Banner Advertiser

Thursday, February 20, 2014

[mukto-mona] প্রমাণিত হয়েছে যে আওয়ামী লীগ আর বৃহত্তম রাজনৈতিক দল নয়



বিএনপি-জামায়াতের অর্ধেক পদ পেয়েছে আওয়ামী লীগ : সরকার কারচুপি না করলে বিএনপি-জামায়াত আরও বড় জয় পেত—মাহফুজ উল্লাহ, প্রমাণিত হয়েছে যে আওয়ামী লীগ আর বৃহত্তম রাজনৈতিক দল নয়—আসিফ নজরুল

স্টাফ রিপোর্টার
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে উপজেলা নির্বাচনে বড় ধরনের জয় পেয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোট। দলীয় পেশিশক্তি এবং রাষ্ট্রশক্তিকে যথেচ্ছ ব্যবহার করেও নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তার শোচনীয় পরাজয় ঠেকাতে পারেনি। উন্নয়ন ইস্যুতে ঐতিহ্য অনুসারে স্থানীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল সাধারণত ভালো ফলাফল করলেও গুরুত্বপূূর্ণ এ নির্বাচনে কার্যত বিএনপি-জামায়াতের অর্ধেক আসন পেয়েছে আওয়ামী লীগ।
৯৭টি উপজেলার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি ৪৩ ও জামায়াত ১৩ মিলে ৫৬টি উপজেলায় বিজয়ী হয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ জিতেছে ৩৪টি উপজেলায়।
এবার নির্বাচনে সরকারের সাঁড়াশি আক্রমণের শিকার জামায়াতে ইসলামী বড় ধরনের চমক দেখিয়েছে। স্থানীয় নির্বাচনে সম্ভবত জামায়াতে তার প্রতিষ্ঠার পর থেকে সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে গত বুধবার। অথচ প্রতিষ্ঠার পর থেকে বর্তমানে সবচেয়ে দুঃসময় পার করছে দলটি।
ভাইস চেয়ারম্যান পদেও বিপুল জয় পেয়েছে বিএনপি-জামায়াত। (পুরুষ) ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপি ৩২ ও জামায়াতে ইসলামী ২৩টি মিলে মোট ৫৫টি পদে জয় লাভ করেছে। আওয়ামী লীগ জয়ে পেয়েছে তার অর্ধেকেও কম ২৪টিতে। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদেও আওয়ামী লীগের ভরাডুবি ঘটেছে। বিএনপি ৩৪ ও জামায়াত ১০টিসহ বিএনপি-জামায়াত জোট জিতেছে ৪৪টি আসনে। আওয়ামী লীগ জিতেছে ৩৪টি আসনে।
ফলাফল সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাহফুজ উল্লাহ গতরাতে আমার দেশ-কে বলেন, 'সরকার নির্বাচনে সহিংসতা সৃষ্টি ও কারচুপি না করলে বিএনপি-জামায়াত আরও বড় জয় পেত। দিনব্যাপী টেলিভিশনে যেভাবে তাণ্ডব দেখেছি, সন্ধ্যায় হামলার ঘটনা দেখেছি তাতে এর চেয়ে ভালো ফল তো হতে পারে না।'
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, 'প্রথম দফার নির্বাচনে পরাজয়ের পর আওয়ামী লীগ সামনের নির্বাচনগুলোতে ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে জয় পেতে মরিয়া হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু সেটা করলে তার পরিণতি হবে খুবই মারাত্মক।'
বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল গতরাতে আমার দেশ-কে বলেন, এ নির্বাচনের ফলে প্রমাণিত হয়েছে যে আওয়ামী লীগ একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল নয়। ব্যাপক কারচুপি, ভোট ডাকাতি ও আওয়ামী লীগের দলীয় ক্যাডারদের সন্ত্রাসের পরেও বিএনপি এবং তার জোটের সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয় লাভ করেছেন।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল প্রকাশিত জরিপটিকেও ভিত্তিহীন ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর পরিচালিত ওই জরিপে বলা হয়েছে, 'এখন' নির্বাচন হলে ৪১.৫ শতাংশ ভোটার আওয়ামী লীগকে এবং ৩৭.৬ শতাংশ ভোটার বিএনপিকে ভোট দেবে।
এবারের নির্বাচনে 'রাবার স্ট্যাম্প সংসদের গৃহপালিত বিরোধী দল' হিসেবে কুখ্যাত জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক অপমৃত্যু ঘটেছে। মাত্র একটি চেয়ারম্যান ও ৪টি ভাইস চেয়ারম্যান পদ জাতীয় পার্টি এখন দেশের একটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র দলে পরিণত হয়েছে।
৯৭টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জিতলেন যারা
ঢাকা : দোহারে কামরুল হুদা (বিএনপি, বিদ্রোহী) ও নবাবগঞ্জে খন্দকার আবু আশফাক (বিএনপি)।
পঞ্চগড় : পঞ্চগড় সদরে আনোয়ার সাদাত (আওয়ামী লীগ), বোদায় সফীউল্লাহ সুফী (জামায়াত), আটোয়ারীতে আবদুর রহমান (বিএনপি), দেবীগঞ্জে হাসনাত আজাদ (আওয়ামী লীগ)।
দিনাজপুর : দিনাজপুরের খানসামায় মো. সহিদুজ্জামান শাহ (বিএনপি), কাহারোলে মামুনুর রশিদ চৌধুরী (বিএনপি)।
নীলফামারী : ডিমলাতে তরিকুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), সৈয়দপুরে জাওয়াদুল হক সরকার (আওয়ামী লীগ), জলঢাকায় সৈয়দ আলী (জামায়াত)।
রংপুর : তারাগঞ্জে আনিসুর রহমান লিটন (স্বতন্ত্র) এবং মিঠাপুকুরে গোলাম রব্বানী (জামায়াত)।
কুড়িগ্রাম : ফুলবাড়ীতে নজির হোসেন (বিএনপি), ভুরুঙ্গমারীতে মো. নুরুন্নবী (আওয়ামী লীগ) এবং উলিপুরে হায়দার আলী (বিএনপি)।
গাইবান্ধা : সাঘাটায় গোলাম শহীদ রঞ্জু (জাতীয় পার্টি) এবং গোবিন্দগঞ্জে ফারুখ কবির আহমেদ (বিএনপি)।
বগুড়া : দুপচাঁচিয়ায় আবদুল গণি মণ্ডল (জামায়াত), সারিয়াকান্দিতে মাসুদার রহমান (বিএনপি), সোনাতলায় আহসানুল তৈয়ব, ধুনটে তৌহিদুল আলম (বিএনপি, বিদ্রোহী), নন্দীগ্রামে নুরুল ইসলাম (জামায়াত), শেরপুরে দবিরুর রহমান (জামায়াত)।
নওগাঁ : রানীনগরে আল ফারুক জেমস (বিএনপি), মান্দায় (অপ্রকাশিত), মহাদেবপুরে আবদুস সাত্তার (বিএনপি)।
রাজশাহী : মোহনপুরে আবদুস সামাদ (বিএনপি)।
নাটোর : সিংড়ায় আবুল কালাম (বিএনপি)।
সিরাজগঞ্জ : সদরে রিয়াজ উদ্দিন (আওয়ামী লীগ), কাজীপুরে মোজাম্মেল হক বকুল (আওয়ামী লীগ), রায়গঞ্জে আইনুল হক (বিএনপি)।
পাবনা : আটঘরিয়ায় জহিরুল ইসলাম (জামায়াত), সাঁথিয়ায় মোখলেছুর রহমান (জামায়াত) এবং সুজানগরে আবুল কাশেম (আওয়ামী লীগ)।
মেহেরপুর : মেহেরপুর সদরে মারুফ আহমেদ বিজন (বিএনপি)।
কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া সদরে জাকির হোসেন (বিএনপি), ভেড়ামারায় অহিদুল ইসলাম আলম (বিএনপি)।
ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ সদরে আবদুল আলীম (বিএনপি), শৈলকূপায় শিকদার মোশাররফ হোসেন সোনা (আওয়ামী লীগ), কোটচাঁদপুরে মাওলানা তাজুল ইসলাম (জামায়াত) ও কালিগঞ্জে জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী (আওয়ামী লীগ)।
যশোর : অভয়নগরে নুরুল হক মোল্লা (বিএনপি)।
মাগুরা : শ্রীপুরে বদরুল আলম হিরো (বিএনপি) এবং মাগুরা সদরে নাজিম উদ্দিন (বিএনপি)।
নড়াইল : কালিয়ায় শামীমুর রহমান (আওয়ামী লীগ)।
খুলনা : দিঘলিয়ায় নজরুল ইসলাম খান (আওয়ামী লীগ) এবং কয়রায় আ খ ম তমিজউদ্দিন (জামায়াত)।
সাতক্ষীরা : আশাশুনিতে এবিএম মোস্তাকিম (আওয়ামী লীগ)।
ভোলা : লালমোহনে অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন (আওয়ামী লীগ)।
বরিশাল : গৌরনদীতে শাহ আলম খান (আওয়ামী লীগ) এবং বাকেরগঞ্জে সামছুল আলম চুন্নু (আওয়ামী লীগ)।
জামালপুর : জামালপুর সদরে আমজাদ হোসেন (বিএনপি), সরিষাবাড়ীতে ফরিদুল কবির তালুকদার (বিএনপি)।
নেত্রকোনা : দুর্গাপুরে এমদাদুল হক (আওয়ামী লীগ) এবং কেন্দুয়ায় দেলোয়ার হোসেন (বিএনপি)।
কিশোরগঞ্জ : করিমগঞ্জে সাইফুল ইসলাম সুমন (বিএনপি), বাজিতপুরে সারোয়ার আলম (আওয়ামী লীগ) এবং নিকলীতে কারার সাইফুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ)।
মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের শিবালয়ে আলী আকবর (বিএনপি), দৌলতপুরে তোজাম্মেল হক তোজা (বিএনপি), সিংগাইরে আবিদুর রহমান রোমান (বিএনপি), সাটুরিয়ায় বশির উদ্দিন ঠণ্ডু (বিএনপি)।
গাজীপুর : কাপাসিয়ায় খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা (বিএনপি)।
নরসিংদী : পলাশে সৈয়দ জাবেদ হোসেন (আওয়ামী লীগ) ও বেলাবোতে আহসান হাবিব বিপ্লব (বিএনপি বিদ্রোহী)।
রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর সদরে এমএ খালেক (বিএনপি), বালিয়কান্দিতে আবুল কালাম আজাদ (আওয়ামী লীগ) ও পাংশায় ফরিদ হাসান (আওয়ামী লীগ)।
গোপালগঞ্জ : কাশিয়ানীতে জানে আলম বিরু (আওয়ামী লীগ), মকসুদপুরে আশরাফুল আলম শিমুল (স্বতন্ত্র)।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : নাচোলে আবদুল কাদের (আওয়ামী লীগ)।
মাদারীপুর : কালকিনিতে তৌফিকুজ্জামান শাহীন (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী)।
শরীয়তপুর : ডামুড্যায় আলমগীর হোসেন (আওয়ামী লীগ), জাজিরায় মোবারক আলী সিকদার (আওয়ামী লীগ), গোসাইরহাটে সৈয়দ নাসির উদ্দিন (আওয়ামী লীগ) এবং ভেদরগঞ্জে আনোয়ার হোসেন মাঝি (বিএনপি)।
সুনামগঞ্জ : দক্ষিণ সুনামগঞ্জে হাজী আবুল কালাম (আওয়ামী লীগ), দোয়রাবাজারে অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী (আওয়ামী লীগ) এবং ছাতকে অলিউর রহমান (আওয়ামী লীগ, বিদ্রোহী)।
সিলেট : কোম্পানীগঞ্জে আবদুল জব্বার (আওয়ামী লীগ), জকিগঞ্জে ইকবাল আহমেদ (বিএনপি), গোয়াইনহাটে আবদুল হাকিম (বিএনপি), জৈন্তাপুরে জয়নাল আবেদিন (জামায়াত), গোলাপগঞ্জে নাজমুল ইসলাম (জামায়াত), বিশ্বনাথে জুয়েল আহমেদ চৌধুরী (বিএনপি)।
মৌলভীবাজার : কুলাউড়ায় কামরুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ)।
হবিগঞ্জ : বাহুবলে আবদুল হাই (আওয়ামী লীগ), মাধবপুরে সৈয়দ মোহাম্মদ শাজাহান (বিএনপি)।
চট্টগ্রাম : হাটহাজারীতে মাহবুবুল আলম চৌধুরী (বিএনপি), মিরসরাইয়ে নুরুল আমিন (বিএনপি)।
খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ি সদরে চঞ্চুমনি চাকমা (স্বতন্ত্র), রামগড়ে শহিদুল ইসলাম ফরহাদ (বিএনপি), মানিকছড়িতে ম্যাগ্র মারমা (আওয়ামী লীগ), মাটিরাংগায় তাজুল ইসলাম (বিএনপি), মহালছড়িতে বিমান কান্তি চাকমা (স্বতন্ত্র), পানছড়িতে সর্বোত্তম চাকমা (স্বতন্ত্র)।
প্রথম ধাপে তিন পদে ৯৭ উপজেলায় মোট ভোটার ১ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৪৩৭ জন। এতে ১ হাজার ২৫৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪২৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫০৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পার্থীর সংখ্যা ৩২৫ জন। এসব ভোটাররা প্রায় ৬ হাজার ৯০০টি ভোটকেন্দ্রের ৪৩ হাজার ২০০টি ভোটকক্ষে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___