'গুন্ডে' ছবিতে বাংলাদেশ নিয়ে চরম আপত্তিকর ও অসত্য বক্তব্য দেয়ার সুযোগ কিভাবে পেল? এর জবাবে প্রথমে বলতে হয়, ফাঁক থাকলে ফাঁকি দেয়ার মওকা মেলে। আমাদের ইতিহাসের বহু গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে অস্বচ্ছ, স্ববিরোধিতাময়, রহস্যপূর্ণ কিংবা দ্ব্যর্থবোধক করে রাখা হয়েছে। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এবং লাখ লাখ মানুষের জীবনের বিনিময়ে জাতি বিজয় অর্জন করেছিল ১৬ ডিসেম্বর '৭১। অথচ পরাজিত পাকিস্তান বাহিনী শুধু ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। সে ঐতিহাসিক দলিলে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী প্রধান জেনারেল ওসমানী কিংবা তার পক্ষ থেকে কারো স্বাক্ষর নেই। এমনকি ঢাকার রেসকোর্সের সে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকার বা কমান্ডের কেউ অফিসিয়ালি প্রতিনিধিত্ব করেননি।
http://www.youtube.com/watch?v=CI6qymVwkVA
গুন্ডে নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিবাদ আমলেই নেয়া হয়নি
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা ভারতীয় সিনেমা গুন্ডের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের চিঠির কোনো কাজই হয়নি। উল্টো গুন্ডে-তে কোনো রকমের পরিবর্তন আনবে না যশরাজ ফিল্মস। তারা এ বিষয়ে একটি ক্ষমা বক্তব্য দিয়েই আপাতত দায়িত্ব শেষ করেছে। ভারতের কয়েকজন সাংবাদিক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, গুন্ডে নিয়ে যে হইচই হচ্ছে এটা যশরাজ ফিল্মেস আমলে নিচ্ছে না। ভারতীয় সরকার এ বিষয়ে কোনো অ্যাকশন না নিলে সিনেমাটি যেভাবে প্রদর্শিত হচ্ছে, ঠিক সেভাবেই প্রদর্শিত হবে।
এর আগে স্বাধীনতা উত্তরকালে ১৯৭৩ সালে মুক্তি পাওয়া 'জয়বাংলা' সিনেমাটিও বহুল সমালোচিত হয়েছিল। ওই সিনেমাতেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয়।
__._,_.___
