Banner Advertiser

Wednesday, January 28, 2015

[mukto-mona] Hello



http://www.bkagoj1.com/print-edition/2015/01/29/16326.php

কোকোর মৃত্যুতে বড় দুই দলে 'ব্রেক-থ্রো আন্ডারস্ট্যান্ডিং' ঘটুক

 

নেপালে সংসদে মারামারি হয়েছে এবং এএফপি' এক ছবিতে চেয়ার ছোড়ার দৃশ্যও দেখা যায়। সংবাদ শুনে পাশ থেকে একজন বললেন, 'আমাদের দেশের বাতাস লেগেছে।' নেপালে সংবিধান প্রণয়নে জটিলতায় অর্থাৎ নেপাল হিন্দু রাষ্ট্র হবে কিনা, তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে সংঘাত চলছে। তবে সেটা আমাদের অবরোধের মত অতটা সহিংস নয়। নেপালের মত ভারতেও আরএসএস চায় ভারত হিন্দু রাষ্ট্র হোক। সম্প্রতি এর এক নেতা মোহন ভগত মধ্যপ্রদেশে এক জনসভায় বলেছেন, 'রবীন্দ্রনাথ হিন্দু রাষ্ট্রের পক্ষে ছিলেন।' এমন একটি আবিস্কারের জন্যে এই নেতার প্রশংসা করতে হয় বটে!

 

এই সেদিন ওবামার 'স্টেট অব দি ইউনিয়ন' ভাষণ শুনলাম। ক্লিন্টনের মনমাতানো ইউনিয়ন ভাষণ শোনার অনেকদিন পর দু'একবার বুশ বা ওবামার বক্তৃতা শুনেছি। এদেশে এটা এক চমত্কার ব্যবস্থা। ২০শে জানুয়ারী ওবামা ষষ্টবারের মত ভাষণ দিলেন এবং এবারই প্রথম যখন হাউস সিনেট দু'টোই রিপাবলিকানদের দখলে। কিন্তু হলে কি হবে, নরমে-গরমে তিনি সবকথাই বললেন। ভিটো দেয়ার হুমকি দিতেও ছাড়লেন না। রিপাবলিকানদের সামনে অনেকগুলো প্রস্তাবনাও রাখলেন। বললেন, বহির্বিশ্বে মার্কিন মোড়লপানা টিকিয়ে রাখতে রিপাবলিকান-ডেমক্রেটদের ঐক্যমত থাকতে হবে। তিনি আইএসআইএস-কে বোমা মারতে কংগ্রেসের প্রস্তাবনাও চাইলেন। এও বললেন, আমি তো আর নির্বাচনে দাড়াবো না, কিন্তু আমেরিকার উন্নয়নে আমার যা করার দরকার আগামী দুইবছর তা করতে পিছপা হবোনা। তিনি আমেরিকার ঐক্য কামনা করলেন। আর আমরা? ঐক্য তো দূরের কথা, বোমাবাজী আর সন্ত্রাসে ব্যস্ত।

 

ওবামার ভাষণ শুনতে শুনতে ভাবছিলাম আমাদের দেশের কথা। তার পুরো ভাষণে দেশ জনগনের উন্নয়নের প্রস্তাবনা। আর আমরা শুধু করছি মারামারি। ৪৪ বছরে আমরা একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলাম না, লজ্জা সবার। সকল রাজনীতিক, সকল দলের! হরতাল অবরোধ, সন্ত্রাসের জন্যেও সবাই দায়ী। আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যে যেমন সবকিছু করতে পারি, তেমনি ক্ষমতায় থাকার জন্যেও সবকিছু করতে পারি। ওবামার বক্তৃতায় শুনলাম, তিনি বললেন, 'সন্ত্রাসের জন্যে সব মুসলমানকে দায়ী করা যাবেনা, বেশিরভাগ মুসলিম তো আমাদের মতোই শান্তিপ্রিয়' তবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ভে হুশিয়ারী শুনলাম, কিন্তু কোথাও ক্রিস্টানদের প্রশংসা শুনিনি। আমাদের দেশের নেতারা কি এসব বক্তৃতা শুনেন, বা প্র্যাকটিস করেন? বরং উল্টোটাই তো দেখি! খেলাফত আন্দোলনের আমীর মৌলানা আমিনী সোমবার ১৯শে জানুয়ারী বললেন, একজন হিন্দুকে প্রধান বিচারপতি বানিয়ে বা সংসদে স্বরস্বতী পূজা করতে দিয়ে নাকি সরকার মুসলমানের বাংলাদেশকে রামরাজত্ব বানিয়ে ফেলছে!

 

পত্রিকায় দেখলাম, সরকার নাকি এরশাদকে ক্ষমতায় আনার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। তাতে ক্ষতি কি? এরশাদ স্বপ্ন দেখতে থাকুক। শেখ হাসিনা যদি চাচার সামনে ক্ষমতার মুলা ঝুলিয়ে রাখতে পারেন, তো মন্দ কি! তবে একখান কথা আছে। এরশাদ চাচারে বিশ্বাস করেছেন তো মরেছেন। অনেকদিন আগে ঢাকায় একটি বক্তৃতায়  শুনেছিলাম: 'নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করলেন : কামাল বিচারপতি সাত্তার। জনগণ ভোট দিলেন : কামালকে। জিতলেন সাত্তার। আর ক্ষমতায় বসলেন হুসাইন মোহন্মদ এরশাদ!' কাজেই 'এরশাদ হইতে সাবধান।' বাংলাদেশে দুই সামরিক নেতা জিয়া-এরশাদ দেশের যত ক্ষতি করেছেন জাতি আজো এর মাশুল দিয়ে যাচ্ছে, আরো কতদিন দেবে কে জানে! জোর করে ক্ষমতা দখল বা ধরে রাখার যে নজির ওই দুই স্বৈরাচার সৃষ্টি করেছিলেন, তা থেকে আজো আমরা মুক্তি পাইনি।  

 

যেমন মুক্তি পাইনি নৈরাজ্য থেকে। এরমধ্যে শুভ সংবাদ, সন্ত্রাস বিরোধী জনতা মাঠে নেমেছেন। 'দিন আগে নিউইয়র্ক থেকে আমাদের টমাস-দা দেশে গেছেন, এক্কেবারে অবরোধের মধ্যে, কারণ মা অসুস্থ। বাড়ী কুষ্টিয়া। জানালেন, এম্বুলেন্সে কুষ্টিয়া পৌঁছলেও জরুরী প্রয়োজনে আবার ঢাকা গিয়েছিলেন বিশ্ব-এস্তেমার গাড়ীতে। একেই বলে 'নেসিসিটি ইজ মাদার অব ইনভেনশন' অবরোধ, পেট্রোল বোমা, সন্ত্রাস- এরমধ্যেই এলো কোকোর মৃত্যু সংবাদ। দুঃখজনক। বাংলায় একটি কথা আছে 'শত্রুরও যাতে এমনটা না-ঘটে'! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন খালেদার সাথে দেখা করতে। এটাই মানবিকতা। একজন মা আরেকজন মায়ের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন। দেখা হয়নি তো কি হয়েছে। তবে বিএনপি নেতারা এখন মানছেন যে, ভুল হয়ে গেছে। এটা ভাল লক্ষণ। ঘটনা এবং কোকোর মৃত্যু নিয়ে অনেক লেখালেখি দেখছি। ইন্টারনেটে এমন মন্তব্যও দেখেছি যা লিখতেও ঘৃনা হচ্ছে। জাতি হিসাবে আমরা এতটা নির্লজ্জ কেন? খালেদা জিয়া আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। তার্ প্রতি রাজনৈতিক বিরোধিতা আগেও ছিলো, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু তার এই পারিবারিক বিপর্যয়ে আমরা সবাই কেন বলতে পারিনা, 'আমরা গভীরভাবে মর্মাহত'  কোথায় আমাদের দৈন্যতা? রাজনীতিতে সহনশীলতা বলে একটা কথা আছে, সবাই মিলে তা একটু দেখাই না কেন! জানি অনেকে বার্ন-ইউনিটের কথা বলবেন, স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষের কথা তুলবেন, পেট্রল-বোমা, সন্ত্রাস প্রসঙ্গ আসবে। সবই বুঝলাম, কিন্তু ভুলে গেলে চলবেনা, চুয়াল্লিশ বছরে ক্রমাগত দেশের এই দুরাবস্থার জন্যে কমবেশি আমরা সবাই দায়ী। তাছাড়া একপক্ষ মন্দ হলেও আমাদের ভাল হতে সমস্যা কোথায়? সুখের কথা আওয়ামী লীগ বিবৃতি দিয়েছে। এতসবের পরেও কিছু প্রশ্নের কিন্তু উত্তর খুঁজে পাওয়াটা দরকার। যেমন, কোকোর মৃত্যু হয়েছে মালয়েশিয়ায়, কিন্তু কিভাবে? আরো প্রশ্ন, কেন খালেদা জিয়া অফিসে অবস্থান নিয়েছেন এবং বাড়ী যাচ্ছেন না? ঘরের কোন্দলে খালেদা জিয়া কি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন? অনেকেই কিন্তু প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুজছেন! এজন্যেই কি সরকার ম্যাডাম জিয়াকে নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছিলো? শুনলাম, তারেক রহমান কোকোর জানাজায় যাননি, বলা হয়েছে ভিসা বিভ্রাট, আসলে কি তাই?

 

যাকগে, ওবামা ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লি গেছেন। ওখান থেকে যাবেন সৌদি-আরবে। দিল্লিতে তিনি সবাইকে মিলেমিশে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তার এই সফর দক্ষিন এশিয়ার জন্যে কোন সুখবর বয়ে আনবে কিনা কে জানে! তবে আর কারো কিছু হোক বা নাহোক, মিশেল নাকি ১০০ বেনারসী উপহার পেয়েছেনওবামা আর একটু এগিয়ে ঢাকায় গিয়ে 'অবরোধ' দেখে আসতে পারতেন! এমন জিনিস তো আমেরিকায় দেখতে পাওয়া যায়না, 'ওয়ান্স ইন লাইফ-টাইম ইভেন্ট' সবকিছুর পরও মিলিয়ন ডলার প্রশ্নটি থেকেই যায়, 'অবরোধ শেষ হবে কবে?' এবার দিল্লিতে প্রেসিডেন্ট ভবনে ওবামাকে গার্ড অব অনারের নেত্রিত্ব দেন উইং কমান্ডার পূজা ঠাকুর, একজন মহিলা। মোদী দু'দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের কথা বললেন। ওবামা বললেন, দু'দেশের 'ব্রেক-থ্রো আন্ডারস্ট্যান্ডিং' এর কথা। আমার মনে একটু আশার ঝলক দেখা দিয়েছে, 'কোকোর মৃত্যু কি আমাদের দেশে বড় দুই দলের মধ্যে কোন 'ব্রেক-থ্রো আন্ডারস্ট্যান্ডিং'-এর বার্তা বয়ে আনবে?

 

শিতাংশু গুহ, কলাম লেখক

নিউইয়র্ক, রোববার ২৫ জানুয়ারী, ২০১৫





__._,_.___

Posted by: Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___