On , Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:
On Wednesday, August 6, 2014 12:10 AM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:
১৯৯১ সাল থেকে রাতারাতি খালেদা জিয়ার জন্মদিন পরিবর্তন হয়ে গেল05 Aug, 2014 বরিশাল-২ আসনের সাবেক এমপি চারদলীয় জোট শাসনামলের হুইপ শহিদুল হক জামালের পরামর্শে ১৯৯১ সাল থেকে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিন পালন শুরু করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর আগে কখনোই তার জন্মদিন কিংবা তা পালন নিয়ে কোনরকম উৎসব আয়োজন হয়নি।
চাঞ্চল্যকর এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপিরই সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব:) আখতারুজ্জামান। অবশ্য সরাসরি শহিদুল হক জামালের নাম বলেননি এই বিএনপি নেতা। পত্রিকা অফিসে বিবৃতিতে ঘুরিয়ে বলেছেন বিষয়টি। এক্ষেত্রে জামালের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করেছে বিএনপির অন্যান্য সূত্র। এ ব্যাপারে কিছুই বলতে রাজি হননি বর্তমান বিএনপি থেকে বহিস্কৃত হুইপ জামাল।
.
১৫ আগষ্ট শোক দিবসে জন্মদিন পালন না করতে অনুরোধ জানিয়ে শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে একটি খোলা চিঠি দেন দলের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব:) আখতারুজ্জামান। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেয়া হয় চিঠির কপি। চিঠির প্রথমে ১৯৯১ সাল থেকে কীভাবে এ জন্মদিন পালন শুরু হল তার সংক্ষিপ্ত বর্ননা দেন তিনি। এতে উঠে আসে বরিশাল অঞ্চলের সাবেক এমপি জোট শাসনামলের হুইপ শহিদুল হক জামালের প্রসঙ্গ। তার কুপরামর্শেই খালেদা জিয়া ওই বছর থেকে জন্মদিন পালন শুরু করেন বলে উল্লেখ করেন আখতারুজ্জামান। অবশ্য সরাসরি চিঠিতে জামালের নাম না বলে বলা হয় 'বর্তমানে বিএনপিতে না থাকা সাবেক এক ধুরন্ধর এমপি।'
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে আখতারুজ্জামান বলেন, '১৯৯১ সালের ১৪ই আগষ্ট রাতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ক্যান্টনমেন্ট বাসভবনে ঘটে ঐ ঘটনা। সে সময় প্রায় প্রতি রাতেই দলের সিনিয়র নেতারা যেতেন তার বাসায়। দল এবং রাষ্ট্রের বিষয় নিয়ে আলোচনা হত সেখানে। এরই এক পর্যায় উঠে ১৫ আগষ্ট প্রসঙ্গ। এরই মধ্যে দিনটিকে শোক দিবস হিসাবে পালনের ঘোষনা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দেশব্যাপী নানা কর্মসূচীও ঘোষনা করেছে তারা। পাল্টা হিসাবে কি করা যায় তাই নিয়ে কথা বলছিলেন নেতারা। নানা দিক থেকে আসছিল বিভিন্ন রকম প্রস্তাব। হঠাৎ করেই ১৫ আগষ্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের প্রস্তাব দেন সাবেক ওই এমপি। কয়েকজন মৃদু প্রতিবাদ করলেও ধোপে টেকেনি তা। হয়ে যায় দিনটিকে জন্মদিন পালনের সিদ্ধান্ত'।
.
রাতের ওই আলোচনায় উপস্থিত থাকা অপর এক বিএনপি নেতা যুগান্তরকে বলেন, 'প্রস্তাব দিয়েই ক্ষ্যান্ত হননি শহিদুল হক জামাল। জন্মদিন পালনের অংশ হিসাবে সোনারগাঁও হোটেল থেকে নিয়ে আসেন ঢাউস আকারের কেক। হৈ-হুল্লোড় করে তা কাটা হয় ক্যন্টনমেন্টের বাসায়। আর সেই থেকেই শুর হয় জন্মদিন পালনের ধারা।'
সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতের দিনে এভাবে জন্মদিন পালনকে দু:খজনক উল্লেখ করে মেজর (অব:) আখতারুজ্জামান বলেন, '১৯৯১ এর আগে ১৫ আগষ্ট কেন, কোন তারিখেই ঘটা করে পালিত হয়নি তার জন্মদিন। এখনও নির্দিষ্ট এই দিনটিতে কাউকে দাওয়াত করেন না তিনি। দেশনেত্রীর জন্মদিন হিসাবে অনেকটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সারাদেশে কেক কাটে কর্মীরা। এতে করে ক্ষুন্ন হয় বিএনপির ভাবমূর্তি '।
আখতারুজ্জামানের এই অভিযোগ সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হলে প্রশ্ন শোনার পর শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে মোবাইল ফোনের লাইন কেটে দেন শহিদুল হক জামাল। পরে বহুবার চেষ্টা করলেও তিনি আর ফোন ধরেননি। প্রসঙ্গত বর্তমানে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত অবস্থায় থাকলেও একসময় খালেদা জিয়ার অত্যন্ত ঘনিষ্ট ছিলেন শহিদুল হক জামাল। তার সম্পর্কে রয়েছে দলের তারেক রহমানকে ব্যবসা-বানিজ্য শেখানোর আলোচনা। তিনিই নাকি অবিশ্বাস্য স্বল্পমূল্যের নিলামে হরদেও গাস কোম্পানি কেনার পথা দেখান তারেককে। ওয়ান-ইলেভেনের পর সংস্কারে গিয়ে তারেক রহমান, হাওয়া ভবন তথা জিয়া পরিবার সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করে কক্ষ্যচূত হন জামাল। যে কারনে ২৯শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দেয়নি বিএনপি। পরে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে ৩ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়ে জামানত হারান এ নেতা। দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রার্থী হওয়ায় তাকে বহিস্কার করে বিএনপি। সেই থেকে ব্যবসা-বানিজ্য নিয়েই আছেন তিনি। বিশেষ একটি মহলের সহায়তায় দলে ফেরার চেষ্টার চললেও খুব একটা সফল হতে পারছেন না।
----------------------------------------------
যুগান্তরের সাইটে যেয়ে ২০১০ সালের আগষ্ট মাসের আর্কাইভ খুজতে যেয়ে দেখা গেল, ১৫ আগষ্ট ব্যাতীত সমস্ত দিনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। অজানা কারনে শুধু ১৫ আগষ্টে ক্লীক করা যাচ্ছে না।
চাঞ্চল্যকর এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপিরই সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব:) আখতারুজ্জামান। অবশ্য সরাসরি শহিদুল হক জামালের নাম বলেননি এই বিএনপি নেতা। পত্রিকা অফিসে বিবৃতিতে ঘুরিয়ে বলেছেন বিষয়টি। এক্ষেত্রে জামালের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করেছে বিএনপির অন্যান্য সূত্র। এ ব্যাপারে কিছুই বলতে রাজি হননি বর্তমান বিএনপি থেকে বহিস্কৃত হুইপ জামাল।
.
১৫ আগষ্ট শোক দিবসে জন্মদিন পালন না করতে অনুরোধ জানিয়ে শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে একটি খোলা চিঠি দেন দলের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব:) আখতারুজ্জামান। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেয়া হয় চিঠির কপি। চিঠির প্রথমে ১৯৯১ সাল থেকে কীভাবে এ জন্মদিন পালন শুরু হল তার সংক্ষিপ্ত বর্ননা দেন তিনি। এতে উঠে আসে বরিশাল অঞ্চলের সাবেক এমপি জোট শাসনামলের হুইপ শহিদুল হক জামালের প্রসঙ্গ। তার কুপরামর্শেই খালেদা জিয়া ওই বছর থেকে জন্মদিন পালন শুরু করেন বলে উল্লেখ করেন আখতারুজ্জামান। অবশ্য সরাসরি চিঠিতে জামালের নাম না বলে বলা হয় 'বর্তমানে বিএনপিতে না থাকা সাবেক এক ধুরন্ধর এমপি।'
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে আখতারুজ্জামান বলেন, '১৯৯১ সালের ১৪ই আগষ্ট রাতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ক্যান্টনমেন্ট বাসভবনে ঘটে ঐ ঘটনা। সে সময় প্রায় প্রতি রাতেই দলের সিনিয়র নেতারা যেতেন তার বাসায়। দল এবং রাষ্ট্রের বিষয় নিয়ে আলোচনা হত সেখানে। এরই এক পর্যায় উঠে ১৫ আগষ্ট প্রসঙ্গ। এরই মধ্যে দিনটিকে শোক দিবস হিসাবে পালনের ঘোষনা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দেশব্যাপী নানা কর্মসূচীও ঘোষনা করেছে তারা। পাল্টা হিসাবে কি করা যায় তাই নিয়ে কথা বলছিলেন নেতারা। নানা দিক থেকে আসছিল বিভিন্ন রকম প্রস্তাব। হঠাৎ করেই ১৫ আগষ্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের প্রস্তাব দেন সাবেক ওই এমপি। কয়েকজন মৃদু প্রতিবাদ করলেও ধোপে টেকেনি তা। হয়ে যায় দিনটিকে জন্মদিন পালনের সিদ্ধান্ত'।
.
রাতের ওই আলোচনায় উপস্থিত থাকা অপর এক বিএনপি নেতা যুগান্তরকে বলেন, 'প্রস্তাব দিয়েই ক্ষ্যান্ত হননি শহিদুল হক জামাল। জন্মদিন পালনের অংশ হিসাবে সোনারগাঁও হোটেল থেকে নিয়ে আসেন ঢাউস আকারের কেক। হৈ-হুল্লোড় করে তা কাটা হয় ক্যন্টনমেন্টের বাসায়। আর সেই থেকেই শুর হয় জন্মদিন পালনের ধারা।'
সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতের দিনে এভাবে জন্মদিন পালনকে দু:খজনক উল্লেখ করে মেজর (অব:) আখতারুজ্জামান বলেন, '১৯৯১ এর আগে ১৫ আগষ্ট কেন, কোন তারিখেই ঘটা করে পালিত হয়নি তার জন্মদিন। এখনও নির্দিষ্ট এই দিনটিতে কাউকে দাওয়াত করেন না তিনি। দেশনেত্রীর জন্মদিন হিসাবে অনেকটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সারাদেশে কেক কাটে কর্মীরা। এতে করে ক্ষুন্ন হয় বিএনপির ভাবমূর্তি '।
আখতারুজ্জামানের এই অভিযোগ সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হলে প্রশ্ন শোনার পর শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে মোবাইল ফোনের লাইন কেটে দেন শহিদুল হক জামাল। পরে বহুবার চেষ্টা করলেও তিনি আর ফোন ধরেননি। প্রসঙ্গত বর্তমানে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত অবস্থায় থাকলেও একসময় খালেদা জিয়ার অত্যন্ত ঘনিষ্ট ছিলেন শহিদুল হক জামাল। তার সম্পর্কে রয়েছে দলের তারেক রহমানকে ব্যবসা-বানিজ্য শেখানোর আলোচনা। তিনিই নাকি অবিশ্বাস্য স্বল্পমূল্যের নিলামে হরদেও গাস কোম্পানি কেনার পথা দেখান তারেককে। ওয়ান-ইলেভেনের পর সংস্কারে গিয়ে তারেক রহমান, হাওয়া ভবন তথা জিয়া পরিবার সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করে কক্ষ্যচূত হন জামাল। যে কারনে ২৯শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দেয়নি বিএনপি। পরে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে ৩ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়ে জামানত হারান এ নেতা। দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রার্থী হওয়ায় তাকে বহিস্কার করে বিএনপি। সেই থেকে ব্যবসা-বানিজ্য নিয়েই আছেন তিনি। বিশেষ একটি মহলের সহায়তায় দলে ফেরার চেষ্টার চললেও খুব একটা সফল হতে পারছেন না।
----------------------------------------------
যুগান্তরের সাইটে যেয়ে ২০১০ সালের আগষ্ট মাসের আর্কাইভ খুজতে যেয়ে দেখা গেল, ১৫ আগষ্ট ব্যাতীত সমস্ত দিনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। অজানা কারনে শুধু ১৫ আগষ্টে ক্লীক করা যাচ্ছে না।
__._,_.___