Banner Advertiser

Friday, April 25, 2014

[mukto-mona] তবে কি বিএনপির চক্রান্তেই মমতা তিস্তা-পানি চুক্তি করতে আসেননি !!!!!!



তবে কি বিএনপির চক্রান্তেই মমতা তিস্তা-পানি চুক্তি করতে আসেননি
মুহম্মদ শফিকুর রহমান
লংমার্চে অংশগ্রহণকারী বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন, তাদের লংমার্চ কর্মসূচীর কারণে ভয় পেয়ে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমতো শঙ্কিত হয়ে তিস্তা ব্যারাজ (ভারতের গজলডোবা নামক স্থানে এই ব্যারাজ অবস্থিত) খুলে দিতে হলো এবং তিস্তার উৎপত্তিস্থল হিমালয়ের চিতামু হ্রদের স্বচ্ছ পানি কলকল করে বাংলাদেশের তিস্তা এবং অববাহিকার খাল বিল ফসলের মাঠ ভরে গেছে। কিন্তু বেচারাদের ভাগ্যটাই খারাপ। মাত্র একদিন, তারপরই আবার পানি কমতে শুরু করেছে। এই যেমন মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০১৪ বেলা ১২টায় পানি প্রবাহ ছিল ৩০০৬ কিউসেক (অর্থাৎ প্রতি সেকেে প্রবাহ ৩০০৬ ঘনফুট)। কিন্তু মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ২৩ এপ্রিল ২০১৪ বুধবার একই সময়ে প্রবাহ ছিল ১২৪২ কিউসেক, অর্থাৎ কমেছে ১৭৬৪ কিউসেক। বিএনপির এটা দুর্ভাগ্যই বলতে হবে। নির্বাচনে অংশ নেব না, গাড়ি ভাঙব, মানুষ পোড়াব এভাবে নেতিবাচক রাজনীতি করতে করতে ভাগ্যটাও নেতিবাচক হয়ে গেছে, নিয়তিও তাদের সঙ্গে খেলতে শুরু করেছে। আর নেতারা যখন দাবি করেন তাদের কর্মসূচিতে শঙ্কিত হয়ে মমতার ভারত পানি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে, তখন স্বাভাবিকভাবেই একটা প্রশ্ন সামনে আসে-তবে কি বিএনপির চক্রান্তেই মমতা ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেবার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর সঙ্গে বাংলাদেশে আসেননি? এ প্রশ্ন উড়িয়ে দেবার নয়। কেননা, মনমোহন সিং-এর সঙ্গে মমতারও আসার কথা ছিল এবং একেবারে শেষ মুহূর্তে তিনি বেঁকে বসেন। তখন বিএনপিকে রাজনৈতিক ফায়দা দেবার জন্যে চুক্তি করতে আসেননি, আবার এখন একইভাবে বিএনপিকে রাজনৈতিক সুবিধা দেবার জন্য লংমার্চের মুখে কিছু সময়ের জন্য পানি ছেড়ে দিলেন, যাতে করে বিএনপি ঢেঁড়া পেটাতে পারে, এই দেখুন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকেও কেবল নতজানু(?) নীতির কারণে তিস্তার পানি আনতে পারেনি। অথচ আমাদের এক ধমকে পানি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। অবশ্য আমাদের বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া যেমন মনে করেন আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করতে চাইলে ভারতের বিরুদ্ধে বলো, তাহলেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বলা হয়ে যাবে। এর একটা দর্শন আছে। দর্শনটি হলো বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে এক রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে, যে মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা দিয়েছে ভারত এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন। ভারত আমাদের প্রতিবেশী হওয়ায় আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র, অর্থ, শরণার্থীদের অন্ন-বস্ত্র-আশ্রয় সব দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ তা আজও কৃতজ্ঞতা ভরে স্বীকার করে। বিশেষ করে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী প্রিয়দর্শিনী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী যেভাবে আমাদের জন্য কেবল সাহায্য নয়, আমাদের পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে বিশ্বব্যাপী ঘুরে ঘুরে সমর্থন আদায় করেছেন, বিশ্ববাসীর ভুল ভেঙ্গে দিয়েছেন, তা কেবল তুলনাহীনই নয়, ঐ তুলনাহীনা নারী আমাদের কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করে গেছেন। এটা বিএনপি বলার চেষ্টা করে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি(?) কিন্তু ওরা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ওদের উঁচুজানু পররাষ্ট্রনীতিও বাংলাদেশের জনগণ ভালভাবেই দেখেছে। আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে বলে ভারত-রাশিয়া আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। কোন রাখঢাক নেই। ১৯৭১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন হানাদার পাকিস্তানের পক্ষে বাঙালী জনগোষ্ঠীকে দমন করার জন্য বঙ্গোপসাগরের দিকে সপ্তম নৌবহর পাঠাবার চেষ্টা করেছিল তখন সোভিয়েত ইউনিয়নও তার রেড ফ্লিট পাঠিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে। সপ্তম নৌবহর ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছিল। এমনিভাবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যখন বাংলাদেশবিরোধী পদক্ষেপ নেবার চেষ্টা হয়েছিল তখনও ভারতের প্রচেষ্টা এবং রাশিয়ার ভেটোতে তা পাস হতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্র পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল। এমনকি এই পরীক্ষিত বন্ধু ভারত-রাশিয়াই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হবার পর থেকে এবং বিগত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত-হেফাজতের ধ্বংসযজ্ঞের সময়ও সেই পরীক্ষিত বন্ধুরাই আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। ওদের ধ্বংসযজ্ঞ জ্বালাও পোড়াও নিভে গিয়েছিল। এই সব কারণে আওয়ামী লীগকে যদি বলা হয় নতজানু তবে আমাদের কাছে পরাজিত পাকিস্তানের কাছে যারা নিজেদের সম্ভ্রম বাঁধা দিয়েছে তাদের কি বলা হবে? উঁচুজানু না কি জানু বিছিয়ে দেয়া পররাষ্ট্রনীতি। তারা তো প্রমাণই করেছে তারা যখন ক্ষমতায় আসে তখন বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পাকিস্তানী অস্ত্র-গোলা-বারুদের চালান ধরা পড়ে। তাহলে কোনটা 'নতজানু' পররাষ্ট্রনীতি আবার কোনটা 'জানুপাতা' পররাষ্ট্রনীতি তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে আমাদের ম্যাডাম খালেদার একটা ক্ষেত্রে মিল আছে তা হলো স্টান্টবাজি। দু'জনই রাজনৈতিক স্টান্টবাজিতে পারদর্শী। তবে প্রকৃতি আলাদা। ক্ষমতায় আসার আগে মমতা ব্যানার্জি যখন কোন কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামতেন তখন অপেক্ষাকৃত পুরনো শাড়ি পরতেন। কোথাও পুলিশ বাধা দিলে নিজেই শাড়ি-ব্লাউজ ছিঁড়ে পথে বসে পড়তেন, তাঁর বিশ্বস্ত ফটোগ্রাফাররা সেই ছবি তুলে কাগজে ছাপতেন। পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস দীর্ঘ-মেয়াদের মুখ্যমন্ত্রী জনপ্রিয় বাম ব্যক্তিত্ব কমরেড জ্যোতি বসু 'ঐ মেয়েটি' বলে ডাকতেন। বলতেন ঐ মেয়েটি তাঁতের শাড়ি কিনে নিজেই ছিঁড়ে আবার নিজেই সেলাই করে পরেন মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্যে। এসব কথা বামফ্রন্ট ক্ষমতায় থাকাকালে কলকাতায় শোনা গেছে। আর এদিকে আমাদের ম্যাডামও রাজপথের কোন কর্মসূচি দিয়ে হঠাৎ উধাও হয়ে যেতেন। জনশ্রুতি হলো একবার ৫ দিনের জন্য সাভারে আত্মগোপন করেছিলেন, আরেকবার হোটেল পূর্বাণীতে দু'দিন। তারপর বেরিয়ে এসে নিজের আপোসহীনতার সাফাই গাইতেন। এই ধরনের স্টান্টবাজিকে তাকে সমর্থন দিত অধিকাংশ গণমাধ্যম। এই যেমন তিনি তিস্তা লংমার্চের কর্মসূচি দিয়ে নিজে ঘরে বসে রইলেন। যে কারণে বগুড়ার বিএনপি নেতা সোলায়মান জামান বলেন, '৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বিএনপি নেতা-কর্মীরা এমনিতেই ঝিমিয়ে পড়েছে। এরপর এ ধরনের একটি কর্মসূচিতে দলের চেয়ারপারসনের উপস্থিতি ভাল হতো (প্রথম আলো, ২৩ এপ্রিল ২০১৪)। তাছাড়া উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে দু'একজন ছাড়া তেমন কেউ ছিল না। অনর্গল মিথ্যে ভাষণদানকারী মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নজরুল ইসলাম খান, ড. ওসমান ফারুক ছাড়া তেমন আর কাউকে দেখা যায়নি। জামায়াত-শিবিরকে তো সঙ্গে নেয়ইনি। নিলে ওগুলো ভাংচুর-জ্বালাও-পোড়াও চালাত আর তার দায় বহন করতে হতো বিএনপিকে। 
তিস্তার উৎপত্তি গতি-প্রকৃতি 
যদ্দুর জানা যায়, বাংলাদেশের বড় বড় ৫৭টি নদীর মধ্যে তিস্তা চতুর্থ বৃহত্তম নদী। এই নদী প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং যার নিম্নাঞ্চলের ১২৪ কি.মি. বাংলাদেশে অবস্থিত। হিন্দু পুরান অনুসারে এটি দেবী পার্বতীর স্তন থেকে উৎপন্ন হয়েছে। সিকিম-হিমালয়ের ৭২০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত 'চিতামু হ্রদ' থেকে এই নদী সৃষ্টি হয়েছে। এটি দার্জিলিং-এ অবস্থিত 'শিভিক গোলা' নামে পরিচিত একটি গিরিসঙ্কটের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। দার্জিলিং পাহাড়ে তিস্তা একটি বন্য নদী এবং এর উপত্যকা ঘন বনে আচ্ছাদিত। পার্বত্য এলাকায় এর নিষ্কাশন এলাকার পরিমাণ মাত্র ১২ হাজার ৫০০বর্গ কিলোমিটার। পার্বত্য এলাকা থেকে প্রবাহটি দার্জিলিং সমভূমিতে নেমে আসে, পশ্চিমবঙ্গের 'দুয়ার' সমভূমিতে প্রবেশ করে এবং নদীটির নীলফামারী জেলার খড়িবাড়ি সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
তিস্তা একটি আন্তর্জাতিক নদী। কোন আন্তর্জাতিক নদীর প্রবাহ কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারে না। 
ত্রি-শ্রোতা থেকে তিস্তা 
১৫০০ সালের পর থেকে বাংলার অনেক নদীখাত ভৌগোলিক কারণে পরিবর্তিত হয়েছে। তিস্তাও পরিবর্তিত হয়েছে। তিস্তা আগে জলপাইগুড়ির দক্ষিণে তিনটি ধারায় প্রবাহিত হতো, পূর্বে করতোয়া, পশ্চিমে পুনর্ভবা এবং মাঝে আত্রাই সম্ভবত এই তিনটি ধারার অনুসঙ্গেই 'ত্রি-শ্রোতা' নামটি এসেছিল এবং কালক্রমে যেটি বিকৃত হয়ে 'তিস্তা' নাম ধারণ করে। তিনটি ধারার মধ্যে পুনর্ভবা মহানন্দায় মিশত। আত্রাই চলন বিলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে করতোয়ায় মিশতো। তারপর আত্রাই-করতোয়ার যুগ্মধারা জাফরগঞ্জের কাছে মিশত পদ্মায়। সপ্তদশ শতকের শেষের দিকে তীব্র ভাঙ্গনের ফলে পুরনো খাত পরিবর্তন করে পূর্বদিকে ব্রহ্মপুত্র নদে গিয়ে মিশে। ইন্টারনেট থেকে গৃহীত তথ্যে জানা যায়, রেনেলের মাত্রচিত্রে (১৭৬৪-১৭৭৭) দেখা যায়, তিস্তা উত্তরবঙ্গের একাধিক শাখায় (পুনর্ভবা, আত্রাই, করতোয়া) প্রবাহিত হতো। সব ক'টি ধারা উত্তরবঙ্গের এখনকার পশ্চিমতম নদী মহানন্দায় মিশত। তারপর হুরসাগর নাম নিয়ে সাম্প্রতি গোয়ালন্দের কাছে জাফরগঞ্জে পদ্মায় মিশত। হুরসাগর নদীটি এখনও আছে। তবে পদ্মার বদলে এটি এখন মিশে যুমনা নদীতে। 
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসেলভেনিয়া স্টেটের লক হ্যাভেন ইউনির্ভাসিটির প্রফেসর খালেকুজ্জামান দেখিয়েছেন, তিস্তা নদীর অববাহিকার আয়তন ১২ হাজার ১৫৯ বর্গ কিলোমিটার, যার মধ্যে ২০০৪ বর্গকিলোমিটার অর্থাৎ ১৭ শতাংশ বাংলাদেশে অবস্থিত। এই ১৭ শতাংশ অববাহিকা অঞ্চলেই সমগ্র তিস্তা অববাহিকায় বসবাসরত ২১ মিলিয়ন জনগোষ্ঠীর ১৩ মিলিয়ন অর্থাৎ ৬০% মানুষ বসবাস করে এবং এই মানুষেরা তিস্তা নদীর ওপর নির্ভর করে বসবাস করে। কিন্তু উজানে পশ্চিম-বঙ্গের (ভারত) গজলডোবা নামক স্থানে ব্যারাজ নির্মাণ করে পানি আটকে দেয়ায় আমাদের সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে এবং সে জন্য তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি জরুরী হয়ে পড়েছে।
তিস্তা-পানি বণ্টন চুক্তি 
দীর্ঘপথ পরিক্রমা শেষে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরের একটি সম্ভাবনা চূড়ান্ত হয়েছিল ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর মধ্যে দীর্ঘ আলোচনায় একটা সমঝোতা হয়। আলোচনার পর এবং আলোচনাও হয়েছে মূলত বাংলাদেশ কত পানি পাবে। এক পর্যায়ে স্থির হয়েছিল ৫০:৫০ হিস্যার ভিত্তিতে অর্থাৎ বাংলাদেশ ৫০ ভাগ এবং ভারত ৫০ ভাগ পানি পাবে। এ লক্ষ্যে একটা খসড়া চুক্তিও তৈরি হয়েছিল। কথা ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর বাংলাদেশ সফরকালে চুক্তি স্বাক্ষর হবে। তার সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও বাংলাদেশে আসবেন, কেননা এই চুক্তির সুফল পশ্চিমবঙ্গের জন্যও প্রয়োজন। যদ্দুর জানা যায়, মমতা ব্যানার্জি শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসেন এবং কোনভাবেই বাংলাদেশকে ২৫ শতাংশের ওপর পানি দিতে রাজি হননি এবং মমতা ড. মনমোহন সিং-এর সঙ্গে বাংলাদেশে আসেনও নি। এমনকি একেবারেই শেষ মূহূর্তে তিনি বেঁকে বসেন। যে কারণে তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি আর হতে পারেনি। 
লংমার্চ ব্যর্থ
বিএনপির লংমার্চ শেষপর্যন্ত ব্যর্থতায় পর্যবসতি হয়েছে। কারণ এই লংমার্চ-এ জনগণের অংশগ্রহণ মোটেই ছিল না। কেবল শতাধিক গাড়ির একটি বহর পথে চলতে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে কোন মানুষ নেই, পথসভাগুলোও ছিল একেবারেই হতাশাব্যঞ্জক। অবশ্য ইস্যুটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন বোরো মৌসুম। এই মৌসুমে তিস্তার পানি প্রবাহ বৃদ্ধি না পেলে সেচের সুবিধার অভাবে বোরো উৎপাদন ব্যাহত হবে। বিএনপি অত্যন্ত হিসেব করেই এই লংমার্চের কর্মসূচি নিয়েছে। কারণ শীত শেষে এ সময়টাতে পানির প্রবাহ এমনিতে কিছুটা বাড়ে। গত বছরও এই সময় প্রবাহ ৩ হাজার কিউসেকের ওপরে ছিল। বাম সিপিবি বা বাসদও এই হিসাব থেকেই এই সময়টি বেছে নিয়েছিলেন। তারাও কয়েকদিন আগে এমনি লং-মার্চ করেছেন। কেউ কেউ মনে করেন বিএনপির লং মার্চ-এ নয়, সিপিবি-বাসদের ধমকেই তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। 
ঢাকা ॥ ২৫ এপ্রিল, ২০১৪
লেখক : ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকThe Daily Janakantha
 




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___