Banner Advertiser

Wednesday, June 25, 2014

[mukto-mona] Fw: জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ড ও তার লাশ দাফন করার ঘটনাটি আজও রহস্যাবৃতই রয়ে গেছে !!!!!





On Wednesday, June 25, 2014 7:27 AM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:


উল্লেখ্য জিয়া যখন সেনা আততায়ীর ব্রাশ ফায়ারে নিহত হন তখন পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস থেকে জিয়া, কর্নেল আহসান ও কর্নেল হাফিজসহ আরও কয়েকজনের লাশ সরিয়ে ফেলা হয়। এর পরদিন ১ লা জুন কিছু সামরিক ও বেসামরিক লোকজনের যৌথ অভিযানে জিয়ার লাশ পাওয়া যায় চট্রগ্রামের গহীন জংগলে। কথিত আছে, তারা যা উদ্ধার করেছিল তা লাশ ছিল না; ছিল কিছু হাড় গুড় মাত্র। একদিনের মধ্যে মৃত্য ব্যক্তির কিভাবে হাড় গোড় মাংস ছাড়া পাওয়া গেল তাও একটা রহস্য বটে, কারন আগুনে পুড়ালেই হয়তোবা এমন হতে পারে, সম্ভবত ওখানে জিয়ার লাশ ছিল কিনা তাও রহস্য, জিয়ার হাড় গুড় চট্রগ্রাম বা ঢাকার কাঊকে দেখতে দেয়া হয় নি, এমনকি ডিএনএ টেস্টও করা ছাড়াই ঢাকা এনে তার হাড় গুড় শেরে বাংলা নগরে স্বমাধিস্থ করা হয়! অন্যদিকে, এই রহস্যের একমাত্র সমাধান ছিল জিয়ার হত্যাকারী মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর কিন্তু তাকে পালানোর সময় চট্রগ্রামের ফটিকছড়িতে তার পরিবারকে সহ গুলি করে মেরে ফেলে, এভাবেই জিয়ার মৃত্যু বেগম খালেদার জন্মদিনের মতই রহস্য হয়ে রইল।
যাই হোক, সম্প্রতি জিয়ার কবরে জিয়ার লাশ নেই তবে কার লাশ আছে? এ নিয়ে সংসদে সরকারী দলের সাংসদ শেখ সেলিমের বক্তব্য দিয়েছে। তিনি লাশের ডিএনএ পরীক্ষার দাবি তুলেছেন। তার জোড়াল দাবী জিয়ার কবরে আদৌ কোনো লাশ নেই। আর যদি লাশ সেখানে থাকে সেটি জিয়ার নয়। তাই তিনি সংসদে লাশের ডিএনএ পরীক্ষার দাবি তুলেছেন আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে।
অত্যন্ত বিস্ময়কর ব্যাপার হল, জিয়ার দল বিএনপি এ চ্যালেঞ্জ কেন গ্রহণ করছে না! যেভাবে তারা ঘন ঘন জিয়ার মাজার জিয়ারত করেন ততবার কি তারা তাদের পরলোকগত পিতা মাতার কবর জিয়ারত করেন? কবর জিয়ারত করার নামে তারা সেখানে করেন রাজনৈতিক চাপাবাজি ও দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা।
যেহেতু জিয়াউর রহমানের গঠিত নিজ রাজনৈতিক দল তাকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা বলে সেহেতু তার কবর অন্যসব মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে হওয়া উচিত ছিল। আবার তিনি একজন সেনা সদস্য ছিলেন সেহেতু তার অন্য সেনা অফিসারদের কবরের সাথে হওয়া উচিত ছিল। অন্যদিকে জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান যেহেতু বগুড়া সেহেতু তার কবর সেখানে হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তারা এসব না করে কোন যুক্তিতে, অবৈধভাবে জিয়ার মাজার সংসদ ভবন এলাকায় করল তার ব্যখ্যা দাবি করছি দল বিএনপির নিকট।
অবশেষে, জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ড ও তার লাশ দাফন করার ঘটনাটি আজও রহস্যাবৃতই রয়ে গেছে। বিএনপি এ রহস্য বা সন্দেহ দূর করার কোনই পদক্ষেপ নেয়নি। কারণ জিয়া হত্যার বিচার তারা করেননি। অথচ ক্ষমতায় থেকেছে তারাই দীর্ঘ সময়। কেবলমাত্র সেনা বিদ্রোহের দায়ে ২৩ জন সেনা কর্মকর্তাকে তথাকথিত বিচারের মাধ্যমে ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ডসহ বাকীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছিল, যাদের সবাই ছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা। তারা আদৌ জিয়া হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিনা সেটাও একটি রহস্য। পার পেয়ে গেছে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারী, পর্দার অন্তরালের নাটের গুরুরা। আবার এটাও দেশের সচেতন মানুষের কাছে রহস্যই রয়ে গেছে কেন বারবার ক্ষমতায় এসেও বেগম জিয়া তার স্বামীর হত্যার বিচার করলেন না? যারা চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জিয়াউর রহমানের রুমের আশপাশের রুমে সেদিন সঙ্গী হিসেবে রাত্রি যাপন করেছিলেন তাদের মধ্যে ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ কয়েকজন বেঁচে গেলেনই বা কীভাবে? দেশবাসীর মনের এসব প্রশ্ন ও সন্দেহ দূর করা অত্যন্ত জরুরি ছিল কিন্তু বিএনপি তা দূর করার কোন উদ্যোগই আজ পর্যন্ত নেয়নি। ফলে জিয়ার হত্যাকাণ্ড ও তার লাশ কবরস্থ করার ঘটনা নিয়ে বিএনপি নেতাদের বহুকাল প্রশ্নের সম্মুখীন হতেই হবে। এর জন্য বিএনপিই দায়ী। জিয়াকে হত্যা করার পর খুনিরা তার লাশ চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ থেকে নিয়ে রাঙ্গামাটি যাওয়ার পথে কোন এক স্থানে প্রথমে মাটি চাপা দিয়ে রেখেছিল। ধর্মীয় কোন আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে তাকে সেদিন দাফন করা হয়নি। এর বেশ কিছুদিন পরে তার সেই তথাকথিত লাশটি কফিনবন্দি অবস্থায় ঘটা করে ঢাকায় এনে সংসদ ভবনের পাশে চন্দ্রিমা উদ্যানে দাফন করা হয়। অথচ চট্টগ্রাম ও ঢাকার কোথাও জিয়ার লাশটি আত্মীয়-স্বজন, নেতাকর্মী বা জনগণকে দেখানো হয়নি। একজন সাক্ষী হিসেবে যিনি জানাজা পড়িয়েছিলেন তাকেও দেখানো হয়নি। স্বাভাবিক কারণেই মানুষের মনে প্রশ্ন ও সন্দেহ রয়েই গেছে আদৌ কি কফিনটিতে জিয়ার লাশ ছিল? অভিজ্ঞ লোকদের দৃঢ় বিশ্বাস- চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার লাশ নেই। যদি থাকত তাহলে কবরস্থ করার সময় কেউ না কেউ বা একজন হলেও তার লাশ শনাক্ত করার সুযোগ পেত। বা ভবিষ্যতে জনগণের মনের সন্দেহ অথবা কোন প্রশ্ন যাতে না উঠতে পারে সে কথা ভেবেও লাশ শনাক্ত করানোর ব্যবস্থা করা হতো। যেহেতু সেটা করা হয়নি সেহেতু চন্দ্রিমা উদ্যানের লাশ নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাবে। আর বিএনপি নেতৃবৃন্দের তার জবাব দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা আজীবন চালিয়ে যেতে হবে।
ঐ কবরে আদৌ জিয়ার লাশ আছে কি নেই এ প্রশ্নের তোলার যৌক্তিকতা আছে এ কারণে জিয়ার কবর দেওয়া হয়েছ সংসদের মূল নকশাকে আগ্রাহ্য করে ক্ষমতার বলে সকল নিয়ম-নীতি ভঙ্গ করে। যে মহান সংসদের ঐতিহাসিক নকশাকে বিকৃত করে জিয়ার কবর সে কবরে জিয়ার লাশ আছে কিনা সেটা নিয়ে যদি জনগনের বিরাট একটি অংশের সন্দেহ থাকে তবে সে সন্দেহটা দূর করা অপিরাহার্য। জিয়ার লাশ যদি থেকে থাকে তাহলে হয়তো ঠিক না হলেও তাঁর সম্মানে কবরটির অবস্থান মেনে নেওয়া যায়। আর যদি কবরে লাশ না থাকে বা লাশটি জিয়ার না হয় অর্থাৎ যদি উত্থাপিত অভিযোগ সত্যি হয় তাহলে মূল নকশাকে বিকৃত করে অবৈধভাবে অবস্থিত এ কবর স্থানান্তরিত করা উচিত এবং লাশ না থাকলে মিথ্যা কবরটিকে ধ্বংস করে সংসদ ভবনের মূল নকশায় ফিরে যাওয়া উচিত।
লেখকঃ খোরশেদ আলম, এল এল. বি (সম্মান) (ইংল্যান্ড, গ্রেট ব্রিটেন) এল এল. এম (ইংল্যান্ড, গ্রেট ব্রিটেন)
জিয়াউর রহমানের মৃত্যু এবং তার লাশ সম্পর্কিত কিছু অনাবিষ্কৃত রহস্য     জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, তিনি সেনাবাহিনীতে তার বিরোধিতাকারীদের নিপীড়ন করতেন এবং পাকিস্তান ফেরত সামরিক অফিসারদেরকে বেশী বেশী সুযোগ-সুবিধা দিতেন। সে কারনে অনেক উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। বিপদের সমূহ সম্ভবনা জেনেও জিয়া চট্টগ্রামের স্থানীয় নেতাকর্মী এবং সেনাকর্মকর্তাদের মধ্যে অন্তঃকোন্দল   মীমাংসা করার জন্য ১৯৮১ সালের ২৯শে মে  চট্টগ্রামে আসেন এবং সেখানে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে থাকেন। তারপর ৩০শে মে গভীর রাতে সার্কিট হাউসে মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুরের নেতৃত্বে এক সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়াসহ আরও কিছু সামরিক অফিসার ও নিরাপত্তা কর্মীরা নিহত হন।      বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, জিয়াউর রহমান যখন চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন তখন বিএনপিতে চরম গ্রুপিং চলছিল। বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই চট্টগ্রামে গ্রুপিং সৃষ্টি হয়। মূলত এ গ্রুপিং দূর করে দলকে চাঙ্গা করাই ছিল জিয়াউর রহমানের আসল উদ্দেশ্য। হত্যাকাণ্ডের একদিন আগে অর্থাৎ ২৯ মে জিয়া বেলা ১০টায় বিমানযোগে চট্টগ্রাম আসেন। রাতে ছিল স্ট্যান্ডটি কমিটির মিটিং। রাতে জিয়ার সঙ্গে   সার্কিট হাউজে তার সফর সঙ্গী ছিলেন মিসেস আমিনা রহমান, ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাসহ আরও কয়েকজন। রাত সোয়া ১২টায় নগর বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে রাতের খাবার শেষ করে তিনি নিজ রুমে শুতে যান। রাতে ঘুমানোর আগে তিনি তার স্ত্রী বর্তমান বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সংগে ফোনে কথা বলেছিলেন। বেগম জিয়া জিজ্ঞেস করেছিলেন কখন আসবে- এ প্রশ্নে   বলেছিলেন, 'আমি কাল সকাল ৯টায় পৌঁছে যাব।'     কিন্তু ১৯৮১ সালের ৩০ মে'র পর তার সে সকাল আর হয়নি। মধ্যরাতে শুরু হয় জিয়া হত্যার তিন ঘণ্টার অপারেশনের প্রস্তুতি। মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুরের নেতৃত্বে বিদ্রোহী সেনাদের একটি দল নির্মমভাবে হত্যা করে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে। এরপর মঞ্জুরের নেতৃত্বে তিনটি লাশ নিয়ে যাওয়া হয় ফটিকছড়ির দিকে। চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাপ্তাই সড়কের পাশে রাঙ্গুনিয়ার নির্জন   একটি জায়গায় ৩০ মে বেলা ১১টায় দাফন করা হয় জিয়াসহ আরও তিনজনকে। কবর দেয়ার পর মঞ্জুর ত্রিপুরা যাওয়ার জন্য সীমান্ত পথের দিকে এগিয়ে যান। কিন্তু পথ ভুলে চলে আসেন অন্যপথে। হাটহাজারী থানার ওসি গোলাম কুদ্দুসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মঞ্জুরকে ধরার জন্য পেছনে ছোটে। শেষ পর্যন্ত কৃষক গনি মিয়ার বাড়ি থেকে তাকে সপরিবারে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন এমদাদ   মঞ্জুরকে সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়ার পর তার কাছে হস্তান্তর করতে বলেন। ওসি কুদ্দুস যোগাযোগ করেন চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ব্রিগেডিয়ার আবদুল আজিজ ও ব্রিগেডিয়ার আবদুল লতিফের সঙ্গে। পুলিশ লিখিত রসিদ নিয়ে মঞ্জুরকে হস্তান্তর করে। চট্টগ্রামের পুলিশ ফোর্স মঞ্জুরকে সেনানিবাস পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। এরপর বলা হয় মারা গেছেন মেজর জেনারেল মঞ্জুর। মঞ্জুরের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে চাপা   পড়ে যায় জিয়া হত্যার নেপথ্য কাহিনীও।      কিন্তু আজ ৪৩ বছরেও এ সাবেক সেনা শাসক জিয়া হত্যার প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হয়নি। হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা জড়িত, কারা ষড়যন্ত্রকারী তা এখনও অন্তরালেই রয়ে গেছে। চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলার কার্যক্রম ফাইলবন্দি। এমনকি অনেক বিএনপি নেতাও এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের বিরুদ্ধে কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে,  চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে   জিয়াউর রহমানকে হত্যার এক মাস পর ১৯৮১ সালের ১ জুন নগরীর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। তৎকালীন নগর গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তৎকালীন চট্টগ্রামের জিওসি এমএ মঞ্জুরসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়। বাকিরা হলেন কর্নেল দেলোয়ার হোসেন, লে. কর্নেল ফজলে হোসেন, মেজর মোজাফ্ফর আহমেদ, মেজর রেজাউল করিম, মেজর দোস্ত মোহাম্মদ,   ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ রফিক, ক্যাপ্টেন জামিউল হক ও ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ইলিয়াস। মামলা দায়েরের প্রায় দু'বছর পর ১৯৮৩ সালের ১০ এপ্রিল এটি বিচারের জন্য নথিভুক্ত হয়। কোতোয়ালি থানায় এ মামলা তদন্ত করার দায়িত্ব পান তৎকালীন সহকারী কমিশনার আবদুল হক। কিন্তু বছরের পর বছর গেলেও তদন্ত হয় না। আদালতে একের পর এক তারিখ পড়তে থাকে। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকলেও   মামলার কোনো অগ্রগতি হয়নি।     কিন্তু পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে এ মামলাটির পুনঃতদন্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়। মামলা সিআইডিতে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পরবর্তী সময়ে এর নথিপত্রের হদিস না পাওয়ায় মামলাটির কোনো অগ্রগতি হয়নি। থানা থেকে গায়েব হয়ে যায় মামলার নথি। তৎকালীন পুলিশের সহকারী কমিশনার আবদুল কাদের খান এ বিষয় কিছুই করার নেই মর্মে জানান উপর মহলে। শেষ পর্যন্ত ২০০১ সালের অক্টোবরে পুলিশ   চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। তাতে দায়সারাভাবে বলা হয়, জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিচার যেহেতু সামরিক আদালতে হয়েছে তাই আর কিছু করার নেই।   ২০০১ সালে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি উল্লেখ করে তৎকালীন মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, পুলিশ ইচ্ছা করলে এটি পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে সিভিল কেউ জড়িত থাকলে তা বের করার দায়িত্ব পুলিশের। তারা আদালতে পুনঃতদন্তের আবেদন করতে পারেন। যেহেতু সামরিক আদালতে বিচার হয়েছে মর্মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা   হয়েছে, তারপর আমি আর আগ্রহ দেখাইনি।      অনুসন্ধানে জানা গেছে, জিয়া হত্যার নেপথ্যে কারা জড়িত তা যাতে কোনোদিন বের না হয় সেজন্য স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে নষ্ট করা হয় মামলার সকল আলামত। এমনকি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাতে এ ব্যাপারে বেশিদূর এগোতে না পারে সেজন্য সব ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। ১৯৯৬-এর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাদেরকে দায়িত্ব দেয়ার পর তিনি কয়েক দফায় হত্যাকাণ্ডের সময়   জিয়াউর রহমানের সঙ্গে থাকা বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সাড়া না মেলায় আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। তিনি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দিলেও এ সময় আদালত তা প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ জিয়া হত্যার সময় আরও দুই সেনা কর্মকর্তা কর্নেল আহসান ও কর্নেল হাফিজ, দুই পুলিশ ও এক ড্রাইভারও মারা যান। তাই আদালত সামরিক আদালতে বিচার যথাযথ হয়নি উল্লেখ করে পুলিশের মহাপরিদর্শককে   কারণ দর্শাও নোটিশ ইস্যু করে। এরপরও মামলাটির আর কোনো কূল কিনারা হয়নি।      উল্লেখ্য জিয়া যখন সেনা আততায়ীর ব্রাশ ফায়ারে নিহত হন তখন পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস থেকে জিয়া, কর্নেল আহসান ও কর্নেল হাফিজসহ আরও কয়েকজনের লাশ সরিয়ে ফেলা হয়। এর পরদিন ১ লা জুন কিছু সামরিক ও বেসামরিক লোকজনের যৌথ অভিযানে জিয়ার লাশ পাওয়া যায় চট্রগ্রামের গহীন জংগলে। কথিত আছে, তারা যা উদ্ধার করেছিল তা লাশ ছিল না; ছিল কিছু হাড় গুড় মাত্র। একদিনের মধ্যে   মৃত্য ব্যক্তির কিভাবে হাড় গোড় মাংস ছাড়া পাওয়া গেল তাও একটা রহস্য বটে, কারন আগুনে পুড়ালেই হয়তোবা এমন হতে পারে, সম্ভবত ওখানে জিয়ার লাশ ছিল কিনা তাও রহস্য, জিয়ার হাড় গুড় চট্রগ্রাম বা ঢাকার কাঊকে দেখতে দেয়া হয় নি, এমনকি ডিএনএ টেস্টও করা ছাড়াই ঢাকা এনে তার হাড় গুড় শেরে বাংলা নগরে স্বমাধিস্থ করা হয়! অন্যদিকে, এই রহস্যের একমাত্র সমাধান ছিল জিয়ার হত্যাকারী মেজর জেনারেল আবুল   মঞ্জুর কিন্তু তাকে পালানোর সময় চট্রগ্রামের ফটিকছড়িতে তার পরিবারকে সহ গুলি করে মেরে ফেলে, এভাবেই জিয়ার মৃত্যু বেগম খালেদার জন্মদিনের মতই রহস্য হয়ে রইল।      যাই হোক, সম্প্রতি জিয়ার কবরে জিয়ার লাশ নেই তবে কার লাশ আছে? এ নিয়ে সংসদে সরকারী দলের সাংসদ শেখ সেলিমের বক্তব্য দিয়েছে। তিনি লাশের ডিএনএ পরীক্ষার দাবি তুলেছেন। তার জোড়াল দাবী জিয়ার কবরে আদৌ কোনো লাশ নেই। আর যদি লাশ সেখানে থাকে সেটি জিয়ার নয়। তাই তিনি সংসদে লাশের ডিএনএ পরীক্ষার দাবি তুলেছেন আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে।       অত্যন্ত বিস্ময়কর ব্যাপার হল, জিয়ার দল বিএনপি এ চ্যালেঞ্জ কেন গ্রহণ করছে না! যেভাবে তারা ঘন ঘন জিয়ার মাজার জিয়ারত করেন ততবার কি তারা তাদের পরলোকগত পিতা মাতার কবর জিয়ারত করেন? কবর জিয়ারত করার নামে তারা সেখানে করেন রাজনৈতিক চাপাবাজি ও দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা।      যেহেতু জিয়াউর রহমানের গঠিত নিজ রাজনৈতিক দল তাকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা বলে সেহেতু তার কবর অন্যসব মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে হওয়া উচিত ছিল। আবার তিনি একজন সেনা সদস্য ছিলেন সেহেতু তার অন্য সেনা অফিসারদের কবরের সাথে হওয়া উচিত ছিল। অন্যদিকে জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান যেহেতু বগুড়া সেহেতু তার কবর সেখানে হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তারা এসব না করে কোন যুক্তিতে, অবৈধভাবে জিয়ার মাজার   সংসদ ভবন এলাকায় করল তার ব্যখ্যা দাবি করছি দল বিএনপির নিকট।      অবশেষে, জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ড ও তার লাশ দাফন করার ঘটনাটি আজও রহস্যাবৃতই রয়ে গেছে। বিএনপি এ রহস্য বা সন্দেহ দূর করার কোনই পদক্ষেপ নেয়নি। কারণ জিয়া হত্যার বিচার তারা করেননি। অথচ ক্ষমতায় থেকেছে তারাই দীর্ঘ সময়। কেবলমাত্র সেনা বিদ্রোহের দায়ে ২৩ জন সেনা কর্মকর্তাকে তথাকথিত বিচারের মাধ্যমে ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ডসহ বাকীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছিল,  যাদের সবাই   ছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা। তারা আদৌ জিয়া হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিনা সেটাও একটি রহস্য। পার পেয়ে গেছে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারী, পর্দার অন্তরালের নাটের গুরুরা। আবার এটাও দেশের সচেতন মানুষের কাছে রহস্যই রয়ে গেছে কেন বারবার ক্ষমতায় এসেও বেগম জিয়া তার স্বামীর হত্যার বিচার করলেন না? যারা চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জিয়াউর রহমানের রুমের আশপাশের রুমে সেদিন সঙ্গী হিসেবে   রাত্রি যাপন করেছিলেন তাদের মধ্যে ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ কয়েকজন বেঁচে গেলেনই বা কীভাবে? দেশবাসীর মনের এসব প্রশ্ন ও সন্দেহ দূর করা অত্যন্ত জরুরি ছিল কিন্তু বিএনপি তা দূর করার কোন উদ্যোগই আজ পর্যন্ত নেয়নি। ফলে জিয়ার হত্যাকাণ্ড ও তার লাশ কবরস্থ করার ঘটনা নিয়ে বিএনপি নেতাদের বহুকাল প্রশ্নের সম্মুখীন হতেই হবে। এর জন্য বিএনপিই দায়ী। জিয়াকে হত্যা করার পর খুনিরা তার   লাশ চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ থেকে নিয়ে রাঙ্গামাটি যাওয়ার পথে কোন এক স্থানে প্রথমে মাটি চাপা দিয়ে রেখেছিল। ধর্মীয় কোন আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে তাকে সেদিন দাফন করা হয়নি। এর বেশ কিছুদিন পরে তার সেই তথাকথিত লাশটি কফিনবন্দি অবস্থায় ঘটা করে ঢাকায় এনে সংসদ ভবনের পাশে চন্দ্রিমা উদ্যানে দাফন করা হয়। অথচ চট্টগ্রাম ও ঢাকার কোথাও জিয়ার লাশটি আত্মীয়-স্বজন, নেতাকর্মী বা জনগণকে   দেখানো হয়নি। একজন সাক্ষী হিসেবে যিনি জানাজা পড়িয়েছিলেন তাকেও দেখানো হয়নি। স্বাভাবিক কারণেই মানুষের মনে প্রশ্ন ও সন্দেহ রয়েই গেছে আদৌ কি কফিনটিতে জিয়ার লাশ ছিল? অভিজ্ঞ লোকদের দৃঢ় বিশ্বাস- চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার লাশ নেই। যদি থাকত তাহলে কবরস্থ করার সময় কেউ না কেউ বা একজন হলেও তার লাশ শনাক্ত করার সুযোগ পেত। বা ভবিষ্যতে জনগণের মনের সন্দেহ অথবা কোন প্রশ্ন যাতে না   উঠতে পারে সে কথা ভেবেও লাশ শনাক্ত করানোর ব্যবস্থা করা হতো। যেহেতু সেটা করা হয়নি সেহেতু চন্দ্রিমা উদ্যানের লাশ নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাবে। আর বিএনপি নেতৃবৃন্দের তার জবাব দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা আজীবন চালিয়ে যেতে হবে।      ঐ কবরে আদৌ জিয়ার লাশ আছে কি নেই এ প্রশ্নের তোলার যৌক্তিকতা আছে এ কারণে জিয়ার কবর দেওয়া হয়েছ সংসদের মূল নকশাকে আগ্রাহ্য করে ক্ষমতার বলে সকল নিয়ম-নীতি ভঙ্গ করে। যে মহান সংসদের ঐতিহাসিক নকশাকে বিকৃত করে জিয়ার কবর সে কবরে জিয়ার লাশ আছে কিনা সেটা নিয়ে যদি জনগনের বিরাট একটি অংশের সন্দেহ থাকে তবে সে সন্দেহটা দূর করা অপিরাহার্য। জিয়ার লাশ যদি থেকে থাকে তাহলে হয়তো ঠিক না হলেও   তাঁর সম্মানে কবরটির অবস্থান মেনে নেওয়া যায়। আর যদি কবরে লাশ না থাকে বা লাশটি জিয়ার না হয় অর্থাৎ যদি উত্থাপিত অভিযোগ সত্যি হয় তাহলে মূল নকশাকে বিকৃত করে অবৈধভাবে অবস্থিত এ কবর স্থানান্তরিত করা উচিত এবং লাশ না থাকলে মিথ্যা কবরটিকে ধ্বংস করে সংসদ ভবনের মূল নকশায় ফিরে যাওয়া উচিত।      লেখকঃ খোরশেদ আলম, এল এল. বি (সম্মান) (ইংল্যান্ড, গ্রেট ব্রিটেন) এল এল. এম (ইংল্যান্ড, গ্রেট ব্রিটেন)





__._,_.___

Posted by: Muhammad Ali <man1k195709@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___