Banner Advertiser

Wednesday, April 16, 2014

[mukto-mona] আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না? প্রবীর ঘোষের জবাব প্রসঙ্গে।



আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না? প্রবীর ঘোষের জবাব প্রসঙ্গে।

অধ্যায় ঃ ঈশ্বর বিশ্বাস ঃ কিছু বেয়াড়া আটপৌরে প্রশ্ন

কারণ ঃ চার

প্রমাণ করতে পারেন, ঈশ্বর নেই? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রবীর ঘোষ ভাঁড়ের মত জোড়া পায়ে তিনবার লাফিয়ে তিন ইঞ্চি লম্বা হবার গল্প ফেঁদে, প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে উল্টো একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে অত্যন্ত চালাকীর সাথে এড়িয়ে গেছেন। প্রশ্নটি হল- "আপনি প্রমাণ করতে পারবেন- আমি মাঝে-মধ্যে তিন লাফে তিন ইঞ্চি লম্বা হই না?" এই প্রশ্নটি ছুঁড়ে এটাই প্রমাণ করেছেন যে, "তার মাঝে-মধ্যে তিন লাফে তিন ইঞ্চি লম্বা হওয়াটা যেমন উদ্ভট, অসম্ভব ঠিক তেমনিভাবে 'প্রমাণ করতে পারেন, ঈশ্বর নেই? এই দাবিটাও উদ্ভট ও অসম্ভব।"

তিনি জোড়া পায়ে তিনবার লাফিয়ে এটাই প্রমাণ করলেন যে, দাবীটা যার মূলতঃ তাকেই সেই দাবীর পক্ষে তার যথার্থতা প্রমাণ করতে হয়। আমি তার এই কথার সাথে একমত বটে।
 
'স্রষ্টা আছেন' এই কথাটি দ্বারা আমরা কখনো দাবী করার অর্থে বুঝাই না, আমরা যা বুঝাই তা মূলতঃ পানির তৃষ্ণা, ভয় পাওয়া, বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ, খাদ্যগ্রহণ ও আঘাত করলে ব্যাথা অনুভূত হওয়া যেমন স্বভাবজাত, ঠিক তেমনিভাবে স্রষ্টার ব্যাপারটিও স্বভাবজাত। পানি পান করা, যৌনতা, খাদ্যগ্রহণ, আঘাত লাগলে ব্যাথ্যা অনুভূত হওয়া ইত্যাদি আসলে এগুলো দাবী করার বিষয় নয়। কারণ এগুলো জন্মগত/সৃষ্টিগতভাবেই আমাদের মাঝে বিদ্যমান, ঠিক তেমনিভাবে স্রষ্টাও। আসলে 'স্রষ্টা আছেন' এই দাবী আমরা কখনই করিনি বরং আমরা সৃস্টিগত/জন্মগতভাবেই তাঁকে ধারণ করে আছি। প্রশ্ন করতে পারেন কিভাবে?

(১)    মানুষ একটি দূর্বল প্রাণী তাই কোন না কোন অবলম্বন ধরে টিকে থাকাটা মানুষের স্বভাব।
(২)    মানুষ তার চেয়ে বড়, শক্তিশালী কোন কিছুকে বুঝতে পারলে তার দিকে ঝুঁকে পড়া বা তার প্রতি আগ্রহী হওয়া, শ্রদ্ধা-সম্মান বা আনুগত্য করার স্বভাব বিদ্যমান।
(৩)    ঐ শক্তিশালী স্বত্ত্বার কাছে কোন কিছু চাইলে তিনি যখন সেটা দেন।

এভাবে, হ্যাঁ ঠিক এভাবেই আমরা আল্লাহ্'কে ধারণ করে আছি। সত্যি বলতে কি 'আল্লাহ্ আছেন' কি 'নেই' এই চিন্তা কখনো মাথায় আসেনি। তিনি আমাদের জীবনের প্রতিটি পরতে-পরতে, প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাসে, রক্তের কণায়-কণায় আমাদের পুরো অস্তিত্ব জুড়ে আছেন। এ বিষয়টি বুঝতে নিম্নোক্ত আয়াতটি লক্ষ্য করুন,

"তিনিই প্রথম, তিনিই শেষ, তিনিই প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য এবং তিনি সকল কিছুর জ্ঞান রাখেন।" -সূরাহ্ হাদীদ (৫৭), ৩।

এই আয়াতটি প্রমাণ করে যে, আমরা স্রষ্টাকে কিভাবে ধারণ করে আছি।

স্রষ্টা 'আছেন' কি 'নেই' এই দাবী মূলতঃ নাস্তিকদের, তারা নিজেরাই এইসব প্রশ্ন হাওয়া থেকে বানিয়ে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে নিজেরাও পথভ্রষ্ট হয় এবং অন্যদেরকেও বিভ্রান্ত করে। তাই নাস্তিকদেরই দায়িত্ত্ব আল্লাহ্ যে 'নেই' তা প্রমাণ করা।

অতএব, প্রবীর ঘোষের এই যুক্তিতে ঈশ্বরে অবিশ্বাস করাটা একটা ফালতু কথা ছাড়া অন্যকিছু নয়। তবে প্রবীর ঘোষের সাথে আমরা মুসলিমরা আরো একটি বিষয়ে একমত যে, আমরা 'জ্যোতিষশাস্ত্রে' বিশ্বাসী নই বরং 'জ্যোতির্বিজ্ঞানে' বিশ্বাসী। কোন মুসলিমের পক্ষে জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাসী হওয়া শোভা পায় না, কারণ এটা সবচেয়ে বড় গুনাহ্ 'শরিক' (আল্লাহ্'র অধিকারে ভাগ বসানো - সূরাহ্ লুকমান (৩১), ১৩) করার অন্তর্ভূক্ত।


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___