নতুন করে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করবে বিটিআরসি
৩ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি গ্রামীণফোনের
এম এ কে জিলানী, দ্য রিপোর্ট : বেসরকারি মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া ৩ হাজার ৩৪ কোটি ১১ লাখ ৮ হাজার ৫৮১ টাকা উদ্ধারে নতুন করে নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সুপ্রীম কোর্টের দেওয়া এক রায়ের মন্তব্যের (অবজারভেশন) আলোকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দ্য রিপোর্টকে বিটিআরসি থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিটিআরসির কমিশনার আবদুস সামাদ দ্য রিপোর্টকে সোমবার বিকেলে বলেন, 'গ্রামীণফোনের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া ৩ হাজার ৩৪ কোটি ১১ লাখ ৮ হাজার ৫৮১ টাকা উদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুপ্রীম কোর্টের রায়ের মন্তব্যের আলোকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
আবদুস সামাদ বলেন, 'সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে গ্রামীণফোনের রাজস্ব ফাঁকির অর্থ আদায়ের জন্য নতুন করে আইন অনুযায়ী নিরীক্ষা করতে বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'
জানা গেছে, ২০০১ সালের বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩১ ধারা অনুযায়ী, কমিশন থেকে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের নিরীক্ষার জন্য দুটি নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়। যার মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষায় গ্রামীণফোনের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার বিষয়টি উঠে আসে।
নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে আসা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার তথ্য সম্পর্কে বিটিআরসি ব্যাখ্যা জানতে চাইলে গ্রামীণফোন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য-প্রমাণসহ ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়। গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে বলা হয়, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রক্রিয়া আইন অনুযায়ী হয়নি। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি সমাধানের জন্য আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
গত ২০১১ সালের ১৮ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এক রায়ে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে আইন অনুসরণ করা হয়নি উল্লেখ করে নিরীক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।
হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে কমিশন (বিটিআরসি) থেকে সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল (নম্বর ১৮৬৯/২০১১) দায়ের করা হয়। আপিল বিভাগ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন।
আপিল বিভাগ তার দেওয়া রায়ে সংশ্লিষ্ট নিরীক্ষা প্রতিবেদন সম্পর্কে মন্তব্যে বলেন, 'গ্রামীণফোন লিমিটেডের কাছে সরকারের পাওনা টাকা কোর্টের রায় অনুযায়ী পুনরায় ফ্রেশ অডিটর নিয়োগ করে আদায়যোগ্য এবং অডিটর কর্তৃক চিহ্নিত ক্ষেত্রগুলো (এক্সপোজড এরিয়া) অনুসন্ধান বা অডিট করার জন্য আইন অনুযায়ী নতুন করে অডিটর নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। নতুন করে অডিটর নিয়োগ করে মোবাইল অপারেটরদের সিস্টেম অডিট করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার বিষয়গুলো উদ্ঘাটন করা যেতে পারে।'
(দ্য রিপোর্ট/জেআইএল/এইচএসএম/সা/সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৪)
BTRC to Appoint new Auditing Firm for Detecting GP Irregularities
GP dodges Tk 3000 crore revenue thru illegal tricks
__._,_.___