প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০:০০আপডেট : ০৭ নভেম্বর, ২০১৪ ০১:১২:১১ |
চতুর্মুখী সঙ্কটে জামায়াত
রকীবুল হক
চতুর্মুখী সঙ্কটে পড়েছে জামায়াতে ইসলামী। গত বছর নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন হারানোর পর এখন নিজেদের অস্তিত্ব ও শীর্ষ নেতাদের রক্ষা নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে দলটি। বিশেষ করে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দলের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডের রায়ের রেশ না কাটতেই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের ফাঁসির প্রক্রিয়ায় দিশেহারা জামায়াত। অসংখ্য মামলার বোঝা নিয়ে আত্মগোপনে দিন কাটাচ্ছেন দলটির অধিকাংশ নেতাকর্মী। জোটের শরিক হলেও বিভিন্ন কারণে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে কিছুটা সন্দেহ-অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। 'দুর্যোগময়' এ মুহূর্তে বিএনপির পক্ষ থেকে তেমন কোনো সহানুভূতি বা আন্দোলনে সমর্থন না পেয়ে আরও হতাশার মধ্যে আছে জামায়াত। এ প্রেক্ষাপটে যে কোনোভাবে এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করে রাজনৈতিক অঙ্গনে টিকে থাকার পক্ষে দলের বর্তমান নেতারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে ৩০ অক্টোবর থেকে তিন দফায় ৫ দিন হরতালসহ বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করলেও তা ছিল শুধুই নিয়ম রক্ষার। যথাসম্ভব সহিংসতা এড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে এসব কর্মসূচি পালনের জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল কেন্দ্র থেকে। এ কারণে হরতাল-বিক্ষোভে খুব বেশি মাঠে দেখা যায়নি নেতাকর্মীদের। এমনকি কামারুজ্জামানের ফাঁসি নিয়ে দলের সারা দেশের নেতাকর্মীরা উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ থাকলেও তা কার্যকর হলে খুব বেশি কঠোরতা দেখাবে না দলটি। গতানুগতিক দু-একদিন হরতাল বা বিক্ষোভের মধ্যেই কর্মসূচি সীমাবদ্ধ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, গত বছর বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলনের সময় ব্যাপক সহিংসতা সংঘটিত হওয়ায় দেশে-বিদেশে চরম সমালোচনার মধ্যে পড়ে জামায়াত। তাছাড়া সেসব আন্দোলনকে ঘিরে সারা দেশে হতাহত এবং গ্রেফতার-নির্যাতনসহ ক্ষতিগ্রস্ত হন অসংখ্য নেতাকর্মী। এ প্রেক্ষাপটে সরকার পতনের মতো চূড়ান্ত আন্দোলন ছাড়া যথাসম্ভব শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে সম্প্রতি পর পর কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়ে দলের সব স্তরে ক্ষোভ ও হতাশা নেমে এসেছে। এ অবস্থায় দলের কেউ কেউ রাজপথে কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখানোর পরামর্শ দেন। তবে ফের সরকারের রোষানল ও বির্তক থেকে রক্ষা পেতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পক্ষেই অবস্থান নেন শীর্ষ নেতারা। দলের অস্তিত্ব জানান দিতে ও নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতেই প্রতিবাদের সহজ মাধ্যম হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয় হরতাল কর্মসূচি। তিন দফায় ঘোষিত ৫ দিনের হরতালের পাশাপাশি দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও তা শান্তিপূর্ণভাবে সফলের জন্য নির্দেশ দেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান।
এ বিষয়ে জামায়াতের ঢাকা মহানগর শাখার এক নেতা বলেন, এককভাবে এ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই বিএনপিকে সঙ্গে নিয়েই চূড়ান্ত আন্দোলনে নামতে চায় জামায়াত। তবে এখন পর্যন্ত বিএনপির পক্ষ থেকে আন্দোলনের তেমন কোনো সাড়া না পাওয়ায় এককভাবে নিয়ম রক্ষার কর্মসূচি পালন করছে জামায়াত। হরতাল ইস্যুতেও কর্মীদের কঠোরভাবে মাঠে নামার কোনো নির্দেশনা ছিল না। প্রতিবাদের পাশাপাশি নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে এবং বহির্বিশ্বকে দেখানোর হরতাল ছিল তাদের টার্গেট। তবু এসব কর্মসূচি পালনে বহু নেতাকর্মী গ্রেফতার ও পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।
এদিকে কামারুজ্জামানের ফাঁসিপরবর্তী দলের নেতাকর্মীদের প্রতিক্রিয়া দেখানোর বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তিনি নিজেই। বৃহস্পতিবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আইনজীবীদের মাধ্যমে দলের সব স্তরের জনশক্তির উদ্দেশে তিনি বলেছেন, আমার শহীদি খুনের বদলা যেন তারা দ্বীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নেয়। আমার ওপর যে জুলুম করা হয়েছে, তার কারণে কেউ যেন প্রতিহিংসার শিকার না হয়। এ ব্যাপারে আমি ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। পরিবারের সদস্যদেরও ধৈর্য ধারণ ও শান্ত থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
জাায়াতের কেন্দ্রীয় একটি সূত্র জানায়, দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের শান্ত রাখতেই কামারুজ্জামানের দেয়া বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে আপাতত বড় ধরনের কোনো কর্মসূচি দেয়ার সম্ভাবনা নেই বলে ওই সূত্র আভাস দিয়েছে।
Also read:
যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হওয়ার পর সাংবাদিকরা গোলাম আযমের সাক্ষাৎকার নিতে গেলে জানা যায়, তিনি অনেক কিছু বিস্মৃত হয়েছেন। ভুলে গেছেন। সম্প্রতি বেসরকারি এক টেলিভিশনে দেখে যা বুঝলাম তাতে মনে হলো তিনি বোধহয় আবার স্মৃতি ফিরে পেয়েছেন। সাথে পুরোনো শয়তানটাও তার মাথায় চাপা দিয়ে বসেছে। সম্ভবত ইদানিং তার .http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/334564.html
আফসান চৌধুরী
জামাতের রাজনীতির জনভিত্তি ও ভবিষ্যত
গোলাম আযম ও প্রতিরোধের পরাজয় -গোলাম মোর্তোজা
Related:
'মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা ও গণহত্যার প্রতীক' গোলাম আযম !
মগবাজার কাজী অফিসের গলি এখন 'নেমক হারামের গলি' !
তবে একটি জঘন্য গালি হিসেবে। ......
Read:
ছেলের নাম 'গোলাম আযম', কেউ রাখে ?
Uploaded By : Contributorhttp://icsforum.org/mediarchive/2011/12/12/gholam-azam/
ছেলের নাম 'গোলাম আযম', কেউ রাখে?
Bangla News 24 - 3 days ago
১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ভূমিকা
__._,_.___