ইসলাম বিদ্বেষ না, পেশাদার মুসলমান বিদ্বেষ
লিখেছেনঃ কাঠ মোল্লা (তারিখঃ মঙ্গলবার, ২৫/০২/২০১৪ - ১৪:৫৯)
বহুদিন ব্লগে লিখি না। আজকে কিছুটা অলস সময় পেয়ে লিখতে উদ্যত হলাম।
ব্লগ মোল্লাদের অনেকেই আমাকে ইসলাম বিদ্বেষী হিসাবে জানেন হয়ত। বিশিষ্ট এন্টি ইভোলুশন ডন কুইক্সোট ক্রুসেডার--থুক্কু--জিহাদী হযরত হয়রান মোল্লাও আমার ললাটে এই তকমা এঁটে দিয়েছেন (স্ক্রিনশট চাহিয়া লজ্জা দিবেন না, হয়রানের মত আর্কাইভ করার সময় আমার নাই)।
ক্যাথোলিক সমাজের যাজক সম্প্রদায়ের উৎপত্তি যীশুর মৃত্যুর পরবর্তী ঘটনা। যীশুর আমলে পোপ ছিল না, কার্ডিনাল ছিল না, বিশপ ছিল না। তেমনি মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে পেশাদার ধর্ম শিক্ষক, মৌলভী, মুয়াজ্জিন, ইমামের উদ্ভব নবী মোহাম্মদের ওফাতের পরের ঘটনা। নামাজ পড়তে গেলে মুসল্লিদের মধ্য থেকেই কেউ আজান দিত, কেউ ইমামতি করত। এখন আবার রাজনৈতিক ইসলামের কান্ডারিও তৈরি হয়েছে, যাদের কাজ হচ্ছে ধর্মের দোহাই দিয়ে নিজেদের ব্যক্তি বা গোষ্ঠি স্বার্থ (পার্থিব) হাসিল করা। ইসলাম ধর্ম এদের কাছে রুটি-রুজি ও প্রভাব-প্রতিপত্তির হাতিয়ার মূলত। এই কারণেই ইসলাম ধর্মের মানবিক দিকগুলি এদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না। সমাজের মধ্যে ব্যক্তিগত গুণাবলী অর্জনের চেয়ে সাম্প্রদায়িক ভাবাবেগের বশে অন্ধ অনুসারী তৈরি করায় এদের আগ্রহ বেশি । আপনি ঘুষখোর হন তাতে তেমন আপত্তি নেই, উঠতে-বসতে মিথ্যা বলেন অসুবিধা নেই, কিন্তু বিয়ে করতে হবে মোল্লা ডেকে, দান করতে হবে মসজিদে-মাদ্রাসায়, পয়সা দিয়ে কোরানখতম করতে হবে, বিরিয়ানির প্যাকেট দিয়ে চল্লিশা করা চাই।
ধর্মের প্রভাব কমলে বা ব্যক্তিগত উপলব্ধির ভিত্তিতে ধর্ম পালন করলে এদের সমূহ ক্ষতি। অনেকের রুটি-রুজির পথ বন্ধ হয়ে যাবে, বিকল্প পেশার কোন দক্ষতাও তাদের নেই। তাই ধর্মকে যতটা সম্ভব অস্বচ্ছ রাখা তাদের স্বার্থের জন্য অনুকূল। কোরান বাংলায় পড়লে বোঝা যাবে না, শুধু কোরান পড়লে হবে না, তাফসিরও পড়তে হবে, আরবিতে পড়তে হবে। অর্থাৎ ধর্মপালনের জন্য মোল্লা-মৌলভীর উপর নির্ভর করতে হবে। তাতে পেশাদার মুসলমানদের রিজিকের যোগাড় হবে। আর রাজনৈতিক-সামাজিক প্রতিপত্তির জন্য মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক জোশ তৈরি করতে হবে। আমরা ভাল, ওরা (মালাউন, মুশরিক, ইয়াহুদি, নাসারা) খারাপ, এই মনোবৃত্তি জাগ্রত করতে হবে। মুসলমানদেরকে ছাগলের পাল বানিয়ে রাখতে হবে, যারা দরকার হলে নেকড়ের চেয়েও ভয়ানক হতে পারে।
আমি ইসলাম বিদ্বেষী নই, মুসলিম বিদ্বেষীও নই। আমি পেশাদার মুসলিম বিদ্বেষী। আমি ইসলামের বিরুদ্ধে লিখি না, ইসলামের প্রতি বা কোন ধর্মের প্রতিই আমার বিদ্বেষ নাই (আসক্তিও নাই)। তবে ধর্মকে যারা ক্ষমতা, প্রতিপত্তি ও বিত্তের উৎস হিসাবে ব্যবহার করে, এবং যারা ধর্মের দোহাই দিয়ে সমাজের প্রগতিকে বাধা দিতে চায়, সমাজকে অন্ধকারে নিমজ্জিত রাখতে চায়, তাদের প্রতি আমার বিদ্বেষ অবশ্যই আছে, থাকাটাই বাঞ্ছনীয় মনে করি। সে যে ধর্মেরই হোক। তাদের বিরুদ্ধেই লিখি আমি। মুসলিম সংখ্যাগুরু দেশের বাসিন্দা হিসাবে পেশাদার মুসলমানদেই নিয়েই লেখা বেশি হয়।
চোরের বিরুদ্ধে, ঘুষখোরের বিরুদ্ধে, এমনকি রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে যে কেউ লিখতে পারে। কিন্তু পেশাদার মুসলমানদের নিয়ে লিখতে গেলেই ইসলাম গেল রব তুলে, ইসলাম বিদ্বেষী তকমা এঁটে, সরকারের কাছে রিপোর্ট করে কণ্ঠরোধে কোশেশ চলে। তবে আর কতদিন?
ব্লগ মোল্লাদের অনেকেই আমাকে ইসলাম বিদ্বেষী হিসাবে জানেন হয়ত। বিশিষ্ট এন্টি ইভোলুশন ডন কুইক্সোট ক্রুসেডার--থুক্কু--জিহাদী হযরত হয়রান মোল্লাও আমার ললাটে এই তকমা এঁটে দিয়েছেন (স্ক্রিনশট চাহিয়া লজ্জা দিবেন না, হয়রানের মত আর্কাইভ করার সময় আমার নাই)।
ক্যাথোলিক সমাজের যাজক সম্প্রদায়ের উৎপত্তি যীশুর মৃত্যুর পরবর্তী ঘটনা। যীশুর আমলে পোপ ছিল না, কার্ডিনাল ছিল না, বিশপ ছিল না। তেমনি মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে পেশাদার ধর্ম শিক্ষক, মৌলভী, মুয়াজ্জিন, ইমামের উদ্ভব নবী মোহাম্মদের ওফাতের পরের ঘটনা। নামাজ পড়তে গেলে মুসল্লিদের মধ্য থেকেই কেউ আজান দিত, কেউ ইমামতি করত। এখন আবার রাজনৈতিক ইসলামের কান্ডারিও তৈরি হয়েছে, যাদের কাজ হচ্ছে ধর্মের দোহাই দিয়ে নিজেদের ব্যক্তি বা গোষ্ঠি স্বার্থ (পার্থিব) হাসিল করা। ইসলাম ধর্ম এদের কাছে রুটি-রুজি ও প্রভাব-প্রতিপত্তির হাতিয়ার মূলত। এই কারণেই ইসলাম ধর্মের মানবিক দিকগুলি এদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না। সমাজের মধ্যে ব্যক্তিগত গুণাবলী অর্জনের চেয়ে সাম্প্রদায়িক ভাবাবেগের বশে অন্ধ অনুসারী তৈরি করায় এদের আগ্রহ বেশি । আপনি ঘুষখোর হন তাতে তেমন আপত্তি নেই, উঠতে-বসতে মিথ্যা বলেন অসুবিধা নেই, কিন্তু বিয়ে করতে হবে মোল্লা ডেকে, দান করতে হবে মসজিদে-মাদ্রাসায়, পয়সা দিয়ে কোরানখতম করতে হবে, বিরিয়ানির প্যাকেট দিয়ে চল্লিশা করা চাই।
ধর্মের প্রভাব কমলে বা ব্যক্তিগত উপলব্ধির ভিত্তিতে ধর্ম পালন করলে এদের সমূহ ক্ষতি। অনেকের রুটি-রুজির পথ বন্ধ হয়ে যাবে, বিকল্প পেশার কোন দক্ষতাও তাদের নেই। তাই ধর্মকে যতটা সম্ভব অস্বচ্ছ রাখা তাদের স্বার্থের জন্য অনুকূল। কোরান বাংলায় পড়লে বোঝা যাবে না, শুধু কোরান পড়লে হবে না, তাফসিরও পড়তে হবে, আরবিতে পড়তে হবে। অর্থাৎ ধর্মপালনের জন্য মোল্লা-মৌলভীর উপর নির্ভর করতে হবে। তাতে পেশাদার মুসলমানদের রিজিকের যোগাড় হবে। আর রাজনৈতিক-সামাজিক প্রতিপত্তির জন্য মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক জোশ তৈরি করতে হবে। আমরা ভাল, ওরা (মালাউন, মুশরিক, ইয়াহুদি, নাসারা) খারাপ, এই মনোবৃত্তি জাগ্রত করতে হবে। মুসলমানদেরকে ছাগলের পাল বানিয়ে রাখতে হবে, যারা দরকার হলে নেকড়ের চেয়েও ভয়ানক হতে পারে।
আমি ইসলাম বিদ্বেষী নই, মুসলিম বিদ্বেষীও নই। আমি পেশাদার মুসলিম বিদ্বেষী। আমি ইসলামের বিরুদ্ধে লিখি না, ইসলামের প্রতি বা কোন ধর্মের প্রতিই আমার বিদ্বেষ নাই (আসক্তিও নাই)। তবে ধর্মকে যারা ক্ষমতা, প্রতিপত্তি ও বিত্তের উৎস হিসাবে ব্যবহার করে, এবং যারা ধর্মের দোহাই দিয়ে সমাজের প্রগতিকে বাধা দিতে চায়, সমাজকে অন্ধকারে নিমজ্জিত রাখতে চায়, তাদের প্রতি আমার বিদ্বেষ অবশ্যই আছে, থাকাটাই বাঞ্ছনীয় মনে করি। সে যে ধর্মেরই হোক। তাদের বিরুদ্ধেই লিখি আমি। মুসলিম সংখ্যাগুরু দেশের বাসিন্দা হিসাবে পেশাদার মুসলমানদেই নিয়েই লেখা বেশি হয়।
চোরের বিরুদ্ধে, ঘুষখোরের বিরুদ্ধে, এমনকি রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে যে কেউ লিখতে পারে। কিন্তু পেশাদার মুসলমানদের নিয়ে লিখতে গেলেই ইসলাম গেল রব তুলে, ইসলাম বিদ্বেষী তকমা এঁটে, সরকারের কাছে রিপোর্ট করে কণ্ঠরোধে কোশেশ চলে। তবে আর কতদিন?
- ক্যাটেগরি:
- কাঠ মোল্লা-এর ব্লগ
- মন্তব্য প্রদানের জন্য লগইন অথবা রেজিস্টার করুন
- ৪৯১ বার পঠিত
- Twitter-এ প্রকাশ করুন
__._,_.___