Banner Advertiser

Monday, July 21, 2014

[mukto-mona] প্রবন্ধ [1 Attachment]

[Attachment(s) from NIHON AHSAN nihon.polito@hotmail.com [mukto-mona] included below]

বাবা মা দের,সন্তানদের প্রতি কিছু গতবাধা কথা থাকে।ঠিকমত পড়াশুনা না করলে দুইটা বলদ কিন্না দিমু,সারাজীবন হল বাইবি।চুলগুলা এইরকম পাখির বাসা কইরা রাখছস কোন কামে?তুই কি গুন্ডা হইতে চাস,যা সিথি কইরা চুল আচরাইয়া আয়,এইরকম,আর যেন না দেখিতোরে দেখলে কেউ ছাত্র কইব,তোর রুটিন কই?তোর বইপুস্তক এত অগোছালো কেন ?সারাদিন বাইরে থাকতে মন চাইলে বাইরেই থাক,আর ঘরধারে আবি না।আমি যেইভাবে বলি সেইভাবে চলতে না পারলে ঘর থিকা বাহির হইয়া যা ,আর যেন তোরে আমার বাড়ির ধারেকাছে না দেখি,দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল,ইত্যাদি,ইত্যাদি।সব কথার সারমর্ম একটাই,ছেলেকে অনেক বড় হইতে হইব (সাইজে না পেশায়)সবার চেয়ে আলাদা কিছু একটা। ছেলের মধ্যে সৃষ্টিশীল বেপার স্যাপার ও থাকাটা বাঞ্চনীয়।চাই একটু সৃজনশীলতা আর মেধার সঠিক প্রয়োগ।ইংরেজিতে যাকে বলে ক্রিয়েটিভিটি।মেয়েছেলেদের কথা এক কান দিয়া ঢুকাইয়া আরেক কান দিয়া বাহির কইরা দেওয়াটা,নিয়ম। এইসব কথা কানেই ঢুকতে দেওয়া যাইব না।কারণ নীতিকথা শুনার মত মন মেজাজ ওই সময় থাকে না।ওই সময় মন থাকে,কার গাছের ফল পাকা শুরু করছে,কোন গাছে পাখি নতুন বাচ্চা দিছে,এলাকায় নতুন কইরা কে কোন আকাম করছে,কার পুকুরে গোসল করতে গেলে দাবড়ানি খাওয়ার সম্ভাবনা কম,কখন বাপের চোখ ফাকি দিয়া খেলায় যোগদান করা যাইব-এইসবের দিকে।সোজাকথায় দুই পক্ষের দুই চাওয়া।বাবা ও ছেলের এই দুই চাওয়াকে এক করার লক্ষে বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক আব্দুল মান্নান,কয়েক বছর আগে নির্মান করছেন তার ভুবন কাঁপানো ছবি "মন বসেনা পড়ার টেবিলে" .যেইখানে পরিচালক তার সুনিপুন দক্ষতায় দেশের সকল পিতৃ সমাজের চোখে আঙ্গুল দিয়া বুঝাইয়া দিছেন যে,চাইলেই যে কোনো পিতা তার সন্তানকে ক্রিয়েটিভ বানাইতে পারব না।সুতরাং,চেষ্টায় সময় নষ্ট। আরো অনেক কিছু ছবিটাতে আছে ,যেইগুলা শিক্ষনীয়,জীবনে অনেক দরকারী।তা যাই হোক, এইদিকে উইকিপিডিয়া বলতাছে,ক্রিয়েটিভিটি এমন একটা বেপার, যেইখানে নতুন কিন্তু মূল্যবান কিছু তৈরী হয়,উদাহরণ হিসেবে পেইন্টিং,সাহিত্য,মিউজিক,আবিষ্কার ইত্যাদির কথা বলা আছে।কিন্তু কেমনে কি-ঐটা বলা নাই।আসল জিনিশই বাদ পইরা গেছে। 

মাঝে মধ্যে মনে হয়,সারজীবন বাপ মায় খালি বইলাই গেল,এইবার একটু চেষ্টা নিয়া দেখি আলাদা কিছু (ক্রিয়েটিভ?) হইতে পারি নাকি।লেখালেখি দিয়া শুরু।মনে মনে ভাবি,যা আছে কপালে,এইবার ইশ্বরচন্দ্র গুপ্তের মত একটা লেখা নামাইয়া ফালামু,এক প্যারা লেখার পর দেখা যায়,লেখা গুপ্ত সাহেবের মত হইছে ঠিকই,কিন্তু ঐটা ইশ্বরচন্দ্র না,অন্য আরেকজন গুপ্ত আছে না,ঐযে একটু ইয়ে টাইপের লেখা লেখে,তার মত।নিজের লেখা পইড়া নিজেই টাশকি খাইলাম।ছি ছি,এই ধরনের আজেবাজে লেখা আমার হাত থিকা কেমনে বাহির হয়।গল্পের সব চরিত্রই চরিত্রহীন,সবাই বদ মতলব লইয়া ঘুরে।বুইঝা গেলাম,লেখালেখি,আমার জন্য না।এখনকার ডিজিটাল দুনিয়ায় অবশ্য হিসাব ভিন্ন,অগা বগা যে যাই লেখুক না কেন,পাবলিকে সেইটা খায় ।ছোটগল্পের জাদুকর এডগার এলেন পো কে একবার জিজ্ঞাসা করা হইল লেখক হইতে কি লাগে ,উনি উত্তর দিছিলেন বড় একটা ডাস্টবিন লাগে।আবর্জনা বাদ দিয়া খাটি অংশটা যাতে লেখায় থাকে।এখনকার লেখালেখিতে ডাস্টবিন বইলা কিছু নাই,তবে লাইক কমেন্টের বেপার স্যাপার আছে।লাইক পাইতে চাইলে লাইক দিতে হয় - এইধরনের অদ্ভুত নিয়মকানুন যখন তৈরী হয় তখন আর বুঝবার উপায় থাকেনা,লেখাটা ভালো আছিল নাকি মন্দ।তাছাড়া,বেশিরভাগ পাবলিকেরই মাথার তার টার ছিরা।স্মৃতিশক্তি গোল্ডফিশের চাইতেও কম।জায়গামত কপি পেস্ট মারলে কেউ বুঝতেও পারে না,এইটা আর কারো লেখা হইতে পারে।তারা সমানে জোশ,জটিল,সেইরাম হইছে,ফাডায়ালাইসেন,দিলেন তো কান্দায়া-এইসব বলে যায়।আর পাঠক যদি হয় অল্পবয়সী কচি মেয়ে + আহ্লাদী,তাদের কমেন্টের নমুনা ,ভাইয়া,আপনি এইসব লেখা কিভাবে দেন ,কই আমরা তো পারি না ,ভাইয়া যতই আপনার লেখা পরছি ততই আপনাকে আপন আপন মনে হচ্ছে(কস্কি মমিন,ভালবাসার শুরু তো এখানেই)। 

গান কি সৃজনশীলতার মধ্যে পড়ে ?পড়লেও লাভ নাই,আমার গলার অবস্থা বেশি সুবিধার না,গান গাইলে,দেশ গায়ের মেয়েদের বিলাপের (মতান্তরে অপেরা) মত শব্দ বের হয়,আশেপাশের মানুষজন বিরক্ত হয়। ক্লাস সেভেনে থাকতে এক বন্ধুর বোনের বিয়েতে গেছি।সমবয়সী আরো পোলাপান আছে, ঐখানে।সবাই দেখলাম,হারমোনিয়াম নিয়া টুং টাং করতাছে।দেইখা মনে হইলো অত্যন্ত সহজ বেপার,যে কেউ পারার কথা। সাথে সাথে গিয়া বাজানো শুরু কইরা দিলাম। শুরু করছি এক মিনিট ও হয় নাই,মুরুব্বি টাইপের একজনরে দেখলাম সাথে সাথে পাশের ঘর থিকা বাহির হইয়া আইলো।দেইখা মনে হইল,উনিই হারমোনিয়াম বাজান।নাম ঠিকানা জানার পর জিজ্ঞাসা করলেন কি গান করছিলাম।আমি বললাম,আসিফের গান- ও প্রিয়া তুমি কোথায়।এইখানে আমার অবশ্য কোনো দোষ নাই,ওই সময় এইটাই হিট গান আছিল।এই গান যে হারমোনিয়াম এ বাজানো যায় না, এইটা তো আর আমি জানতাম না। উনি হালকা রাগারাগি কইরা এরপরে একটু হতাশ গলায় বললেন,বাবারে সবাইরে দিয়া গান হয়না,এইটা অন্য জিনিস,তাছাড়া তোর গলাও গানের না,বড়জোর গালিগালাজ করতে পারবি।যা,বাইরে গিয়া গালাগালি কইরা আয়। গান শিক্ষার ঐখানেই সমাপ্তি।

ছবি আঁকাও কিন্তু ক্রিয়েটিভিটির মধ্যে পড়ে।ছোটবেলায় চারু ও কারুকলা নামে কিছু সাবজেক্ট আছিল,যেইগুলাতে আঁকতে হইত।বেশিরভাগই ফল ফলাদি যেমন,আম,লিচু,কাঠাল,পেপে।কোনমতে আঁকতে পারতাম।কিন্তু বড় হইয়া যখন ব্যাঙের পৌষ্টিকতন্ত্র,আরশোলার মুখ উপাঙ্গ এর খপ্পরে পরলাম,তখন আর ছাপ দেওয়া ছাড়া উপায় থাকলো না। মাঝে মধ্যে বন্ধুবান্ধবরা ও আইকা দিত।কিন্তু চুরি চামারি কইরা আর কয়দিন?যেমনেই হোক,এই বিদ্যাটা রপ্ত করতেই হইব,দরকার পরে দিনরাইত চব্বিশ ঘন্টা এইটা লইয়াই পইরা থাকমু,এমনই জিহাদী জোশ।অনেক খুজাখুজি কইরা জালাল খা নামে একজনরে খুইজা বাহির করলাম।গোল্ড মেডেল পাওয়া লোক। থাকে হাওরের কাছে।ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিয়া,এক বন্ধুরে নিয়া গেলাম উনার কাছে।অল্প আলাপ পরিচয়ের পরে উনি হুট কইরা জিজ্ঞাসা করলেন,তোমার কি গাঞ্জা খাওয়ার অভ্যাস টভ্যাস আছে নাকি?আমি প্রশ্ন শুইনা থতমত খাইয়া গেলাম।বলে কি এই লোক। বললাম,নাই। উনি বললেন,"না থাকনই ভালো,অতি সর্বনাশা নেশা,তবে থাকলেও দোষের কিছু নাই,যারা শিল্প সাহিত্য চর্চা করে,তাদের একটু আধটু গাঞ্জার অভ্যাস থাকে। এতে পাপ হয়না। আমারে দেখো,বারো বসর ধইরা আঁকা আঁকি করি,এখনো পুরা এক পুরিয়া না খাইয়া হাতে ব্রাস নিতে পারি না,মনোযোগ আসে না" . বইলাই পেন্সিল হাতে নিলেন,দুইটা টান দেওয়ার পর দেখি বিড়াল আঁকা হইছে ,আবার দুই তিনটা টান দেওয়ার পর দেখি রবীন্দ্রনাথ।ঐতো মুখে লম্বা দাড়ি দেখা যায়,গায়ে আলখেল্লা।আমি মুগ্ধ হইয়া গেলাম।পেইন্টার হইলেই কি চোখের পলকে যা খুশি তাই আঁকা যায় ?একটা মানুষের এত ক্ষমতা থাকে ?

জালাল খার কাছে দুইদিন তালিম নেয়ার পরে, আঁকা আঁকিটা নেশার মত হইয়া গেল,নিজে আঁকতে পারি না,কিন্তু মানুষের আঁকা দেখতে ভাল লাগে।ইন্টারনেট এ প্রচুর পেইন্টিং দেখলাম। ভ্যান গগ,রামব্র্যান্ড,মনেট,বত্তিসেল্লির সাথে পরিচয় হইল। এদের একেকটা পেইন্টিং দেখি আর বিস্ময়ে থ হইয়া যাই। ইউরোপ আইসা সরাসরি দেখার সুযোগ হইল। আমস্টারডাম এ দেখলাম ভান গগের পেইন্টিং,ইতালিয়ান লিজেন্ড রাফায়েল্লো সানসিও ,যাকে জীবন্ত ইশ্বরের উপাধি দেওয়া হইছিল,তার দুনিয়া কাঁপানো কাজগুলা দেখলাম মিলানে, সুররিয়ালিস্টিক পেইন্টিং এর গ্র্যান্ড মাস্টার সালভাদর দালি এর কাজ দেখলাম কাতালানে।দেইখা বিশ্বাস হয় না মানুষের হাত এই জিনিস তৈরী করছে। মহান কোনো সৃষ্টির সামনে গেলে মন খারাপ হইয়া যায়, হৃদয়ে প্রবল হাহাকার তৈরী হয়,চোখে পানি চইলা আসে - এইসব কথা বই পুস্তকে পরছি।বাস্তবেও দেখলাম,কথাটা সত্য। রিজ্ক্স মিউজিয়াম এ ভ্যান ডার হেল্স্ট এর চারশ বছর আগে আঁকা Celebration of the Treaty of Münster নামক পেইন্টিং এর সামনে আমি সবার চোখে পানি দেখছি।সেইটা অন্য ধরনের একটা অনুভুতি,কোনো ভাষা দিয়াই এইটারে পুরাপুরি প্রকাশ করা যাইব বইলা মনে হয় না।একটা ভালো পেইন্টিং সবসময় ই একটা ভালো গল্পের কথা বলে, একটা সুন্দর মেসেজ দেয়।স্থিরচিত্র কিন্তু,এর সম্মোহনী ক্ষমতা অপরিসীম।ঠিক অনেকটা,ভালো একটা ফিল্মের মত।আমি জীবনে খুব কম ফিল্ম দেখছি,কিন্তু বুকে হাত দিয়া বলতে পারি একটা ভালো পেইন্টিং এর আবেদন কোনো অংশেই একটা একটা ভালো ফিল্মের চেয়ে কম না।বরং,কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি বইলাই মনে হয়। 

আমার এক বন্ধু আছে।আদর কইরা চদু বইলা ডাকি,ভালো নাম আল মাহবুব। দুই বছর একলগে ঘুরাঘুরি করলাম।তার যে আঁকার প্রতিভা আছে,ঐটা জানতাম না। একদিন দেখলাম,অন্যমনস্ক হইয়া খাতার কোনায় একটা কুমির আঁকলো। প্রথমে ভাবলাম,ধুর ছাতা ,এইসব হাবিজাবি আমিও আঁকতে পারি। আঁকার পর দেখা গেল,আমার কুমিরটা টিকটিকির মত লাগে ,এর উপরে রক্তশুন্যতায় ভুগতাছে,কঙ্কাল দেখা যায়।আরো দুই একটা জিনিস আঁকতে বলার পর সে পটাপট আইকা দিল। আমি বললাম খাইছে আমারে"তোরে দেইখা পোলিও আক্রান্ত মনে হইলেও তুই তো একটা রত্ন রে "তোর তো সঠিক পরিচর্যা দরকার। আমার চাপাচাপিতে পইরা,এক সপ্তাহ পরে সে আমারে একটা ছবি আইনা দিল। ছবিটা জনৈক রোমানিয়ান তরুনীর।টানা চারদিন পরিশ্রমের পর এই জিনিস দাড়া করাইছে। আমি দেইখা খুব অবাক হইলাম। ছবিতে এত ডিটেলের কাজ। যেই মেয়ের ছবি,ওই মেয়ে আমার বাসার সামনের সাইবার ক্যাফে তে আসে।প্রায় সময়ই দেখা হয়। দেখতে হুবহু এক রকম। খাড়া খাড়া চুল,চোখা নাক,গলায় লকেট,।ঘাড়ে লকেটের গিটটা পর্যন্ত ছবিতে স্পষ্ট দেখা যায়,বন্ধুর পর্যবেক্ষণ শক্তি দেইখা অবাক হইলাম।ছবির কাজ শেষ কইরা সে, ঐ মেয়েরে ছবিটা দেখাইছিল, মেয়ে নাকি ছবি দেইখা প্রচন্ড ইমোশনাল হইয়া গেছিল। হওয়ারই কথা। ইউরোপের ছেলেরা মেয়েদের জন্য দিনের পর দিন ঘটর ঘটর করে না,সামান্য পরিচয়ে এদের হৃদয়ে বানের জলের মত ভাব ভলোবাসা চইলা আসে। তখন একসাথে বাসা নেয়,দিনের মধ্যে লক্ষবার হানি বইলা হাসিমুখে ডাক দেয়। সেই হানি একসময় হেমলক হইয়া যায়।সামান্য বেডশিটের কালার নিয়া তুমুল ঝগড়াঝাটি হয়।একজন আরেকজনরে সান অফ বিচ বইলা গালি দেয়।দুইজন দুইদিকে চইলা যায়। নতুন দুইজন খুইজা নেয়। কার এমন ঠেকা পরছে একজনরে নিয়া দিনের পর দিন ছবি আঁকা আঁকি করার।এত সময় কারো হাতে নাই।সবাই,গেল ফুরাইলতে বিশ্বাসী। 

বন্ধুর আঁকা ছবি দেইখা আমি একটা গোপন দীর্ঘশ্বাস ফালাইলাম।সৃজনশীলতা আসলে অর্জনের বিষয় না,এই জিনিস জন্মের সময় সাথে কইরা নিয়া আসতে হয়। তাছাড়া সবাই যদি ক্রিয়েটিভ হয় ,তাইলে সেইটার প্রসংসা করব কে?ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থিকা এই জিনিষটা দেখলে একটু শান্তি শান্তি লাগে। চিন্তা কইরা দেখলাম, ক্রিয়েটিভ মানুষজন এর মধ্যে বেশির ভাগই ইহুদি ,খিস্টান,নাসারা, মোটকথা বিধর্মী।যে যাই করছে,হিসাবে গন্ডগোল না হইলে মরার পরে সবারই মালেক ফেরেস্তার সার্বিক তত্ত্বাবধানে,রুলারের গুতা খাওয়ার কথা ।তাইলে আর এতকিছু কইরা লাভটা হইল কি?শেষবেলায় তো সবই ফক্কা।যাক একটু শান্তি পাওয়া গেল।যা হওয়ার হইছে, আমার আহামরি কিছু হওয়া লাগব না ,এইবার আমজনতা হইয়াই সুখে থাকি।

নিহন আহসান। 


__._,_.___

Attachment(s) from NIHON AHSAN nihon.polito@hotmail.com [mukto-mona] | View attachments on the web

1 of 1 Photo(s)


Posted by: NIHON AHSAN <nihon.polito@hotmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___