সাইবার ক্রাইমে বিএনপি-জামায়াত
আপনারা হয়তো দেখে থাকবেন যে কালুরঘাট সাইবার কেন্দ্র এবং সময়ের সাক্ষী নামের দুটি ফেইসবুক পেইজে অব্যহতভাবে ভুয়া ডকুমেন্ট, ডিভিও এবং ছবি প্রকাশ করে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। রাস্তার সন্ত্রাস এখন সাইবার জগতে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল একটি প্রচারণা চালায় তারা যে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বিএসএফকে নাকি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইনশৃংঙ্খলা রক্ষার্থে ডেকে পাঠানো হয়েছে। আমি খুবই খুশি হতাম এই ঘটনা সত্য হলে। এর কারণ, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। তার দরকারে যদি ভারত আন্তর্জাতিক কোন শান্তিরক্ষী সংস্থা ছাড়াই সেনা এবং তাদের বর্ডার গার্ডকে বাংলাদেশে পাঠায় এর মানে তারা আমাদের অনুগত। বাস্তবে এমনটা ঘটে নাই, ভারত কখনও বাংলাদেশের অধীনে আসে নাই যে এখানে তারা সেনা পাঠাতে যাবে। এটা আসলে বিএনপি জামাতের সেই জ্বলুনি যেটা একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় থেকে শুরু। আসুন কথা না বড়িয়ে দেখি সেই জালিয়াতির নমুনা:
যদিও গ্রেস্কেলে ব সাদা-কালো কপি খেয়াল করার বিষয় হলো:
১। দুটি ডকুমেন্টের দুটি ভিন্ন জায়গায় সরকারের লোগো ব্যবহার করা হয়েছে, বিষয়টাকে সরকারি ডকুমেন্ট বানানোর চেষ্টা থেকে। বাংলাদেশ সরকারের সিল দেখে বুঝা যায় এটা মাল্টি কালারের এবং এমন সিল বাস্তবে দেয়া সম্ভব নয়। এটা ফটোশপে দেয়া। মানচিত্রের মাপে ইংক প্যাড এবং বাকি লেখার জন্য আলাদা আলাদা প্যাড লাগবে যেটা আদোতে সম্ভব নয়।
২। যদি মন্ত্রণালয় থেকে ডিজিটালি লোগো লাগানো হতো তবে লোগোর পজিশন একই রকমের থাকতো, এটা ডানে বামে ঘুড়িয়ে দেয়া হতো না। সিল দেয়া হয়েছে বুঝাতেই ফটোশপের মাধ্যমে সিলের পজিশন ঘুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
৩। দুই ডকুমেন্টে সাইন দুটা সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে দেয়া। স্পষ্ট বুঝা যায় যে এটি জাল।
৪। যশোর জিওসি বলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কোন পদই নেই।
এইসব ডকুমেন্টস যা বিএনপি জামায়াতের পক্ষ থেকে ছড়ানো হচ্ছে তা যে মিথ্যা তার দৃশ্যমান প্রমাণ দেখলেন। এখন এর পদ্ধতিগত এবং কারিগরি কিছু ত্রুটি নিয়ে বলছি:
১. পররাষ্ট্র মন্ত্রলালয়ের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিষয়ে ভারতের সাথে কাজ করে কেবল মাত্র দক্ষিন এশিয়া অনুবিভাগ। অথচ এখানে উল্লেখ করা হয়েছে ইস্ট এশিয়া এন্ড প্যাসেফিক অনুবিভাগের নাম, যা সর্বৈব মিথ্যা।
২. যে কোন প্রতিরক্ষা / নিরাপত্তা ইস্যুতে - কোন ডিফেন্স এ্যাটাচের সাথে যোগাযোগের নির্ধারিত ধারা হল এএফডি / নিরাপত্তা সংস্থা থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, যা এই বার্তার অসাড়তা প্রমাণ করে।
৩. এমন কোন বিষয় থাকলেও তা হত অতি গোপনীয়, আর তা কখনোই ফ্যাক্স আকারে পাঠানো হত না। অতি গোপনীয় বার্তা প্রেরণের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ প্রেরণ পদ্ধতি আছে যাকে সাইফার কোডিং বলে।
৪. সাইফার কোডিং বার্তা কখনো মূল পত্রের সাথে যায় না। বার্তা অন্য কোন বার্তার সংলগ্নি হিসেবে থাকে, যা ডিসাইফার করতে হয়। এখানে বার্তা অনেকটা উন্মুক্ত আর গোপনীয় বা গুরুত্বপূর্ণ বার্তার পাতার উপরে ডানে তা ট্যাগ করা থাকে। ঠিক সেখানে দেখানো হয়েছে পাতার নম্বর, যা কোন ফরমেটেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সময়ের মিথ্যা সাক্ষী দিচ্ছেন খালেদা গং, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের পেইজ থেকে এসব ভুয়া তথ্য সংশিষ্ট পোস্ট স্পন্সর করা হয় তা আপনারা দেখেছেন এর আগে। হাজার হাজার ডলার খরচ করে মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যমূলক খবর প্রচার করা হয়। ভোটের আগে বলেছিলাম যে কিছু হলুদ সাংবাদিক এবং বিএনপি জামায়াতের লোকেরা মিলে ৪০ টি ভুয়া ভোট কেন্দ্র সাজিয়ে এবং জাল ব্যালট ছাপিয়ে তাতে সীল দিয়ে প্রচার করবে ভোট জাল হচ্ছে। সেখানে বিশ্বস্ততা আনতে হয়তো ভুয়া পুলিশ অফিসার সাজিয়ে এনে সাক্ষ্য দেয়া হবে। বলা হবে, নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে। ঠিক তাই তাই এখন দেখা যাচ্ছে বাঁশেরকেল্লা, কালুরঘাট সাইবারকেন্দ্র বা সময়ের সাক্ষী নামের পেইজগুলোতে। এদের প্রতিটা কথা, প্রতিটা কাজ মিথ্যা। তাই, ভবিষ্যতে আরও যেসব প্রপাগান্ডা বা এই ধরনের ফেইক ডকুমেন্ট তারা দিবে বা দিতে পারে সেসবের কোন গ্রহযোগ্যতাই নেই। হয়তো পরেরবার তারা আরও বেশি সতর্ক হয়ে জাল ডকুমেন্ট বানাবে কিন্তু তারপরও সত্যের জয় অনিবার্য। সত্যের পক্ষে থাকুন। বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের দোসরদের বর্জন করুন।
- ক্যাটেগরি:
- রাজনীতি
-
- https://www.amarblog.com/iftheker/posts/176678
-
-
অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
www.prothom-alo.com/.../অপপ্রচারে_বিভ্রান... - Translate this pageসামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকসহ ইন্টারনেটে 'বাংলাদেশে ভারতীয় বাহিনীর উপস্থিতি'-সংক্রান্ত যেসব তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, সেগুলো সম্পূর্ণ অসত্য ও বানোয়াট বলে মন্তব্য করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার অনুবিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,... অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ - সম্পাদকীয়
3 hours ago - ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে 'বাংলাদেশে ভারতীয় বাহিনীর উপস্থিতি' সংক্রান্ত যেসব তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, সেগুলো সম্পূর্ণ অসত্য ও বানোয়াট. ... দেশে দেশে · প্রিয় দেশ · টেক প্রতিদিন · চাকরির খবর · পড়ালেখা · ডাক্তার আছেন · দ্বিতীয় রাজধানী · বন্দুকযুদ্ধে নিহত পুলিশ খুনের দুই সন্দেহভাজন · প্রস্তুতি ...দেশে ভারতীয় বাহিনীর উপস্থিতির তথ্য সম্পূর্ণ অসত্য | News for life
news.zoombangla.com/দেশে-ভারতীয়-বাহিনী... - Translate this page44 mins ago - সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট ফেসবুকসহ ইন্টারনেটে 'বাংলাদেশেভারতীয় বাহিনীর উপস্থিতি' সংক্রান্ত তথ্য প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ অসত্য এবং ... তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, এ ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের মধ্যকার কিছু কাল্পনিক যোগাযোগ উদ্ধৃত করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণরূপে ...দেশে ভারতীয় বাহিনী নেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় - Risingbd
2 hours ago - font-size: 18px; নিজস্ব প্রতিবেদক font-size: 18px; ঢাকা, ১৬ জানুয়ারি : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ ভিভিন্ন ওয়েবসাইটে সম্প্রতি বাংলাদেশে ভারতীয় বাহিনীর উপস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অসত্য এবং বানোয়াট বলে দাবি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। \r\n বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের ...Zoombangla - দেশে ভারতীয় বাহিনীর উপস্থিতির তথ্য সম্পূর্ণ ...
দেশে ভারতীয় বাহিনীর উপস্থিতির তথ্য সম্পূর্ণ অসত্য http://wp.me/p3uNVP-fKn.বাংলাদেশে ভারতীয় বাহিনীর উপস্থিতির খবর অসত্য: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
bangla.irib.ir/.../57709-বাংলাদেশে-ভারতীয়-ব... - Translate this page30 mins ago - ১৬ জানুয়ারি (রেডিও তেহরান): সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক, বিডি টুমরো নামের একটি ওয়েবসাইটসহ ইন্টারনেটে 'বাংলাদেশে ভারতীয় বাহিনীর উপস্থিতি'-সংক্রান্ত যেসবতথ্য প্রচার করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ অসত্য ও বানোয়াট বলে দাবি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ (বৃহস্পতিবার) মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার অনুবিভাগের এক ...দেশে ভারতীয় বাহিনীর উপস্থিতির তথ্য সম্পূর্ণ অসত্য
১৬ জানুয়ারি,২০১৪
-
সাইবার ক্রাইমে বিএনপি-জামায়াত - Amar Blog
https://www.amarblog.com/iftheker/posts/176678
__._,_.___