Banner Advertiser

Thursday, April 17, 2014

[mukto-mona] Please Read



¶gZvnviv gv-†Q‡ji Ae¯'vUv GLb Miænviv‡bv K…l‡Ki g‡Zv wkZvsï ¸n


'ক্ষমতাহারা মা-ছেলের অবস্থাটা এখন গরুহারানো কৃষকের মত'

জাতি হিসাবে আমরা বাক্সবন্দী হয়ে গেছি। কিছুতেই যেন বাক্স-এর বাইরে বেরিয়ে আসতে পারছিনা। তাই স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরও পুরানো কাসুন্দি ঘাটছি। প্রবাসী যাদের কাগজপত্র নাই তারা হামেশা বলে থাকেন, দেশে আমরা বৈধ ছিলাম; প্রবাসে এসে অবৈধ হলাম। কোথাকার কে একজন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, আর সারা জাতি এবং মন্ত্রীরা উঠেপড়ে লেগেছেন জাতির জনকের বৈধতা দেবার জন্যে! বঙ্গবন্ধু রাজনীতিক ছিলেন, তার বিপক্ষে কিছু লোক থাকতেই পারে, একজন তারেকের কাছে বঙ্গবন্ধু অবৈধ থাকলেই বা কি? নাথুরাম গডস গুলি করে মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করলেও গান্ধী হারিয়ে যাননি। তারেক বা ম্যাডামের কথাও বঙ্গবন্ধু হারিয়ে যাবেন না। যারা বঙ্গবন্ধুকে ডিফেন্ড করতে উঠেপড়ে লেগেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, 'বঙ্গবন্ধুকে কি আদৌ  ডিফেন্ড করার প্রয়োজন আছে? আমরা ভুলে যাই যে, সিরাজদ্দৌলা ছিলেন বলেই মীরজাফর আছে; বঙ্গবন্ধু ছিলেন বলেই জিয়া আছে; নায়ক থাকলে ভিলেন থাকবে; মঙ্গল থাকলে অমঙ্গল থাকবে-এটাই জাগতিক নিয়ম। তারেকের ফাঁদে পা দিয়ে অযথা হৈচৈ করার কোনো মানে হয়না।

 

দারাশিকোর বিচার নিয়ে একটি কথা প্রচলিত আছে যে, কাজী আল্লাহ' নাম বিচার করলেও রায় দেন সম্রাটকে খুশি করার জন্যে। আমাদের বড় দুই দলের নেতাদের কথা শুনলে মনে হয়, তারা যা বলেন তা শুধু নেত্রীকে খুশি করার জন্যে। বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে লিখতে ইচ্ছে হয়না; কারণ রাজনীতি আর রাজনীতির জায়গায় নেই। বড় বড় নেতারা এমনসব কথা বলেন যা শুনলে হাসি পায়। প্রশ্ন জাগে, এই কি আমাদের নেতা? নির্বাচনের আগে এরশাদ সাহেবের কথাবার্তা বা কর্মকান্ডে জাতি কৌতুক উপভোগ করেছে। এখন তারেক জিয়ার কথায় জাতি পুনরায় পুলকিত হচ্ছে! রাজনীতির মাঠে সবসময়ই কোনো না কোনো ক্লাউন থাকে, শাহ মোয়াজ্জেম, কাদের সিদ্দিকী, এরশাদের পর তারেক জিয়া ওই পদে আসীন হলে কার কি? জাতি হিসাবে আমরা বেঈমান নইলে মন্ত্রীদের বোঝা উচিত কত দু:খে বেগম জিয়া তারেক ঐসব আবোলতাবোল বলছেন! এক গরীব চাষীর একমাত্র অবলম্বন গরু হারিয়ে গেলে তিনি সারাদিন খোঁজাখুজির পরও গরু না পেয়ে তার মাথা খারাপ হয়ে যায়। ক্লান্ত হয়ে ঘরের দুয়ারে এসে সামনে কিশোর পুত্রকে দেখে বলেন, 'ভাই, আমাকে এক গ্লাস পানি দেন।' দূর থেকে স্ত্রী দেখেন, স্বামী ছেলেকে 'ভাই' বলছেন। স্ত্রী তখন বলেন, 'তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে?' উদভ্রান্ত স্বামী তখন স্ত্রীকে বলেন, ''হ্যাগো 'মা', গরু হারাইলে এমনি হয়।' ক্ষমতাহারা মা-ছেলের অবস্থাটা এখন গরুহারানো কৃষকের মত। মন্ত্রীদের বোঝা উচিত, 'পরানে ব্যথা পেলে সে ব্যথা সারেনা --'

 

এবার নির্বাচন প্রসঙ্গে আসা যাক। গত সপ্তাহে মন্ট্রিল ছিলাম, ৭ই এপ্রিল কুইবেক- নির্বাচন ছিলো, না কেউ মরেনি বা মারামারি হয়নি। নিত্যদিনের মতই একটি দিন, ভোটে কেউ কারচুপির অভিযোগ তুলেনি। সরকারের অধীনেই নির্বাচন, বিদেশী পর্যবেক্ষক ছিলো না বা এমন আজগুবী দাবীও ছিলোনা। বাঙালীরা সবাই দেখলাম একজনকে ভোট দিচ্ছেন, যিনি কুইবেক-কে কানাডার সাথে সংযুক্ত রাখার পক্ষে। প্রতিপক্ষ নাকি কুইবেকের স্বাধীনতার পক্ষে! 'বছর আগে এনিয়ে গণভোট হয়েছিলো, কিন্তু রায় হয়েছে কানাডার সাথে থাকার। বাংলাদেশে কি এমন ঘটনা চিন্তা করা যাবে? এতটা না হোক, ৪৪ বছরে অন্ত: একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা আমরা প্রতিষ্টিত করতে পারলাম না? নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত। সুষ্ঠু নির্বাচন নাই তো প্রকৃত গণতন্ত্রও নাই। এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাচন শেষ হলো। ফলাফল নিয়ে মাথাব্যথা নেই। এই নির্বাচনে আমরা 'নির্বাচন' ফিরে পেয়েছি। এটা জাতির কম ভাগ্য নয়। ১৯৭৫-৯০ দেশে নির্বাচন নির্বাচন খেলা ছিলো। নব্বই-এর পর মোটামুটি নির্বাচন ফিরে আসে; সাথে আসে আমদের দেশীয় স্টাইলের 'গণতন্ত্র' তবে স্বৈরশাসনের চেয়ে ঢিলেঢালা গণতন্ত্রও ভালো

 

সময়ে ভারতে নির্বাচন চলছে; প্রায় ৬০ কোটিরও বেশি ভোটার নিয়ে বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ থেকে অন্ত: আমরা নির্বাচনটা শিখতে পারি! ভালো জিনিষ শত্রুর কাছ থেকেও শেখা যায়। আমাদের দেশের মানুষ বেশিরভাগই 'এন্টি-ইন্ডিয়ান' তাই ভারতের নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্চ্য নেই। কারণ, ভারতের প্রশংসা করা যাবেনা। এই প্রবাসেও দেখি , আমরা পশ্চিমাদের বদ অভ্যাসগুলো খুব তাড়াতাড়ি রপ্ত করি, কিন্তু এদের ভালো গুণগুলো নেই না। পাশের দেশের নির্বাচনী ডামাডোলে এক কট্টর মোল্লা বলেছেন, 'মোদী জিতলে ভারতে আবার পার্টিশন হবে।' একথার অর্থ বোঝা দু:সাধ্য নয়; তাকে কিন্তু কেউ রাষ্ট্রবিরোধী বলছেন না, বা তাকে জেলের ভাতও খেতে হচ্ছেনা। এটাই গণতন্ত্র; বাক স্বাধীনতা। সেখানে জাকির নায়েক অনবরত হিন্দুধর্মের বিরুদ্বে প্রচরণা দিয়ে যাচ্ছেন, সরকার মাথা ঘামাচ্ছেন না। রাজীব গান্ধীকে একবার প্রশ্ন করা হয় তার ধর্ম সম্পর্কে, তিনি উত্তর এড়িয়ে যান। অথচ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, যাকে বলা হয়, 'গণতন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষতার' প্রতীক, যিনি সংখ্যালঘুদের সবভোট পান, সদ্য এক ধর্মীয় সভায় মুসলমানদের নবীজির পথে চলার পরামর্শ দিয়েছেন, খুব ভালো কথা। 'দিন আগে তিনি বলেছেন, দেশ মদিনা সনদ অনুযায়ী চলবে। কথার কথা হিসাবে এটাও শুনতে ভালো, তবে বাস্তবতা অন্যরকম। মদিনা সনদ যখন স্বাক্ষর হয়, তখন হজরত মুহম্মদ ছিলেন সংখ্যালঘু এবং তার স্বাক্ষরটি ছিলো সবার শেষে। তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দযিত্ব পান। বাংলাদেশে কি একজন হিন্দু স্বপ্নেও প্রধানমন্ত্রী হবার দু:সাহস দেখাতে পারেনইংরেজিতে একটা কথা আছে যার বাংলা হচ্ছে, 'একজন মহিলা নয় মাসে একটি সন্তানের জন্ম দিতে পারলেও নয়জন মহিলা মিলে একমাসে একটি বাচ্চা জন্ম দিতে পারেননা।অযথা রাজনীতিতে ধর্মকে টেনে না আনলেই কি নয়

শিতাংশু গুহ, কলাম লেখক।

নিউইয়র্ক। ১৩ই এপ্রিল ২০১৪

 



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___