Banner Advertiser

Thursday, February 5, 2015

[mukto-mona] Please Read



http://www.bkagoj1.com/print-edition/2015/02/06/17648.php

'হরতালের মধ্যে সারাদিন ঢাকা ঘুরলাম, তবে জানটা হাতে নিয়ে'

 

নাইজেরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ১৪ই ফেব্রুয়ারী প্রার্থী মুখ্যত: দু'জন একজন মুসলমান, একজন খৃস্টান আফ্রিকার জনবহুল এই দেশটিতে সাম্প্রদায়িক হানাহানিতে ' ' মানুষ মারা যায় এই সেই দেশ যেখানে বোকা হারেম তিনশ স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করেছিলো এবং বিশ্বে তা আলোড়ন তুলেছিলো ওদের উদ্ভার করা যায়নি, কারণ বোকা হারেম ঐসব কিশোরীদের ধর্মান্তরিত করে ওদেরই ক্যাডারদের সাথে বিয়ে দিয়েছিলো সময়ের সাথে আমরা ওদের ভুলে গেছি নাইজেরিয়ার কথা একারণে এলো যে, মার্কিন সংস্থা 'ইউএসসিআইআরএফ' অর্থাৎ 'মার্কিন কমিশন অন ইন্টারন্যাশানাল রিলিজিয়াস ফ্রীডম' ২রা ফেব্রুয়ারী আশংকা প্রকাশ করেছে যে, নির্বাচনের আগে পরে সেখানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়তে পারে জন কেরী জানুয়ারীতে দেশটি সফর করেছেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, যদি দাঙ্গা হয়, তাতে যারাই জড়িত থাকবেন তারা কখনো মার্কিন ভিসা পাবেন না স্পষ্টত: এতে হুকুমের আসামীদের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে 

 

আফ্রিকার ওই দেশটির সাথে দক্ষিন এশিয়ায় বাংলাদেশের যথেস্ট মিল আছে আমাদের দেশেও প্রায় প্রতিটি নির্বাচনের আগে পরে সংখ্যালঘু নির্যাতন একটি নৈমত্যিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে ২০০১ তন্মধ্যে জঘন্যতম, এবং এর কোনো বিচার হয়নি এমনকি ২০১৪-এর ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন, যা নিয়ে এখন হরতাল-অবরোধ-জ্বালাও-পোড়াও চলছে, তার আগে পড়েও হিন্দুর ওপর অত্যাচার হয়েছে নাইজেরিয়ার প্রসঙ্গ আনার আর একটি কারণ হলো, যুক্তরাষ্ট্র নাইজেরিয়ার দাঙ্গাকারীদের ভিসা না দেয়ার কথা বলেছে, আমাদের দেশের দাঙ্গাবাজদের জন্যে একথা প্রযোজ্য হতে পারেনা? যুক্তরাষ্ট্র কেন বলেনা, বাংলাদেশে যারা দাঙ্গা-হাঙ্গামা করছে, পেট্রল বোমা মারছে, সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে, তারা বা তাদের হুকুমের আসামীদের মার্কিন ভিসা দেয়া হবেনা যুক্তরাষ্ট্র বলুক বা না-বলুক পত্রিকায় দেখলাম, হুকুমের আসামীদের বিরুদ্ভে মামলা হয়েছে, এবং হচ্ছে উতপ্ত সংসদে নুতন আইনের কথা হচ্ছে ময়মনসিংহ মেইলে নাশকতা হয়েছে পেট্রোল বোমায় মৃতের সংখ্যা পঞ্চাশ ছুইছুই তারপরও আমরা ভালই আছি নিউজার্সী থেকে দেওয়ান বজলু দেশে গেছেন, ফেইসবুকে পোস্টিং দিয়েছেন: 'হরতালের মধ্যে সারাদিন ঢাকা ঘুরলাম, তবে জানটা হাতে নিয়ে'  

 

নির্বাচন নিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা তৃতীয় বিশ্বে নুতন কিছু নয় বাংলাদেশের চিত্রটিও অভিন্ন লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, আমাদের দেশে গত তিনদশক প্রায় সব রাজনৈতিক আন্দোলনই নির্বাচন নিয়ে এখন যে হরতাল-অবরোধ তাও নির্বাচন নিয়ে দিন দুই আগে 'হরতাল-অবরোধ এবং থেকে উত্তরণের উপায়' ইত্যাদি নিয়ে একটি দীর্ঘ 'টক-শো' দেখছিলাম পুরোটা দেখিনি, অনেকটা দেখেছি ওই টকশো-তে অন্তত: দুই ডজন বুদ্ভিজীবি, রাজনীতিক, সম্পাদক, ব্যবসায়ী সবাই ছিলেন সবাই প্রায় বিখ্যাত, বা পরিচিত উপস্থাপিকা ভদ্রমহিলা সবাইকে ৫মিনিট করে সময় বেঁধে দেন প্রাথমিক কথাবার্তা বলার জন্যে অবাক হয়ে দেখলাম, যতজন কথা বললেন, একজনও নিদির্ষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের বক্তব্য শেষ করেননি, বা করতে পারলেন না নুতন প্রজন্মের পরিচয়ে একজন রাজনীতিক বললেন, তিনি সময়ের আগেই শেষ করবেন, কিন্তু তাকেও থামাতে হয় উপস্থাপিকাকে এত বড়বড় নামিদামী ব্যক্তিত্বের বক্তব্য থামাতে উপস্থাপিকাকে রীতিমত হিমসিম খেতে হয়

 

যারাই কথা বলছিলেন, তাদের কারোই জনগনের প্রতি দরদের কোন কমতি ছিলোনা সন্ত্রাস-সহিংসতা বিরুদ্ভে ঝাঝালো বক্তব্য, আক্রমন-পাল্টা আক্রমন সবই ছিলো উপভোগ্য কিন্তু উত্তরণের রাস্তাটি সন্ভবত: প্রায় সবাই এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন, কারণ ওটি এখনো কারো জানা নেই টক-শো নিয়ে অনেক কথা শুনি, কিন্তু সময়োচিত এই টকশো-টি দেখে আমার মনে দু'টি বিষয় তখনই উকিঝুকি দেয়

এক, বক্তারা কেউ বেঁধে দেয়া সময় মানলেন না, বা মানতে পারলেন না উপস্থাপিকাকে প্রাইমারী শিক্ষিকার মত বারবার তাদের থামাতে হচ্ছিলো অর্থাৎ বক্তারা নিয়মের তোয়াক্কা করলেন না, বা নিয়ম মানার দায়িত্বটুকু দেখাতে পারলেন না  উপস্থাপিকাও সুচারুরূপে তার দায়িত্ব পালন করতে পারলেন না এখন বক্তাদের যদি আমরা বিরোধী দল মনে করি এবং উপস্থাপিকাকে সরকার কল্পনা করি, তাহলে আমাদের দেশের সমস্যাটি হলো: 'বিরোধীরা তাদের দায়িত্ব পালনে যেমনি ব্যর্থ সরকারও তেমনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উদাসীন' বলে রাখা ভালো, এটা শুধুই আমার কল্পনা

দুই, টকশো- বক্তারা প্রায় সবাই জনগনের জন্যে 'দিল' উজার করে দেন, যদিও তারা মুখ্যত: দুইভাগে বিভক্ত ছিলেন সরকার পক্ষ এবং বিপক্ষ তাদের কথা শুনে আমার কাজীর বিচারের কথা মনে হয়েছে কাজী বিচার করেন 'আল্লাহ' নামে, কিন্তু রায় দেন সম্রাটকে খুশি করার জন্যে (দারাশিকোর বিচার) আমি দু:খিত, তবু বলতে হচ্ছে, অনেক বক্তার কথায়ই আমার মনে হয়েছে, তারা কথা বলেছেন জনগনের নামে, কিন্তু খুশি করতে চেয়েছেন তাদের নিজনিজ নেতা-নেত্রীকে

 

'আই উইশ আই এম রং' কিন্তু এই যদি আমাদের সমাজের মাথার অবস্থা হয়, তখন দেশের এই দু:সময়ে অবরোধের মত সহিংস আন্দোলনের শেষ কোথায় তা ভাবা কষ্টকর বটে আমাদের দেশে নেতারা সারারাত ধরে আলোচনা করে পরে সিদ্ভান্ত নেয়ার দায়িত্বটা সবসময়ই নেত্রীর ওপর দিয়ে বাড়ী গিয়ে ঘুমিয়েছেন সম্ভবত: জাতীয় এই দুর্যোগের একটি গ্রহনযোগ্য সমাধানের দায়িত্বও আবার জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপরই বর্তেছে সরকার প্রশাসন মাঠে নেমেছে জনগণ নেমেছে ১৪দল মাঠে নামা উচিত আশার কথা আজই আমার এক বন্ধু শাহ-আলম, যিনি রাজনীতি করেননা, জানালো, 'তার ধারণা আর এক সপ্তাহের মধ্যে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ হয়ে যাবে'

 

শিতাংশু গুহ, কলাম লেখক

নিউইয়র্ক, ২রা ফেব্রুয়ারী ২০১৫


SitangshuGuha 646-696-5569



__._,_.___

Posted by: Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___