Banner Advertiser

Monday, August 25, 2014

[mukto-mona] জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - ৬ (২৫ আগস্টের পর)



মঙ্গলবার, ২৬ আগষ্ট ২০১৪, ১১ ভাদ্র ১৪২১
জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান -  
মুনতাসীর মামুন
(২৫ আগস্টের পর)

ডালিম লিখেছেন, "সমস্ত প্রবাসী সরকারের মধ্যে শুধু দুজন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এ ধরনের উদ্যোগের বিরোধিতা দৃঢ়তার সঙ্গে করে গিয়েছিলেন। তাদের একজন হলেন কর্নেল ওসমানী এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন খোন্দকার মোশতাক আহমদ। এই দুইজন ছাড়া সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রায় সবাই এবং আমলাদের উচ্চপদস্থ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অনেকেই ভারতের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পক্ষপাতিত্ব করছিলেন।"[পৃ১৯৬]
মন্তব্য নিষ্প্রেয়োজন। ১৯৭৫ সালে খোন্দকার মোশতাক বঙ্গবন্ধুর হত্যায় ভূমিকা রেখেছিলেন এবং পরবর্তীতে জিয়ার বিভিন্ন পদক্ষেপ থামাতে ওসমানী যথাযথ ভূমিকা পালন করেননি।
আওয়ামী লীগে কলহ ছিল একথা কেউ অস্বীকার করেননি। ভারতীয় প্রশাসনের একাংশ শুধু আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই মুক্তি সংগ্রাম চলুক সে চেষ্টা করেছিল সেটাই বা কতটা সঠিক? কিন্তু তাজউদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে ভারতীয়রা নয়, আওয়ামী লীগের একাংশই অনাস্থা জ্ঞাপন করছিলেন। ৩ ও ৪ জুলাই শিলিগুড়িতে নির্বাচিত প্রতিনিধি ও দলীয় নেতৃবৃন্দের বৈঠক ডাকা হয়। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ আলোচনা হয়। মাঈদুল হাসান লিখেছেন-
"আওয়ামী লীগরে ভেতরে একটি গ্রুপের পক্ষ থেকে তাজউদ্দিনের যোগ্যতা এবং তার ক্ষমতা গ্রহণের বৈধতা নিয়ে নানা বিরুদ্ধ প্রচারণা চলতে থাকে। কর্নেল ওসমানীর বিরুদ্ধেও এই মর্মে প্রচারণা চলতে থাকে যে, মুক্তিযুদ্ধ ব্যবস্থাপনায় তার অক্ষমতার জন্যই মুক্তি সংগ্রাম দিনের পর দিন স্তিমিত হয়ে পড়ছে। ভারত সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণা ছিল। মুক্তিযুদ্ধকে সাহায্য করার ব্যাপারে তাদের মৌলিক অনীহার কারণেই খুব নগণ্য পরিমাণ অস্ত্র তাদের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে। কূটনৈতিক স্বীকৃতির প্রশ্ন তারা নানা অজুহাতে এড়িয়ে চলছেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম শেষ পর্যন্ত তাদের সমর্থন লাভ করবে কিনা, তাও সন্দেহজনক। এ সব প্রচার অভিযান ভারতের উদ্দেশ্য ও তাজউদ্দিনের যোগ্যতা সম্পর্কে সন্দেহ সৃষ্টির ব্যাপারে তৎপর ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী খোন্দকার মোশতাক আহমদ।" [মাঈদুল হাসান, মূলধারা'৭১, ইউপি এল, ঢাকা ২ সং, ৫ম মুদ্রণ, ২০০৮, পৃ.২৪৪] মিজান চৌধুরীও যোগ দিয়েছিলেন মোশতাকের সঙ্গে। ১৯৭৫ সাল পরবর্তী মিজান চৌধুরীর নানা কর্মকা-ের সূত্র পেয়ে যাই আমরা এখানে কিন্তু এতসব বাদানুবাদ সত্ত্বে "অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি স্বাধীনতার প্রশ্নে অবিচল থাকেন।" এরপর উল্লেখ করা হয়েছে কলকাতায় সেক্টর কমান্ডারদের সম্মেলনের কথা। ডালিমের মতে, ৮ জুলাই সেক্টর কমান্ডারদের এক সম্মেলন ডাকা হয়। 'কর্নেল ওসমানীর নির্দেশে।' এখানে সন্দেহ হয় ওসমানীর এত বড় একটি সম্মেলন আহ্বানের ক্ষমতা ছিল কিনা? নাকি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ডেকেছিলেন? ডালিমের ভাষ্য অনুযায়ী-"সম্মেলনের কয়েকদিন আগে হঠাৎ করেই একদিন ঘটল এক ঘটনা। ক্যাবিনেট মিটিংয়ে কর্নেল ওসমানী প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনকে পরিষ্কার ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, 'ভারতের গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনী কর্তৃপক্ষ যদি মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের কার্যক্রম চালাতে থাকেন তবে শুধু শিখ-ী কমান্ডার ইন চীফ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব থেকে আমি স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেব।"[পৃ.১৯৬] তিনি বলেন, ইসলামাবাদ থেকে দিল্লীর ক্রীড়নক হতে তিনি রাজি নন। "ঐ বক্তব্যের পর তিনি একটি পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে ধরিয়ে দিয়ে সকলকে স্তম্ভিত করে সভা কক্ষ ত্যাগ করেন।" [ঐ]
এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। "মন্ত্রীবর্গ সবাই কেটে পড়লেন।" ডালিম প্রধানমন্ত্রীকে এক ধরনের হুমকি দিয়ে জানান ওসমানীর পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করাতে হবে। তিনি একটি বক্তৃতা দেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে উপদেশ দিয়ে বলেন, "আপনি যদি সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে চলেন তবে আপনি আপনার যাত্রাপথে নিঃসঙ্গ হবেন না।" [পৃ.১৯৭]
ডালিম ও তার বন্ধুরা ওসমানীকে বোঝবার ভার নিলেন। একজন মেজর হঠাৎ নীতিনির্ধারকের ভূমিকায় চলে যাবেন ও প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি-ধমকি দেবেন তা মেনে নেয়া কষ্টকর। পুরো বর্ণনা পড়লে মনে হবে, মেজর ডালিমের চিন্তাচেতনা ওসমানীকে প্রভাবিত করেছিল দেখেই তিনি সচেতন হয়ে ওঠেন এবং পদত্যাগ করেন।
না, এরপরও ঘটনা আছে। কনফারেন্সের দিন ঘনিয়ে আসছে। সেক্টর কমান্ডাররা এসে উপস্থিত হচ্ছেন। ওসমানীর পদত্যাগের খবরে সবাই উত্তেজিত। ডালিম সেক্টর কমান্ডারদের পুরো ঘটনাটা জানালেন।
কনফারেন্স শুরু হলো। ওসমানী নেই। সবার কাছেই বিষয়টি অস্বস্তিকর। ডালিমের ভাষায়,"যাই হোক তাজউদ্দিন লম্বা চওড়া ভাষণ শুরু করলেন। তার ভাষণে তিনি সবাইকে জানালেন সেক্টর কমান্ডারদের অনাস্থাবশত কর্নেল ওসমানী পদত্যাগপত্র দাখিল করেছেন।"[পৃ.১৯৯] এ বক্তব্যের পর বিতর্ক শুরু হলো। তখন ডালিম সেক্টর কমান্ডারদের ভারতীয় নীলনকশার এবং ওসমানী না থাকলে যে ভারতীয় নীলনকশা ঠেকানো যাবে না সে কথা বোঝালেন। তাঁরা বুঝলেন এবং ওসমানী Assurance দিলেন ভারতীয় নীলনকশা ঠেকাবেন। ওসমানী পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারে আশ্বাস দিলেন।
অন্যদিকে জিয়াউর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে প্রায় ধমকের সুরে বললেন, "আপনি কোন যুক্তির ভিত্তিতে সকালে আপনার বক্তব্যে বললেন সেক্টর কমান্ডারদের অনাস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কর্নেল ওসমানী পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? জবাবে কিছুটা বিব্রত হয়ে তাজউদ্দিন সাহেব বললেন, তার কাছে খবর রয়েছে যে বেশ কিছু কমান্ডার ওসমানীর ওপর অনাস্থা পোষণ করছেন।" [পৃ.২০১]
জিয়া তাকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন ওসমানী ছাড়া কেউই গ্রহণযোগ্য নয়। ওসমানীকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে সেনাপতি করা যেতে পারে কিন্তু তার পরিণতি কী হবে সেটি যেন প্রধানমন্ত্রী ভেবে রাখেন।
"কথার ধরন থেকে বুদ্ধিমান তাজউদ্দিন আহমদ বুঝে নিলেন মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডাররা ইতোমধ্যে অনেক কিছু জেনে গেছেন। পর্দার অন্তরালে পাশা খেলার চালগুলো সম্পর্কেও হয়তবা অবগত হয়ে পড়েছেন। তাই কেঁচো খুঁড়তে সাপ রেবিয়ে না পড়ার জন্য মেজর জিয়ার অনুরোধ মেনে নিতে রাজি হলেন তাজউদ্দিন।"[পৃ.২০১]
এভাবে ডালিম, নূর ও মতি ভারতীয় নীলনকশা নস্যাত করে দেন ও তাদের 'আত্মপ্রত্যয়' বেড়ে যায়। ডালিমের পুরো বিবরণটি পর্যালোচনা করলে তার চিন্তার ধরনটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে এবং ১৯৭৫ সালে কেন ডালিম ও নূর সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলেন তা স্পষ্ট হবে-
১.ভারতীয়রা ভাল লোক নয়। নিজ স্বার্থে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের বিভক্ত রাখতে চেয়েছে। ২. আওয়ামী লীগের শান্ত/ এমপি. সিভিলিয়ানরা কাজের নয়। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাই মুক্তিযুদ্ধে প্রধান ভূমিকা রেখেছে এবং ভারতীয় নীলনকশা প্রতিহত করেছেন। ৩. পাকিস্তান থেকে ফেরার পর ডালিম ও তার স্যাঙ্গাত নূর প্রবাসী সরকারের সদর দফতরে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন এবং প্রায় নীতিনির্ধারক হয়ে ওঠেন, ওসমানীকে সেনাপতি রাখার ব্যাপারে তার অবদান অনস্বীকার্য। ৪. দু'ব্যক্তি ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছিল- খোন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমান।
৫.হিন্দুরা মুক্তিযুদ্ধ করেনি। বাংলাদেশের যুদ্ধ নিয়ে তাদের মাথাব্যথাও ছিল না। অন্য কারও লেখায় বালিগঞ্জ ও থিয়েটার রোডের এ ধরনের বর্ণনা বা ওসমানীর পদত্যাগ নাটক সম্পর্কে তেমন বিস্তারিত কোন তথ্য পাইনি। তাই ডালিমের তথ্যের সত্যতা নিরূপণ কঠিন। কিন্তু বর্ণনাটি যে অতিরঞ্জিত এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
মঈদুল হাসানের বই থেকে ওসমানী নাটকের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ পাই যেটি ডালিমের মতো অতিরঞ্জিত নয়। মঈদুল লিখছেন, বাঙালী যোদ্ধাদের ভারতীয়দের কাছে আশা ছিল প্রচুর, অন্যদিকে এই আশা পূরণে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে কোন নির্দেশ দেয়া হয়নি। ফলে, যারা যুদ্ধ করছিলেন এবং বিভিন্ন সেক্টরের প্রধানরা গোলাবারুদ ও লোকবল কম থাকায় নিরাশ হয়ে পড়ছিলেন এ পরিপ্রেক্ষিতে সম্মেলনের আহ্বান জানানো হয়। (চলবে)
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২৬ আগষ্ট ২০১৪, ১১ ভাদ্র ১৪২১




জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - ১
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ : বুধবার, ২০ আগষ্ট ২০১৪, ৫ ভাদ্র ১৪২১
শুক্রবার, ২২ আগষ্ট ২০১৪, ৭ ভাদ্র ১৪২১
জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - ২                   
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ : শুক্রবার, ২২ আগষ্ট ২০১৪, ৭ ভাদ্র ১৪২১

শনিবার, ২৩ আগষ্ট ২০১৪, ৮ ভাদ্র ১৪২১
জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান -৩ 
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ : শনিবার, ২৩ আগষ্ট ২০১৪, ৮ ভাদ্র ১৪২১

জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - ৪ (২৩ আগস্টের পর) 
মুনতাসীর মামুন
 প্রকাশ : রবিবার, ২৪ আগষ্ট ২০১৪, ৯ ভাদ্র ১৪২১

সোমবার, ২৫ আগষ্ট ২০১৪, ১০ ভাদ্র ১৪২১

জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - ৫ (২৪ আগস্টের পর)
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ :  সোমবার, ২৫ আগষ্ট ২০১৪, ১০ ভাদ্র ১৪২১
 

†hfv‡e †mbvcÖavb n‡jb †Rbv‡ij wRqv

How Gen Zia took the helm of army

As biggest beneficiary of Aug 15, he became chief martial law administrator, and finally, president

http://www.thedailystar.net/frontpage/how-gen-zia-took-the-helm-of-army-37291

Bangabandhu Killing : Zia passively involved

Zia passively involved - The Daily Star

  1. Mar 15, 2011 - Zia decided to kill Taher as he wanted to appease the army officers ... was passively involved in the assassination of Bangabandhu Sheikh ...
  2. Video:

http://www.youtube.com/watch?v=dglIcOQtYUk

The killer duo Rashid and Farook tells Anthony Mascarenhas in an interview why they killed Mujib and the role of Zia and Mustaq and how they featured in their plan. The interview was taken in 1976 in London

ফিরে দেখা পঁচাত্তর: মুজিব হত্যা, খুনি মেজররা ও আমাদের দ্বিচারিতা

সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrabo3@dhaka.net




__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___