Banner Advertiser

Sunday, August 24, 2014

[mukto-mona] জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - ৫ (২৪ আগস্টের পর)



সোমবার, ২৫ আগষ্ট ২০১৪, ১০ ভাদ্র ১৪২১

জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - ৫ 
মুনতাসীর মামুন
(২৪ আগস্টের পর)

এ বাহিনী সম্পর্কে তাজউদ্দিন ও তারা তিনজন ছাড়া কেউ জানবে না। বিষয়টা হলো, শেখ মনি ও সিরাজুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে কয়েকজন যুব নেতা দিল্লীতে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে আলাপ করে জানিয়েছেন, তাজউদ্দিনকে বিশ্বাস করা সমীচীন হবে না। তাজউদ্দিনের প্রতি অধিকাংশ সংসদ সদস্যের কোন আস্থা নেই- এ মর্মে আবদুর রব সেরনিয়াবাতের একটি চিঠি তারা পৌঁছে দেন ইন্দিরা গান্ধীর কাছে। আরও জানান, তাজউদ্দিন ভারতের প্রতি অনুগত থাকবেন না। সুতরাং এমন একটি ফোর্স তৈরি করতে হবে, যারা তাজউদ্দিনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকবে। এ পরিপ্রেক্ষিতেই বিএলএফ বা মুজিব বাহিনী গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়। ডালিম বাংলাদেশ সরকার ও ভারতীয় সরকারের সঙ্গে লিয়াজোঁ করবেন।
ওসমানী এ বৃত্তান্ত শুনে অবাক হন। কারণ, তিনি এর কিছুই জানতেন না। পরদিন তাজউদ্দিনকেও তিনি এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন। তাজউদ্দিন এ বিষয়ে অজ্ঞতা প্রকাশ করলেন।
এ বাহিনীর সত্যতা যাচাইয়ের কোন উপায় নেই। তবে, অনেকের অনুমান, নেতৃত্ব যাতে আওয়ামী লীগের হাতেই থাকে, সে জন্যই হয়ত মুজিব বাহিনী গঠিত হয়েছিল। যদিও মুজিব বাহিনীকে পরবর্তীকালে আলাদা হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি।



ডালিম, নূর ও মতি ওসমানীকে জানালেন, "ভারতীয় নীলনকশার সঙ্গে সরাসরিভাবে জড়িয়ে পড়তে চাই না আমরা। রাজনৈতিক একটি দলের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য গঠিত ঠেঙ্গারে বাহিনীর নেতা হওয়ার খায়েশ আমাদের নেই।" [পৃ. ১৮৬]
ওসমানী ডালিমকে ৮ ও ৯ এবং মতিকে ১০ ও ১১ নম্বর সেক্টরে গেরিলা বাহিনীর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিলেন। নূরকে করলেন পারসোনাল স্টাফ অফিসার। ঠিক হলো, ভারতীয়রা জিজ্ঞেস করলে ওসমানী জানাবেন, মুজিব বাহিনী গড়ে তোলার জন্য পলিটিক্যালি কমিটেড লোক দরকার। যেহেতু ডালিমরা সেই প্রেসক্রিপশনে ফিট করেন না সেহেতু তাদের ঐ নিয়োগ না দেয়াই ভাল।
এ থেকে জুলাই মাসে সেক্টর কমান্ডারদের সভা পর্যন্ত যে বিবরণ দিয়েছেন তাতে সত্য-মিথ্যার নানা মিশেল আছে। বলা যেতে পারে, এটি ছিল সেই ডিসকোর্স যা বিশ্লেষণ করলে বোঝা যাবে, ১৯৭৫ সাল কেন ঘটেছিল। এটি জানা কথা যে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে নানা মতামত ছিল এবং সেগুলোকে ভিত্তি করে নানা উপদল গড়ে উঠেছিল যারা নিজ নিজ 'মুক্তিযুদ্ধ' করছিলেন। তাজউদ্দিন আহমেদের বিপক্ষেও শক্তিশালী একটি গ্রুপ গড়ে উঠেছিল। মোশতাকের নেতৃত্বে চরম ডানপন্থী যে গ্রুপ গড়ে উঠেছিল তাদের চিন্তা-চেতনার সঙ্গে মিল আছে ডালিমের চিন্তা-চেতনার [লেখার] ১৯৭২ সাল থেকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত যে সব গুজব ছড়িয়েছিল এবং পল্লবীতে হয়েছিল তার সূত্র পেয়ে যাই ডালিমের লেখায়। তবে, ডালিমের বর্ণনা পড়লে মনে হবে, তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন সরকারের বিভিন্ন নীতি নির্ধারণে। মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত আর কোন গ্রন্থে ডালিমের বর্ণনার সমর্থন মেলেনি।
ডালিম জানাচ্ছেন, ওসমানী তাদের ৫৮ বালিগঞ্জে সদর দফতরে থাকার বন্দোবস্ত করেছিলেন, বাড়িটি ছিল ছোট। অজস্র মানুষ আসা-যাওয়া করছে। কমন কিচেনে রান্না হচ্ছে, সবাই খাওয়া-দাওয়া করছেন, রাত্রি যাপনও করছেন সেখানে। ডালিমের মতে, তাদের "সবার পরিধানে নতুন নতুন কাপড়-চোপড় হাল ফ্যাশনের অন্ত নেই। দিব্যি হেলে দুলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ... প্রত্যেকের হাতে একটা নতুন ব্রিফকেস কিংবা ছোট এ্যাটাচি। কোন কোন নেতার কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ।" [পৃ. ১৮৭] কখনই তারা সে সব ব্যাগ হাতছাড়া করছেন না।
এটি ডালিমদের মনে কৌতূহলের সৃষ্টি করে। খোঁজখবর শুরু করেন। নূর তাকে জানান,"সমস্ত ডিস্ট্রিক্ট ও সাবডিভিশন থেকে মুক্তিফৌজের সঙ্গে বর্ডার ক্রস করে আসার সময় ব্যাংক ট্রেজারিগুলো সব উজাড় করে নিয়ে এসেছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। যার ভাগ্যে যতটুকু পড়েছে সেগুলো রাখা আছে এ সমস্ত ব্রিফকেসে; এ্যাটাচিতে ও ঝোলায়। তাই এগুলোকে এভাবে হেফাজত করা হচ্ছে।"
বিষয়টি পরীক্ষা করার জন্য তারা একদিন নিদ্রিত একজনের মাথার কাছ থেকে তার ব্রিফকেসটা সরিয়ে নিলেন। সেটি খুলে দেখা গেল ১২ লাখ টাকা রাখা আছে। এদিকে ভদ্রলোক ঘুম থেকে উঠে ব্রিফকেস না পেয়ে হাহাকার শুরু করলেন। ডালিমরা ইতোমধ্যে ওসমানীকে সব জানিয়েছেন। ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করা হলো, কী ছিল ব্রিফকেসে। তিনি বললেন, জরুরী কাগজপত্র। কিছুক্ষণ পর তার ব্রিফকেস ফেরত দেয়া হলো। তিনি খুলে দেখলেন টাকা নেই। কিন্তু যেহেতু বলেছেন কাগজপত্র ছিল তাই কিছু বলতে পারলেন না। তারা টাকাটা জমা দিলেন কোষাগারে। ডালিম কেন এই ঘটনার অবতারণা করেছেন? এটি বোঝাতে যে, "তখন তথাকথিত মুজিবনগর সরকারের কার্যালয় দেখে বোঝা কষ্ট হতো যে একটি জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম চলছে বাংলাদেশে। আর সে সংগ্রাম পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন প্রবাসী বালিগঞ্জের লোকজন।...তাদের হাবভাব দেখে মনে হতো সবাই যেন বরযাত্রী হয়ে এসেছেন দূরদেশ থেকে। "কোন ভাবনা নেই, কোন চিন্তা নেই! নির্বিঘ্ন হেসে খেলে সময় কাটিয়ে আনন্দেই আবার ফিরে যাবেন।"[পৃ.১৮৮]
বাংলাদেশ থেকে সবাই ট্রেজারি ভেঙ্গে টাকা নিয়ে যাননি। যারা নিয়ে গিয়েছিলেন তারা টাকা জমা দিয়েছিলেন কোন কোন ক্ষেত্রে সামান্য হেরফের হতে পারে। কিন্তু ডালিম যেভাবে বর্ণনা করেছেন, তাতে মনে হয় সব রাজনীতিবিদ ও আমলারা টাকা নিয়ে গিয়েছিলেন এবং ঘুরে-ফিরে বেড়াচ্ছিলেন যা আদৌ সত্য নয়। আসলে, প্রবাসী সিভিলিয়ান সরকারকে হেয় করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।
এরপর ৮ নং থিয়েটার রোডে সদর দফতর স্থানান্তর করা হয়। ডালিমরা তিনজনই সদর দফতর বিন্যস্ত করেন, কে কোথায় থাকবেন তা ঠিক করেন। তারপর একদিন ডালিম ৮ নং সেক্টরে গেলেন। ডালিম সে সেক্টরও বিন্যস্ত করেন। "রাতদিন পরিশ্রম করে জুন মাসের মধ্যেই প্রায় হাজার দশেক গেরিলা রিক্রুট করে ফেলেছিলাম।... একই সঙ্গে যুব শিবির ও সাব সেক্টরগুলোতে আমরা কয়েকটি ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করেছিলাম।" [পৃ ১৯৩] আরও অনেকে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন কিন্তু এমন দাবি কেউ করেননি। কারণ, নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও কেন্দ্র থেকেই সব কিছু পরিচালিত হতো এবং নেতৃত্ব ছিল সিভিলিয়ানদের যা সবাই মেনে নিয়েছিলেন। ডালিমের সেখানে কিছু করার ছিল না।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে খুন করার একটি কারণ সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। জিয়াউর রহমান [ডালিমদের প্রতিনিধি] এর সূচনা করেছিলেন, তার পত্মী জামায়াতের সাহায্যে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সে কাজ সম্পন্ন করার ব্যাপারে সচেষ্টই ছিলেন। এর সূত্রও আমরা ডালিমের লেখাতেই পেয়ে যাই।
শরণার্থী ও শরণার্থী শিবির সম্পর্কে তিনি জানাচ্ছেন," শরণার্থী শিবিরের আশ্রয়গ্রহণকারী বেশিরভাগ লোকই ছিলেন হিন্দু... বাংলাদেশ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার মতো তাদের খুব বেশি কেউ ছিল না।... মনে মনে হয়তোবা তারা চাইত কষ্টের কাজটুকু অন্যরা করুক, তারা একদিন ধীরে সুস্থে ফিরতে পারলেই হয়।"[পৃ ১৯৪]
শরণার্থীদের সম্পর্কে এরকম নিষ্ঠুর বক্তব্য এর আগে আর কোন্ বইতে পাইনি।
প্রবাসী সরকারকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছিল ভারত। জানিয়েছেন ডালিম। বাংলাদেশ সরকারে অন্তর্দ্বন্দ্বও সৃষ্টি করছিল। "অপরদিকে মুজিবনগর সরকার ও মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বাধিনায়ক ওসমানীর মধ্যেও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে কর্নেল ওসমানীর ক্ষমতা সীমিত করে রাখা হচ্ছিল একইভাবে।" ওসমানী এতে অপমানিত বোধ করছিলেন। মূলত সবাই চাচ্ছিললেন, ভারত যেন দেশটাকে তাড়াতাড়ি স্বাধীন করে দেয়। (চলবে)

http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2014-08-25&ni=183141
 প্রকাশ :  সোমবার, ২৫ আগষ্ট ২০১৪, ১০ ভাদ্র ১৪২১



জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - ১
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ : বুধবার, ২০ আগষ্ট ২০১৪, ৫ ভাদ্র ১৪২১
শুক্রবার, ২২ আগষ্ট ২০১৪, ৭ ভাদ্র ১৪২১
জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - ২                   
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ : শুক্রবার, ২২ আগষ্ট ২০১৪, ৭ ভাদ্র ১৪২১

শনিবার, ২৩ আগষ্ট ২০১৪, ৮ ভাদ্র ১৪২১
জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান -৩ 
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ : শনিবার, ২৩ আগষ্ট ২০১৪, ৮ ভাদ্র ১৪২১

জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - ৪ (২৩ আগস্টের পর) 
মুনতাসীর মামুন
 প্রকাশ : রবিবার, ২৪ আগষ্ট ২০১৪, ৯ ভাদ্র ১৪২১
†hfv‡e †mbvcÖavb n‡jb †Rbv‡ij wRqv

How Gen Zia took the helm of army

As biggest beneficiary of Aug 15, he became chief martial law administrator, and finally, president

http://www.thedailystar.net/frontpage/how-gen-zia-took-the-helm-of-army-37291

Bangabandhu Killing : Zia passively involved

Zia passively involved - The Daily Star

  1. Mar 15, 2011 - Zia decided to kill Taher as he wanted to appease the army officers ... was passively involved in the assassination of Bangabandhu Sheikh ...
  2. Video:

http://www.youtube.com/watch?v=dglIcOQtYUk

The killer duo Rashid and Farook tells Anthony Mascarenhas in an interview why they killed Mujib and the role of Zia and Mustaq and how they featured in their plan. The interview was taken in 1976 in London

ফিরে দেখা পঁচাত্তর: মুজিব হত্যা, খুনি মেজররা ও আমাদের দ্বিচারিতা

সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrabo3@dhaka.net



__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___