশায়ী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নির্বাচনে না হতে দিলেও সুরক্ষিত রয়েছে শেখ হাসিনার গদিতে থাকার পথ। এখন কথা হলো—দেশের মানুষকে এই সরকারের নির্যাতন থেকে রেহাই দিতে হলে কী করতে হবে?
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখনও অনড় রয়েছেন। তার একটি খেতাব রয়েছে আপসহীন নেত্রী হিসেবে। ২০ অক্টোবর সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের জাতীয় কনভেশনশনে বেগম খালেদা জিয়া দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা করেছেন, কেউ রাজপথে না থাকলেও নির্দলীয় সরকারের দাবিতে তিনি একা হলেও থাকবেন। কিন্তু এখন বিভিন্ন মিডিয়ায় এবং বাতাসে ভাসছে ভিন্ন খবর। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নিয়ে সর্বদলীয় ফর্মুলার সরকারের অধীনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট ভোটে অংশ নেবে। এসবই উড়াল খবর। তবে এই উড়াল খবরটি এমনভাবে ছড়িয়েছে যেন এটাই বাস্তব সিদ্ধান্ত।
আলোচনার টেবিলে বসার নামে কোনো খবর নেই। বিরোধী জোটের আলোচনার আহ্বান, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ কোনো কিছুতেই শেখ হাসিনার সরকার পাত্তা দিচ্ছে না। তাদের সাজানো নকশা অনুযায়ী সবকিছু এগিয়ে চলছে। এর মাঝেই রয়েছে বিরোধী জোটের তাদের মূল দাবি ছাড় দিয়ে বসে থাকার গুজব। অনেকেই মনে করেন, সরকার কূটকৌশলে এই গুজব ছড়িয়ে দিয়ে হলেও নৈতিক বিজয় লাভ করেছে। কারণ এই গুজব অনুযায়ী বিরোধী জোট এখন আর মূল দাবিতে নেই। গুজব সঠিক হয়ে থাকলে সর্বদলীয় সরকার মেনে নিয়ে শুধু প্রধানমন্ত্রিত্বের বিষয়ে আপত্তি জানাচ্ছে।
বিএনপির দায়িত্বশীল কোনো নেতা বা মুখপাত্র এখনও এমনটা স্বীকার করেননি। কিন্তু পর্দার আড়ালে অদৃশ্য কোনো বিষয় নিয়ে সমঝোতা হলে সেটা একান্তই তাদের ব্যাপার। আদার বেপারি হয়ে জাহাজের খবর রেখে লাভ নেই। তবে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষ এবং আদার বেপারিদের নিয়েই রাজনীতি করেন তারা। সেজন্য কিছু বলতে হয়। নির্দলীয় সরকারের দাবিতে এ পর্যন্ত রাজপথে যারা প্রাণ দিয়েছেন তারা হয় খেটে খাওয়া মজুর, নতুবা আদার বেপারি। এটাও অস্বীকার করার সুযোগ নেই, অনেক নেতা জেলজুলুমের শিকার হয়েছেন। আবার এটাও সত্য অনেকেই সরকারের সঙ্গে আপসরফা করে নীরবে দিন পার করে দিচ্ছেন। আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথেও নেই, জেল-জুলুমেও নেই। সময়মতো এমপি-মন্ত্রিত্বের জন্য ঘাপটি মেরে বসে আছেন। তারাই হয়তো শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে সৌভাগ্যবান ব্যক্তি হিসেবে সবাইকে ডিঙিয়ে কাঙ্ক্ষিত পদে বসবেন! রাজপথে প্রাণ দিচ্ছেন, জুলুমের শিকার হচ্ছেন আদার বেপারী আর খেটে খাওয়া দিনমজুররা।
পর্দার আড়ালে যা-ই ঘটুক না কেন বাস্তবতা ভিন্ন বিষয়। বাস্তবতার কারণেই ভারতীয় পরামর্শে শেখ হাসিনার সাজানো প্রশাসনের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া আত্মহননের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার মতো হবে। শেখ হাসিনার সাজানো সাংবিধানের বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সে হিসেবে সময় আছে আর মাত্র দুই মাস।
ধরে নেয়া যাক, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করল। তার জায়গায় রাষ্ট্রপতি বা স্পিকার নির্বাচনকালীন সরকারপ্রধান হলেন। রাষ্ট্রপতি হলেন বুনিয়াদি আওয়ামী লিগার। তিনি কি পারবেন শেখ হাসিনার অঙ্গুলিহেলনের বাইরে যেতে?
স্পিকার হলেন রাষ্ট্রপতির চেয়েও বিশ্বস্ত আওয়ামী লীগার। আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেটকে মহামান্য রাষ্ট্রপতির আসনে পৌঁছাতে অনেক পথ অতিক্রম করতে হয়েছে। '৭০ সাল থেকে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। তার পর মহামান্য রাষ্ট্রপতির পদে আসীন হওয়ার জন্য বিশ্বস্ততা অর্জন করেছেন। আর স্পিকার শিরীন শারমিন কোনো আমলেই জনগণের দ্বারা নির্বাচন হননি। আওয়ামী লীগের কৌটায় শেখ হাসিনার পছন্দের এবং বিশ্বস্ত হিসেবে সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনীত সংসদ সদস্য। কতটা বিশ্বস্ত হলে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত না হওয়া সত্ত্বেও স্পিকার হিসেবে মনোনয়ন পেতে পারেন, সেটা একটু চিন্তার বিষয়। একজন অনির্বাচিত মনোনীত ব্যক্তি ৩০০ নির্বাচিত সংসদ সদস্যের অভিভাবক, এটা চাট্টিখানি কথা নয়। শেখ হাসিনা বিশ্বস্ততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বলেই তাকে এই পদে বসানো হয়েছে। বাংলাদেশে ইসলামী শরিয়তবিরোধী বিতর্কিত নারীনীতির মূল প্রস্তাবক তিনি। তাকেও যদি নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করা হয়, তিনিও কি পারবেন শেখ হাসিনার অঙ্গুলিহেলনের বাইরে কিছু করতে?
সবচেয়ে বড় কথা হলো শেখ হাসিনা নিজে এবং তার মন্ত্রীদের অনেকেই ঘোষণা করেছেন, সংবিধানের বাইরে এক চুলও নড়বেন না তারা। রাষ্ট্রপতি এবং স্পিকার কারো অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান হওয়ার কোনো বিধান সংবিধানে নেই। তবে কি ১৮ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ঘোষণা অনুযায়ী আন্দোলনের ঝড়ে চুল উড়ে যাবে! অনেকেই যুক্তি দেখিয়ে বলেন, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। যেমন এরশাদ অনেক কিছুই বলেছিলেন—নির্বাচনে গেলে জাতীয় বেঈমান হবেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে এক বেহেস্তেও যাওয়া যায় না, বিরোধীদলীয় জোটকে বাইরে রেখে শেখ হাসিনার সাজানো নির্বাচনে অংশ নিলে জনগণ থুতু দেবে, আরো কত কিছুই না বলেছিলেন এরশাদ। কিন্তু সবকিছুর পর তিনি নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়ে শেখ হাসিনার ফর্মুলার সরকারে যোগ দিলেন। যদিও সংবিধানে এই ফর্মুলারও কোনো অস্তিত্ব নেই। বিএনপিও কোনো একটি যুক্তি খাড়া করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিতে পারে, এমন গুজবও রয়েছে। বিশেষ করে হাওয়াই মিডিয়াগুলো যেন এখন গুজবের হাট!
সর্বশেষ যে বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা হয় সেটা হলো, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর স্পিকার বা রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে অসাংবিধানিক সর্বদলীয় সরকার হলেও ঝুঁকি থেকে যাবে। কারণ— (ক) এত স্বল্প সময়ের মধ্যে নীল নকশার সাজানো প্রশাসনে রদবদল সম্ভব নয়। (খ) নির্বাচন কমিশনের এই স্বল্প সময়ে পুনর্গঠন কোনোভাবে সম্ভব হবে না। এই নির্বাচন কমিশন যে একটি আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে তার বড় প্রমাণ হলো—(১) সর্বশেষ পর্যায়ে এসে বিএনএফের নিবন্ধন। (২) আওয়ামী লীগের ফর্মুলা অনুযায়ী নির্বাচনীয় আইন পরিবর্তন করে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন পর্যন্ত দল পরিবর্তনের সুযোগ তৈরির বিধান করা। এ রকম আজ্ঞাবহ একটি নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটে অংশ নিলে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের পরিণতির আশঙ্কা করছেন অনেকে। (গ) সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হলে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ আওয়ামী লীগের এমপি এবং মন্ত্রীরা বাড়তি সুবিধা পাবেন। এতে অধিকাংশ আসনেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হবে না। এমপিদের মর্যাদার কারণেই বাড়তি সুবিধা পাবেন প্রশাসনে। আর মন্ত্রিদের তো কোনো কথাই নেই। প্রশাসন কি তখন নির্বাচিতদের কথা শুনবে, নাকি অনির্বাচিতদের কথা শুনবে? বেগম খালেদা জিয়ার ঘোষণা অনুযায়ী আন্দোলনের বাতাসে সব চুল না ওড়াতে পারলে, নির্দলীয় সরকারের দাবিতে সরকারকে বাধ্য করতে না পারলে, নৈতিক পরাজয় দিয়েই নির্বাচনের অসম লড়াইয়ে অংশ নিতে হবে।

লেখক : দৈনিক আমার দেশ-এর বিশেষ প্রতিনিধি, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___