Banner Advertiser

Friday, June 27, 2014

[mukto-mona] লেডী গাগা ও তার ব্যবচ্ছেদ

লেডী গাগা ও তার ব্যবচ্ছেদ

 

আশা করি শিরোনাম পড়ে শিউরে কিংবা আঁতকে উঠেন নি। ফ্যাশন জগতের এক আইকনের নাম গাগা, নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার আর দরকার নেইতারপরও মনে করে নেবার জন্য নিচের ছবির দিকে একবার তাকিয়ে ঝালাই করে নিন পাঠক


হ্যাঁ পাঠক, আজকে আমরা উনাকেই ব্যবচ্ছেদ করব। তবে যে বিষয়টি নিয়ে আমি এই মুহূর্তে দ্বন্দ্বের মধ্যে আছি তা হল কোথা থেকে শুরু করব? মাথা থেকে নাকি পা থেকে !

যেহেতু আমরা সবাই ধরিত্রীর শ্রেষ্ঠ তম সন্তান। পৃথিবীর সাথে আমাদের একমাত্র সংযোগ প্রান্ত পা, তাই পা থেকে শুরু করাই আমার মতে যৌক্তিক। সুতরাং পা থেকেই শুরু করছি-তার আগে বলে রাখি লেডী গাগা কে আমরা তিন অধ্যায়ে ব্যবচ্ছেদ করব:


প্রথম অধ্যায়: জুতার তলা থেকে উরু।

দ্বিতীয় অধ্যায়: নিতম্ব থেকে গলা।

তৃতীয় অধ্যায়: গলা থেকে মাথার তালু।


প্রথম অধ্যায়: ভাল করে খেয়াল করলে আমরা দেখতে পাই লেডী গাগা এই অংশে পরিধান করে আছে উঁচু জুতা যা "হাই হিল" নামে বেশ সুপরিচিত। জুতা শেষ হওয়া মাত্র শুরু হয়েছে স্টকিংস। উঠে গেছে উরু পর্যন্ত। তারপরই শুরু হয়েছে দ্বিতীয় অংশ।

লেডী গাগা যে জুতা জোড়া পরিধান করে আছেন তার সামনের অংশের উচ্চতা কম করে হলেও ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি। প্রশ্ন জাগতে পারে এত উঁচু জুতা পায়ে দেবার কি দরকার কিংবা লেডী গাগা পাগল নিশ্চিত নিচেত এমন উঁচু জুতা পায়ে দেবার কারন কি?

দ্বিতীয় অধ্যায়: এই অংশে তিনি পড়ে আছেন অন্তর্বাস এবং করসেট। যারা করসেট কি জানেন না তাদের জন্য বলছি, করসেট হচ্ছে এক ধরনের পরিধেয় পোশাক যার উৎপত্তি ১৫ খ্রিস্টীয় শতাব্দীর মাঝা মাঝি সময়ে ইউরোপে। আরও ভাল করে বলতে গেলে ধারণা করা হয় ফ্রান্সের রাজা দ্বিতীয় হেনরি'র স্ত্রী ক্যাটেরিন এর কাছ থেকে।

তৃতীয় অধ্যায়: এই অংশে তেমন কিছু নেই স্বরনালী চুল ও রোদ চশমা বাদে। ছোট করে একটি প্রশ্ন করে রাখি এখানে, আপনি কেমন চুল পছন্দ করেন?  কালো? স্বরনালী?  বাদামী?  লাল ? অন্যান্য?


পাঠকবৃন্দ, ব্যবচ্ছেদ শুরু হতে একটু বাকি । "পক্ষপাত দুষ্টু" শব্দটির সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। পৃথিবীর প্রতি স্তরে পক্ষপাত দুষ্টুদের প্রভাব বিদ্যমান। সোজা কোথায় আমরা বলতে পারি প্রত্যেক মানুষই পক্ষপাত দুষ্টু, কম আর বেশি। ঠিক একই ভাবে যৌনতার ক্ষেত্রেও মানুষ পক্ষপাত দুষ্টু স্বভাবের। প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা পছন্দ আছে। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে আশা করি। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, প্রায় অর্ধশত লোকদের আমি নিজে মুখে জিজ্ঞেস করেছি, "মেয়েদের কোন অঙ্গাংশ আপনার সব থেকে বেশি আকর্ষণীয়?  উত্তর যে শব্দগুলো এসেছে তাহলো স্তন(সব থেকে বেশি), নিতম্ব, ঠোঁট, পেট ও অন্যান্য । কিন্তু এবার আমি তাদের জিগ্যেস করেছি, ঐ গুলো বাদ দিয়ে আর কোন কোন অঙ্গাংশ আপনার কাছে আকর্ষণীয়  মনে হয়? মানে আপনার আকর্ষণের তালিকায় দ্বিতীয় কি?? এবারের প্রাপ্ত ফলাফল গুলো কিছুটা অদ্ভুত ধরনের। এখানে যে শব্দ গুলো উঠে এসেছে সে গুলো হল চুল, নখ, ভ্রু, নাক, পা, বাহু, চোখ ইত্যাদি। এখানে বড় ধরনের অমিল লক্ষ্য করা যায়। ধরুন দুইজন লোকের প্রথম পছন্দ স্তন কিন্তু তাদের দ্বিতীয় পছন্দ সম্পূর্ণ ভিন্ন, এক্ষেত্রে ধরে নিতে পারেন তাদের পছন্দ যথাক্রমে চুল ও নখ।

সম্ভবত ধর্ম বিশ্বাস ও যৌনতা এই দুই বিষয়ে মানুষ কথা বলতে উৎফুল্ল বোধ করে। আর এই দুই বিষয়ে মানুষের পক্ষপাত দুষ্টুতা বিশেষ ভাবে পরিলক্ষিত হয়এর মধ্যে যৌনতা নিয়ে কথা বলতে মানুষ লজ্জা ও ভয়ের সংমিশ্রণে এক ধরনের আচরণ প্রকাশ করে থাকে। পুরো ব্যাপারটাই অবচেতন মনে হয়ে থাকে, কিছু ক্ষেত্রে সচেতনার সংমিশ্রণ দেখা যেতে পারে


প্রাণীকুলের সব প্রাণীই তার যৌনতার ভাষা বুঝাতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকে। মানুষও তার ব্যতিক্রম নয়। মানুষ তার যৌনতার ভাষা বুঝাতে সব চেয়ে সহজ যে পথ অবলম্বন করে তা হল তার পোশাক। আর এই নতুন শতাব্দীতে এসে পোশাকের যে বিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে তার পুরোভাগ যৌনতাকেই কেন্দ্র করে। পোশাক তার আগের সেই লজ্জা নিবারণ কিংবা দেহ সুরক্ষার বস্তু নয়। পোশাকের বিচিত্রতার হাত হরে জন্ম হয়েছে ফ্যাশনের। বিভিন্ন ধরনের স্টাইল। একেক ধরনের পোশাক একেক রকম সিগন্যাল দিতে সক্ষম আমাদের মস্তিষ্কে। মানুষ তার মস্তিষ্কের এই সিগন্যাল গুলো থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের উপর ভিত্তি করে যৌনতার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

মানুষের ব্যবহার্য পোশাকাদি ও অন্যান্য দেহ সজ্জা সামগ্রীকে কেন্দ্র করে যৌনতার যে জাল তাকে বলা হয় "বস্তু কাম"বস্তু-কাম হচ্ছে "বস্তু এবং যে ঐ বস্তু পরিধান করেন তার উপস্থিতি কিংবা অনুপস্থিতি তবে পূর্বে পরিধান করা হয়েছে এমন এবং উক্ত বস্তু হতে যৌন উত্তেজনা অনুভব হওয়া"যাকে সোজা কথা বলা হয় প্যরাফিলিয়া। ঠিক কত ধরনের প্যারাফিলিয়া আছে তা সঠিক ভাবে বলা কষ্টসাধ্য, তবে এ পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত তালিকায় ৫৪৯ ধরনের প্যারাফিলিয়া পাওয়া গেছে। ধারনার বাইরে ! ঠিকভাবে এ কথাও সত্য যে, প্রত্যেক মানুষই একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় প্যারাফিলিয়ায় আক্রান্ত। তাই নিজে একজন প্যারাফিলিয়াক হয়ে অন্যজনের দিকে আঙুল তুলা কতটা যৌক্তিক তা আমাদের সমাজের দিকে তাকালেই বুঝতে পারি।

চলুন এবার দেরি না করে ব্যবচ্ছেদ শুরু করি আর বিভিন্ন ধরনের প্যারাফিলিয়া ও প্যরাফিলিয়াকের সাথে পরিচিত হই। আপনার সাথে মিলে গেলে কাকতালীয় ব্যাপার মাত্র, ভয় কিংবা লজ্জা পাবার চেষ্টা না করাই উত্তম।

 

প্রথম অধ্যায়:

     আমরা আগেই জেনেছি,  প্রথম অংশে পরিধেয় বস্তুর মধ্যে আছে জুতা, স্টকিংস এবং মোজা (না থাকতেও পারে)। ভাল করে খেয়াল করুন জুতার উচ্চতার দিকে । সামনের দিকের উচ্চতা প্রায় ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি এবং পেছনে ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি হিল দেখা যাচ্ছে। এই অস্বাভাবিক উচ্চতার জুতাগুলো "ফেটিশ সু" নামে পরিচিত। যারা "পাদুকা বস্তু-কাম (পাদুকা আসক্তি)''এ আচ্ছন্ন শুধু মাত্র তাদের জন্যই এই জুতা। বিস্তারিত পরে । এর পর যে ফ্যাশন্যবল পোশাক এবং আকর্ষণীয় বস্তুটি আছে সেটি হল স্টকিংস। ফ্যাশন ডিজাইনারদের মধ্যে অনেকে একে মোজার সাথে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন এবং এই নিয়ে অনেক জোকস ও লক্ষ্য করা যায়। এ ক্ষেত্রে প্রাপ্ত ফেটিশ/ বস্তুকামী হচ্ছে "স্টকিং ফেটিশ", "সু ফেটিশ""স্টকিং ফেটিশ" আবার "অন্তর্বাস বস্তুকাম"র আওতা ভুক্ত, তবে কিছু ক্ষেত্রে একটু ভিন্নতা খেয়াল করা যায়।


গুরুত্বপুর্ন একটি কথা বলে রাখি, যিনি পোশাক গুলো পরে আছেন তিনি বস্তু কামী নন, যিনি এইসব বস্তু দেখে যিনি যৌন উত্তেজনা অনুভব করেন তিনি হচ্ছেন বস্তু কামী। এবং উপরে এক জোড়া "ফেটিশ সু" দেখতে পাচ্ছেন। এবার দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হবার পালা।

 

দ্বিতীয় অধ্যায়:

এই অংশে প্রাপ্ত পোশাক গুলো হচ্ছে অন্তর্বাস, করসেট ও বক্ষবন্ধনী। ভাল করে খেয়াল করলে আরও দেখতে পারবেন করসেটের সাথে কিছু ঝুলন্ত ক্রস দেখা যাচ্ছে। এগুলো তেমন গুরুত্বপূর্ণ না, কিন্তু নজরে নেবার মত বিষয়। যেমন, এই ক্রস গুলো "গোথিক" কিংবা "ডার্ক গোথিক" ভাবধারার সংকেত দেয়।


ধারণা করুনতো এই অধ্যায়ে কোন কোন বস্তুকাম ও বস্তু কামী পাওয়া যেতে পারে?

এখানে বস্তুকামের যে জাল লক্ষ্য করা যায় তাহলো- অন্তর্বাস বস্তুকাম, বক্ষবন্ধনী বস্তুকাম, নিতম্ব বস্তু কাম। করসেটের ব্যাপারটা আরেকটু বলি- "করসেট" ড্রেসটি মূলত উদ্ভব হয়েছে নিতম্ব বস্তু কামীদের জন্য। দুই শতাব্দি আগেও মেয়েদের আকর্ষণীয় অঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হত শুধুমাত্র "স্তন"কে। মূলত ভিক্টোরিয়ান আমলের পর থেকে "কোমর ও পা" আকর্ষণীয় অঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হতে শুরু করে। অতিমাত্রায় "পা ও কোমর"  লুকানো থেকেই অনেক গুলো বস্তুকামের উদ্ভব হয়েছে বলে ধারণা করেন বিজ্ঞরা। ঐ সময়ে নারীদের পোশাক এমন ছিল যে শুধু মাত্র পা কিংবা জুতার সামনের অংশ অল্প বেড়িয়ে থাকত বা দেখা যেত মাত্রএই "অল্প বেড়িয়ে থাকা" থেকে কিভাবে "পাদুকা আসক্তি"র উদ্ভব হয়েছে তা দেখব আমরা পরে।



করসেট নিয়ে যে দুই চার কথা না বললেই নয়। তার আগে দেখে নিন করসেট ।


করসেট পোশাকটি এমন ভাবে ডিজাইন করা যে ভাবতে অবাক হতেই হয় করসেটের কার্যকারী অংশ হচ্ছে ঐ ফিতা গুলো, যা নির্দিষ্ট মাত্রায় টেনে টেনে একটি সাধারণ আবেদনময়ি নারী কে "আওয়ার গ্লাস" শেপ দিতে সক্ষম। এবং বস্তুকামীদের মধ্যে করসেটের স্থান সব থেকে উপরে। যা একই সঙ্গে স্তনকে নিচের দিক থেকে গোলাকার আকৃতি এবং কোমরের আকৃতি পরিবর্তন করে থাকে।

তবে আরেকটি বিষয়, করসেটের হাতের নিচের অংশ অর্থাৎ বগলের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে বগলসহ পুরো বাহু উন্মুক্ত। হাতের অংশে যে "কামজাল" আছে তা হল- "আর্মপিট ফেটিশিজম" "ফিঙার নেইল ফেটিশিজম"

এবার তৃতীয় অংশ শুরু। তবে তার আগে আপানদের জ্ঞাতার্থে ছোট একটি কথা বলি। আপনি হয়ত মনে মনে ভীষণ রোমাঞ্চিত কিংবা ঘৃণায় নাক সিটকচ্ছেন আর ভাবছেন মানুষ এত জঘন্য কিংবা দুর্বোদ্ধ হয় কিভাবে। তবে জ্ঞাতার্থে বলছি, "জিমে গিয়ে ব্যায়াম করাও কিন্তু বস্তুকামের অন্তর্গত"শুধু তাই নয় শরীরের বিভিন্ন অংশে মাছেল বানানোর সাথে "ধর্ষকাম (Sadism)" এবং "মর্ষকাম (Masochism)" গভীর ভাবে জড়িত। সুতরাং অন্যের দিকে তাকানোর আগে নিজের চোখের ভিতরে একবার আবার ভাল ভাবে তাকিয়ে নিন

 

তৃতীয় অধ্যায়:

মনে হতে পারে চুল আর চশমার মধ্যে যৌনতার কি আছে ! আগেই একটি প্রশ্ন করে রেখেছিলাম, "কেমন চুল পছন্দ আপনাদের?  কেমন রঙ?

ভিন্ন ভিন্ন গবেষণায় পাওয়া গেছে যৌনতার দিক দিয়ে চুলও পিছিয়ে নেই। ব্লন্ড,  রেড হেড প্রভৃতি শব্দের সাথে আজকাল অনেকেই পরিচিত। যাকে আমরা "পশমি বস্তুকাম" বলে অবিহিত করতে পারি। আর চোখ ও রোদ চশমার মধ্যকার মধ্যে সম্পর্ক "বোরকা"র মতই। চোখ কে ঘিরে যে যৌনতার উদ্ভব হয়েছে তা Oculophilia  মানে সু পরিচিতি লাভ করছে দিন দিন। নিচের ভিডিওটি দেখা মাত্র বুঝতে পারবেন আশা রাখি

http://www.youtube.com/watch?v=b3wQMnjC4zE

 

http://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=3YhnAcL4kyE

 

এবার লেডী গাগা'র আসল জিনিস ব্যবচ্ছেদের পালা, আসল জিনিস হচ্ছে তার নিজের নাম "লেডী গাগা";  অন্য কিছু ভাবার অবকাশ নেই কিন্তু

"লেডী গাগা" হচ্ছেন একজন মার্কিন পপশিল্পী যার আসল নাম স্টেফানি জোয়ান অ্যাঞ্জেলিনা গারমানোটালেডী গাগা  তার ছদ্মনাম, নামের দুইটি অংশ হচ্ছে "লেডী" এবং "গাগা"যারা ইংলিশ বোদ্ধা আশা করি তারা সকলেই জানেন যে লেডী হচ্ছে কোন নারী কে সম্বোধন করার অন্যতম নাগরিক শব্দ। আরও ভাল করে বলতে গেলে যে সকল নারী সম্মানের দিক দিয়ে পুরুষ কিংবা লর্ডদের সমতুল্য।

এবার একটু ভিন্ন পথে এগিয়ে যাওয়া যাক, যারা BDSM টার্মের সাথে পরিচিত আছেন, আশা করছি অন্ততপক্ষে একজন হলেও আছেন, BDSM এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Bondage Discipline sadism and masochism , তারা অবশ্যই জানেন যে একজন Dominatrix কে সম্বোধন করার জন্য যে শব্দগুলো ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে LADY অন্যতম । অন্য নাম সমূহ ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলো হচ্ছে "Mistress", "Maitresse", "Herrin" or "Lady"

 

 

মানুষের পোশাক কেমন হওয়া উচিৎ এব্যাপারে সিগমুন্ড ফ্রয়েড বলেছেন এমনটি যে, পোশাক পরিচ্ছদ এমন হওয়া উচিৎ যে যেন তা দেখলেই পরিধেয় অর্থ ও উদ্দেশ্য বুঝা যায়বস্তুত পক্ষে একুশ শতকের ফ্যাশন সে পথেই এগিয়ে যাচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

পার্ভারশন বা বিকৃত যৌনতা আসলে কি তা নির্ণয় করা অনেক কঠিন ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। একজনের কাছে যা বিকৃত মনে হচ্ছে অন্যজনের কাছে সেটি স্বাভাবিক মনে হচ্ছে সহজেই। আসলেই কতটুকু স্বাভাবিক হলে তাকে স্বাভাবিক বলা যায় নিরপেক্ষতার দৃষ্টিতে আমার জানা নেই। উল্লেখ্য  সিগমুন্ড ফ্রয়েড আরও বলেছেন, সকল ধরনের বিকৃত যৌনতা সব মানুষের মধ্যেই উপস্থিত থাকে শৈশব কালে। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে কিছু বাদ হয়ে যায়, কিছু চেষ্টা করে বাদ দিয়ে দেয় আর বাকি কিছু থেকেই যায়। সে হিসেবে অধিকাংশ লোকের মধ্যে যে বিকৃত যৌন চেতনা লক্ষ্য করা যায় তাকে আমরা স্বাভাবিক বলছি আর বাদ বাকীগুলোকে অস্বাভাবিক বা "পারভার্শন" বলে অবহিত করছি। তাহলে নিরেপক্ষতার বালাই নাই আমাদের মধ্যে। যারা সংখ্যা গরিষ্ঠ তারাদের জন্যই কি দুনিয়া !  "পক্ষপাত দুষ্ট"র কথা মনে আছে অবশ্যই!


বস্তুকাম, ধর্ষকাম, মর্ষকামসহ  নানাবিধ বিষয় নিয়ে আমি নিজে গিয়েছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি'স্থ "ছাত্র নির্দেশনা পরামর্শদান দপ্তরে" যেটি মুলত পরিচালিত হয়ে থাকে মাস্টার্স লেভেলের শিক্ষার্থী দ্বারা। আমার সম্বন্ধে একরাশ তথ্য নেবার পর যখন ব্যাগ থেকে বই বের করে বুঝানোর চেষ্টা শুরু করল তখন এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছাড়া দ্বিতীয় কোন পন্থা আমার জানা ছিল না। এর পর যখন BDSM নিয়ে কথাবলা শুরু করলাম তিনি তখন আমাকে নির্বাক করে দিয়ে বলল "আজকে প্রথম শুনলাম এই টার্মের কথা"তিনি তখন আমাকে Assistant Professor Shanur Hossain of Clinical psychology Department এবং নাসিরুল্লাহ সাইকো থেরাপি ইউনিট (NPU) , কলাভবন, ৪র্থ তলায় যোগাযোগ করতে বললেন কিন্তু সেখানে গিয়েও আশানারুপ ফলাফল পাওয়া সম্ভব হয়নিঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হয়ে বলতে লজ্জা লাগলেও আমাকে বলতে হচ্ছে- আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কোয়ালিটি সম্বন্ধে সন্দিহান।


সুতরাং, দেশের  সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরদের সম্মানের সহিত আহ্বান করছি যে "আপনারা আপনাদের সব চেয়ে যোগ্য এবং বিচক্ষণ কিছু শিক্ষকদের নাম আমাকে নির্দেশ করুন যারা আমার থিসিস পেপার বিচার করতে কিঞ্চিৎ হলেও অসমর্থ হন"


উল্লেখ্য, বর্তমানে আমি একটি থিসিস প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করছি থিসিসের প্রাথমিক বিষয় বস্তু হচ্ছে "পাদুকা আসক্তি" বা পাদুকা বস্তু কাম, টাইটেল "A psycho-sexual study on human foot and shoe and its application in shoe designing" পাদুকা আসক্তির সাথে ধর্ষকাম মর্ষকাম জড়িত আরো উল্লেখ্য যে, প্রায় প্রতিটি বস্তু কামের সাথেই ধর্ষকাম মর্ষকাম জড়িত থাকতে পারে পা এবং জুতাকে কেন্দ্র করে ধর্ষকাম মর্ষকামের যে সূক্ষ্ম জাল বিস্তার ঘটেছে তা নিরূপণ করা যথাযথ জরুরি এর মাধ্যমে একটি ধারনায় আসা যেতে পারে যে "মানুষের ধর্ম বিশ্বাস তার যৌন চেতনার অংশ বিশেষ মাত্র" সকলের সহযোগিতা, সম-আলোচনা বিপরীত আলোচনা কাম্য বিপরীত মতামত থেকেই হয়ত পাওয়া যেতে পারে প্রকৃত উত্তর পাশাপাশি পক্ষপাত দুষ্ট না হয়ে নিরপেক্ষ থাকারও আহ্বান জানাচ্ছি সবাইকে

-

আর. কে. হান্নান

ডিপার্টমেন্ট অব ফুটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং

ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি

ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা।

বিঃদ্রঃ জরিপে আপনিও অংশ গ্রহণ করতে পারেন অনলাইনে।আপনি পাঠক হয়ে থাকলে এখানে এবং পাঠিকা হয়ে থাকলে এখানে ক্লিক করে আপনার মূল্যবান মতামত জানাবেন আশা করি।

ধন্যবাদ।