Banner Advertiser

Friday, December 20, 2013

[mukto-mona] নাশকতার মূলে কারা?



নাশকতার মূলে কারা?

(১)সাতক্ষীরার দেবহাটায় এক সংখ্যালঘুর বাড়িতে আগুন দেয়ার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল গাফফার (২) নোয়াখালীর সেনবাগে বিচারপতির বাড়িতে হামলার সময় পেট্রোল বোমাসহ গ্রেফতার ছাত্রলীগের তিন নেতা-কর্মী

তোফাজ্জল হোসেন কামাল : সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে বহুরূপী নাশকতার ঘটনা ঘটছে।এসব নাশকতা বিরোধীদলগুলো করছে- এমন অভিযোগের তীর বরাবরই ছুঁড়ছে সরকার। অভিযোগ করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না সরকার। জুড়ে দিচ্ছে মামলা। সেসব মামলার কারণে বিরোধীদলের নেতা-কর্মীরা রাজপথ ছাড়া, হয়রানি এড়াতে অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে একরকম আত্মগোপনে। বিরোধীদল নাশকতা করছে,সরকারের এ ধরনের গোয়েবলসীয় অভিযোগের খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি দলের অংগ-সংগঠনের নেতা কর্মীরাই এসবের সাথে জড়িত। স্থানভেদে তারা ধরাও পড়ছে, জনতার হাতে গণপিটুনির শিকারও হচ্ছে সরকারি দলের নাশকতাকারীরা। পর্যবেক্ষক মহলের মতে, সরকারিদলের লোকজন নাশকতা করে তার দায়ভার বিরোধীদলের ওপর ফেলে রাজনৈতিক ভাবে কোণঠাসা, হামলা-মামলা দিয়ে আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়ে রাখাসহ জেলেপুরে রাখার জন্যই পরিকল্পিতভাবে এসব করা হচ্ছে। যাতে সরকারের নীল-নকশা অনুযায়ী ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে একতরফা নির্বাচনের সকল আয়োজন সম্পন্ন করা সহজতর হয়। সাম্প্রতিককালের এহেন ঘটনা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনা ও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ালেও আধিপত্যবাদের দোসর বর্তমান হাসিনার সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না ।
গত ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর সেনবাগে প্রথম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি জাহাংগীর হোসেনের গ্রামের বাড়িতে হামলার সময় এলাকাবাসী ছাত্রলীগের তিন নেতা-কর্মীকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় । ১৫ ডিসেম্বর সাতক্ষীরার দেবহাটায় এক সংখ্যালঘুর বাড়িতে আগুন দেয়ার সময় এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে দেয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক বছরের কারাদ- প্রদান করে। গত ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে প্রতিবাদী জনতার ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছদ্মাবরণে পুলিশের জ্যাকেট ও হেলমেট লাগিয়ে জিন্সের প্যান্ট ও দু'বেল্টের সেন্ডেল পায়ে দিয়ে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে গুলী করে স্থানীয় যুবলীগের ক্যাডাররা। গত ৭ ডিসেম্বর ফেনীর মোটবী ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রামে পেট্রোল বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে ঝলসে যায় ৪ যুবলীগ ক্যাডার । এর আগে ৪ ডিসেম্বর বুধবার রাতে খুলনার নয়াবটি এলাকায় নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীরসহ ৫/৬ জন বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে রেল লাইনের ফিশপ্লেট খোলার সময় পথচারীরা জাহাঙ্গীরকে ধরে তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। এর আগে গত ৬ মার্চ বগুড়ার শেরপুরে যুব-লীগের নেতৃত্বে শহীদ মিনার ভাঙার সময় এলাকাবাসী যুবলীগ নেতা তবিবুর রহমান টিপুকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। একইদিন সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বোমা তৈরির সময় এক আওয়ামী লীগ ক্যাডার নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছে।এ কয়েকটি ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ের তথাকথিত নাশকতার সম্পূর্ণ চিত্রের খ-াংশ মাত্র। যার সাথে জড়িত সরকারি দলের সদস্যরা ।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়,নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর গ্রামে গত ১৪ ডিসেম্বর রাত ১১ টার দিকে প্রথম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি জাহাংগীর হোসেনের বাড়িতে হামলার সময় পেট্রোল বোমাসহ তিন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়। সেনবাগ থানার এসআই শাহজাহানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এর আগে স্থানীয় জনতা তাদেরকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। আটককৃতরা হচ্ছে ৫ নং ওয়ার্ড মহিদীপুর ছাত্রলীগ সভাপতি ও একই গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে জাহিদ হোসেন বাবু (২২), একই গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে রাসেল বাবু (২০) ও আজিজপুর গ্রামের শরিয়ত উল্লার ছেলে ওমর ফারুক(১৯)। আটকের পর তাদেরকে বোমা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতে পাঠানো হয় বলে পুলিশ জানায়। এর পর দিন ১৫ ডিসেম্বর রোববার ভোরে সাতক্ষীরার দেব হাটার উত্তর পারুলিয়া গ্রামের মৃত নরেন সরকারের ছেলে সুনিত সরকারের বাড়িতে আগুন দেয়ার সময় স্থানীয়রা সেকেন্দরা গ্রামের মৃত এলবাহার গাজীর ছেলে আব্দুল গাফ্ফার(৫৫)কে হাতেনাতে ধরে ফেলে। উত্তম- মধ্যম দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় জনতা। এই গাফ্ফার পারুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা। আগুন লাগানোর সময় তার সাথে আরও ছিলেন, একই উপজেলার হাড়দ্দহ গ্রামের খালেক সরকারের ছেলে রবিউল ইসলামসহ আরও দু'জন ।তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আব্দুল গাফ্ফার গত ইউনিয়ন কাউন্সিলে একজন কাউন্সিলর ছিলেন। পরদিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম তাকে এক বছরের কারাদ- দিয়ে জেলহাজতে পাঠায় ।
ফেনীর সূত্রগুলো জানায়,সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রামে একটি পরিত্যক্ত মুরগির খামারে গত ৭ ডিসেম্বর শনিবার বিকালে পেট্রোল বোমা তৈরিকালে ঝলসে গেছে ৪ যুবলীগ ক্যাডার। তারা ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ প্রতিহত করার জন্য এই বোমা তৈরি করছিল বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওইদিন বিকালে উত্তর লক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন নিপুলের পরিত্যক্ত মুরগির খামারে পেট্রোল বোমা তৈরি করছিল কয়েকজন যুবলীগ ক্যাডার। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণে বোমার কারিগরদের মুখম-লসহ পুরো দেহ ঝলসে যায়। বিকট শব্দে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এসে আহত অবস্থায় উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩২), একই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে রিপন (৩৫), ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে শাহ আলম (২৮) ও মোঃ ইদ্রিসের ছেলে জামাল (২৫)কে উদ্ধার করে ফেনীতে পাঠায়। এদের মধ্যে সাইফুল ও রিপন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফেনী সদর হাসপাতালে এবং অপর আহতদের একজন শহরের ট্রাংক রোডের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ও অন্য জন গোপনে চিকিৎসা নেয়।
খুলনা মহানগরীর নয়াবাটি এলাকায় রেল লাইনের ফিশপ্লেট খুলে ফেলার সময় মেহেদী হাসান জাহাঙ্গীর (২৬) নামের এক যুবলীগ নেতাকে হাতে নাতে ধরে এলাকাবাসী গণপিটুনী দিয়ে পুলিশী সোপর্দ করলে শুধুমাত্র একটি সাধারণ ডায়েরি করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে। জিআরপি থানার এসআই ইসমাঈল হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীর সুস্থ হলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে যে জিডি করা হয়েছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। তবে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীর একজন মাদক সেবনকারী। তার এই কাজের জন্য কি করা হবে তা তদন্ত না করেই মন্তব্য করা সম্ভব নয়।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, ৪ ডিসেম্বর বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরসহ ৫/৬ জন বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে নয়বাটি রেল লাইনের ওপর যায়। সেখানে তারা রেললাইনের ফিশপ্লেট খোলার লক্ষ্যে লাইনের ২/৩টি বড় সাইজের নাটবল্টু খুলে ফেলে। এ সময় ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারী পথচারীদের সন্দেহ হলে তারা ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে যান। এ সময় রেল লাইনের ফিশপ্লেট খোলা হচ্ছে দেখে পথচারীরা সঙ্গে সঙ্গে জাহাঙ্গীরকে ধরে ফেলে। তবে তার সঙ্গীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। জাহাঙ্গীরকে ধরার পর এলাকাবাসীও এগিয়ে আসে। পরে সকলে মিলে তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে জিআরপি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গত ৬ মার্চ বগুড়ার শেরপুরে যুব-লীগের নেতৃত্বে শহীদ মিনার ভাঙার সময় এলাকাবাসী যুবলীগ নেতা তবিবুর রহমান টিপুকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
শেরপুর এলাকার সুত্রগুলো জানায়, বগুড়ার শেরপুরে যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে স্থানীয় একটি মাদরাসায় স্থাপিত শহীদ মিনার ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হয। বেলা ৩টার দিকে শহর যুবলীগের যুগ্ম-সম্পাদক তবিবর রহমান টিপুর নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক শেরপুর শহীদিয়া কামিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবলীগ নেতাকে হাতেনাতে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আটক যুবলীগ নেতাকে 'পাগল' সাজাতে প্রভাবশালী একটি মহল চেষ্টা চালিয়ে যায় ।
মাদরাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবদুল হালিম, সামিউল ইসলাম ও সিহাব উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বেলা ৩টার দিকে ৩ যুবক একটি মোটরসাইকেল নিয়ে মাদরাসার প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে সোজা শহীদ মিনারের কাছে এসে দাঁড়ায়। এরপর এক যুবক মিনারের বেদিতে স্থাপিত ৪টি ছোট আকারের স্টিলের খুঁটিতে একটি লাল কাপড় লাগিয়ে প্রচ- জোরে টানাটানি করে ভেঙে ফেলার চেষ্টা চালায়। টানাটানির একপর্যায়ে স্টিলের খুঁটির মাথায় লাগানো একটি ক্যাপ খুলে যায়। এরপর তারা মাদরাসার প্রধান ফটকটিও ভাঙার চেষ্টা চালায়। এতে ফটকের উপরিভাগের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে তারা জানান।
ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে থানায় জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবলীগ নেতাকে আটক করতে পারলেও তার অপর ২ সহযোগী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আটক তবিবর রহমান টিপু উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও শেরপুর পৌরসভার কাউন্সিলর বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববির ভাই বলে জানা গেছে।
একইদিন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম লাল্টুর কার্যালয়ে বোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণের ঘটনায় একজন নিহত এবং অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের তত্ত্বাবধানে বোমা তৈরিকালে বিস্ফোরণ ঘটলে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। বেলা একটার দিকে কলারোয়া উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডে পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেত্রী মনোয়ারা ফারুকের সরকারি অফিসরুমে বিকট শব্দে একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডে থাকা লোকজন দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যে পুলিশ উপস্থিত হয়ে বিস্ফোরণে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত চারজনকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরা হলোÍ কলারোয়া উপজেলার হাটুনি গ্রামের শহর আলীর ছেলে শুকুর আলী, হেলাতলা গ্রামের আফসারের ছেলে জিয়াউর, মৃত ফজর আলীর ছেলে আনসার আলী এবং বদ্দিপুর গ্রামের ইনতাজুলের ছেলে মৌফুর রহমান। আহতদের মধ্যে শুকুর আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় রেফার করা হয়। বিকালে অ্যাম্বুলেন্সে ওঠানোর সময় তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসাধীন অন্য তিনজনের অবস্থা গুরুতর।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, বিরোধী দলকে মোকাবিলার জন্য সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতার নির্দেশে দলের কলারোয়া উপজেলা কমিটির সমন্বয়ক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টুর তত্ত্বাবধানে সরকারি দফতরে বোমা তৈরি করা হচ্ছিল। এ ঘটনা পুলিশ জেনে যাওয়ায় তড়িঘড়ি বোমা সরাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। বোমা তৈরির সময় আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম লাল্টু পাশেই তার সরকারি দফতরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ারা ফারুকসহ বসে ছিলেন।
তবে উপজেলা আওয়ামী লীগ সমন্বয়ক আমিনুল ইসলাম লাল্টু এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা জানালা দিয়ে বোমা ছুঁড়ে মেরেছে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের কক্ষটিতে তখন ভিজিটররা অপেক্ষমাণ ছিলেন। শব্দ শুনে আমিনুল ইসলাম লাল্টু ও অন্যরা কক্ষটিতে গিয়ে কয়েক ব্যক্তিকে কাতরাতে দেখেন। নিহত শুকুর আলীর ভগ্নিপতি যশোরের নাভারন বুরুজবাগান এলাকার শহিদুল দাবি করেন, আওয়ামী লীগের দুজন ইউপি সদস্য তার ভগ্নিপতিকে উপজেলা পরিষদে ডেকে নিয়ে যান। পরে সেখানে বোমা হামলা হয়।
কলারোয়া থানার ওসি শিকদার আক্কাস আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনিও একই কথা বলেন। জানান, এ ব্যাপারে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে আসল ঘটনা উদ্ঘাটন করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন শওকত বলেন, পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। এর বেশি কিছু তার জানা নেই বলে জানান ইউএনও।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিস্ফোরণে গুরুতর আহত মৌফুর রহমান এলাকায় মৌফুর ডাকাত হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী লীগ নেতারা বোমা  তৈরির জন্য তাকে ভাড়া করেন। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সমন্বয়ক আমিনুল ইসলাম লাল্টু বলেন, 'একসময় মৌফুরকে মৌফুর ডাকাত বলা হতো। এখন সে স্বাভাবিক জীবনযাপন করে।' হতাহতদের রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাইলে আমিনুল ইসলাম লাল্টু বলেন, 'নিহত শুকুর আলী আওয়ামী লীগ কর্মী। আহত আনসার আলী আওয়ামী লীগ উপজেলা কমিটির সদস্য, জিয়াউর রহমান যুবলীগ ও মৌফুর রহমান কৃষকলীগ কর্মী।' তবে আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম লাল্টু এ অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, জানালা দিয়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বোমা ছুঁড়ে মেরেছে। থানার ওসি সমর্থন করেছেন আওয়ামী নেতার বক্তব।


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___