Banner Advertiser

Friday, December 12, 2014

[mukto-mona] চুক্তিশর্ত ভঙ্গকারী, সংবিধান বিরোধী, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী, বংশগতভাবে রাজাকার ও যুদ্ধপরাধী সন্তু লারমা গংকে অবিলম্বে রাষ্ট্রদ্রোহী আইনের আওতায় এনে সন্ত্রাস দমন আইনে শাস্তি দেয়া উচিত।






পার্বত্য এলাকায় বিরাজমান সমস্যা একটি জাতীয় ইস্যু। এটিকে ছোট করে বা হেলাফেলা করে দেখার সুযোগ নেই। পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং এর সমাধানের প্রক্রিয়ার প্রতি সমগ্র জাতির দৃষ্টি নিবদ্ধ। এ সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। পার্বত্য জনগণ ও রাষ্ট্রশক্তির মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা, সমস্যা সমাধানে পাহাড়ি নেতাদের ঔদ্ধ্যত্যপূর্ণ ব্যবহার, বাঙালিবিদ্বেষী মনোভাব, সর্বোপরি পারস্পরিক আস্থার অভাব এবং সমতলভূমির সাথে পাহাড়ি উপজাতি জনগণের জীবন-জীবিকা, সামাজিক, অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সৃষ্ট ব্যবধানের পরিণতিই বর্তমান সঙ্কটের কারণ।
পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রশাসনিকভাবে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার মর্যাদা লাভ করে ১৯৮৩ সালে। পার্বত্য চট্টগ্রাম তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হয় ১৯৪৭ সালের ২০ আগস্ট। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭০ সালে নির্বাচিত গণপরিষদ সদস্য এমএন লারমা ১৯৭২ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠা করে। এরপর ১৯৭৩ সালে তারা সংগঠনের সামরিক শাখা শান্তিবাহিনী গঠন করে এবং সশস্ত্র সংগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেয়। শান্তিবাহিনী পাহাড়ি এলাকায় হত্যা, গুমসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কার্যে লিপ্ত হয়। এই অবস্থার মোকাবেলার জন্য তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ওই এলাকায় প্রথম সেনাবাহিনী মোতায়েন করে। শান্তিবাহিনীর আক্রমণে এ পর্যন্ত সেনাবাহিনী, বিডিআর, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর প্রায় ৪ শতাধিক সদস্যসহ বিশ হাজার বাঙালি শহীদ হয়েছেন বলে জানা যায়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের দীর্ঘ ১৭ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর (২০১৪) সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে এ চুক্তিটি সই হয়। এর মূল লক্ষ্য ছিল, দেশের সংবিধান অনুসারে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান। চুক্তির পর থেকে উপজাতিদের উচ্চাভিলাষী সন্ত্রাসী নেতা সন্তু লারমা গং দাবি করে আসছে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিশেষ অঞ্চলের স্বীকৃতি দিয়ে বিশেষ শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে হবে। 
কিন্তু তার এ দাবি আমাদের সংবিধানসম্মত নয়। আমাদের সংবিধানে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থার কথা বলেছে। সংবিধানে কোন অঞ্চল বিশেষের জন্য আলাদা শাসনতন্ত্র তৈরীর সুযোগ নেই। চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে প্রতিটি সরকার দাবি করে এসেছে যে, চুক্তির বাস্তবায়ন কাজ এগোচ্ছে। বর্তমান মহাজোট সরকার চুক্তির শর্তানুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে অসংখ্যা সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহারও করেছে।
কিন্তু ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তিতে পাহাড়ি উপজাতিদের শান্তির কথা বিবেচনা করা হলেও ভাবা হয়নি পহাড়ে বসবাসকারী বাঙালিদের কথা। হাজারো সমস্যার মধ্যে দিনাতিপাত করছে তারা। দুর্গম পাহাড়ে নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করছে বাঙালিরা। তাদের অনেককে ৫ একর জমি ও এককালীন অর্থ দেয়ার কথা বলে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়ে আসে। কিন্তু তারা কেউই এক থেকে দেড় একরের বেশি জমি পায়নি। উপজাতিদের কাছে হরহামেশা নির্যাতিত বাঙালিরা এখানে তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিকের মর্যাদাও পাচ্ছে না। এখানে পাহাড়ি উপজাতিরা সশস্ত্র শান্তিবাহিনী প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাঙালিদের উপর বিভিন্ন প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়। ১৯৮০-৯১ সালের মধ্যে সন্ত্রাসী শান্তিবাহিনীর আক্রমণে ৯৫২ জন বাঙালি নিহত হয়। পাহাড়ে বসবাসকারী বাঙালিরা দুর্গম পাহাড়ে টিকে থাকতে না পেরে গুচ্ছগ্রামে বাস করে। গুচ্ছগ্রামেগুলোতে একটা ঘরই তাদের সম্বল। চিকিৎসা এবং স্যানিটেশন অবস্থা ভালো নয়। এরপরও এক খ- জমি তাদের ভাগ্যে জুটছে না। বাঙালিদের জীবন-জীবিকা, শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা-বসবাস সবকিছুর নিয়ন্ত্রক উপজাতি নেতারা। পার্বত্য এলাকায় বসবাস, ফসল লাগানো কিংবা বিক্রি করতে হলে জেএসএস, ইউপিডিএফসহ উপজাতিদের বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিয়মিত চাঁদা দিতে হয়।
পার্বত্যাঞ্চলে সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে শতকরা ৮০ ভাগ চাকরির সুবিধা ভোগ করে উপজাতিরা। বাকি ২০ ভাগ বাঙালিদের জন্য। বাঙালি পরিচয়ই যেন এখানকার সবচেয়ে বড় অভিশাপ। বার্ষিক বরাদ্দকৃত প্রায় ৯৫ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের মধ্যে ২০ হাজার মেট্রিক টন বিশেষভাবে বরাদ্দ করা হয় উপজাতিদের জন্য। অবশিষ্ট অংশ বণ্টন করা হয় শরণার্থী, গুচ্ছগ্রাম ও উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলের বিভিন্ন উন্নয়নে। এক্ষেত্রে বাঙালিদের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। উন্নয়ন বরাদ্দের শতকরা ৯০ ভাগ উপজাতিদের জন্য ব্যয় করা হয়। কথিত শান্তিচুক্তি অনুযায়ী আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদের এ দুটি গুরূত্বপূর্ণ সরকারি দফতরের প্রধান কর্তা-কর্মচারীরা উপজাতি। সে কারণেও দুটি সরকারি দফতর থেকে বাঙালিরা কোনোরকম সুবিধাই পাচ্ছে না। সংবাদপত্র তথা মিডিয়া এবং দেশের দালাল বুদ্ধিজীবী শ্রেণী সবাই পাহাড়ি উপজাতিদের অধিকারের কথা তুলে ধরে। কিন্তু সেখানে বসবাসকারী বাঙালিদের দুঃখ ও কষ্টের কথা কেউ তুলে ধরে না। পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত কতিপয় এনজিও'র কর্মপরিধিও ভ্রান্তিমূলক। যা পার্বত্য শান্তি প্রক্রিয়ার সাথে সাংঘর্ষিক।
উল্লেখ্য, সংবিধানের ১নং অনুচ্ছেদ অনুসারে বাংলাদেশ এককেন্দ্রীক রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃত। তাতে আঞ্চলিক শাসন ব্যবস্থার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। সংবিধানের ১৯(১) অনুসারে রাষ্ট্রের সকল নাগরিক সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে। অনুচ্ছেদ ২৭ অনুসারে রাষ্টের সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান অধিকার লাভকারী। অনুচ্ছেদ ২৮(১) অনুসারে কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষের ভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবে না। অনুচ্ছেদ ২৯(১) উল্লেখ আছে, 'প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সমান অধিকার থাকিবে'।
এদিকে সন্তু লারমা বলেছে, জেএসএস আগামী বছরের অর্থাৎ ২০১৫ সালের মে মাস থেকে আন্দোলনে যাবে। সন্তু লারমা সংবাদ সম্মেলনে ৯ দফা দাবিও উপস্থাপন করেছে। তার উত্থাপিত ৯ দফার মধ্যে রয়েছে স্থায়ী বাসিন্দাদের দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি তালিকা প্রণয়ন, আঞ্চলিক পরিষদের সুপারিশে ভূমি কমিশন আইন ২০০১ সংশোধন করা, অপারেশন উত্তরণসহ সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার ইত্যাদি। শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করার সতেরো বছর পর সন্তু লারমা যখন আবার 'আন্দোলনের' কথা বলে, যখন অবৈধ অস্ত্রসহ জেএসএস কর্মীরা ধরা পড়ে, তখন সঙ্গতকারণেই আমরা আশঙ্কিত না হয়ে পারি না। কেননা জেএসএসের সঙ্গেই শান্তিচুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। আজ তারাই বলছে 'সশস্ত্র আন্দোলনের' কথা। অথচ এরই মধ্যে চুক্তির অনেক শর্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
এদিকে, গত বেশ কয়েক বছর ধরে সন্তু লারমা সংবাদ মাধ্যমে যেসব বক্তব্য দিয়ে আসছিল, তা শুধু বর্ণবিদ্বেষীই নয়, বরং শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ছিল প্রধান অন্তরায়। যেখানে শান্তিচুক্তির মধ্য দিয়ে বাঙালি ও পাহাড়িদের মধ্যে 'স্ট্যাটাসকে' বজায় রাখা জরুরি ছিল, সেখানে সন্তু লারমা বারবার বাঙালিবিরোধী কথাবার্তা বলে আসছিল; কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সরকার তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। গত ১৭ বছর ধরে অবৈধভাবে সে আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের পদটি দখল করে আছে এবং সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। সে নির্বাচিতও নয়। যেখানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিও ৫ বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারে না, সেখানে সন্তু গত ১৭ বছর ধরে একজন উপমন্ত্রীর সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছে।
সন্তু লারমার প্রতিটি বক্তব্য আপত্তিকর ও সংবিধানবিরোধী। সংবিধানবিরোধী কথাবার্তা বলার জন্য তাকে অভিযুক্ত করা অনিবার্য। আরো একটি গভীর আপত্তিকর কথা সে বলেছে, বাঙালিদের সে চিহ্নিত করেছে 'সেটলার' হিসেবে। মূলতঃ বাঙালিরা সেখানে 'সেটলার' নন; বরং চাকমারাই 'সেটলার'। 

প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই উচ্চারণ করে, দেশ চলবে মদীনা সনদ এবং পবিত্র বিদায় হজ্জ উনার খুতবা মুবারক অনুসারে। 
পবিত্র বিদায় হজ্জ মূলতঃ হুদাইবিয়ার সন্ধিরই বিজয়ী ফল বা পরবর্তী ঘটনা প্রবাহ এবং সমার্থক।
তাই হুদাইবিয়ার সন্ধির মতোই চুক্তি ভঙ্গকারীদের সাথে চুক্তি ভঙ্গ করতে হবে।
দেশের গণমানুষের স্বার্থ বিপন্ন করে এবং স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে প্রধানমন্ত্রী শান্তিচুক্তি করলেও জনগণের তীব্র আপত্তির মুখে তা অধিকাংশ বাস্তবায়ন করলেও রাজাকার সন্তু গং চুক্তির অধিকাংশ শর্তই ভঙ্গ করেছে এবং অতি শীঘ্রই আগের চেয়েও বেশি সন্ত্রাসী তৎপরতায় যাওয়ার প্রকাশ্য হুমকি দিয়েছে।
কাজেই চুক্তিশর্ত ভঙ্গকারী, সংবিধান বিরোধী, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী, বংশগতভাবে রাজাকার ও যুদ্ধপরাধী সন্তু লারমা গংকে অবিলম্বে রাষ্ট্রদ্রোহী আইনের আওতায় এনে সন্ত্রাস দমন আইনে শাস্তি দেয়া উচিত।
এবং গণবৈষম্যমূলক ও গণধিকৃত তথাকথিত শান্তিচুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হুদাইবিয়ার সন্ধি ও অনুসরণ করা দরকার। 


__._,_.___

Posted by: Monsur Haider <haidermonsur@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___