Banner Advertiser

Saturday, December 20, 2014

[mukto-mona] An Article To Read .



যেতে হবে বহু দূর
তারিখ: ১৬/১২/২০১৪
  • ডাঃ নুজহাত চৌধুরী
ডিসেম্বর আসলেই এক অদ্ভুত অস্থিরতা গ্রাস করে আমাকে। শীতের আমেজের সঙ্গে সঙ্গে চারিদিকে যেন দেশপ্রেমের উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। চারিদিকে বিজয়ের কথা, স্বাধীন বাংলা বেতারের গান। আহ্, বুক ভরে নিশ্বাস নেই। এমন বাংলাদেশ বছরের বারোটা মাস থাকবেÑ এটাই তো চাই। তবু, শ্বাস আটকে আসে আমার। ছোটকাল থেকেই ডিসেম্বর মানে বুকের ভেতর অদ্ভুত এই অনুভূতি, অস্থিরতা। বধ্যভূমি, ৩০ লাখ শহীদ, ধর্ষিতার যন্ত্রণা, বিধবার কান্না, শহীদ সন্তানদের নিষ্ফল অভিমান, মুক্তিযোদ্ধাদের হতাশাÑ একেকটি ¯œ্যাপ শট, আমার একেকটি তীব্র যন্ত্রণা।
আমার ছোটকাল কেটেছে দেশ যখন দুই জেনারেলের কারাগারে। সারা বছর চারিদিকে "প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ" শুনতে শুনতে প্রাণ যখন ওষ্ঠাগতÑ হঠাৎ করে এ মাসটিতে এসে স্বাধীন বাংলা বেতারের গান যখন ভেসে আসতো দূরে কোথাও থেকেÑ ভাল লাগা, অভিমান, ক্ষোভ, যন্ত্রণা সব মিলিয়ে বুকের ভেতর এক তীব্র সুনামিÑ আমাকে অস্থির করে তুলত।
সেই জিয়া এরশাদের আমলে, আমার ছোটকালে, তখনও ডিসেম্বর এলে শহীদ কন্যা হিসেবে বাবার কথা বলতে হতো। সেসময় অন্তত একটা দিন কেউ যে তা শুনতে চাইত সেটাই ছিল অনেকখানি। তখন সারা বছর বাকি দেশের মতো আমিও আমার অনুভূতিগুলো লুকিয়ে রাখতাম বাক্সবন্দী করে। ছোটকালে ডিসেম্বর মানে ছিল সেই বন্ধ প্রকোষ্ঠের দরজা খোলার মতো। পুরনো ক্ষতের মুখোমুখি দাঁড়ানো। আমার মন চাইত না। বলার মতো, লেখার মতো ভাষা খুঁজে পেতে হৃদয়ের গভীরে তীব্র বেদনার অনেক সুনামির মধ্য দিয়ে যেতে হতো। আমার প্রচ- কষ্ট হতো। 
আজ দেশ অন্যরকম। যুদ্ধাপরাধীর বিচার চলছে। যে যুদ্ধাপরাধীরা '৭৫-৯৬ জিয়া-এরশাদ-খালেদার সময় ছিল ক্ষমতার শীর্ষে - এ অভাগা দেশে, নির্যাতিত-নিষ্পেষিত মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে শক্তির সেই সাহস বা ক্ষমতা কখনও হবেÑ তা ছিল অবিশ্বাস্য। স্বপ্নের অতীত সেই বিচার যখন দেশে বাস্তবতাÑ তখন মুক্তিযুদ্ধের কথা, যুদ্ধাপরাধের আলোচনাÑ চায়ের দোকান থেকে টিভির টকশোতে এক নম্বর আলোচনার বিষয়। আমিও এখন অনেক বড়, অনেক শক্ত। বাবার কথা, মুক্তিযুদ্ধের কথা পরবর্তী প্রজন্মকে জানিয়ে যাবÑ পণ করেছি। যেন আগামী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের শুধু পরিসংখ্যান ও ঘটনাক্রম শেখেÑ তা নয়Ñ যেন তারা মুক্তিযুদ্ধের আবেগের তীব্রতাও অনুধাবন করতে পারে। যেন তারা জানতে পারে কত অশ্রুর বিনিময়ে পাওয়া এই বিরল স্বাধীনতা। আমাদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ যেন প্রতি ডিসেম্বরে তাদেরকেও অস্থির করে তোলে। তাই সারা বছর বলি বাবার কথা, দেশের কথা। কাঁদি, কাঁদাই। বুকের কষ্টকে লুকিয়ে না রেখে ছড়িয়ে দেই চারপাশে। আজ দেশে এমন এক সুবাতাস বইছে যে, আমাদের কথা মানুষ শুনতে চায়, আবার নতুন করে জানতে চায় সেই তীব্র আবেগের কথা। তাই আরো বলার, আরো লেখার অনুরোধ আসে। এক বিপুল দায়ভার কাঁধে নিয়ে অনিচ্ছুক মনকে শাসনে রেখে আবার, বারংবার দাঁড়াই সেই বন্ধ প্রকোষ্ঠের দ্বারপ্রান্তে। কিছুতেই আমার মন সায় দেয় না, হাত চলে না, কলম এগুতে চায় না। মন চায় না বার বার এ ক্ষতকে নতুন করে ছুঁতে। বার বার রক্তক্ষরণ মনকে বার বার পর্যুদস্ত করে যায়। অথচ আমি জানি এ আমার রক্তঋণ, এ আমার দেশের প্রতি দায়ভার। দীর্ঘ অমানিশার পরে এক গভীর নিদ্রার পর অবশেষে এ নতুন প্রভাতে নতুন প্রজন্ম চোখ খুলেছে, কান পেতেছে। ওদেরকে আমার কত কিছু বলার আছে। ওদের বিশাল হৃদয়ের কাছে আমাদের সকল শোক, সকল বঞ্চনা, সব হতাশাকে সমর্পণ করে ওদের হৃদয়ে জ্বালিয়ে দিতে হবে দেশপ্রেমের বহ্নিশিখা। আমার কত কাজ বাকি, কত অব্যক্ত কথা বলা বাকি। যেতে হবে বহুদূর। সামনে দুর্গম পথ। স্বাধীনতাবিরোধী চক্রান্তের জাল বুনেই চলছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এই সুবাতাসে ভুলে গেলে চলবে না আমাদের ঘরভর্তি রয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী ওই নর্দমার কীট। ওরা এখন অর্থে, বিত্তে, দেশে-বিদেশে আমাদের চেয়ে বেশি ক্ষমতাশালী। '৭১ এর পরাজিত সেই ছোট্ট চারা আজকে এক বিষবৃক্ষ, যার শিকড় এ সমাজের অনেক গভীরে প্রথিত হয়ে গেছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমাদের দেশকে মুক্তিযুদ্ধের পথে ফিরিয়ে নিয়ে যাবার সংগ্রামের প্রথম পদক্ষেপ। এই বিশাল ঘটনাটি না ঘটলে দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নবউন্মেষের সূচনা হতো না। কিন্তু এ কথাও বোঝা প্রয়োজন যুদ্ধাপরাধের বিচার শুধু মাত্র একটি পদক্ষেপ, প্রথম পদক্ষেপ। শুধুমাত্র ব্যক্তির বিচার বাংলার মাটি থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের বাংলাদেশে বিরোধী চক্রান্তের বিষবাষ্প দূর করতে পারবেন না। যে মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে বিরোধী আদর্শের মন্ত্রে উন্মাদ হয়ে যুদ্ধাপরাধীরা ৩০ লাখ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করল - এ স্বাধীন দেশের মাটি থেকে সে অপরাজনীতিকে নির্মূল করতে হবে। তার জন্য যা করা প্রয়োজন সব করতে হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ইতোমধ্যে তাদের রায়ে জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধী দল বলে উল্লেখ করেছেন। জামায়াতের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শেষ। যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতের বিচার এখন সময়ের ব্যাপার। সুষ্ঠুরূপে নিñিদ্রভাবে এর তদন্ত ও বিচার করতে হবে। কিন্তু শুধু জামায়াতের বিচার করলেই হবে না, আমাদের এই আদর্শকে ধারণ করে বা তাদের সহযোগিতা করেও কেউ যেন রাজনীতি না করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। জামায়াত নিষিদ্ধ হলো কিন্তু তারা অন্য প্ল্যাটফর্ম থেকে রাজনীতি শুরু করলÑ এমনটি যদি ঘটে তবে অর্জন কিছুই হবে না। শোনা যাচ্ছে, জামায়াত ইতিমধ্যে পরিকল্পনা করেছে নাম বদলে লিবারেল ইসলামিক পার্টি বা এল. আই. পি. নামে দল গঠন করবে। অথবা ধরুন জামায়াতকে সম্পূর্ণ নির্মূল করা গেল কিন্তু তাদের আদর্শকে অন্য কোন দল ধারণ করে রাজনীতি করতে শুরু করল - তাহলেও কিন্তু বাংলাদেশে বিরোধী রাজনীতি চলতেই থাকবে। তাই এক্ষেত্রে প্রয়োজন "ঝবয়ঁবহঃরধষ ইধহহরহম"। জামায়াত নিজ নামে বা অন্য নামে রাজনীতি করতে পারবে না, জামায়াতের আদর্শকে ধারণ করে অন্য কোন দলও রাজনীতি করতে পারবে না। মূল কথা হলো জামায়াত মওদুদীবাদের যে ভ্রান্ত মতবাদ প্রচার করে ধর্মকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে, ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতি করে তা বন্ধ করতে হবে। মওদুদী, গোলাম আযমের অথবা জামায়াতের সকল বই নিষিদ্ধ ও বাজেয়াপ্ত করতে হবে। জামায়াতের অর্থের উৎস খুঁজে তা বন্ধ করতে হবে। অর্থ বিত্তে বাণিজ্যে জামায়াত এখন বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ কর্পোরেট হাউজের মতো বললে বোধহয় অত্যুক্তি হবে না। জামায়াতের অধীনে যত বাণিজ্যিক স্থাপনা আছে তাকে সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন করাকে যুক্তিসঙ্গত বলে মনে করি। একথা নিশ্চিত যে জামায়াতের অর্থনৈতিক ভিত্তি ধ্বংস করতে না পারলে কোন বিচার, কোন নিষিদ্ধকরণেই তাদের অপরাজনীতির বিস্তার রোধ করা যাবে না। 
স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক সকল ক্ষেত্রে মোকাবেলা করার পাশাপাশি মনোযোগ দিতে হবে নিজের ঘরের দিকে। আমাদের ছেলেমেয়েরা কি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বুকে ধারণ করে বেরে উঠছে? দলীয় আনুগত্য নয়, আমি বলছি আদর্শের চর্চার কথা, ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনা করা, মুক্তিযুদ্ধের মূল নীতিকে আত্মস্থ করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুঝেশুনে বিশ্বাস করে নিজের ভেতর ধারণ করার কথা। একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিকের দ্বারা দেশের কোন ক্ষতি হবার কথা না, দুর্নীতি হবার কথা না, হিংসা বিভেদ হবার কথা না। তাঁর কাছে মানুষ নিরাপদ, নারী নিরাপদ, সংখ্যালঘু নিরাপদ হবার কথা। দেশের প্রতিটা সংস্থা, বিভাগ, ক্ষেত্র নিরাপদ হবার কথা। তাই কি হচ্ছে? তাহলে নির্বাচনের সময় অভয়নগর, মালোপাড়ায় আমার হিন্দু বোনরা ধর্ষিত হলো কিভাবে? কেন আমার স্বপক্ষের ভাইরা বুক পেতে দাঁড়িয়ে বললেন না, আমার বোনের গায়ে হাত দেবার আগে আমাকে মোকাবিলা করো? আমরা খুব বেশি নিজের জীবন গড়ায় মন দিয়ে ফেলেছি? তাই কি ইবনে সিনায় চিকিৎসা করি, ইসলামী ব্যাংকের স্পন্সরে খেলা খেলি, টিভি তে খবর পড়ি, ওই ব্যাংকে টাকা রাখি? আমরা কি এজন্য খালি টেন্ডারবাজিতে ব্যস্ত আছি? আমি বলছি না নিজের জীবন গরার চেষ্টা আমরা করব না। অবশ্যই করব। না হলে দুর্বল পেয়ে আমাদের ঘায়েল করার শত্রুদের জন্য সহজ হবে। কিন্তু তা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে নয়, দেশের ক্ষতি করে নয়। যে শহীদদের প্রতি আমাদের এত সম্মানবোধ - আমাদের তাদের মতো হতে হবে- দেশপ্রেমিক, আদর্শবাদী, স্ব স্ব ক্ষেত্রে সফল, পরিশ্রমী, মানবদরদী।
তেমন মানুষ গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন তেমন শিক্ষা ব্যবস্থা। এমন বহুধা বিভক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা বোধকরি আর কোন দেশে নাই। একটা সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন। তা যদি নাও হয়, তবে প্রতিটা সিস্টেমেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস একটা বিষয় বাধ্যতামূলক হওয়া প্রয়োজন। অথচ তেমন কোন বিষয়ী আমাদের সিলেবাসে নাই। আমি মনে করি ১০০ নম্বরের এই বিষয়ে প্রথম শ্রেণী থেকে ছাত্রছাত্রী মুক্তিযুদ্ধের রাজনীতি, সমর নীতি, সেক্টরসমূহ, মুজিবনগর সরকার, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড শুধু নয়, বাঙালীর স্বাধিকারের আন্দোলনের, ভাষা আন্দোলনের সব দিক খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে, মার্কার দিয়ে দাগিয়ে দাগিয়ে পড়তে বাধ্য হবে। শিশুদের মস্তিষ্কে, মননে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ইতিহাস, তথ্য এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যেন সেই শিশু কখন ওই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কারো প্ররোচনায়, কারো বিকৃত ব্যাখ্যায় বিভ্রান্ত না হয়। আমরা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি না। কিন্তু জামায়াত বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিবিরকে সংগঠিত করে, এখন স্কুল পর্যায়ে শিশুদের মধ্যে বিষ ছড়াচ্ছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ করি, এখনই দৃষ্টি দিন, বন্ধ করুন শিবিরের এই কাজ। নতুবা ভবিষ্যতে এরা বাংলাদেশে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেবে আবার। সব মাদ্রাসা সরকারের তত্ত্বাবধানে আনা প্রয়োজন। এই বাংলাদেশের মাটিতে বসে কোন মাদ্রাসায় জাতীয় সঙ্গীত বাজবে না, তা হতে পারে না। এনজিওর নামে কে কোথায় কত টাকা আনছে, সেই টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে, তা সরকারকে জানতে হবে। বিদেশের টাকায় বিদেশের চক্রান্তে এ দেশে জঙ্গী উৎপাদন হবে আর মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দলের সরকার তার বিহিত করবে নাÑ তা হতে পারে না। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস নির্মূলে একটি মুসলিম সংখ্যাগুরু দেশের নারী নেত্রী হয়েও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে দৃঢ়তা ও সাহস দেখাচ্ছেন - তা শুধু আমাদের নয়, সারা বিশ্বের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। কিন্তু ২১ বছরের এত জঞ্জাল দূর করা এক অতিমানবীয় কাজ। চক্রান্ত দেশে, বিদেশে। দীর্ঘ এ বন্ধুর পথ চলা। তিনি বড়ই একা। তাঁর পাশে আমাদেরকেই থাকতে হবে। দেশ আমার জন্য কি করেছে এই হিসাব অনেক তো করা হলো, এবার এই দেশের জন্য আমরা নিজেরা কি করেছি ভেবে দেখি। যে গরিব দেশের অন্ন, বস্ত্র, বাতাসে পুষ্ট হলো দেহ, তার জন্য আমরা কি করেছি? যুগে যুগে রক্ত দিয়ে দেশের ঋণ শোধ করবার জন্য আবার আমাদের দৃঢ় সঙ্কল্প হতে হবে। সেই জন্য যে যেখানে আছি সেখানেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে কাজ করে যেতে হবে। যেতে হবে শিশুদের কাছে, বলতে হবে বঙ্গবন্ধুর কথা, বলতে হবে ৩০ লাখ শহীদের কথা, ধর্ষিত মা - বোনদের কথা, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবের কথা, শোকের কথা। তৈরি করতে হবে নতুন প্রজন্ম, যারা প্রয়োজনে আবার আমাদের পিতাদের মতো বুকের রক্ত ঢেলে দেবে নেতার ডাকে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলেই যেতে হবে। বার বার, বহু বার, শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত। এ আমার বাবার কাছে ঋণ, জাতির পিতার কাছে আমার ঋণ, ৩০ লাখ শহীদের কাছে ঋণ, বীরাঙ্গনা মায়েদের কাছে ঋণ, মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ঋণ, আমার দেশের কাছে ঋণ। এ আমার রক্ত ঋণ। শোধ যে আমাকে করতেই হবে। 




__._,_.___

Posted by: Muhammad Ali <man1k195709@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___