অস্বীকার করার জো নেই - ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির মনোনয়ন দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে ভূমিকম্পতুল্য ঘটনা। কিন্তু ভারতবাসী তাকেই চাইছেন বলে মনে হচ্ছে। ফলে প্রতিবেশিদেরও তা-ই মেনে নিতে হবে বৈকি এবং নির্বাচন-পূর্ব সমীক্ষাগুলো দুর্যোগপূর্ণ সেই নিকট ভবিষ্যতেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রতিবেশিরা অতীতেও বিজেপি ও রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘ (আরএসএস) পরিবারের শাসন দেখেছে। তবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অটল বিহারি বাজপায়ী এবং নরেন্দ্র দমোদর দাস মোদি নিশ্চয়ই কেবল হিন্দুত্ববাদী আদর্শের দু'জন ভিন্ন ব্যক্তিমাত্র নন। যদিও গুজরাট গণহত্যা বা বাবরি মসজিদ ধক্ষংসের জন্য বাজপায়ি, আদভানি, মোদি - কেউই দু:খিত, লজ্জিত, ক্ষমাপ্রার্থী নন - কিন্তু ব্যক্তিগত রুচি, শাসন ধরন ও কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এদের পছন্দের ফারাকও অবজ্ঞা করার মতো নয়। বিশেষত মোদির কর্তৃত্বে বিজেপিতে কর্পোরেট অর্থনীতির স্বার্থ ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ-এর সাম্প্রদায়িক নির্দেশনা এত একচেটিয়াত্ব পেয়েছে যে, পুরো উপমহাদেশের জন্য তা প্রবল বিপদ সংকেত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বহু ধর্ম-বর্ণ-জাতির মিলনস্থল ভারতে মোদির উত্থান নিয়ে তাই চলতি সময়ে যে ব্যাপক বিতর্ক, টানাপোড়েন ও অস্থিরতা চলছে তা অস্বাভাবিক নয়।
তবে সংঘ পরিবারের দিল্লি জয় আর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের শাসনামলের মধ্যে বাংলাদেশের জন্য পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় সামান্যই। ভারতে ব্যাপকভাবে এবং বাংলাদেশেও বিভিন্ন মহল সংঘ পরিবারের চেয়ে কংগ্রেসকে প্রগতিশীল শক্তি হিসেবে গণ্য করে স্বচ্ছন্দে। কিন্তু এই 'প্রগতিশীল'দের সঙ্গে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়।
মতদ্বৈততা শুরু হয়েছিল মুজিব শাসনামল থেকেই। ১৯৭৫ পরবর্তীকালে তা ভয়ংকর ব্যাপকতা পায়। বাংলাদেশকে ঘিরে ত্রিপুরা সীমান্তে শান্তি বাহিনী, মেঘালয় সীমান্তে কাদের সিদ্দিকীর বাহিনীকে সশস্ত্র মদদ দান, ভাটি অববাহিকার স্বার্থ ও অধিকারকে অগ্রাহ্য করে যৌথ নদীগুলোতে বাঁধ ও ব্যারাজ নির্মাণের হিড়িক গত শতাব্দির কংগ্রেস শাসনামলেই ঘটেছে।
সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বাধীন চলতি শতাব্দিতেও ব্যতিক্রম কিছু হয়নি - বরং সীমান্তে কাটাতারের দেয়াল বসানোর পাশাপাশি বেড়েছে বেসামরিক মানুষকে নির্বিচারে হত্যার ঘটনা। ফলে দুনিয়া জুড়ে এখন বাংলাদেশকে বলা হয় 'কাঁটাতারে ঘেরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় কারাগার।' যৌথ নদী কমিশনের স্থায়ী অকার্যকারিতা ও দু'দেশের চরম বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতার বিষয়েও গত পাচ বছরে মনমোহন সিংয়ের ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ এলায়েন্স ছিল বরাবর নির্বিকার।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা বাংলাদেশকে নিয়ে তামশারও আশ্রয় নেন। যেমন, ২০১১ সালে মনমোহন সিংয়ের সফরকালে বলা হয় বাংলাদেশের ৪৬টি পণ্যকে ভারত এখন থেকে শুল্ক সুবিধা দেবে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, বাংলাদেশ এরূপ পণ্যের ১২টি উৎপাদনই করে না! স্বভাবত এইরূপ প্রতিপক্ষের সঙ্গে তিস্তার 'জলবন্টন' হয়নি, চুক্তিমত পদ্মার পানিও পায়নি বাংলাদেশ। উপরন্তু বাস্তবায়ন হয়নি ছিটমহল বিনিময়ের বহুল প্রতিশ্রুত সীমান্ত চুক্তিও। অথচ বাংলাদেশের জনসমাজের রাজনৈতিক দ্বিধা-বিভক্তিকে ব্যবহার করে নির্বিঘেœ ভারত তার বহুদিনের অধরা করিডর সুবিধা আদায় করে নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে যাকে win-win মডেল হিসেবে অনুসরণ করা হয় - ঢাকা ও দিল্লির সম্পর্কের উপরোক্ত অভিজ্ঞতা ঠিক তার বিপরীত। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক স্বল্পকালের জন্য win-win মডেল খুঁজে পেয়েছিল অকংগ্রেসি মোরারজি দেশাইর শাসনামলে [১৯৭৭-১৯৭৯]। শান্তি বাহিনী ও কাদেরিয়া বাহিনীর দৌরাত্ম থামিয়েছেন তিনি, ফারাক্কায় পানি বন্টনে রাজি হয়েছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তাদের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার তৎরতায়ও কিছুটা লাগাম টেনে ধরা হয়েছিল।
দু' দেশের সম্পর্কের নাটকীয় এসব উন্নতি দিল্লিতে দেশাই সরকারের মতোই ছিল ক্ষণস্থায়ী। এরপর আই কে গুজরালের কয়েক মাসে [১৯৯৭-৯৮] দেশাইয়ের এপ্রোচ উঁকিঝুঁকি দিতে দিতেই মিইয়ে যায়। তারপর থেকে ভারতের বাংলাদেশ নীতি আবার পুরানো ধারায়ই কেবল ফিরে যায়নি - ক্রমে তা কঠোরতর হয়েছে। ইত্যবসরে সেখানে ইন্দিরাবিরোধী সমাজবাদীদের বদলে অকংগ্রেসী শক্তির নেতৃত্বে এসেছে হিন্দুত্ববাদী আরএসএস পরিবারের কর্তব্যক্তিরা - বাজপায়ি, আদভানি, যোশি, সুষমা স্বরাজ, নরেন্দ্র মোদি প্রমুখ। রাজনীতির সমীকরণ সেখানে মধ্য-বাম ঘরাণা থেকে মধ্য-ডান ঘরাণায় স্থায়ী হয়েছে এবং দেশটির শক্তিশালী আমলাতন্ত্র বাংলাদেশকে দেখতে শিখেছে আরেকটি পাকিস্তান হিসেবে। যে কারণে দেখা যায়, ১৯৯৮ পরবর্তী সময়ে বাজপায়ির নেতৃত্বে অকংগ্রেসী এনডিএ সরকার প্রথমবারের মতো পূর্ণ পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও বাংলাদেশের প্রাপ্তি ছিল শূন্য।
এসময় লক্ষ্যণীয়ভাবে অকংগ্রেসীদের অর্থনৈতিক নীতিও সমাজবাদী অবস্থান থেকে কর্পোরেটপন্থীয় ঝুকে পড়ে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাজপায়ি-সরকার পূর্ণ অর্থনৈতিক উদারিকীরণের নীতি নেয় এবং যার প্রধান তরঙ্গ হিসেবে শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুর প্রাইভেটাইজেশন শুরু হয়। নেহেরু জমানার মিশ্র অর্থনীতির ধারণা থেকে ভারতকে একটানে বের করে নিয়ে আসে এনডিএ। সরকারের প্রথম বছরেই রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের ছোট-বড় প্রায় ৮৪ হাজার ফ্যাক্টরি বন্ধ করে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ কর্মসূচির নামে কর্মী ছাঁটাই করে দেয়া হয়।
বাজপায়ীর শাসনামলে সামরিক দিক থেকে বড় দুটি ঘটনা ঘটে ১৯৯৯-এর কারগিল যুদ্ধ এবং ১৯৯৮-এ পারমানবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো। শেষোক্ত ঘটনার মাধ্যমে 'পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ' হিসেবে ভারতকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করে বিজেপি এবং এটাকে বিশেষ গর্বের এক বস্তু হিসেবে ব্যাপকভাবে মিডিয়ায় প্রচার চালানো হয়। এইরূপ সামরিক উম্মাদনা দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিকায়ন বাড়িয়ে তোলে। যা বাড়তি নাজুক করে তোলে বাংলাদেশসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র দেশগুলোর নিরাপত্তাকে। এরপরই ঘটে গুজরাট গণহত্যা - যা সে সময়কার কেন্দ্রীয় সরকার ও গুজরাটের মোদি সরকারের একটি মিলিত ষড়যন্ত্র ছিল। দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও বাজপায়ি এই গণহত্যা বন্ধে কোন উদ্যোগই নেননি।
অর্থনৈতিক উদারীকরণ, সাম্প্রদায়িক বর্ণবাদ ও যুদ্ধ-উম্মাদনার মিশেলে ভারতীয় অকংগ্রেসীদের তৈরি নতুন এই দক্ষিণপন্থা ইউরোপে পুরানো হলেও দক্ষিণ এশিয়ার বহু বর্ণিল সামাজিক পরিবেশে তা বিবাদ ও জিঘাংসার এক সম্পূর্ণ নতুন আবহ তৈরি করছে যার উত্তাপ লেগেছে এখন তাদের সীমান্তের বাইরেও। ভারতে দক্ষিণপন্থী এই উম্মাদনারই সর্বোচ প্রকাশ ঘটে গুজরাটে নরেন্দ্র মোদির দীর্ঘ শাসনামলে এবং সেটাই এখন 'গুজরাট মডেল' আকারে অন্যান্য রাজ্যে ছড়িয়ে দিতে তৎপর স্থানীয় কর্পোরেট শক্তি।
স্বভাবত, এরূপ 'মডেলে'র বাংলাদেশ নীতি হয়েছে অতিরক্ষণশীল। ভারতের ধর্মীয় মূলধারার সহানুভূতি পেতে বিজেপি ও মোদি ক্রমাগত এখন বাংলাদেশকে জঙ্গীবাদী রাষ্ট্র হিসেবে প্রচারে মত্ত। অতি সম্প্রতি আসামে নির্বাচনী জনসভায় বাংলাদেশী 'নির্যাতিত হিন্দু'দের সেখানে স্বাগত জানিয়েছেন মোদি - যা ছিল স্রেফ ভোটের সমীকরণকে হিন্দু-মুসলমান ধারায় বিভক্ত করার জন্য।
সামগ্রিক এই পরিস্থিতিতে ধারণা করা হচ্ছে, মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকারের আমলে ভারতীয় কূটনীতির গত পাঁচ বছরের আধিপত্যমূলক বাংলাদেশ নীতির ধারাবাহিকতাই বজায় থাকবে - কিংবা তা আরও রূঢ় রূপ নিবে। এরূপ অনুমানের বড় ভিত্তি হলো, বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গত পাঁচ বছরে বিরোধিদল হিসেবে বিজেপি'র বিভিন্ন আচরণ ও নীতি-অবস্থান।
ছিটমহলগুলোকে বন্দিত্ব থেকে মুক্তি দিতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ভূমি হস্তান্তর চুক্তিটি বিজেপির বিরোধিতার কারণেই গত দুই বছর ধরে লোকসভায় আলোচনার জন্য উত্থাপন করা যায়নি। ২০১৩ সালের ২৩ আগস্ট রাজ্যসভায় বিজেপি'র নেত্রী সুষমা স্বরাজ স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, 'বিজেপি পুরোপুরি এই চুক্তির বিরোধী।' বিজেপির আরেক নেতা ও ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা বলেছেন, 'এইরূপ বিল পাসের জন্য সংবিধানে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন প্রয়োজন। ফলে সংসদে আমাদের সমর্থন প্রয়োজন। আমরা এর পক্ষে সমর্থন দেব না।' বিজেপির আসাম শাখা এই চুক্তির বিরুদ্ধে নিয়মিত প্রদেশ জুড়ে মিছিল-মিটিংও করে যাচ্ছে। বিজেপি দহগ্রাম-অঙ্গরপোতা ছিটমহলে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশকে তিন বিঘা করিডর হস্তান্তরেরও তীব্র বিরোধী ছিল। অথচ এই চুক্তির বিনিময়ে ভারত যা পেয়েছে সে বিষয়ে তারা নীরব।
কেবল এইরূপ দ্বিপাক্ষিক চুক্তির বিরোধিতাই নয় - ভারতে সম্প্রতি সংগঠিত সকল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও জঙ্গী তৎপরতার পরই বিজেপির পক্ষ থেকে তার পেছনে বাংলাদেশের (মুসলমানদের) হাত আবিষ্কারও অব্যাহত আছে। ২০১২-এর আগস্টে আসামে বোড় (Bodos) উপজাতির হাতে প্রায় এক শত মুসলমানের গণহত্যার পরপরই বিজেপি তার জন্য 'বাংলাদেশ থেকে আসামে অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের' দায়ী করে প্রচারণা শুরু করে। অথচ বহুদিন থেকে ভারত সরকার বাংলাদেশ-আসাম সীমান্ত কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছে। আসামের ঐ ঘটনায় প্রায় চার লাখ অসমীয় মুসলমান বাস্তুচ্যুত হন এবং এই আক্রমণের পরপরই সেখানে সফরকারী ভারতের ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটিজ-এর পক্ষ থেকেও বিজেপির দাবিকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করা হয়। বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি ২০১৩-এর ২ মার্চ দলের কাউন্সিল সভায় সভাপতির ভাষণে বাংলাদেশের উল্লেখ করে বলেন: 'বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশ ভারতের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা সংকট তৈরি করেছে। বাংলাদেশীরা এখন আসাম ছাড়াও ত্রিপুরা, মেঘালয়, অরুণাচলে ছড়িয়ে পড়ছে…।'
বিজেপি কেবল যে, এভাবে তাদের ভূখন্ডের অস্থিতিশীলতার সঙ্গে বাংলাদেশকে জড়াতে চায় তাই নয় - বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করতে চেষ্টা করে এবং তাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করতে চায়। ২০১৩ সালের ৭ মার্চ কোন কারণ ছাড়াই বিজেপি এমপিরা ভারতীয় লোকসভায় সমস্বরে দাবি জানান, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে তাতে ভারতের সক্রিয় সাড়া দেয়া উচিত। এরূপ বক্তব্য স্পষ্টত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য উস্কানিতুল্য। বিজেপির যে এমপি চন্দন মিত্র সেদিন লোকসভায় ঐ বক্তব্য তুলে ধরেছিলেন তাকেই ২০১৩ তে তাদের প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গী হিসেবে দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশে। ধারণা করা যায়, দলটি যখন কেন্দ্রে আবার সরকার গঠন করবে তখন তার এইরূপ নীতি-অবস্থান দু দেশের সম্পর্ক বিষাক্ত করে তুলবে। তারই বিপজ্জনক ইঙ্গিত পাওয়া গেল খোদ মোদির সাম্প্রতিক এক ভাষণে - যেখানে তিনি বলেন,
A country (like India] needed to protect not only its citizens but also people of its roots in other countries, he said adding "they may have a passport of different colour but the colour of our blood is the same. We need to protect the people of Indian origins…"
ঐ একই বক্তৃতায় মোদি এও বলেন, 'আয়তনের বিশালত্বকে ব্যবহার করে' ভারতের উচিত আশেপাশের দেশগুলোকে 'প্রভাবিত' করার নীতি নেয়া। বলা বাহুল্য, এইরূপ বক্তব্য দক্ষিণ এশিয়া সুদূরপ্রসারী এক বিপদের রণধক্ষনি শোনাচ্ছে।
বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার চার দশক ধরে উপরে কথিত 'আয়তনের বিশালত্ব'-এর 'প্রভাব'কে মোকাবেলা করেই এখনো মধ্যপন্থী ধারায় বিস্ময়করভাবে টিকে আছে। নিঃসন্দেহে 'গুজরাট মডেল'-এর মোকাবেলাও তার জন্য অনিবার্য নিয়তি। তবে মোদি ও আরএসএস-এর দক্ষিণপন্থী রাজনীতির স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে বাংলাদেশেও অতি দক্ষিণপন্থী রাজনীতির বিকাশ ঘটে কি না - সেটা দেখার জন্যই এখন অপেক্ষা করতে হবে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।।
__._,_.___